× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Palash also subdued the beauty of Sundarbans
google_news print-icon

সুন্দরবনের সুন্দরীকেও বশ মানালেন পলাশ

সুন্দরবনের-সুন্দরীকেও-বশ-মানালেন-পলাশ
সিরাজগঞ্জের তরুণ ব্যাংকার পলাশের গাছের নেশা। এক একর জমিতে গড়ে তুলেছেন বাগান। তার আগ্রহ বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির গাছে। সুন্দরবনের সুন্দরী, গোলপাতা, কেওড়া থেকে শুরু করে উপকূলের শ্বেত গর্জন, পাহাড়ের নানা গাছও। এর মধ্যে যমুনার তীরে সুন্দরীকে বাঁচিয়ে রাখতে বহু চেষ্টা করতে হয় তাকে।

শুরুটা সেই ২০০০ সালে। ২২ বছর ধরে গাছ রোপণ করেই যাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ভদ্রঘাট গ্রামের মাহবুবুল ইসলাম পলাশ। পেশায় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। গড়ে তুলেছেন বিরল প্রজাতির গাছের এক বাগান, যাতে ৩৪৫ প্রজাতির গাছের সংখ্যা এখন প্রায় পাঁচ হাজার।

উপকূল ছাড়া জন্মে না, পাহাড় ছাড়া দেখা মেলে না- এসব গাছও আছে তার সেই বাগানে। ভিন্ন পরিবেশে গাছগুলো ঠিকই বেড়ে উঠছে। তিনি চেষ্টা করছেন গাছগুলো ছড়িয়ে দিতে। চাইছেন অন্যরাও যেন এভাবে এগিয়ে আসে।

বৃক্ষপ্রেম পলাশের জন্য এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্মাননাও। পরিবেশ রক্ষা ও কৃষিতে অনন্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৬ জুটেছে তার।

বাংলাদেশে যেসব গাছ আছে, তার মধ্যে তরুণ ব্যাংকারের বাগানে নেই, এমনটি খুঁজে পাওয়া কঠিন। উপকূলে লোনাজলের কাদামাটিতে জন্মানো সুন্দরী গাছও যমুনাতীরের সেই বাগানে তরতর করে বেড়ে উঠেছে।

শুধু তা-ই নয়, পাহাড়ের রুক্ষ, ঊষর মাটি ছাড়া টেকে না- এমন গাছও যত্নে বড় হচ্ছে পলাশের বাগানে।

শুরুটা যেভাবে

বিশ শতকের শুরুতে সারা দেশে ইউক্যালিপটাসগাছ রোপণের হিড়িক পড়ে। তখন পলাশ খোঁজখবর নিয়ে জানেন, ই-গাছ পরিবেশ-প্রকৃতির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। গাছটি প্রচুর পানি শোষণ করে, পাখি বসে না এর ডালে। তখন তিনি বাড়ির আশপাশে লাগালেন চাপালিশ, চিত্রাশী ও বান্দরহুলা গাছ।

সেই থেকে শুরু। দশম শ্রেণির ছাত্র হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ফলদ গাছের পাশাপাশি বিরল প্রজাতির গাছের চারাও রোপণ করতে থাকেন।

২০০৭ সালে এক বন কর্মকর্তার কাছ থেকে ৭০০ টাকায় ৭০০টি সেগুন গাছের চারা কেনেন। এরপর বৃক্ষ রোপণের নেশা পেয়ে বসে। হৈমন্তি, ঝুমকোবাদি, নীল পারুল, কন্যারি, নীল মণিলতা থেকে শুরু করে সুন্দরবনের সুন্দরী, গোলপাতায় সমৃদ্ধ হতে থাকে তার বাগান।

পলাশ নিউজবাংলাকে জানান, তার সুন্দরীগাছের নেশার কথা। গাছের চারার জন্য তখন নানা জায়গায় ধরনা দিচ্ছিলেন। সবাই তাকে যেতে বলেন সুন্দরবনে। কিন্তু সেখানে আর যাওয়া হয় না। কিন্তু তিনি খুঁজে পান ম্যানগ্রোভ বনের এলাকার বাসিন্দা খুলনার দাকোপের এক শিক্ষার্থীকে। অনুরোধ করেন তাকে চারা জোগাড় করে দেয়ার।

বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার আগে সেই ছাত্র তাকে সুন্দরবন থেকে তিনটি সুন্দরীর চারা এনে দেন। কিন্তু বাঁচেনি একটিও। পরে গাছের বীজ এনে দেন তিনি। বহু সাধনায় সেই বীজ থেকে ফোটে সাতটি চারা। সেই চারাগাছ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তার বাগানে।

বাড়ির বারান্দায় চারটির পাশাপাশি সমতলেও ৯টি সুন্দরীর চারা রোপণ করেছেন তিনি। এই গাছকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে তুলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।

পলাশ চাকরি করেন রাজশাহীতে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার বাগানের নেশায় ছুটে আসেন সিরাজগঞ্জে। ব্যস্ত সময় কাটান প্রিয় গাছের পরিচর্যায়। তার অবর্তমানে দেখভালের কাজটি করেন তার মা। তাকে সহায়তার জন্য রাখা হয়েছে শ্রমিক।

যেসব গাছ আছে বাগানে

নিউজবাংলাকে পলাশ বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে এক একর জমিতে আমি গড়ে তুলেছি শখের বাগান। ৩৪৫ প্রজাতির পাঁচ হাজারের বেশি ফল, ফুল, ঔষধি, কাঠজাতীয় এবং বনের নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫৮টি প্রজাতি মহাবিপন্ন।

‘এখন আমার বাগানে সুন্দরবনের নোনাপানির সুন্দরীসহ আরও ১৮ প্রজাতির গাছ রয়েছে। এ ছাড়া বিরল ও মহাবিপন্ন ৮৮ প্রজাতির বিভিন্ন গাছ ও বিরল প্রজাতির ৩২ ধরনের ফুলগাছ রয়েছে।’

সুন্দরী ছাড়াও সুন্দরবনের নোনাপানির গাছের মধ্যে রয়েছে গোলপাতা, কৃপা, খোলসা, কাঁকড়া, পশুর, উড়া, গড়ান, পাইন ও কেওড়া।

রয়েছে তেলিগর্জন, ধলিগর্জন ও শ্বেতগর্জনও। এদের মধ্যে শ্বেতগর্জন উপকূলীয় এলাকা ছাড়া হয় না।

বাগানে আছে গুটগুটিয়া, মাল্লাম, বান্দরহোলা, কুসুম, মণিরাজ, কুঠিশর, কাটাবাজনা, ডোলসমুদ্র, চাপালিশ, লোহা ও তেলসুর।

সিঁথিতে দেয়া সিঁদুর তৈরি হয় যে গাছ থেকে, সেটিও আছে এই বাগানে, রয়েছে বাহারি পানমসলা গাছও।

বুদ্ধ নারকেলগাছও আছে সংগ্রহে। এই ফল পাখি-মানুষ সবাই খায়। রয়েছে গলায় দেয়া যজ্ঞপ্রবীত তৈরির রুদ্রলক্ষ গাছ। দুর্লভ গাছ ঢাকিজাম, উড়িয়াম, সিভিট, মাইলাম, ভুঁইকদম, কন্যারি, হুলদু, সিদাজারুল, রক্তন, রাতাতুন, দুদকুরুজ, বিহদারুল, ধূপ, লোহা ও লুকলুকি দেখতে চাইলেও যেতে হবে বাগানটিতে।

এর মধ্যে সিভিটগাছের ফল কাকাতুয়া, ময়না ও টিয়ার পছন্দ। বাগানে এখন দেখা মেলে এসব পাখির। তারা বাসা তৈরি করে বাচ্চাও উৎপাদন করছে।

জায়গার সংকটের কারণে বাগান ছাড়াও সিরাজগঞ্জে যমুনা পারে একই গাছের চারা রোপণ করে দিয়েছেন পলাশ। পাখির নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করে দিতে গাছে গাছে ঝোলানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি ও ঝুড়ি।

বেশ কিছু ফুলের প্রজাতিও সংরক্ষণ করছেন পলাশ। সেগুলো হলো: ঝুমকোবাদি, নীল পারুল, কন্যারি ও নীল মণিলতা।

সুন্দরবনের সুন্দরীকেও বশ মানালেন পলাশ

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

পলাশ চাইছেন তার বাগানটি ধীরে ধীরে দুর্লভ জাতের মাতৃগাছে রূপান্তর করে ফেলবেন। তিনি বলেন, ‘একসময় আমি থাকব না। আমার বাগান থাকবে। যারা এ ধরনের গাছ তৈরি করতে চান, তারা আমার বাগান থেকে বীজ বা চারা নিতে পারবেন।’

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে এবং বৃক্ষরোপণে অনেক মানুষের আগ্রহ তৈরিতেও কাজ করছেন পলাশ। এলাকায় মেয়েশিশুর জন্ম উদযাপন করেন তিনি বৃক্ষরোপণের মাধ্যমেই।

পৃথিবীতে মেয়ে আগমনের খবর পেলেই উন্নত কাঠজাতীয় গাছের চারা নিয়ে তিনি ছুটে যান সেই বাড়িতে। নিজের হাতে সেটি রোপণ করে আসেন। পরিবারের সদস্যদের বোঝান, মেয়েরা কোনো অংশেই কম নয় ছেলেদের থেকে। তাই ছেলেমেয়ের পার্থক্য খোঁজার দরকার নেই।

আরও পড়ুন:
বাঁধাকপি কাটল কে
ভেঙে পড়েছে সেবাশ্রমের ২০০ বছরের পুরোনো বটগাছ
‘কর্মকর্তারা দেখে যায়, কাজ হয় না’
আমগাছ দেখতে তিন বছরের শিশুরও টিকিট
গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

p
উপরে