× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bangladesh is not bad even in global recession Prime Minister
google_news print-icon

মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করবেন না, ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

মানুষ-কষ্ট-পায়-এমন-কিছু-করবেন-না-ব্যবসায়ীদের-প্রধানমন্ত্রী
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫০টি শিল্প অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিএমও
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনও আমি বলতে পারি যে আমরা অন্তত অত খারাপ অবস্থায় নেই। কিন্তু আমাদের সেদিকে…যারা আমাদের এখানে শিল্পপতিরা আছেন অনুরোধ করব, যার যার ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে অন্তত নিজের দেশের মানুষের চাহিদাটা পূরণ করবার প্রচেষ্টা আপনারা নেবেন।’

দেশের মানুষ কষ্ট পায় ব্যবসার জন্য এমন কিছু না করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু করবেন না, যাতে মানুষ কষ্ট পায় বা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কারণ বিশ্বব্যাপী এখন খাদ্যের অভাব। এ জন্য আমরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৫০টি শিল্প অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন গণভবন প্রান্ত থেকে অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈশ্বিক মন্দার এই সময়ে বাংলাদেশ খারাপ অবস্থায় নেই বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দার ছোবল থেকে দেশের সুরক্ষায় কৃষির পাশাপাশি শিল্প উৎপাদন বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মানুষের কল্যাণে কাজ করলে ব্যবসায়ীদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারির অর্থনৈতিক ধাক্কাটা বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও লেগেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা যাতে অব্যাহত থাকে, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এরও পর আসলো মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। এই স্যাংশনের ফলে আমাদের ক্রয়ের সুযোগটা অনেক কমে গেছে। আমরা যেসব জিনিস বাইরে থেকে আমদানি করি, সেগুলোর যেমন দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, পরিবহন খরচ আরও বেড়ে গেছে।

‘যার ফলে অনেক দেশ আজকে, আপনারা দেখেছেন যে অর্থনৈতিক মন্দা নিজেরাই ঘোষণা দিয়ে গেছে, ইকোনমিক রিসেশনে ভুগছে। বাংলাদেশ এখনও আমি বলতে পারি যে আমরা অন্তত অত খারাপ অবস্থায় নেই। কিন্তু আমাদের সেদিকে…যারা আমাদের এখানে শিল্পপতিরা আছেন অনুরোধ করব, যার যার ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে অন্তত নিজের দেশের মানুষের চাহিদাটা পূরণ করবার প্রচেষ্টা আপনারা নেবেন।’

ব্যবসায়ীদের ব্যবসাবান্ধব নানা সুযোগ-সুবিধা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘এখন আর হাওয়া ভবন নেই যে আপনাদের কোনো কাজ পেতে হাওয়া ভবনের পাওনা বোঝাতে হয় বা এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে হয়। আমরা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে দেশকে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। সেই ব্যবসার ক্ষেত্রটা প্রস্তুত করা সুযোগ-সুবিধা দেয়া, সেটা কিন্তু আমরা করে দিচ্ছি সব ধরনের।’

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা, আঞ্চলিক যোগাযোগ, দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের প্রসঙ্গটি তুলে ধরে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখন থেকে যে দেশ আসবে, আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গা দেব। যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন আমরা করে দিয়েছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে একেবারে অল্প সময়ে যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’

ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে
সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথ, রেলপথ, আকাশপথের উন্নয়নেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন আমরা করেছি। তবে এটা ছয় লেন করে দিলেই ভালো হতো। আগামী দিনে সেটা আরও উন্নত করে দেব। সেই আশা আমাদের আছে।

‘ঢাকা থেকে যাতে আরও অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে রেলে পৌঁছানো যায়, তাই নতুন একটা রেললাইনের নতুন একটা অ্যালাইনমেন্টও আমরা চিন্তা করছি, সেটা আমরা করব। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনৈতিক যে চাপটা আমাদের ওপর আছে এটা কমে গেলেই এ কাজগুলো আমরা করতে পারব। যেটা আমাদের আরও সুবিধা হবে।’

মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করবেন না, ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

দেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে এটাই বলব, যেখানে শিল্পাঞ্চল হচ্ছে সেখানকার, সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি। যেমন অগ্নি নির্বাপণ, বর্জ্য ব্যববস্থাপনা বা সুপেয় পানির ব্যবস্থা-সবকিছু কিন্তু আমরা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা, তারাও সক্রিয়ভাবে সেখানে কাজ করছে, অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা কাজ করছি।’

মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ তৈরিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেই চিন্তাও আমাদের আছে। এখান থেকে সোজা মেরিন ড্রাইভ হবে। আমাদের যে বিশাল সমুদ্র, এই সমুদ্রকেও যেন মানুষ উপভোগ করতে পারবে আবার এই সমুদ্র আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে অনেক অর্জন করতে পারবে।’

‘নিজেদের শিল্প ব্যবসা গড়ে তোলেন’
চাকরির পেছনে না ঘুরে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘নিজেরা নিজেদের শিল্প ব্যবসা গড়ে তোলেন। নিজেরা অন্য লোকের চাকরির সুযোগ করে দেন। নিজের মাস্টার নিজেই হোন, আমাদের যুবসমাজকে এটাই আমি আহ্বান করব।’

টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কৃষিপ্রধান অর্থনীতি। কিন্তু শিল্পায়ন ছাড়া একটা দেশের উন্নতি হতে পারে না, কর্মসংস্থান তৈরি হয় না। আমাদের কৃষিও যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, পাশাপাশি আমাদের শিল্পায়নও করতে হবে। সেই কথা চিন্তা করে আমরা বেসরকারি খাতকে যেমন সমস্ত সেক্টরগুলো উন্মুক্ত করে দিই। পাশাপাশি তাদের উৎসাহিত করা, সেই ব্যবস্থাটাও আমার নিই। সেই সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিই। কারণ, খাদ্য হচ্ছে মানুষের সব থেকে বড় চাহিদা। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’

টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকার কারণে দেশে কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রপ্তানি, মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।

শিল্পায়ন শুধু একটি অঞ্চলভিত্তিক না, প্রতিটি এলাকায়

কৃষির পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে শিল্পায়নের ওপর জোর দেয়া হলেও যেখানে সেখানে কারখানা তৈরি করে ফসলি জমি নষ্ট করতে দেয়া হবে না বলে ফের জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘শিল্পায়নটা শুধু বাংলাদেশের একটা অঞ্চলভিত্তিক না, প্রতিটি এলাকায় যাতে হতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু তাই না, আমার কৃষিজমি বাঁচাতে হবে। কারণ আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের খাবার দিতে হবে। কৃষি নিয়ে গবেষণা করছি। গবেষণা করে খাদ্য উৎপাদন আমরা বৃদ্ধি করছি। সেটাও যেমন আমরা করতে পারছি, তাই খাদ্য উৎপাদন আমাদের যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, পাশাপাশি আমাদের শিল্পাঞ্চলও করতে হবে।

‘সেজন্য যেখানে সেখানে যাতে শিল্প না গড়ে ওঠে। কারণ আমি দেখেছিলাম, যে যেখানে খুশি, হয়তো ভালো ধানক্ষেত তিনটা ফসল হয়, সেখানে একটা ইন্ডাস্ট্রি করে তারপর দাবি করত বিদ্যুৎ দেন, গ্যাস দেন, পানি দেন, ড্রেনেজ, এটা সেটা। সেটা সম্ভব না। সেকারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখানে সেখানে কেউ শিল্প গড়তে পারবে না। কৃষি জমি, তিন ফসলি জমি কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি যে অঞ্চলে শিল্প গড়ে ওঠবে যারা জমি দেবে, যাদের কাছ থেকে জমি কিনবেন, অন্তত তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্যই আপনাদের এই বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দিতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন, তাদের ভালো মন্দের দিকেও দেখতে হবে। তাদের জন্য ভালো আবাসন ব্যবস্থা করা, তাদের পরিবারের সুযোগ সুবিধা দেখতে হবে।’

আর্থসামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো গেলে নিজস্ব বাজার তৈরি হবে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বাইরেই রপ্তানি করব সেই চিন্তা করলে হবে না। দেশের মানুষের যদি ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে যদি বাজার সৃষ্টি হয়, তাহলে শিল্প আরও বেশি লাভবান হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি।’

নিজস্ব শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং দেশি-বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতেই সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাই সমগ্র বাংলাদেশে আমরা ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবার মতো জমি আমরা ঠিক করে রেখে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগ আসবে।’

অর্ধশত শিল্প অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত স্থাপন
১৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মিত ৭টি অবকাঠামোর উদ্বোধন, ২৯টি শিল্প-কারখানার ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাই ডক এসইজেড, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুরের জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসব অবকাঠামো ও শিল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুদ্ধকালীন অবস্থা, সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা বা ইকোনমিক রিসেশন, তার মধ্যেও আমাদের যে শিল্পায়ন হচ্ছে এবং একইসঙ্গে আজকে ৫০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারছি এটা একটা বিরাট পাওনা বলে আমি মনে করি।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের দেশে বড় বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
হজযাত্রীদের হয়রানি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি শোধনাগার নির্মাণে কুয়েতের প্রস্তাব বাস্তবায়নের নির্দেশ
হজযাত্রী পাঠানোর জাহাজকে প্রমোদতরি বানান জিয়া: শেখ হাসিনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Authorization of the draft of the Revenue Policy and Revenue Management Amendment Ordinance

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের ৩৯তম বৈঠকে আজ ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণের পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Ministry of Social Welfare wants to work through the coordination team to speed up the pace the new secretary of the ministry

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Ministry of Youth and Sports is going to organize the National Policy Competition 2021

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নয়টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫। জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য "বাংলাদেশ ২.০: তারুণ্যের নেতৃত্বে আগামীর পথে " নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ধারণাপত্র জমা দিয়ে শুরু করবে এবং নির্বাচিত দলসমূহ পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রস্তুত ও উপস্থাপনা করবে। বিজয়ীরা পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি তাদের নীতি প্রস্তাবগুলো সরকারিভাবে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

নীতি প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হল-

১. রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

২. জুলাই পরবর্তীতে সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: জাতীয় স্বার্থ ও বৈদেশিক সম্পর্কের পুনঃসংজ্ঞায়ন

৩. নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ: শিক্ষা ও দক্ষতার রূপান্তর

৪.দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ: জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী তরুণদের ভূমিকা

৫. গুজব প্রতিরোধে বাংলাদেশের করণীয় ও বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি

৬. জুলাই গণভুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ

৭.বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ: সম্ভাবনার ব্যবহার ও নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা প্রস্তুতি

৮. সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের পথে: ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

৯. চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্বোধনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র

  1. কৃষি, নদী উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় ব-দ্বীপের পুনরাবিষ্কার।

রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতিগতভাবে অগ্রসর হওয়া। তরুণদের চিন্তাপ্রক্রিয়া, মননশীলতা এবং গবেষণাধর্মী সক্ষমতাকে সামনে রেখে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করা সম্ভব আর সেটি হতে হবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে বিনিয়োগ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই আমাদের রাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ ২.০-কে বাস্তবায়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jatiya Sangsad Election September 7 published a list of draft polling booths

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে এবং তা ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৮ (১) ও (২) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ ও চূড়ান্তকরণের জন্য গেজেটে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বে তা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, এই তালিকার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী : খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর, সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ: ২০ অক্টোবর।
উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ছকের আলোকে খসড়া ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত তথ্য (সফটকপিসহ) আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The species of indigenous fish must be protected by identifying reservoirs across the country Fisheries and Livestock Advisors

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।

উপদেষ্টা বুধবার (২০ আগষ্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়' -শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কমছিল। তাই আমরা এখাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।

৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।

প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Norwegian research ships are launching fisheries resources and ecosystem surveys in the Bay of Bengal Fisheries and Livestock Advisor

বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর সহযোগিতায় নরওয়ের গবেষণা জাহাজ “R.V. Dr. Fridtjof Nansen” আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ পরিচালনা করবে। প্রায় ৩২ দিনব্যাপী এ অভিযানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন বিজ্ঞানীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২৬ জন গবেষক অংশগ্রহণ করবেন।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে Norwegian সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ "R.V. Dr.Fridtjof Nansen" কতৃক বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ পরিচালনা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মৎস্যসম্পদ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এ খাত জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, এ জরিপে ছোট পেলাজিক ও মেসোপেলাজিক মাছের প্রাচুর্য ও মজুদ নিরূপণ, তলদেশীয় মৎস্যসম্পদের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য মূল্যায়ন এবং সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হবে। পাশাপাশি সমুদ্রের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, স্রোতের গতি, উৎপাদনশীলতা, গভীর সমুদ্র সঞ্চালন ব্যবস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক, সামুদ্রিক আবর্জনা, অক্সিজেন মিনিমাম জোন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সমুদ্রপানির অম্লতা বিষয়েও গবেষণা পরিচালিত হবে, যা ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, “R.V. Dr. Fridtjof Nansen”-এর ২০২৫ সালের জরিপ বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে।

রয়্যাল নরওয়েজিয়ান দূতাবাস, ঢাকা-এর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিসেস মারিয়ানে রাবে ক্নায়েভেলস্রুদ (Ms.Marianne Rabe Knaevelsrud) বলেছেন, নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সামুদ্রিক গবেষণায় সহযোগিতা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, "Dr. Fridtjof Nansen" গবেষণা জাহাজের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও জোরদার করবে এবং বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. জিয়াকুন শী (Mr. Jiaoqun Shi) বলেছেন, নরওয়ে সরকারের সহযোগিতায় FAO-এর EAF-Nansen Programme বাংলাদেশের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা জাতীয় ও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো: ইমাম উদ্দীন কবীর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three teachers of Milestone will be forever memorable to the nation for humanity and courage Chief Advisor

মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা ও সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা ও সাহসিকতার জন্য জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে এ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানা মাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।’

এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাঁদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, “তাঁকে যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ফোনে আমার সাথে কথা হয়। সেদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। জীবনে যেন কারো সেই অভিজ্ঞতা না হয়। আমি তাঁকে দেখলাম, একপাশ পুরোটা পুড়ে গেছে। সেখানে কয়েকজন সামান্য দগ্ধ বাচ্চা চিকিৎসা নিতে নিতে আমাকে বলল, ‘মিসই আমাদের টেনে টেনে বের করে আনল! মিস তো সুস্থ ছিল! এমন হলো কেন!’ আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি বের হয়ে এলে না কেন? তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?’ সে আমাকে বলল, ‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?’ পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তার জন্য দোয়া করেছে। সবার জন্যই সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।”

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মাহফুজা খাতুন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, ‘আমার মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, মা’কে নিয়ে বাড়ি ফিরব। মাকে যেদিন হুইলচেয়ারে বসাই সেদিন মনে হলো আমি বিশ্বজয় করেছি। মা ছাড়া একেকটা দিন আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার তো বাবা নেই, এখন মাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত নিজের বাসায় ফিরতে পারিনি। মা ছাড়া সে বাসায় ফিরব কী করে?’

শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই তাঁর বোন অসুস্থ। চোখে কিছুটা কম দেখেন। মাসুকা সবসময় তাঁর বাবা ও বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, তাঁদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা ছিল। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাত। আমার ছেলে-মেয়েদের ও নিজের সন্তানের মতো মনে করত। প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে ওর কথা হতো। আমরা আর তার স্কুল—এই ছিল তাঁর জীবন।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একইসঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। সবাই এটা নিজের মধ্যে অনুভব করেছে যে, ‘আমি যদি সেই অবস্থানে থাকতাম, আমি কী করতাম? আমি কি জীবনের পরোয়া না করে এভাবে ছোট শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মবিসর্জন দিতাম? এই প্রশ্ন সবার মনে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাঁদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমরা তা করব’।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

মন্তব্য

p
উপরে