নেত্রকোণা সদর উপজেলায় তরুণীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজেন্দ্রপুরের শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ বছর বয়সী গ্রেপ্তার লাল মিয়া নেত্রকোণা সদরের কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে তিনি বলেন, ‘২০ বছর বয়সী ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত লাল মিয়া। এতে সাড়া না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। এরই জেরে ২০০২ সালের ৩ জানুয়ারি লাল মিয়া আরও তিনজন সহযোগীকে নিয়ে ওই তরুণীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।’
মেজর আখের মুহম্মদ জয় বলেন, ‘এ ঘটনায় ওই তরুণী নেত্রকোণা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে এই মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
‘তবে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পালিয়ে থাকার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ঝালকাঠির নলছিটিতে পানিতে ডুবে ও ইঁদুরের ওষুধ বিষ পান করে তিন শিশুর হয়েছে।
কুশংগল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পানিতে ডুবে হামিদা আক্তার নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
শিশু হামিদা ওই গ্রামের মালেয়শিয়া প্রবাসী জাবেদ হাওলাদারের মেয়ে।
কুশংগল ইউনিয়ন পরিষদের সরমহল গ্রামের ইউপি সদস্য এছাহাক সরদার জানান, শিশুটি সকালে বসতঘরের আঙিনায় খেলা করছিল। ওই সময় স্বজনদের চোখের আড়াল পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজির পর পুকুরে সন্ধান শুরু করে স্বজনরা। পরে পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে বুধবার রাতে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের আখরপাড়া গ্রামে ইঁদুর নিধনের বিষ পান করে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রাণ হারানো তিন বছরের শিশু লামিয়া আক্তার আখরপাড়া গ্রামের কামাল হাওলাদারের কন্যা। দুই বছরের রমজান একই বাড়ির মো. রানা হাওলাদারের ছেলে। শিশু দুটি অপন চাচাত ভাই ও বোন।
স্বজনরা জানান, লামিয়া ও রমজান বুধবার সন্ধ্যায় বসতঘরের মেঝেতে খেলা করছিল। ওই সময় তাদের খাবার ঘরের খাটের নিচে থাকা ফসলি জমিতে ব্যবহারের জন্য রাখা ইঁদুর নিধনের ওষুধ খেয়ে ফেলে। এতে শিশু দুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বরিশালের শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এক বার্তায় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বান্দরবান-এর রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কেএনএফের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’
‘কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৮ নভেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলার সদর উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম।
১০ নভেম্বর ফাহিমা আক্তার ফাহিম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়াও তার বক্তব্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়া প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখিত ‘অসত্য প্রতিবেদন’টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তার দাবি, প্রদর্শনী বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের ধার্যকৃত উপকরণের সম্পূর্ণ অংশই কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। অনাবাদি পুষ্টি বাগান প্রকল্পের প্রদর্শনীতে কীটনাশক সরবরাহ না করে টাকা আত্মস্যাৎ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রদর্শনীতে কীটনাশক সরবরাহের কোনো বরাদ্দ বা পদ্ধতি এই প্রকল্পে নেই।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের দুটি মডেল গ্রামের একটি সুন্দিরবন ব্লকে পাঁচজন কৃষকের বাড়িতে এবং অন্যটি মহিনন্দ ব্লকের পাঁচজন কৃষকের বাড়িতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যার সুফল কৃষকেরা পাচ্ছেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মডেল গ্রামের অস্তিত্ব নেই বলে সংবাদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রদর্শনী সফলভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কৃষক ভাইদেরকে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে উপযুক্ত সময়ে প্রদর্শনীর উপকরণ সরবরাহ করা হয়। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রদর্শনীর স্থাপনা তৈরির কাজ সম্পন্ন করে কৃষক ভাই মাত্র মাশরুম উৎপাদনে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে বিবেচনায় নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বর্ণিত বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
‘কৃষকগণ বলেছেন, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রদর্শনী আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে তাদের সুবিধাজনক সময়ে তারা বাস্তবায়ন করেন। প্রদর্শনী স্থাপন এবং সুফল ভোগ একটি চলমান যুগপৎ প্রক্রিয়া। কৃষকগণ প্রদর্শনীর সুবিধা পাচ্ছেন এবং পাবেন, যা পূর্বেই উপজেলা কৃষি অফিস তাদেরকে অবহিত করে রাখেন।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সব তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
প্রতিবেদনে প্রদর্শনীর তালিকাভুক্ত কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।
অভিযুক্ত ওই কৃষি কর্মকর্তা প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন, দুটি মডেল গ্রাম প্রদর্শনী তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষক তার সুফল ভোগ করছেন। এখানে বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার তথ্যচিত্র প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।
২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি মডেল গ্রামের জন্য ২ লাখ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। এরপর ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি মডেল গ্রামের জন্য বরাদ্দ আসে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এ দুটি প্রদর্শনীতে বরাদ্দের চার লাখ ২২ হাজার টাকা উত্তোলন করে একটিও বাস্তবায়ন করেননি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার বক্তব্য সংগ্রহের পর তড়িঘড়ি করে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা শুরু করেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সুন্দিরবন ব্লকের মডেল গ্রামের প্রদর্শনী বরাদ্দ পাওয়া হাবিবুর রহমানসহ প্রত্যেক কৃষককে সব উপকরণ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাস্তবে সেখানে কোনো কার্যক্রম তখন শুরুই হয়নি। এ ছাড়া মহিনন্দ ব্লকে গিয়ে দেখা যায়, তড়িঘড়ি করে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম, ইসরাফিল, হাবুল মিয়া, হাদিস আর জাবিরকে দিয়ে করানো হচ্ছে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী। তাদের মধ্যে রফিকুল, হাবুল আর ইসরাফিলের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী পেয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি এবং অফিসের রেজিস্টারে স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি।
মূলত যাদের দিয়ে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন দেখানো হচ্ছে তারা মডেল গ্রামের বরাদ্দপ্রাপ্ত কৃষকই না। এ ছাড়াও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি স্পন ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। বছরের শুরুতে বরাদ্দ আসলেও কাজ শুরু হয় অক্টোবর শেষ সাপ্তাহে। সেখানেও বরাদ্দের পুরো টাকা পাননি কৃষক।
আরও পড়ুন:শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হলো জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামালায় নিহত ঝালকাঠির দুই বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহম্মেদকে।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে যাওয়ার পথে গাড়ির ভেতর বোমা মেরে হত্যা করা হয় ঝালকাঠি এ দুই বিচারককে।
শোকের এ দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি আদালত চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি পূর্বচাঁদকাঠি জজ কোয়ার্টার সড়কে নির্মিত দুই বিচারকের স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়।
পরে সেখানে দুই বিচারকের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।
ওই সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ এমএ হামিদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পারভেজ শাহরিয়ারসহ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা জজ আদালতে বিচারক সোহেল-জগন্নাথ স্মৃতি মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর কোয়ার্টার থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ঝালকাঠি জেলা জজশিপের দুই বিচারক শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে বহনকারী গাড়িতে বোমা মেরে হত্যা করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএববি।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ সাত জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের ৫৯ জন নেতার নামে সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে এটিই আমুর নামে প্রথম মামলা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জুবায়েরের করা এজাহার তদন্ত করে বুধবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০২১ সালে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে এ মামলায় আমির হোসেন আমু ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদসহ আসামির তালিকায় ৫৯ জনের নাম রয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাদীর কাছ থেকে পাওয়া এজাহারটি বুধবার রাতে বিস্ফোরক আইনে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। সদর থানার মামলা নম্বর ১০ এবং জিআর নম্বর ২৫৬/২০২৪।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে আমুকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় একই আদালত।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরের নাফ নদী মোহনা থেকে আবারও দুটি ট্রলারসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাএয়া হয়। এর আগে সম্প্রতি সময়ে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুর রশিদ বুধবার বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার টেকনাফ থেকে দুটি ট্রলার রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে আরাকান আর্মির সদস্যরা সাগর মোহনা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারের ছয়জন স্টাফ ছিল, যারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা। ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে আমার একটি রয়েছে। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলাোবাহিনীদকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মালামাল ভর্তি দুটি ট্রলারসহ ছয়জনকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে এবং কারা ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
তবে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে কেউ অবহিত করেননি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২১ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, একজন ঢাকা বিভাগের ও একজন চট্টগ্রাম বিভাগের।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন মোট ৩৭২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ২১ জন।
মন্তব্য