× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Even if the pace of development is slow due to the war the country will move forward Prime Minister
google_news print-icon

উন্নয়নের গতি শ্লথ করেছে যুদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নের-গতি-শ্লথ-করেছে-যুদ্ধ-প্রধানমন্ত্রী
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমাদের উন্নয়নের গতিটা কিছুটা হলেও শ্লথ হয়ে গেছে। কারণ, একদিকে করোনাভাইরাসের অভিঘাত, অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই মন্দা মোকাবিলার জন্য এখন থেকে আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে।’

করোনাভাইরাসের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের ‘উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে এখন থেকে সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তাই যার যেখানে সম্ভব অল্প পরিমাণে হলেও খাদ্য উৎপাদনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ঢাকার মিরপুরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘দুর্ঘটনা ও দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমাদের উন্নয়নের গতিটা কিছুটা হলেও শ্লথ হয়ে গেছে। কারণ, একদিকে করোনাভাইরাসের অভিঘাত, অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই মন্দা মোকাবিলার জন্য এখন থেকে আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে।

‘এ জন্য আমি আহ্বান করেছি, যার যেখানে কর্মস্থান, সারা বাংলাদেশে এত আমরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করে দিয়েছি, প্রত্যেকে যার যার যেখানে জমি আছে, যা পারেন তরকারি, ফলমূল যা পারেন, আপনারা বৃক্ষরোপণ করবেন, প্রতিটি জায়গায় কিছু না কিছু উৎপাদন করবেন। নিজেদের যে চাহিদা পূরণ করবার, নিজেরাই চেষ্টা করবেন। বিশ্বের এই মন্দার ধাক্কাটা যেন আমাদের দেশে না পড়ে। তার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতির এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে, শিক্ষায়-দীক্ষায় উন্নত হবে, সেই লক্ষ্য ইনশা আল্লাহ আমরা বাস্তবায়ন করব।’

উন্নয়নকে একটি ‘ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার একটানা ক্ষমতায় আছে বলে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে, দেশের মানুষ তার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই মর্যাদাটাকে বাস্তবায়ন করা, ধরে রাখা এবং এ মর্যাদা নিয়ে আমরা ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই আমাদের প্রত্যয় এবং লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘এ ধারাবাহিকতায় আমি মনে করি যেকোনো ঝুঁকি হ্রাস করা, মানুষের নিরাপত্তা দেয়া, সেই সঙ্গে উন্নয়নের কাজগুলো দ্রুত, ত্বরান্বিত করা, মানসম্মত করা। এটাই হচ্ছে আমাদের সবার প্রচেষ্টা। কাজেই আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাক। দেশ যত এগিয়ে যাবে, এ দেশের মানুষ তত ভালো থাকবে।’

আজীবন রেশন পাবেন ফায়ার ফাইটাররা
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের আজীবন রেশন সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি, সারা জীবন আগুন-ধোঁয়ায় কাজ করতে হয় বিধায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অবসর বয়সে নানা রকম ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আজীবন রেশন প্রদানের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। আমরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। এই প্রতিষ্ঠানের জনবল ৩০ হাজারে উন্নীত করার কাজও হাতে নেয়া হয়েছে।’

যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে সব সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে যান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই তাদের আরও যুগোপযোগী করা এটা একান্তভাবে প্রয়োজন। আর সেই পদক্ষেপটা আমরা নিয়েছি। এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবং সেবার ক্ষেত্রটা আরও সম্প্রসারণ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ সক্ষমতার এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতে রূপান্তরিত হয়, সেই ব্যবস্থাই আমরা গ্রহণ করেছি।’

প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের যে ঘোষণা সরকার দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যারা এ কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন তারা যেন উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পান। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবার উদ্যোগ নিয়েছি।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১ হাজার ১৮৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশে পাঠিয়ে পেশাগত বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের জনবল ৬ হাজার ১৭৫ জন থেকে বৃদ্ধি করে ১৪ হাজার ৪৪৩ জনে উন্নীত করেছি। ফায়ার স্টেশন এখন ৪৯১টি। আরও ৫২টি নতুন স্টেশন চালু হবে।’

সেবার সক্ষমতা বাড়াতে ফায়ার সার্ভিসের বহরে বিভিন্ন উচ্চতার মই-সংবলিত ২৬টি গাড়ি যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতা ৬৮ মিটারের ল্যাডার-সংবলিত টিটিএল গাড়ি ফায়ার সার্ভিসের বহরে যোগ হয়েছে। ৬৮ মিটারের ৫টি গাড়ি কেনা হয়েছে।’

এই অর্থবছরে আরও কিছু আধুনিক যন্ত্র কেনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করে ট্রান্স জেন্ডারদেরও যাতে নিয়োগ দেয়া যায় সে জন্য ‘ফায়ারম্যান’ পদের নাম পরিবর্তন করে ‘ফায়ার ফাইটার’ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ফায়ার ফাইটাররা দুঃসময়ের বন্ধু
সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ফায়ার ফাইটারদের মনোবল ও সক্ষমতা বেড়েছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের কল্যাণ করা, মানুষকে উদ্ধার করা-একটা মহৎ কাজে তারা নিয়োজিত রয়েছেন। কাজেই ফায়ার সার্ভিসের প্রতি সদস্য দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবেই মানুষের কাছে প্রতীয়মান।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে আমরা ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছি। আমি মনে করি যেহেতু সংখ্যা বেড়ে গেছে এখানে আরও ২০ কোটি টাকা আমি অনুদান দেব।’

তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৭টি অগ্নি-দুর্ঘটনায় অংশ নিয়ে ১৬ হাজার ৩০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। এই সময়ের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৯টি অ্যাম্বুলেন্স কলের মাধ্যমে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৯ জন রোগী হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহে কয়েকটি বিষয়ের গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো:

১. জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা।
২. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাজে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৩. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা।

উন্নয়নের গতি শ্লথ করেছে যুদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

স্বীকৃতি পেলেন ৪৫ ফায়ার ফাইটার
অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা পদক।

এবার চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৫ জন কর্মী পেয়েছেন এই পদক। এদের মধ্যে ১০ জনকে দেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পদক। এদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে এককালীন ৭৫ হাজার টাকা। আজীবন এক হাজার টাকা করে মাসিক ভাতাও পাবেন তারা।

প্রেসিডেন্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা পদক দেয়া হয়েছে ১০ জনকে। এদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে এককালীন ৫০ হাজার টাকা। আজীবন এক হাজার টাকা করে মাসিক ভাতাও পাবেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পদক দেয়া হয়েছে ১০ জনকে। এদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে এককালীন এক লাখ টাকা। আজীবন ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা পদক পেয়েছেন ১৫ জন। এদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে এককালীন ৭৫ হাজার টাকা। তারা আজীবন ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন ।

৪৫ জনের মধ্যে ৩ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের বিএম কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে জীবন বিসর্জন দেয়া ‘অগ্নিবীর’ খেতাব পাওয়া ১৩ শহীদ ফায়ার ফাইটারদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নি নির্বাপণে নানা কসরত দেখান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার ৬৮ মিটারে টিটিএল গাড়ি দিয়ে ২৪ তলা ভবনে অগ্নি নির্বাপণ কৌশলও উপস্থাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে। রিমোট কন্ট্রোল পরিচালিত লুপ-সিক্সটি দিয়ে কীভাবে আগুন নেভাতে হয়, সেটিও উঠে আসে ফায়ার সার্ভিসের প্রদর্শনীতে।

আরও পড়ুন:
প্রতিশ্রুতি রাখছে না ধনী দেশগুলো: প্রধানমন্ত্রী
সমাজের কেউ অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
ক্রীড়ায় ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা: প্রধানমন্ত্রী
আয়েশি প্রকল্প রেখে কল্যাণমুখী প্রকল্পে জোর প্রধানমন্ত্রীর
তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করুন: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
July Affairs Seminar at Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক সেমিনার

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The air quality of Dhaka is moderate today

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।

এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।

একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে