ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী আজ। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তির এই দিনে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা জনসমাবেশে ১০ লাখ লোকের উপস্থিতি ঘটাতে চায় সংগঠনটি।
নির্বাচনের এক বছর আগেই জনসমাবেশ করে শক্তি দেখাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বড় সমাবেশ আয়োজনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এমন বাস্তবতায় সমাবেশ যুবলীগের হলেও এটি ক্ষমতাসীন দলটির মর্যাদার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে। জড়ো হবে সংগঠনের দশ লাখ নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
যুবলীগের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন তিনি।
এ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যত দীর্ঘদিন পর জনসমাবেশে আসছেন যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির পর ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন তিনি একটি জনসভায় বক্তব্য দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি নির্বাচনমুখী হচ্ছে। তবে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা যাতে তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে দুই দলকেই। কর্মসূচি পালনে তাদেরকে সহনশীল হতে হবে।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে দেশের প্রথম যুব সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যুবলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তার ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছে শেখ মনির সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ।
যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় যুব মহাসমাবেশ করার লক্ষ্যে প্রতিদিনই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করেছেন। প্রস্তুতি সভা হয়েছে দেশের সব জেলা-উপজেলায়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সঙ্গেও যুবলীগ প্রস্তুতি সভা করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলেছে সভামঞ্চ তৈরির কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। যেহেতু সরকারপ্রধান এই সমাবেশে যোগ দেবেন, তাই সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবার থেকে উদ্যানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। উদ্যানের প্রবেশমুখগুলোতে রয়েছে পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি। প্রবেশমুখ ঘিরে থাকা খাবারের দোকানগুলোও এদিন বসতে দেখা যায়নি। দর্শনার্থীদেরও আনাগোনা ছিল অনেক কম।
সমাবেশের আগের রাতে উদ্যানের আশপাশে যুবলীগ কর্মীদের উপস্থিতি খুব বেশি দেখা যায়নি। উপস্থিত নেতাকর্মীরা সবাই ব্যানার-ফেস্টুন টানানোর কাজে ব্যস্ত। তারা বলছেন, ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছেন তারা সবাই ক্লান্ত। নগরীর বিভিন্ন হোটেলে তারা বিশ্রাম নিচ্ছেন। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন তারা।
সমাবেশ ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক প্রস্তুতির পরিবেশ রয়েছে। রাজু ভাস্কর্য চত্বরসহ উদ্যানের গেটের আশপাশ এলাকায় শুধু ব্যানার আর ফেস্টুন। এত ব্যানার ঝোলানোরও পরও সন্তুষ্ট নন যেন কর্মীরা। ফাঁকা থাকা জায়গাগুলোতে সন্ধ্যার দিকেও ব্যানার ঝুলাতে দেখা গেছে। অনেকে আবার ব্যানার হাতে ফাঁকা জায়গা খুঁজছিলেন।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এলমান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অবস্থান জানান দেয়ার জন্য এই ব্যানার ঝোলানো হচ্ছে।
‘আমরা এখন কয়েকজন আগে আগে বরগুনা থেকে চলে এসেছি। থাকছি গুলিস্তানের রমনা হোটেলে। বাকিদের লঞ্চগুলোও বরগুনা থেকে এতক্ষণে ছেড়ে দিছে। তারা আজ রাতে রমনা হোটেলে থাকবে। এরপর সেখান থেকে কাল সকালে সবাই সমাবেশে যোগ দিব।’
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম স্বপন বলেন, ‘আমরা সাত-আটজন বিকেলেই ঢাকায় চলে আসি। একটু আগে বাকিদের লঞ্চ ঘাট ছেড়েছে বলে শুনেছি। শুধু পটুয়াখালী থেকেই ১৫ হাজার লোক আসছে। রাতের মধ্যে সবাই ঢাকায় এসে যাবে।’
সবাই মিলে জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপান্তরের প্রত্যয় তার কণ্ঠে। মাহবুব বলেন, ‘বিএনপি ছোট ছোট সমাবেশ করে মহাসমুদ্র বলে। আমরা কাল বিএনপিকে দেখিয়ে দিতে চাই, জনসমুদ্র কাকে বলে।’
নিরাপত্তা বলয়
সমাবেশস্থলের বাইরে ও ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় তিন হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছি। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। সমাবেশের আশপাশে ২৯টি পয়েন্টে আমাদের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।’
সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরনের সন্ত্রাস কর্মকাণ্ডের হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বন্ধ থাকবে কিছু সড়ক
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের কয়েকটি এলাকার রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশনের কথা জানিয়েছে ডিএমপি। নগরবাসীকে এজন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
যে সড়কগুলো বন্ধ করা হবে
কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।
জনসভায় প্রবেশ যে পথে
সমাবেশে প্রবেশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সবুজ কার্ডধারী অতিথিরা ৩ নম্বর গেট বা রমনা কালি মন্দির দিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করবেন। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলা উত্তরের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন ১ ও ২ নম্বর গেট দিয়ে।
খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুর, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের নেতাকর্মীদের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, পলাশী হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে হবে।
বৃহত্তর ফরিদপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের যারা বাসে আসবেন তাদের পদ্মা সেতু হয়ে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে গুলিস্তান হয়ে নগর ভবনের সামনের রাস্তা, বঙ্গবাজার-সংলগ্ন রাস্তাগুলো এবং জিরো পয়েন্ট-ওসমানী উদ্যান সংলগ্ন এলাকা দিয়ে সমাবেশে আসতে হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মীরা মহাখালী, মগবাজার ফ্লাইওভার, কাকরাইল চার্চের বামে মোড়সংলগ্ন রাস্তা হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের গাবতলী, মিরপুর রোড, সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং, নিউমার্কেট ক্রসিং অথবা গাবতলী, মিরপুর রোড সায়েন্স ল্যাব, কাঁটাবন, নীলক্ষেত ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে হবে।
যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাংবাদিকরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভিআইপি গেট অর্থাৎ শিখা চিরন্তনী গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য