× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
If the rally is blocked in Dhaka measures will be taken Home Minister
google_news print-icon

ঢাকায় রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকায়-রাস্তা-বন্ধ-করে-সমাবেশ-করলে-ব্যবস্থা-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বুধবার মাদারীপুরে ফ্রি চিকিৎসার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: নিউজবাংলা
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘কোনো অপশক্তি, খুনি দেশ চালাতে পারবে না। তাদের নির্মূল করে দেয়া হবে। সাধারণ জনগণকে ওই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি রাজধানী ঢাকায় লাখ লাখ মানুষ নিয়ে সমাবেশ করবে। তারা সেখানেই সরকার গঠন করবে বলে শোনা যায়। তবে রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ করলে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিহত করবে। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’

বুধবার মাদারীপুর শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে আসমত আলী খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও অপারেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পেশিশক্তি আর বন্দুকের নলের সাহায্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। এ জন্যই দেশের সর্বত্র একটি কথা শোনা যায়, শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সারা বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে। দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবে।’

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। তাদের ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার শরীরে থাকবে, সেই ঘুরে দাঁড়াবে। ইতিহাসে এমন হত্যাকাণ্ড আর একটাও ঘটেনি, যেখানে শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ শিশুকেও বাঁচতে দেয়া হয়নি।’

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অপশক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে দাবি করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার পরিবারকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পারেনি। তার দুই কন্যা বেঁচে আছেন। তারা এখন দেশ চালাচ্ছেন। আগামীতেও বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিরা এদেশ চালাবেন। কোনো অপশক্তি, খুনিরা দেশ চালাতে পারবে না। তাদের নির্মূল করে দেয়া হবে। সাধারণ জনগণকে ওই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কালকিনির চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, রাজৈরের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ ও মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আছমত আলী খান ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দা রোকেয়া বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার।

রাইসু ফাউন্ডেশন ও আছমত আলী খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ঠোঁটকাটা ও তালু কাটা রোগীদের ফ্রি অপারেশন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরপর মাদারীপুরে আরও চারটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আরও পড়ুন:
আন্দোলনের নামে দেশ অস্থিতিশীল করলে জনগণ মানবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গুমের অভিযোগ হাস্যকর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লাঠি নিয়ে বিএনপিকর্মীদের কর্মসূচিতে আসা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সংস্কার নিয়ে র‍্যাব ডিজির উল্টো কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Actor Sohel Rana formed the Bangladesh Justice Party

‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি’ গঠন করলেন অভিনেতা সোহেল রানা

‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি’ গঠন করলেন অভিনেতা সোহেল রানা মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ফাইল ছবি
নতুন রাজনৈতিক দলটির ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে এ মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’ দলের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়াণ এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।

নতুন দলের ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে এ মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’ দলের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢালিউডের ‘সোনালি যুগ’-এর জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

১৯৬৫ সালে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সোহেল রানা ইকবাল হলের ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনি উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।

সোহেল রানা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরপরই প্রযোজক হিসেবে পারভেজ ফিল্মস প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন।

এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করেন।

১৯৭৩ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হুসাইনের বিখ্যাত স্পাই থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’র গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়।

অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সোহেল রানা তার ক্যারিয়ারে আজীবন সম্মাননাসহ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All secret deals with India should be revealed Rizvi

ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী

ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী বৃহস্পতিবার মিরপুরে আন্দোলনে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
মিরপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতালি, জার্মানিসহ পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্রকামী মানুষ ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থান হতে দেয়নি। বাংলাদেশেও হবে না।’

ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা অন্য দেশের সঙ্গে যেসব গোপন চুক্তি করেছেন তা প্রকাশ করা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতালি, জার্মানিসহ পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্রকামী মানুষ ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থান হতে দেয়নি। বাংলাদেশেও হবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শহীদ পরিবারের সদস্যদের যেন সরকারি চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পক্ষে হাঁটতে শুরু করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান রিজভী।

আর্থিক সহযোগিতা প্রদানকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপি নেতা বজলুল বাছিত আঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচার শেখেনি: রিজভী
আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে: রিজভী
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক: রিজভী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPs dialogue with the chief adviser tomorrow

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি শুনেছি যে শনিবার বেলা আড়াইটায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে এখনও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আগামী শনিবার বেলা আড়াইটায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি শুনেছি যে শনিবার বেলা আড়াইটায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে এখনও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’

জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সংলাপে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে, জানান শফিকুল আলম।

আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের সংলাপ শুরু শনিবার
একটি নতুন জাতির স্বপ্ন দেখছেন অধ্যাপক ইউনূস
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two leaders of the EB Chhatra League came to the campus and faced the cannon

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সোমবার পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে পড়া দুজন হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন সুইট। তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন।

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটক দু’জন হলেন- ইবি ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন সুইট। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ছাত্রলীগের ওই দুই পদধারী নেতা পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বাধা হয়ে দাঁড়ান। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দুই নেতাকে তাদের হেফাজতে নেন। বিকেল ৩টার দিকে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদেরকে ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আজ এই সেমিস্টারের সবশেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যেত। আমাদের ভুল হয়েছে বিভাগের শিক্ষকদের না জানিয়ে এসে। তবে আমাদের পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর যাতে মব জাস্টিস না হয় সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা মিলে তাদেরকে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাদের আসার কথা জানতে পেরেই স্লোগান শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে।’

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করেন। তারা আমাদের হেফাজতে আছেন।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ভারতে পালানোর সময় নওগাঁয় আটক
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি ছাত্রলীগের
ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The dialogue between the government and the political parties started on Saturday

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের সংলাপ শুরু শনিবার

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের সংলাপ শুরু শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টামণ্ডলী এর আগে দু’দফায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সৈঙ্গে আবারও আলোচনা করবে সরকার।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ করতে যাচ্ছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার। আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) এই সংলাপ শুরু হবে। এতে ধারাবাহিকভাবে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উপদেষ্টামণ্ডলী এর আগে দু’দফায় দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সৈঙ্গে আবারও আলোচনা করবে সরকার।

সংলাপে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে, জানান শফিকুল আলম।

আরও পড়ুন:
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই দলগুলোর সঙ্গে বসবে সরকার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
53 percent of the voters are in favor of the interim government staying for a maximum of two years

অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ দু’বছরের পক্ষে ৫৩ শতাংশ ভোটার

অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ দু’বছরের পক্ষে ৫৩ শতাংশ ভোটার বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা' শীর্ষক জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এসআইপিজি পরিচালিত জরিপের ফল তুলে ধরে বলা হয়, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ মনে করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত। আর ৪৭ শতাংশ মনে করেন এই অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে হবে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তারও কম সময় হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের ৫৩ শতাংশ ভোটার।

নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা' শীর্ষক জাতীয় জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জরিপ সম্পর্কে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট এক হাজার ৮৬৯ জনের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। এটি জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সর্বপ্রথম সরাসরি পরিচালিত একটি জাতীয় প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ।

জরিপের উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩ শতাংশ) মধ্যবয়সী, যাদের বয়স ২৮ থেকে ৫০ বছর। ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭) এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের উপরে। এছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহর অঞ্চল এবং ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের।

জরিপের ফল তুলে ধরে বলা হয়, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ মনে করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত। আর ৪৭ শতাংশ মনে করেন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে হবে।

জরিপে উত্তরদাতাদের ৪৬ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনিশ্চিত। আর ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করাকে সমর্থন করে। ৪৬ শতাংশ বিশ্বাস করে সংবিধানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন এবং ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের পক্ষে তাদের মত জানিয়েছে।

গবেষণার তথ্যে আরও বলা হয়, নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে সরকারের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বর্তমান সরকারের বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন তারা।

পুলিশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘মানুষ নির্বাচনি সংস্কার চায়, যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো কারিগরি কিছু সুপারিশ করা। আমি যে কমিশনের সঙ্গে যুক্ত সেই কমিশনের কাজ হবে কিভাবে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা যায়।

‘তার কিছু টেকনিক্যাল সলিউশন আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে, বাইরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং জনগণের সঙ্গে বা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে কী কী আইন পরিবর্তন করা দরকার, নির্বাচনি ব্যবস্থার সাথে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তাদের কি কি পরিবর্তন দরকার, সাংবিধানিক কী কী সংস্কার দরকার- এগুলো সম্পর্কে আমরা সুপারিশ দিতে পারি।’

বদিউল আলম বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যে পৌঁছার চেষ্টা করবে এবং একটি রোডম্যাপ সৃষ্টি হবে ও নির্বাচনের সময়কাল নির্ধারিত হবে।’

জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসআইপিজি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
একই ব্যক্তিকে সরকার ও দলীয় প্রধান না করার প্রস্তাব টিআইবির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Full committee of DU camp released

ঢাবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

ঢাবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম আগেই জানানো হয়েছিল। এবার প্রকাশ করা ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হয়েছে। যদিও এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১৪ জনের নাম রয়েছে।

কমিটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এসএম ফরহাদের নাম।

আবু সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর এসএম ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে হামিদুর রশিদ জামিল।

এছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।

কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, ‘অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই কমিটি গত জানুয়ারি মাসেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।’

আরও পড়ুন:
‘রগ কাটার সব নথি ছাত্রলীগের, শিবিরের পাবেন না’
এবার প্রকাশ্যে এলো চবি শিবির
শিবিরের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের বৈঠকের কারণ জানালেন প্রক্টর
ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে, চাঞ্চল্য

মন্তব্য

p
উপরে