× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
They were saying that the street fakir is pretending to be fired Sharif
google_news print-icon

‘ওরা বলছিল রাস্তার ফকির বানাবে, বানাইছে’

ওরা-বলছিল-রাস্তার-ফকির-বানাবে-বানাইছে
দুদক থেকে অপসারিত সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। ছবি: নিউজবাংলা
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘‘ওদের কথাই সত্য হলো, ‘রাস্তার ফকির বানাবে।’ বানাইছে। দোকানদার বানাইছে। দোকানদার- খারাপ কিছু না। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।”

চাকরিরত অবস্থায় অল্প দিনে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তদন্ত করে খুব পরিচিতি পেয়ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অপসারিত সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়।

শরীফ বিভিন্ন তদন্তের শুরু থেকেই প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েছিলেন বলে দাবি করেন। সে কারণেই তাকে চাকরি হারাতে হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

চাকরি হারানোর ৯ মাস পর এখন শরীফ উদ্দিন পুরোদস্তুর দোকানি। কাজ করছেন ভাইয়ের দোকানে।

চাকরিরত অবস্থায় হুমকি পেয়েছিলেন জানিয়ে শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘‘ওদের কথাই সত্য হলো, ‘রাস্তার ফকির বানাবে।’ বানাইছে। দোকানদার বানাইছে। দোকানদার- খারাপ কিছু না। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।”

শরীফ জানান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরি থেকে অপসারণের পর নানা সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় চাকরির চেষ্টা করলেও চাকরি পাননি। পরে সংসার চালাতেই বড় ভাইয়ের পরামর্শে দোকান পরিচালনার দায়িত্ব নেন তিনি।

তবে বড় ভাইয়ের দোকানে কাজ শুরুর পেছনে চিকিৎসকের পরামর্শও কাজ করছে বলে জানান শরীফ উদ্দিন।

সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে প্ল্যাটফর্মের ডান পাশের ছোট্ট কুলিং কর্নারের দোকানে কথা হয় শরীফের সঙ্গে।

শরীফ উদ্দিন দুদকের সহকারী পরিচালক থাকা অবস্থায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া নিয়ে অনুসন্ধান, সরকারি প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দুর্নীতিসহ নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে অনুসন্ধান ও মামলা করে আলোচিত হন।

‘রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে মামলার’ পর অভিযুক্তদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিচ্যুত করে দুদক তাকে পুরস্কৃত করেছে বলে মনে করেন শরীফ। বলেন, ‘কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। শুরুতে কমিশন সহযোগিতা করেছে। নথিগুলো আমাকে বিশ্বাস করে দিয়েছে। কিন্তু যখন প্রতিবেদন দাখিল করেছি, কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ মামলায় যখন অভিযুক্তদের নোটিশ করলাম, তখন থেকে মূলত ওরা আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে। ওরা আমাকে ম্যানেজ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু আমি গ্রহণ করিনি। ম্যানেজ না হওয়ায় ওরা বুঝে গেছে।’

তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে প্রভাবশালীদের চেহারা বদলে যায় বলে জানান। বলেন, ‘একটার পর একটা অভিযোগ দাখিল শুরু হলো। এমনিতে এখান (চট্টগ্রাম) থেকে বদলি হওয়ার সময় কোনো অভিযোগ ছিল না। আমার রুটিন বদলি ছিল, কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে বদলি করা হয়নি।

‘চাকরিচ্যুতের ১৫ থেকে ১৬ দিন আগে আমার জিইসির মোড় এলাকার বাসায় গিয়ে আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তখন কমিশনকে আমি সবকিছু জানিয়েছি, তাদের সাপোর্ট এটাই যে, আমার চাকরি চলে গেছে। কেন জানাতে গেলাম, কেন চট্টগ্রামে আসলাম। শুধু আমি না, আমার পটুয়াখালী জেলা পরিচালককে শোকজ করা হয়েছিল, কেন আমাকে ছুটি দিল। ছুটি পাওয়া তো আমার অধিকার।’

ভাইয়ের পরামর্শে তার দোকানে দেড় মাস আগে কাজ শুরু করেন শরীফ উদ্দিন। দোকানে দাঁড়িয়েই নিউজবাংলার সঙ্গে কথার ফাঁকে ফাঁকে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী হাতে তুলে দিচ্ছিলেন নানা সদাই। সেই সদাইয়ের মূল্য সংগ্রহ করে রাখেন নির্ধারিত ক্যাশবাক্সে। কর্মচারীদের বুঝিয়ে দেন নানা ফরমায়েশ।

চাকরি না থাকলেও সব সময় ভয়ে দিন পার করছেন বলেও জানান শরীফ। তার বেঁচে থাকাটা সেই প্রভাবশালী মহলের জন্য হুমকির মতো বলে ভাবনা তার।

প্রভাবশালীরা এখন নিয়মিত তার বিরুদ্ধে কমিশনে লাগাতার অভিযোগ করে যাচ্ছেন বলে জানান। কেননা অভিযোগ থাকলে তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা কঠিন হবে।

শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘যে নথিগুলো আমি সুপারিশ করেছি, সেগুলো এখনো দায়িত্বপ্রাপ্তরা শেষ করতে পারেনি। পক্ষে-বিপক্ষের বিষয় না, আমাদের বিষয়গুলো নির্ভর করে প্রমাণের ওপর। তারা মনে করতেছে, আমার কারণে রিপোর্টগুলো নিজেদের পক্ষে আনতে পারছে না। আমাকে হুমকি মনে করতেছে। যদি আমি বেঁচে থাকি বা দেশে থাকি, তাহলে নথিগুলো ভবিষ্যতে কী হবে।

‘মামলা যদি আমি করি বা আমি তদন্ত কর্মকর্তা হই, তাহলে কোর্টে আমাকে সাক্ষী দিতে হবে। অনেক মামলার চার্জশিট দিছি আমি ময়মনসিংহ আর চট্টগ্রামে। সেগুলোতে কোর্টে আমাকে দাঁড়াতে হবে। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলবে, আমি বিতর্কিত হওয়ায় দুদক আমাকে চাকরিচ্যুত করছে, সুতরাং আমার মামলাও মিথ্যা। তখন তো এটা তাদের পক্ষে যাবে। এই মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী?’

এখনও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না বলে জানান দুদকের সাবেক এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে চলতে হয়, তাদের গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আমার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর সময় চিন্তা করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়ছে। যেহেতু আমি কোনো চাকরিতে যোগদান করতে পারিনি, এখনো জীবিত আছি, আমার জীবিত থাকাটাই ওদের জন্য বড় হুমকি বলে ওরা মনে করতেছে।’

শরীফের সঙ্গে কথা বলার সময় দোকানে আসেন তার বাল্যবন্ধু লিটন। তিনি বলেন, ‘শরীফ যে কত সৎ, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমি। আমরা একসঙ্গে রহমানিয়া স্কুল থেকে এসএসসি শেষ করেছি। এখানে আমিই ওর সবচেয়ে ক্লোজ বন্ধু। সেই আমিই চাকরি চেয়ে একটু সুপারিশের জন্য তার অফিসে কয়েকবার গিয়েছিলাম। কিন্তু সে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, অসদুপায়ে কিছু করতে পারবে না। তার সেই সততাই আজকে কাল হলো।’

নিজে যা করেছেন সবকিছুই সৎ থেকে করেছেন। কোনো পক্ষে গিয়ে করেননি বলে জানান শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, তারা মনে করতেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান করেছি। এটা করার সুযোগ নাই। আসলে আমি যদি মিথ্যা রিপোর্ট দিই, আমি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ, কমিশন তো পরে।

‘ওরা মনে করতেছে আমি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছি। কিন্তু বিষয়টা এমন না, আক্রোশ থেকে না, তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রিপোর্ট দিয়েছি। এখন আমার ব্যবহারে তারা যদি কষ্ট পেয়ে থাকে, বা আমার কমিশন যদি আমাকে ভুল বুঝে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি স্যারদের কাছে ক্ষমা চাই, স্যাররাও আমাকে ক্ষমা করে দিক।’

আরও পড়ুন:
ঘুষের টাকাসহ শিক্ষা অফিস সহকারী আটক
দুর্নীতি মামলায় ডোমারের মেয়র কারাগারে
ভাড়ার এয়ারক্রাফটে গচ্চা ১১০০ কোটি, দুদকে তলব আরও ৮
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুদকে এমপি জাফর
সম্রাটের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২০ অক্টোবর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
High Court orders to register BDP

বিডিপি’কে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বিডিপি’কে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)। দলের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ইসির কাছে নথিসহ ওই আবেদনপত্র জমা দেন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা (এব্যাসিলিউট) করে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আদালতের এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী।

এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন দিতে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।

২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ইসির কাছে নথিসহ আবেদনপত্র জমা দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five former MPs including their wives and children are banned from traveling abroad

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক পাঁচ এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক পাঁচ এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
নিষেধাজ্ঞা দেয়া সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- ফেনী-১ আসনের আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ভোলা-৩ আসনের নূর নবী চৌধুরী শাওন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের আবু জাহির, নোয়াখালী-১ আসনের এইচ এম ইব্রাহিম এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের নতুন কমিশনের প্রথম কার্যদিবসেই সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রার এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়।

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া এসব সাবেক সংসদ সদস্য হলেন- ফেনী-১ আসনের আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ভোলা-৩ আসনের নূর নবী চৌধুরী শাওন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের আবু জাহির, নোয়াখালী-১ আসনের এইচ এম ইব্রাহিম এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

আরও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক এমপি নিক্সন, মির্জা আজম ও ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক তিন এমপি ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narcotics Control Directorate case against Jamaat leader in Coxs Bazar

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা কক্সবাজারের টেকনাফের জামায়াত নেতা মো. ইসমাইল। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, `ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’

মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।

‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ: সেই কিশোরের জামিন
অস্ত্রের মুখে টেকনাফের পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reports of attack on ISKCON in Indian media are fake CA Press Wing

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ভুয়া বলে জানিয়েছে সিএ প্রেস ‍উইং। ছবি: বাসস
সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া।

১০ ডিসেম্বর এবিপি আনন্দ এবং সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ঢাকার উত্তরায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে।

সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

ঢাকার পুলিশও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুক্তভোগীর’ কোনো বক্তব্য বা পরিচয় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ পুলিশ অথবা কোনো ইসকন নেতারও বক্তব্য নেই এসব প্রতিবেদনে, যা সার্বিক বিবেচনায় খবরগুলোকে অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত করে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ ইসকনের কেন্দ্রীয় নেতা হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, উত্তরায় সাম্প্রতিক একটি পারিবারিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়ে জড়িত যুবকরা ইসকনের সদস্য নন।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transfer of 12 police superintendents at once

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

একযোগে ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় এবার ১২ পুলিশ সুপারকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Due to lack of legal opportunity all 3 applications of Dhaka lawyer on behalf of Chinmoy were rejected

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ

ওকালতনামা না থাকায় চিন্ময়ের পক্ষে ঢাকার আইনজীবীর ৩ আবেদনই নাকচ ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

আইনি সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারান্তরীণ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। এ সংক্রান্তে ঢাকা থেকে আসা এক আইনজীবীর তিনটি আবেদনই নাকচ হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।

এ সময় ওই আদালতে উপস্থিত চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আসামি পক্ষে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। এর একটি চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার জন্য, একটি নথি উপস্থাপনের জন্য এবং অপরটি তাকে শুনানি করার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য।

আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চায়, তার কাছে ওকালতনামা আছে কিনা বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীর অনুমতি আছে কিনা। এ সময় তিনি নেই বলে জানালে আদালত তাকে আইন মেনে আসতে বলেন।’

অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি ওনার এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনি অধিকার নেই। তার কাছে আসামির ওকালতনামা নেই এবং যিনি এই মামলা ফাইল করেছেন তার পক্ষ থেকেও তাকে কোনো পাওয়ার দেয়া হয়নি।

‘শুনানি করা বা নথি উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই ওকালতনামা দিতে হবে অথবা ফাইলিং আইনজীবীকে বলতে হবে- ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন তিনি তাকে ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু ওই আইনজীবীর কাছে এর কোনোটাই ছিল না। তাই আদালত এটা রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানির দিন থাকলেও কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য রয়েছে।

আরও পড়ুন:
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আইনজীবী নিহত
ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
SP Nihar Ranjan punished for corruption

দুর্নীতির দায়ে এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি

দুর্নীতির দায়ে এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি
অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তার এই বেতন সমন্বয় করা হবে না।

অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তার এই বেতন সমন্বয় করা হবে না।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জননিরাপত্তা শাখার সিনিয়র সচিব আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদার ২০১৮ সালে ঢাকায় সিআইডিতে বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- ওই বছরের মার্চ মাসে পটুয়াখালীরর মহিপুর থানার কুয়াকাটায় অবস্থিত বেদখলি জমি দখল করে দেয়ার বিপরীতে তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি হোটেলে বসে অভিযোগকারীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ শতাংশ জমি তাকে লিখে দেয়ার দাবি করেন।

এ ঘটনার সাক্ষী অভিযোগকারী আব্দুর রহিম গং, তার বাসার গৃহশিক্ষক ও অভিযোগকারীর ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম।

পরবর্তী সময় ওই বছর ২১ মার্চ ঢাকায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মালিবাগ শাখায় (হিসাব নম্বর-১৬১৩৯০১০১৪৩৯৩) তার অ্যাকাউন্টে বরগুনায় সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা থেকে অভিযোগকারীর তিন লাখ টাকা এবং পরবর্তীকালে ৪ এপ্রিল ওই অ্যাকাউন্টে দুই লাখ টাকা প্রতারণামূলকভাবে গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া ২২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটার বনানী প্যালেস নামের একটি হোটেলে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে অভিযোগকারীর পক্ষে বেদখলি জমি দখল করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা ও ৪ এপ্রিল বরগুনায় গিয়ে অভিযোগকারীসহ অন্যদের সঙ্গে এম আলী হোটেলে খাবার খাওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে