× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Desi Airlines wants to buy fuel from Pertex
google_news print-icon

পারটেক্স থেকে জ্বালানি কিনতে চায় দেশি এয়ারলাইনস

পারটেক্স-থেকে-জ্বালানি-কিনতে-চায়-দেশি-এয়ারলাইনস
ছবি: সংগৃহীত
জেট ফুয়েল সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। আর তা বিক্রি করে পদ্মা অয়েল লিমিটেড। সম্প্রতি প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেট ফুয়েল উৎপাদন শুরু করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পারটেক্স পেট্রোলিয়াম।

বেসরকারি জ্বালানি তেল শোধনাগার পারটেক্স পেট্রোলিয়ামের কাছ থেকে সরাসরি উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েল কেনার অনুমোদন চেয়েছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনগুলো।

সচিবালয়ে রোববার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করে এ সংক্রান্ত একটি দাবি তুলে ধরেন এভিয়েশন অপারেটরদের সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)-এর মহাসচিব এম. মফিজুর রহমান ও সহ সভাপতি আবদুল্লাহ্ আল মামুন।

এওএবির দাবিগুলো হলো দেশীয় প্রাইভেট সেক্টর এয়ারলাইনস এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানি কেনার অনুমোদন, প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন ও অভ্যন্তরীণ জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করা ।

জেট ফুয়েল সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। আর তা এককভাবে এয়ারলাইনগুলোতে সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল লিমিটেড। সম্প্রতি প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেট ফুয়েল উৎপাদন শুরু করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পারটেক্স পেট্রোলিয়াম। প্রতিদিন ২ হাজার ৮শ ব্যারেল জেট ফুয়েল উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

এয়ারলাইনগুলোর হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ৯ হাজার ব্যারেল জেট ফুয়েলের চাহিদা রয়েছে।

লিখিত দাবিনামায় এওএবি বলছে, বাংলাদেশে অতি মূল্যায়িত জেট ফুয়েলের কারণে এভিয়েশন খাত অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। এয়ারলাইনের পরিচালনা ব্যয়ের ৪০-৪৬ ভাগই জ্বালানি খরচের উপর নির্ভরশীল। করোনার দীর্ঘ অভিঘাত এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এয়ারলাইনসগুলির দেউলিয়া ঘোষণা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

দাবিনামায় আরও বলা হয়, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশ প্রায়শই আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি দামে জেট ফুয়েল কিনতে হয়। এ কারণে জিএমজি, ইউনাইটেড এবং রিজেন্টের মতো সম্ভাবনাময় এয়ারলাইনগুলি দেউলিয়া হয়ে গেছে। জেট ফুয়েল বিক্রির একক কর্তৃত্ব পদ্মা অয়েল কোম্পানির থাকায় এয়ারলাইনগুলো প্রতিযোগিতামূলক দামে জেট ফুয়েল কিনতে পারে না।

এতে আরও বলা হয়, অতি সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জ্বালানির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির দাম ৯ সেন্ট (প্রায় দশ টাকা) কমিয়ে করা হয়েছে ১ ডলার।

প্রতি মাসে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোয় ৪৪ দশমিক ৫ লাখ লিটার জেট ফুয়েল ব্যবহৃত হয়, আর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য দরকার হয় ৫ দশমিক ০৩ কোটি লিটার। জেট ফুয়েলের সামগ্রিক চাহিদা বিবেচনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মাত্র ৮ শতাংশ।

এওএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতিক মূল্য সমন্বয়ের ফলে অভ্যন্তরীণ জ্বালানিতে বিপিসির আয় মাত্র ২ কোটি ২২ লাখ টাকা বাড়বে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রুটের ক্ষেত্রে লোকসান হবে ৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা বছর শেষে ৬০০ কোটি টাকার পুঞ্জিভূত লোকসানে পর্যবসিত হবে।

অভ্যন্তরীণ জ্বালানির অতিমূল্যায়নের ফলে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম যাত্রীর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ফলে যাত্রী সংখ্যা সাধারণ চাহিদার এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এর ফলে সরকারের সার্বিক কর আদায় প্রতি মাসে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকারও কম হবে।

গত বছর থেকেই ক্রমাগত বাড়ছিল জেট ফুয়েলের দাম। সবশেষ গত ২৬ অক্টোবর জেট ফুয়েলের দাম অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যের জন্য লিটারে ৯ সেন্ট কমিয়ে করা হয়েছে এক ডলার বা ১০২ টাকা।

এ বছরের ১০ জুন ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১১১ টাকা। তার আগে ১৭ মে লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৬ টাকা।

জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৫৫ টাকা, মার্চে তা বেড়ে হয় ৬০ টাকা। এপ্রিলে তা ছিল ৬১ টাকা।

মে মাসে দাম এক টাকা কমে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে উড়োজাহাজের টিকিটের দামে। করোনার আগে যেখানে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিলো ২ হাজার ৭শ টাকা। সেটিই এখন ৫ হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে আকাশপথের যাত্রীও উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে বলে দাবি দেশি এয়ারলাইনগুলোর।

আরও পড়ুন:
মালদ্বীপে বাংলাদেশের সেরা এয়ারলাইনসের পুরস্কার পেল ইউএস-বাংলা
সিলেট বা চট্টগ্রাম যাচ্ছে এয়ার অ্যাস্ট্রা
পদ্মা সেতুর প্রভাবে যাত্রী কম আকাশপথেও
এয়ার এশিয়াকে পরামর্শক নিয়োগ ফ্লাই ঢাকার
তেলের বাড়তি দরে চাপে দেশি এয়ারলাইনস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Government plans to reduce operating expenses

পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের

পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের কারণে যেসব পরিচালন ব্যয় বেড়েছিল, আগামী বছরগুলোতে তা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।

চলতি অর্থবছরে মোট সরকারি ব্যয়ের ৫৯ শতাংশ পরিচালন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি, পণ্য ও সেবা ক্রয়, ভর্তুকি ও স্থানান্তর পেমেন্ট, দেশীয় ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এবং ‘খাদ্য হিসাব পরিচালনা’ সংক্রান্ত ব্যয়।

নথি অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালের পরিচালন ব্যয় ৫৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৬২.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বর্ধিত ব্যয়ের মূল চালিকাশক্তি

ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় সুদ পরিশোধ ক্রমাগত বেড়েছে।

নথিতে বলা হয়, সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে ২০১৯ সালে মোট সরকারি ব্যয়ের ভর্তুকি এবং স্থানান্তর সংক্রান্ত ব্যয় ২.৯ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে বেড়ে প্রায় ৪ শতাংশ হয়েছে।

২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিচালন ব্যয় গড়ে জিডিপির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বজায় ছিল।

২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশে।

দেশীয় সুদের হারের ঊর্ধ্বগতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিনিময় হারের অস্থিরতা থেকে এটি বেড়েছে এবং এটি একই সঙ্গে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়িয়েছে।

এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার কৌশলগত সমন্বয় ও আর্থিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে পরিচালন ব্যয় জিডিপির ৮.৩ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার প্রত্যাশা করছে।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে খাদ্য ভর্তুকি ১৪.১ শতাংশ বেড়েছে। এটিও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির একটি কারণ।

বেতন ও পণ্য ব্যয় ব্যবস্থাপনা

বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত খাতে ২০১৯ সালে জিডিপির ১.৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ১.৪ শতাংশ কমে গেছে, তবে তা বেতন কমানোর কারণে নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই হয়েছে।

২০২৫ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০১৯ সালের ১ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।

নথিতে বলা হয়, দক্ষ সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কোভিড-১৯ মহামারির বছরগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সম্পদের পুনর্বিন্যাস এবং ২০২২ সাল থেকে গৃহীত সাশ্রয়ী নীতির কারণে পণ্য ও সেবার ওপর ব্যয় ২০২১ সালের মোট ব্যয়ের ৭.৩ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ৫.৯ শতাংশে।

২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত প্রাক্কলনে দেখা যায়, এ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ছিল মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

মধ্যমেয়াদে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ।

ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণ এবং সামাজিক সমর্থন জোরদার করা

সরকার ভর্তুকি বরাদ্দগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে নির্ধারণের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জন্য জীবনযাত্রা সহায়তা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয় ব্যয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।

জ্বালানি খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানো হবে। নিয়মতান্ত্রিক মূল্য সমন্বয় এবং ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।

প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব বাড়ানো

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, কৃষি উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক খাতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে।

হাইব্রিড প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং আইসিটি পরিষেবা রপ্তানির ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে।

দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি কৃষি ও রপ্তানিতে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমার সময় বাড়ল
সরকারি প্রাথমিকে ৬ হাজার ৫৩১ শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ
দুদক পুনর্গঠনের কাজ প্রায় শেষ: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The donation box of Pagla Mosque has a record of 82134304 Tk

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা শনিবার সকালে টাকা গণনা শুরু হয়ে তা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ছবি: নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো শনিবার সকালে খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দিনভর গুনে দেখা গেছে, সেখানে জমা পড়েছে রেকর্ড আট কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। তিন মাস ১৩ দিনে দানবাক্সে এবার মিলেছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ।

শনিবার সকালে দানবাক্সগুলো খুলে গণনা শুরু হয়। দিনভর গুনে দেখা গেছে, সেখানে জমা পড়েছে আট কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা
দানবাক্সে পাওয়া যাওয়া স্বর্ণ ও রুপার অলংকারের অংশবিশেষ। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২৮ বস্তা টাকা। তখন দিনভর টাকা গণনা শেষে পাওয়া যায় সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা।

ঐতিহাসিক এই মসজিদে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলও দান করেন অনেকে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকা বস্তায় ভরা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বস্তা থেকে টাকাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূইয়া বলেন, ‘টাকা গণনায় অংশ নেন পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১৩০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ১৫৫ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৬ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ২০ জন পুলিশ, পাঁচজন র‍্যাব সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের ২০ জন।’

তিনি জানান, এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। মসজিদটিতে আগে নয়টি দানবাক্স থাকলেও এখন দুটি বাড়ানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, ‘পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়ার পাশাপাশি অসহায় এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়।’

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংকে সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনি সশরীরে উপস্থিত থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ছয় তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রকল্প করা হবে। এতে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অর্ধলাখ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এরকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর আলাদাভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে । তারা যাচাই-বাছাই করে নকশা চূড়ান্ত করে দিলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৮,২১,৩৪,৩০৪ টাকা

মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। মনের আশা পূরণের জন্য তারা এই দান করে থাকেন।

দানবাক্স খোলার পর থেকেই টাকা গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ। তাদের একজন শেখ বোরহান উদ্দিন বাজিতপুর উপজেলার বাসিন্দা।

বোরহান বলেন, ‘মানুষের মুখে আর বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়া টাকার কথা শুনি। গতবার দেখতে এসেছিলাম। এবারও নিজ চোখে দেখতে এসেছি। এত পরিমাণ টাকা একসঙ্গে কখনও দেখিনি।’

গণনায় অংশ নেয়া হেফজখানা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল্লাহ জানান, দানবাক্স খোলার পর থেকে গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করেন।

আরও পড়ুন:
পাগলা মসজিদে দানের অঙ্ক রেকর্ড ছাড়াল, গণনা চলছে
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৬,৩২,৫১,৪২৩ টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আছে শত শত চিঠিও
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Paracetamol wont heal the countrys wounds Finance Adviser

দেশে যে ক্ষত হয়েছে সেটা প্যারাসিটামলে সারবে না: অর্থ উপদেষ্টা

দেশে যে ক্ষত হয়েছে সেটা প্যারাসিটামলে সারবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দুই-চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর দেশ থেকে অর্থ পাচার করতে পারবে না।’

‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা চেষ্টা করছি। আপনারা হতাশ হবেন না। গত ১৫ বছর ধরে যা হয়েছে তা অকল্পনীয়। যে ক্ষত তৈরি হয়েছে সেটা প্যারাসিটামলে সারবে না। সেজন্য কিছু হার্ড ডিসিশন নিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ শনিবার এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এই বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দুই-চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর দেশ থেকে অর্থ পাচার করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।’

বেসরকারি খাতে ঋণের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ যেন না কমে সেদিকে নজর দিচ্ছে সরকার।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায়কারী এবং আইনপ্রণেতা আলাদা করা হবে।’

এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও উল্লেখ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন:
ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করতে পারবে না সে পলিসি হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বর্তমান সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি তিন খাতে সংস্কারে সহায়তা দেবে
ব্যাংক খাত সংস্কার ও অর্থপাচার রোধে আইএমএফের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No ships went to St Martin due to tourist crisis

পর্যটক সংকটে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ যায়নি

পর্যটক সংকটে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ যায়নি
চলাচলের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই তখন দ্বীপে পর্যটকের সংকট থাকবে না। এ কারণে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে কক্সবাজার থেকে কোনো জাহাজ ছাড়েনি।

চলতি মৌসুমে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে।

চলাচলের অনুমতি পাওয়া জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়ায় বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট দিয়ে জাহাজ ছাড়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়া সম্ভব হয়নি।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যেতে ইচ্ছুক যাত্রীর টিকিট বুকিং শতজনেও গড়ায়নি। এতে যাত্রী সংকটের কারণে আজ বৃহস্পতিবার জাহাজটি না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মূলত নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রবাল দ্বীপটি ভ্রমণে পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করছে বলে মনে করেন নুর মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই তখন দ্বীপে পর্যটকের সংকট থাকবে না। এ কারণে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনবাসীর সড়ক অবরোধ
সেন্ট মার্টিনে সীমিত হলো পর্যটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
White paper on economy to be submitted on Sunday Dr Debapriya

অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র রোববার জমা দেয়া হবে: দেবপ্রিয়

অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র রোববার জমা দেয়া হবে: দেবপ্রিয়
অর্থনীতিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। আমরা যদি দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি তবে কেমন বিপ্লব করেছি?’

দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেছেন, ‘যদি আমরা দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি তবে আমরা কেমন বিপ্লব করেছি?’

‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেন বাজেট সার্ভে ২০২৩-এর ফলাফল’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই সেমিনারের আয়োজন করে ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড)।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হবে। আর প্রতিবেদনটির ফলাফল ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।’

দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেছেন। তারা উদ্বিগ্ন যে এই প্রকল্পগুলো চলবে কি না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে- এমন জিজ্ঞাসা তাদের।’

জানুয়ারিতে দাতা সংস্থা ও সরকারের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে দেবপ্রিয় আগামী দু’মাসের মধ্যে ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুপারিশ করেন।

তিনি বলেন, ‘এই ফোরাম তৈরি করে দাতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার প্রথমটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্য বিষয়গুলো হলো– ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, জ্বালানি সংকটের সমাধান, সরকারি অর্থায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং সঠিকভাবে কর সংগ্রহ নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।’

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

আরও পড়ুন:
ধার করে নিয়ে রিজার্ভ বৃদ্ধি টেকসই হয় না: আহসান মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: ড. দেবপ্রিয়
দেশ খাদের কিনারে, একতরফা নির্বাচনে সংকট আরও বাড়বে: দেবপ্রিয়
মানবসম্পদ উন্নয়ন না হলে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা
‘এনবিআরের মূল সমস্যা লিডারশিপ’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Akiz Bashir Group business conference held in Coxs Bazar  

কক্সবাজারে আকিজ বশির গ্রুপের বিজনেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত  

কক্সবাজারে আকিজ বশির গ্রুপের বিজনেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত   কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্টে আয়োজন করা হয় আকিজ বশির গ্রুপের ছয় দিনব্যাপী বিজনেস কনফারেন্স। ছবি: আকিজ বশির গ্রুপ
এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড— আকিজ সিরামিকস, অরা, রোসা, আকিজ বোর্ড ও আকিজ ডোরের সঙ্গে সম্পৃক্ত  ১ হাজার দুই শর বেশি ব্যবসায়িক সহযোগী একত্রিত হয়েছিলেন।

কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্টে সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে আকিজ বশির গ্রুপের ছয় দিনব্যাপী বিজনেস কনফারেন্স ‘ইভলভ বিয়ন্ড ২০২৪’।

এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড— আকিজ সিরামিকস, অরা, রোসা, আকিজ বোর্ড ও আকিজ ডোরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ হাজার দুই শর বেশি ব্যবসায়িক সহযোগী একত্রিত হয়েছিলেন।

কোম্পানির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সব কর্মকর্তাসহ আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন আকিজ বশির গ্রুপের নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর তসলিম মো. খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুদ্দিন আহমেদ এফসিএ ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল বিভিন্ন সেশন, ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী এবং জমকালো ‘গালা নাইট’।

কোম্পানির সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি আসন্ন বছরের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে কনফারেন্সটি।

এসব আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।

আরও পড়ুন:
জনগণের জীবনযাত্রা সহজ করতে চাই: বশির উদ্দিন
‘বেস্ট বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার’ সম্মাননা পেলেন সেখ বশির উদ্দিন
এশিয়ার শ্রেষ্ঠ স্যানিটারিওয়্যারের স্বীকৃতি পেল আকিজ বশির গ্রুপের রোসা
বন্যার্তদের পাশে বেকম্যান’স
ম্যানেজার নেবে আকিজ গ্রুপ, নিয়োগ ঢাকায়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Genjis choice for fashion and durability is the Infinix Hot 50 series

ফ্যাশন ও স্থায়িত্বে জেনজিদের পছন্দ ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ

ফ্যাশন ও স্থায়িত্বে জেনজিদের পছন্দ ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজের মোবাইল ফোন। ছবি: ইনফিনিক্স
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কে সেরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, যার দৌড়ে আছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এ প্রতিযোগিতায় তারা হাঁটছে একটু ভিন্ন পথে।

সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ৫০ সিরিজ জেনজিদের মন জয় করতে স্টাইল, সৃজনশীলতা ও বিনোদনের ওপর জোর দিচ্ছে।

ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ এ প্রজন্মের পছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন সব স্মার্টফোন ডিজাইন করেছে, যাতে তারা ফ্যাশন ও প্রোডাকটিভিটির সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পায়।

সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বোল্ড ডিজাইন ও হাই পারফরম্যান্সের একটি দারুণ কম্বিনেশন। এর ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন এটিকে শুধু একটি ফোনের চেয়েও বেশি একটি উচ্চমানের ফ্যাশন অনুষঙ্গে পরিণত করেছে।

ড্রিমি পার্পল, টাইটানিয়াম গ্রে এবং স্লিক ব্ল্যাকের মতো আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসা ডিভাইসটি ক্যাজুয়াল, স্পোর্টি বা এলিগ্যান্ট, যেকোনো লুককেই পরিপূর্ণ করে তোলে,

তবে নকশার ওপর জোর দিলেও ফোনটি স্থায়িত্বের সঙ্গে আপস করেনি।

টাইটান উইং আর্কিটেকচার ফোনটিকে হালকা ও মজবুত করেছে। কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি স্ক্রিন স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী ও শক-প্রুফ।

জেনজির অ্যাকটিভ ও কনটেন্ট বেইজড লাইফস্টাইলের চাহিদা পূরণের জন্য ফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে।

ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।

হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।

এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।

এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।

সিরিজটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের কাছে ব্র্যান্ডটির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।

দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনটিকে কার্যকর অপশনে পরিণত করে তুলেছে।

একই সঙ্গে এর টাইটান আর্মার প্রোটেকশন ও বিশ্বের প্রথম ৫ বছরের TÜV SÜD ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে এটি জেনজির সক্রিয় ও চলমান জীবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম।

হট ৫০ প্রো প্লাসের সাফল্য হট ৫০ সিরিজের বাকি মডেলগুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়েছে।

ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো ।

বিভিন্ন দামে উন্নত ফিচার নিয়ে আসা সিরিজটি স্মার্টফোনকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তোলার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।

হট ৫০ প্রো প্লাসের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো বাজারে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি কার্ভড ডিজাইনের ‘হট ৫০ প্রো প্লাস’ স্মার্টফোন আনল ইনফিনিক্স
এআই∞ প্ল্যাটফর্ম চালু ইনফিনিক্সের 
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে নিয়ে বাজারে এলো ইনফিনিক্স নোট ৪০এস
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স
গেমিংয়ে ভিন্নমাত্রা দিতে ইনফিনিক্স হট সিরিজের তিন স্মার্টফোন

মন্তব্য

p
উপরে