পাবনার ইজাহার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামবাসী। বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহন প্রামাণিকের ক্ষমতার দাপটে জমি দখল, চাঁদাবাজি, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ নানা অপকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ ইজাহারের বিরুদ্ধে। ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও সাহস পায় না এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, কামারগাঁও দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে ইজাহারের কথামতো কাজ না হওয়ায় গত ২৬ অক্টোবর শিক্ষক আবু সাইদকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে এনে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পরদিন সদর থানায় ইজাহার, সোহেল, আকমল, মোতালেবের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আবু সাইদ।
মাদ্রাসার সকল শিক্ষক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিচার দাবি করেন। ইজাহার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন আবু সাইদ ও তার সহকর্মী শিক্ষকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক লুৎফর রহমানকেও মারধর করে ইজাহার বাহিনী। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
এদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষক আবু সাইদের উপর হামলার সংবাদ প্রকাশের পর ইজাহার বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকেন স্থানীয়রা।
গত বুধবার সরেজমিনে কামারগাঁও গ্রামে গিয়ে এসব অভিযোগ জানা যায়। তবে, এসব বিষয়ে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি অধিকাংশ মানুষ। তারা জানান, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে ইজাহার বাহিনীর অত্যাচার। তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাননি আওয়ামী লীগের নেতারাও।
মালঞ্চি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার জানান, দীর্ঘ দিন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দুঃসময়েও বিএনপি-জামাত অধ্যুষিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
কিছুদিন আগে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার দুই ছেলেও চাকরির জন্য বাড়ির বাইরে থাকে। এই সুযোগে ইজাহার বাহিনী কামারগাঁও বাজারে তার ২০ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। প্রায় ৩৫ বছর আগে কেনা জমির জাল কাগজ তৈরি করে সেখানে ঘর তুলে নৌকা মার্কার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে।
কোনোভাবেই তিনি জমি উদ্ধার করতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে তার স্ত্রী আদালতে মামলা করেছেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ইজাহার ও তার দলবল।
আক্ষেপ করে আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘যে দলের জন্য সারা জীবন কষ্ট করে সংগঠন গোছালাম, সে দলের নামেই এখন অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। আমি এর বিচার কার কাছে চাইব?’
স্থানীয় গ্রামবাসী আলতাফ খাঁ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে দেখছি এই জমি ক্রয়সূত্রে হামিদ মাস্টার ভোগ দখল করে আসছেন। জমির পুকুর হামিদ মাস্টারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ইজাহারের পরিবারও মাছ চাষ করেছে। হঠাৎ করেই তারা দাবি করছে এ জমি তাদের। ক্ষমতার দাপটে মাটি ভরাট করে দোকান ঘর তৈরি করেছে। সেখানে নৌকা ঝুলিয়ে অপকর্ম জায়েজ করার চেষ্টাও চলছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামারগাঁও গ্রামের একাধিক গ্রামবাসী জানান, মোহন প্রামাণিক ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও তার ছেলে ইজাহারই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে ইজাহার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
ইজাহার ও তার প্রধান সহযোগী সোহেলের ভয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত থাকে। নানা অজুহাতে তারা এলাকার মানুষের কাছে চাঁদাবাজি করে। মাদ্রাসা থেকেও নানাভাবে টাকা আদায় করে। নিয়োগ বাণিজ্য করতে তারা ম্যানেজিং কমিটিরই নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করছে। তাদের নামে মামলা হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে তারা এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।
মালঞ্চি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, ‘ইজাহারের বাবা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। কিন্তু ইজাহারের কোনো দলীয় পদ নেই। ফলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। তার বাবাকে অভিযোগ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তবে, এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. ইজাহার প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘আমি এলাকায় কারো জমি দখল করিনি। আমার চাচাতো ভাই জমি কিনে তার দখল নিয়েছে। সেই দোকানঘর তৈরি করেছে। আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য নয়। মাদ্রাসা শিক্ষককেও মারধোরের অভিযোগ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষক মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কামারগাঁও গ্রামে আব্দুল হামিদের জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটগামী পাথরবাহী একটি ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ৬ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী নয়ন মিয়া।
এ ঘটনায় নয়ন মিয়ার ভাই ৪০ বছর বয়সী হারুন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী শাহ আলম, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রঞ্জিত সাহার ছেলে ২৩ বছর বয়সী পার্থ সাহাসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন আহত হয়েছেন।
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশ অমান্য করায় টাঙ্গাইলের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছেন গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার সূতি পলাশ মহল্লার দারুল কোরআন ও কওমী মাদ্রাসায় যান ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখান গিয়ে তিনি দেখতে পান সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টিনের ঘরে দমবদ্ধ পরিবেশে ছোট ছোট শিশুরা ক্লাস করছে।
তিনি উপস্থিত হওয়ার পরপরই গরমে রায়হান নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ইউএনও তার গাড়িতে রাখা খাবার পানি এনে শিশুটির মাথায় ও চোখমুখে দেয়ার ব্যবস্থা করান।
খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বাছেদ মিয়া সেখান হাজির হন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যান।
পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বাছেদ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমে যেখান কোথাও একদণ্ড তিষ্ঠানো (থাকা) যায় না, সেখান প্রতিষ্ঠান প্রধান সরকারি নির্দেশে ছুটি না দিয়ে জলন্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেন। অভিভাবকরা সন্তানদের ক্লাসে পাঠাতে বাধ্য হন।’
তিনি বলেন, ‘দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তখন টিনের ঘর নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানে আইপিএস বসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিসও আদায় করা হয়েছে, কিন্তু আইপিএস বসানো হয়নি।’
সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে ক্লাস চালু রাখায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শেখ সাদী ইউএনওর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারি নিয়ম মানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে মুচলেকা দেন।
এরপর তপ্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ পেয়ে পৌর শহরের কোনাবাড়ী বাজারে লাইটহাউজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড আলহেরা নূরানী মাদ্রাসায় হাজির হন ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখানে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পান তিনি।
ওই স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক নিউজবাংলাকে জানান, স্কুলপ্রধান মৌখিক ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো শিশু ক্লাস না করলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়া হবে। ফলে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠাচ্ছেন।
ওই স্কুল ও মাদ্রাসাপ্রধান হাবিবুর রহমানও ইউএনওর কাছে মুচলেকা দেন।
ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে, শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।
অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।
মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷
এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’
থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান। খবর বাসসের
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক ১) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ২) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ৩) বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য