× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Initiatives to reach diabetic services at marginal level
google_news print-icon

প্রান্তিক পর্যায়ে ডায়াবেটিক সেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ

প্রান্তিক-পর্যায়ে-ডায়াবেটিক-সেবা-পৌঁছানোর-উদ্যোগ
কুষ্টিয়ার রুরাল হেলথ কেয়ার সেন্টারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছে। ছবি: নিউজবাংলা
কুষ্টিয়ায় গ্রামের মানুষের হাতের নাগালে নেয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। বাড়ির পাশেই যেমন ‘ফি’ না দিয়েই তারা দেখাতে পারছেন ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, তেমনি বিনা মূল্যে পাচ্ছেন ইসিজি, সনোগ্রাফি, রক্ত পরীক্ষার সুযোগ।

গ্রামপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দিতে কুষ্টিয়ায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। প্রায়ই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। সঙ্গে নেয়া হচ্ছে পোর্টেবল ইসিজি মেশিনসহ আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। গ্রামে বসানো হচ্ছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। চিকিৎসাসেবা ছাড়াও গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে এসব উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কুষ্টিয়ায় গ্রামের মানুষের হাতের নাগালে নেয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। বাড়ির পাশে যেমন ‘ফি’ না দিয়েই তারা দেখাতে পারছেন ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, তেমনি বিনা মূল্যে পাচ্ছেন ইসিজি, সনোগ্রাফি, রক্ত পরীক্ষার সুযোগ। কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল, রুরাল হেলথ কেয়ার সেন্টারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ রকম বেশ কয়েকটি হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

শহরে-গ্রামে প্রায়ই আয়োজন করা হয় সচেতনতা সভা ও সেমিনারের। সম্প্রতি এমন একটি সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ওয়াজেদ এসেছিলেন কুষ্টিয়ায়। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের চিকিৎসাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ও সচেতনতা বাড়াতে তারা কাজ করছে। এটা বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে।’

তার দেয়া হিসাব অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশগুলোর পর সবচেয়ে বেশি ৯ কোটি ডায়াবেটিক রোগী আছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এর মধ্যে বাংলাদেশেই আছে ১ কোটি। প্রান্তিক পর্যায়ে হাতের নাগালে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি। এসব আয়োজনে প্রায়ই আসেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির চেয়ারম্যান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।

গত মাসে কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক আয়োজনে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। অসচেতনতা ও দীর্ঘমেয়াদি জটিলতায় মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার ওপর জোর দেওয়ার এখন সময় এসেছে। ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

‘এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা ও সচেতনতা বাড়াতে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে রুরাল হেলথ কেয়ার মেডিক্যাল সার্ভিসের মাধ্যমে ‍কাজ শুরু করেছে। আশা করছি এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ চিকিৎসাসেবা পাবে এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হবে।’

সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর ও খোকসা উপজেলায় আধুনিক ডিজিটাল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে রুরাল হেলথকেয়ার মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার। এ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র চালুর ফলে গরিব মানুষের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য গ্রামেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

জাতীয় অধ্যাপক আজাদ খান নিজে গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দেন।

কুষ্টিয়া জেলা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু বলেন, ‘সরকারিভাবে যদি উদ্যোগ নিয়ে গ্রামে হেলথ সেন্টার করা হয়, তাহলে প্রান্তিক অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। অনেকে জানেনই না তারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো গেলে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বাড়ানো গেলে প্রান্তিক মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠবে এবং তাদের সঠিক চিকিৎসা পাবে।’

গত সপ্তাহে খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর এলাকায় রুরাল হেলথ কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় এটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আহসান নবাব বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সহযোগিতায় মেধাবী দক্ষ চিকিৎসক দ্বারা ডিজিটাল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। গ্রাম অঞ্চল থেকে যারা শহরে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের আর কষ্ট করে দূর-দূরান্তের পথ পাড়ি দিতে হবে না। তারা সহজেই এখান থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।’

দুই মাস আগে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ানে রুহিনা মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, ‘গ্রামের মানুষ যাতে সচেতন হয়, ভালো স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে জন্য প্রফেসর আজাদ খানের আহ্বানে তিনি এটি করছেন।’

আরও পড়ুন:
করোনা থেকে সেরে ওঠা ১০ ভাগ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
করোনায় বেড়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের বিষণ্নতা
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণার দাবি ইনুর
করোনায় বাড়ছে শিশুর ডায়াবেটিস
ইনসুলিনের বিকল্প পেলেন বিজ্ঞানীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dengue claimed 9 more lives

ডেঙ্গু নিল আরও ৯ প্রাণ

ডেঙ্গু নিল আরও ৯ প্রাণ ফাইল ছবি
রোববার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৫৯ জন।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৫৯ জন।

এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৬১ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৫৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৬ এবং ঢাকার বাইরের ৩৭৩ জন।

চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৭ হাজার ২৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৯৯৮ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৮ হাজার ২৩৪ জন আক্রান্ত হন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১৩ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৭ হাজার ৪৬০ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ৫ হাজার ৮২০ জন রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ প্রাণহানি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ মৃত্যু
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 more deaths due to dengue in 24 hours

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ প্রাণহানি

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ প্রাণহানি ফাইল ছবি
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৬২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৪ এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৬২ জন।

এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৫২ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৬২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৪ এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন।

চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৭৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৯১২ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৭ হাজার ৮৬১ জন আক্রান্ত হন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১২ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৭ হাজার ৩৪৭ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ৫ হাজার ৩৬২ জন রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
65000 children and 4500 mothers die annually during maternity
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মাতৃত্বকালে বছরে মারা যাচ্ছে ৬৫ হাজার শিশু ও সাড়ে ৪ হাজার মা

মাতৃত্বকালে বছরে মারা যাচ্ছে ৬৫ হাজার শিশু ও সাড়ে ৪ হাজার মা ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সিজারিয়ান বাচ্চা জন্মের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কাম্য নয়। একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে।’

মাতৃত্বকালে প্রতিবছর দেশে ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা মারা যায় জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনও বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এ মৃত্যুহার এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলন, ‘এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশুমৃত্যু হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ইতোমধ্যেই সারা দেশের ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।

‘বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘দেশে এখন সিজারিয়ান বাচ্চা জন্মের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরা সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।

‘একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকে নামাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৬ দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য, অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া, মহাপরিচালক নার্সিং, মহাপরিচালক নিপোর্ট এবং ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকসসহ আরও অনেকে। এ ছাড়া জুম অনলাইনে দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধি আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue 5 more deaths in 24 hours

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ প্রাণহানি

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ প্রাণহানি ফাইল ছবি
সােমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১২৪ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৫ জন।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন।

এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৯ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সােমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১২৪ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৫ জন।

চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৫২৮ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ছয় হাজার ৫২৯ জন আক্রান্ত হন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৮২৫ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৯২৬ জন রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two more deaths in hospital due to dengue 682

ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৮২

ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৮২ ফাইল ছবি
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন।

এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সোমবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন।

চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৪০৪ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৫ হাজার ৯৮৪ জন আক্রান্ত হন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭১ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৩৯৪ জন রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
7 more deaths due to dengue in 24 hours

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৭ প্রাণহানি

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৭ প্রাণহানি ফাইল ছবি
একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ১৪৪ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে বাসিন্দা ঢাকার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৮৫ জন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ১৪৪ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৭৯৯ জন।

গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Providing World Class Services to Child Neurology BSMMU Vice Chancellor

শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দেয়া হচ্ছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দেয়া হচ্ছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।

এসব চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো। নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ সনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক বলেন, ‘আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশী সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশুদের ¯স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষে আমরা কাজ করছি।’

এ সময় ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমখসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
শিশু ধর্ষণ: ১৯ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার
সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই দৌড় ‘বায়োমিল’ রিপ্রেজেনটেটিভের
গাজার প্রধান হাসপাতালে হামলা, মৃত্যুর প্রহর গুনছে ৩৯ শিশু
শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শিশু রবিউলের সন্ধানে আসেনি কেউ

মন্তব্য

p
উপরে