সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো থেকে ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পাথর উত্তোলন। পরিবেশ ধ্বংস ও ব্যাপক প্রাণহানির কারণে ২০১৬ সালে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে কোয়ারি বন্ধ থাকায় কয়েক লাখ লোক বেকার হয়ে পড়েছেন দাবি করে আবার পাথর উত্তোলনের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
এমন দাবিতে আন্দোলনেও মাঠে নেমেছেন তারা। পাথর ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে শরিক হয়েছে পরিবহন ব্যবসীয়ারাও। সম্প্রতি পাথর উত্তোলন শুরুর দাবিতে দুই ধর্মঘট পালন করেন পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত কয়েক লাখ লোক।
সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিত। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এসব এলাকায় পরিবেশ আবার ফিরতে শুরু করেছে এবং পর্যটক সমাগম বাড়ছে বলে দাবি পরিবেশ ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় পাথর উত্তোলনে অনুমিত না দেয়ার আহ্বান তাদের
এ অবস্থায় গত বুধবার সিলেট এসেছে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চতর প্রতিনিধি দল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে তারা কোয়ারি এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে জরিপ করেন। সেই জরিপের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মন্ত্রণালয় থেকে পাথর উত্তোলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হুমকিতে প্রাণ-প্রকৃতি
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। জাফলং দিয়ে বয়ে যাওয়া পিয়াইন নদী পাথর কোয়ারি হিসেবেও পরিচিত। নদী থেকে অপরিকিল্পিত ও যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিকন্যা হিসেবে পরিচিত জাফলং হারিয়েছে সৌন্দর্য। পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।
ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানাবিধ কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন, যা ভবিষ্যতে আরও সংকটাপন্ন হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আরও বলা হয়, ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যে কোনো খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’
গোয়াইনঘাটের পার্শ্ববর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। এ উপজেলার ১৩৭ দশমিক ৫০ একর আয়তনের শাহ আরেফিন টিলার নিচে ছিল বড় বড় পাথরখণ্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে সরকারি খাস খতিয়ানের বিশাল এই টিলার পুরাটাই। লালচে, বাদামি ও আঁঠালো মাটির এই টিলার পুরোটা খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গর্তের। গহীন একেকটা গর্ত। এখন ওই এলাকায় গেলে টিলার তো অস্তিত্ব পাওয়াই যায় না, উল্টো মনে হয় অসংখ্য পুকুর খুঁড়ে রেখেছে কেউ।
কেবল জাফলং আর শাহ আরেফিনা টিলা নয়, এমন চিত্র সিলেটের প্রায় সবগুলো পাথর কোয়ারি এলাকার। কেবল প্রকৃতি ধ্বংস নয়, ঝুঁকির্পূণভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণহানিও ঘটেছে অসংখ্য। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) হিসেব মতে, বেপরোয়া পাথর উত্তোলনে সিলেটে ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে শুধু শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর তুলতে গিয়েই মাটিচাপায় মারা গেছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা
সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলনে ব্যবহার করা হতো বিশাল একেকটি যন্ত্রের। বোমা মেশিন নামে পরিচিত এসব যন্ত্র মাটির অনেক গভীর থেকে পাথর তুলে আনত। ফলে যেসব এলাকায় এসব মেশিন দিয়ে পাথর তোলা হয়, সেসব স্থানে তৈরি হয় বড় বড় গর্তের। ভাঙন দেখা দেয় কোয়ারি তীরবর্তী এলাকায়। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ে এসব এলাকার পরিবেশ। প্রাণ, পরিবেশ ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
এমন দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছিল না বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রাণহানি ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আর ২০২০ সালের ৮ জুন খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত সিলেটের আটটি পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত করে এবং পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়।
পাথর উত্তোলনের দাবিতে আন্দোলন
উত্তোলন নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই কোয়ারিগুলো চালু করার দাবি জানিয়ে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এ দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছেন তারা। ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে শরিক হয়েছেন শ্রমিকরাও। পাথর ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের আন্দোলনেও কাজ না হওয়ায় এবার এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পণ্য পরিবহন ব্যবসায়ীরা। পাথর উত্তোলনের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে সিলেটে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, ‘সিলেটে কোনো শিল্পকারখানা নেই। এখানকার ট্রাক কেবল পাথর পরিবহনেই ব্যবহৃত হয়। পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটের ট্রাক মালিকদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যংক ঋণ রয়েছে। ট্রাক ভাড়া দিয়ে আয় করেই তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। এখন পাথর পরিবহন বন্ধ হওয়ায় মালিকরা ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারছেন না। আর পরিবহন খাতের লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় জাফলং ও ভোলাগঞ্জ সড়কে বাস ও অটোরিকশার যাত্রীও কমে গেছে। ফলে তারাও সংকটে পড়েছেন। সবার স্বার্থ বিবেচনায়ই আমরা পাথর উত্তোলনের দাবি জানিয়েছি।’
এর আগে গত ৮ অক্টোবর পাথর উত্তোলনের দাবিতে জাফলংয়ে বিশাল শোডাউন করেন পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। ওইদিন পাথর উত্তোলনের দাবিতে গোয়াইনঘাট শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে স্থানীয় মামার বাজার পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশে সহস্রাধিক লোক অংশ নেন। সরকারি দলের নেতারাও এই সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা জানান।
নিজেদের দাবির প্রসঙ্গে পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক বলেন, ‘পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এই এলাকার মানুষেরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। তাদের সবার কথা বিবেচনা করে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়া দরকার।’
সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ঢলের সাথে অনেক পাথর ভেসে আসে। এই পাথরগুলো না তোলার কারণে সীমান্তবর্তী নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সিলেটে ঘনঘন বন্যা দেখা দিচ্ছে।’
যন্ত্রের ব্যবহার না করে ও পরিবেশ সুরক্ষিত রেখেই পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। এতে এই সঙ্কটকালেও রিজার্ভের উপর চাপ পড়ছে।’
‘চাপের মুখে’ পাথর উত্তোলনের অনুমতি না দেয়ার আহ্বান
তবে এমন আন্দোলন সত্ত্বেও পাথর উত্তোলনের অনুমতি না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের ২০ নাগরিক। পরিবেশের সুরক্ষার জন্য সিলেটের কোয়ারিগুলো বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। গত ৩০ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার প্রেরিত এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৫ সাল থেকে যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে সিলেটের পিয়াইন ও ডাউকি নদী তাদের সৌন্দর্য্য হারিয়েছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প। বিধ্বংসী পাথর উত্তোলনের ফলে পিয়াইন ও ডাউকি নদীতে বিভিন্ন স্থানে পানি ঘোলা হয়ে যায় এবং নদীর বুকে বালুর স্তুপ ও ট্রাকের মিছিল নিয়মিত হয়ে পড়ে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পিয়াইন ও ডাউকি নদীসহ পাথর মহাল হিসেবে পূর্বে ঘোষিত নদী ও ছড়ায় প্রাণ ও প্রকৃতি ফিরতে শুরু করেছে। পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন ঘোষিত পিয়াইন ও ডাউকি, ধলাই নদীসহ সিলেটের অন্যান্য স্থানে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানে সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, পরিবেশ রক্ষা যেহেতু সরকারের সাংবিধানিক অধিকার, তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে পিয়াইন, ডাউকি, ধলাই, রাংপানি নদী, বিছানাকান্দি, উৎমাছড়া, লোভাছড়া ও ভোলাগঞ্জ পাথর উত্তোলনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে সুরক্ষিত রাখতে হবে। অবৈধ চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে আগামী প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।
এদিকে, একই দাবিতে গত মঙ্গলবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
পাথর উত্তোলনের শুরুর দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, ‘পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পাথর আমদানিতে তো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাছাড়া যখন নিষেধাজ্ঞা ছিল না, তখনও সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে সামান্য পরিমাণ পাথরই উত্তোলন হতো। বেশিরভাগই ভারত থেকে আমদানি করা হতো। আমদানি যেহেতু অব্যাহত রয়েছে, তাই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘অনুমতি পেলেই পাথরখেকো গোষ্ঠি ম্যানুয়েলি পাথর তুলবে না। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তোলা শুরু করবে। এখন নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায়ও অনেক জায়গায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে। তাই কোনো অবস্থাতেই আর পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া যাবে না।’
যা বলছে প্রশাসন
পাথর উত্তোলনের দাবি প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ ও পর্যটনের সার্থে সরকার পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে। এখন পাথর তোলার দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করেছে। তারা সিলেটে এসেছেন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এই দল সবগুলো কোয়ারির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও জরিপ করে প্রতিবেদন প্রদান করবেন। তাদের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’
পরিবেশের সার্থে পাথর উত্তোলন শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পরিবেশের কথা আমাদের সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। তাই আমি পাথর উত্তোলন শুরুর পক্ষে নই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বেই পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। বাংলাদেশেও পর্যটনখাতে প্রচুর সম্ভবনা আছে। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় যেসব শ্রমিকরা বেকার হরে পড়েছেন, তাদের পর্যটনখাতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। অনেককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক-ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দেরকেও এ ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’
আরও পড়ুন:ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।
সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।
এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।
হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য