× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Practice austerity to counter effects of war PM
google_news print-icon

শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

শুধু-বাংলাদেশ-নয়-উন্নত-দেশও-হিমশিম-খাচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪, ১২৫ এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘...শুধু বাংলাদেশ না, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। আমি জানি, উন্নত দেশগুলোর অবস্থা, এমনকি আমেরিকা, ইউরোপ, ইংল্যান্ডসহ প্রত্যেকটা দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না, খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, সেখানে সব জায়গায় রেশনিং করে দেয়া। এমন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।’

করোনাভাইরাস মহামারির সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুদ্ধ ঘিরে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে ‘যথেষ্ট সমস্যা মোকাবিলা’ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমন বাস্তবতায় প্রশাসনের কর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে কৃচ্ছ্রসাধনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসেবার ব্রত নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান সরকাপ্রধান।

ঢাকার শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪, ১২৫ এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাতে বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি হলেও তা মোকাবিলা করেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় ইউক্রেনের যুদ্ধ আর স্যাংশানের কারণে আজকে আমাদের যথেষ্ট সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সে জন্য আমরা বলেছি কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে সবাইকে। কৃচ্ছ্রতা সাধন করেই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।’

দেশকে গড়ে তুলতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং উৎপাদন বাড়ানোকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধিটা সব থেকে প্রয়োজন। এখনকার যুগে আমি মনে করি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একদিকে কোভিড-১৯ মহামারির যে অভিঘাত, সেই সঙ্গে সঙ্গে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। তার সঙ্গে হলো আমেরিকা প্রদত্ত স্যাংশান এবং কাউন্টার স্যাংশান। ইউরোপের দেয়া স্যাংশান, যার ফলে আজকে প্রত্যেকটা জিনিস যেগুলো আমাদের আমদানি করতে হয়, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে।

‘এটা শুধু বাংলাদেশ না, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। আমি জানি, উন্নত দেশগুলোর অবস্থা, এমনকি আমেরিকা, ইউরোপ, ইংল্যান্ডসহ প্রত্যেকটা দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না, খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, সেখানে সব জায়গায় রেশনিং করে দেয়া। এমন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।’

পরিস্থতি থেকে উত্তরণে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়, আমি বহু আগে থেকে বলে যাচ্ছি, এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। কারণ আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য আমাদের প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য আমার ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন দরকার। আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা, পুষ্টির নিরাপত্তা, সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে, এটা আমাদের নিজেদের করতে হবে।

‘এটা সবসময় মনে রাখতে হবে। বাইরে থেকে নিয়ে আসা…এটা অত্যন্ত কঠিন একটা সময় আমাদের পার করতে হচ্ছে। কাজেই সেই অবস্থায় আমরা যদি নিজেরা দাঁড়াতে পারি, সেটা হবে আমাদের জন্য সব থেকে ভালো।’

এখানে নীতির প্রশ্ন আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার বা দলের নীতি হচ্ছে, আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষা; শিক্ষাটা হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচনের সব থেকে বড় হাতিয়ার। সেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশিক্ষণ।’

অনেক ঝড়ঝঞ্ছা পার হয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সফলভাবে অর্জনের পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সাফল্য চান তিনি। তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে সফলতা আসবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের এটাই হচ্ছে নীতিমালা যে, পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করলে রিটার্ন আসবে, ফলাফলটা দ্রুত আসবে মানুষের কল্যাণে। আমি সেই পরিকল্পনাই নেব। শুধু বিরাট অঙ্কের টাকা পেলাম, আর একটা পরিকল্পনা নিলাম, সেটা আমরা নেব না।’

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকেই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কাজেই আমি মনে করি আমাদের প্রশাসনে যারা থাকবেন, তাদের এ বিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্রত নিয়ে কাজ করবার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্য স্থির করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ গড়ার কারিগরই তো হবে আজকে যারা নবীন অফিসার, তারা। কাজেই সেইভাবে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে, এটাই আমি মনে করি। মনে রাখতে হবে যে, দেশপ্রেম এবং আত্মমর্যাদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে একটা দেশকে কিন্তু উন্নত সমৃদ্ধ করা যায় এবং সেভাবে আমাদের কাজ করার…সেভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন বেকার না থাকে। সেটা যেভাবেই হোক। সে লক্ষ্য নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল সেন্টার যেমন আমরা করে দিয়েছি, পাশাপাশি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে যতগুলো প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে, উদ্দেশ্য দুটো। স্বাস্থ্যসেবা দেয়া, পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’

সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারে আসার পর প্রশাসনে, দ্বিতীয়বার যখন আসি সবার বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছি।

‘এটাই লক্ষ্য, যাদের কাছ থেকে আমি কাজ নেব, তাদের জীবনটা যেন সহজ হয়। তারা যেন সংসারের দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকে। তারা যেন সুষ্ঠুভাবে দেশের কাজে মনোযোগ দিতে পারে।’

তিন বছর পর প্রশাসন একাডেমিতে সশরীরে প্রধানমন্ত্রী

বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে সশরীরে এসে প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু ২০১৯ সালের পর তার আর আসা হয়নি শাহবাগের এ একাডেমিতে।

করোনাভাইরাস মহমারির কারণে আসা সম্ভব হয়নি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী, তবে এখনও করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা থাকলেও এবার আটকে রাখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। সশরীরেই এসেছে নবীন কর্মকর্তাদের মাঝে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কারণ হচ্ছে আমাদের তো সময় শেষ হয়ে আসছে, পাঁচ বছর আমাদের সময়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আমার বয়স ৭৬ বছর। ৭৬ বছর তো অনেক বয়স। বুড়ো হয়েছি। কাজেই কতদিন আর চলতে পারব, আসতে পারব, যেকোনো সময়…কোনো একসময় অক্কা পেয়ে যাব, তার তো ঠিক নেই। তাই আমি ঠিক করেছি এবার আর আমি কোনো বাধা মানব না। আমাকে আসতেই হবে।’

যারা পেলেন সনদ

বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪, ১২৫ ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসন কোর্সে অংশ নিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের ১০৩ কর্মকর্তা, যাদের ৬১ জন পুরুষ এবং ৪২ জন নারী। অংশগ্রহণকারীদের শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের ৪৭ জন পেয়েছেন ‘এ প্লাস’ গ্রেড, আর ৫৬ জন ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন।

প্রতিটি কোর্সের মেধা তালিকার শীর্ষ ১০ জন করে মোট ৩০ জন পেয়েছেন ‘সার্টিফিকেট অফ এক্সিলেন্স’। এদের ২১ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী কর্মকর্তা।

প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ, ক্রেস্ট ও রেক্টর অ্যাওয়ার্ডস তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সনদ গ্রহণের পর প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞানকে দেশের উন্নয়ন ও মানবসেবায় বিনিয়োগের শপথ নেন জনপ্রশাসনের ১০৩ কর্মকর্তা। এরপর সবাই নিজ আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজেদের সনদ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখান তারা।

বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে বিভিন্ন সময় দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের একটি সংকলন প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ‘ভাষণ সংকলন’ বইটির মোড়ক ‍উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

আরও পড়ুন:
কেনেডি ‘বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু’: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির অপরাধে জড়িতদের ছাড় নেই: প্রধানমন্ত্রী
২৯ নভেম্বর জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
রিজার্ভ কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী
দেশ ও মানুষের কথা ভাবুন: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
1500 megawatts loadshedding people suffer in extreme heat

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ প্রতীকী ছবি।
এনএলডিসির তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। বুধবার সকাল ৭টায় তা ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে এলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।

ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new chairman of CDA is Mohammad Yunus

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। একই দিন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। বিকেলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন।

মোহাম্মদ ইউনুছ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সদস্য সচিব।

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৪ এপ্রিল)। ২০১৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে টানা পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই পদে চুক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার। মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম টানা ১০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষকে।

চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ কে যুগোপযোগী করে ২৯ জুলাই ২০১৮ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে- চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগলাভের জন্য বলে বিবেচিত হবেন না। জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য ও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

সিডিএ’র উপ-সচিব অমল কান্তি গুহ বলেন, ‘দুপুরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমরা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে এরপর সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন।’

মোহাম্মদ ইউনুছ প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ইউনুছ বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of 3 judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার শপথ

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis returned from Myanmar after serving their sentences

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি প্রিয়জনের উদ্দেশে তীর থেকে হাত নাড়ছে অপেক্ষায় স্বনজরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Ministers red carpet reception in Thailand

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংককে পৌঁছালে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। ছবি: বাসস
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ব্যাংকক পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পৌঁছালে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। খবর ইউএনবির

বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অফ অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেয়া হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতেই এ সফর।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এ প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর এটি।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অফ ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা নথি সই হবে।

‘দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আরও ২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ জানান, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হবে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে নথি সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে এ বহুপক্ষীয় সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এ অধিবেশনে একত্রিত করবে।

আরও পড়ুন:
দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arafat Islam is the new director of RABs media wing

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ছবি: র‌্যাব
কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

বাহিনীটি বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), বিপিএম (সেবা), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অদ্য ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈন (সি), বিপিএম (বার), পিএসসি, বিএনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন:
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ বন্যপ্রাণী
ময়মনসিংহে তিন হাসপাতাল এক ক্লিনিক সিলগালা
ডিসি এসপি র‌্যাবের সিও পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি
নওগাঁয় ৭২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে