× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Condemnation of 7 students who consumed drugs at the concert
google_news print-icon

কনসার্টে মাদক সেবন, খুবির ৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ

কনসার্টে-মাদক-সেবন-খুবির-৭-শিক্ষার্থীকে-শোকজ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শনিবার ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনীতে কনসার্ট হয়। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষা সমাপনীর কনসার্টে মাদক সেবনের অভিযোগে সাত শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের শোকজ নোটিশ পাঠায়। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উদযাপনে শনিবার ক্যাম্পাসে কনসার্ট হয়। সেখানে সংগীত পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস, ওয়ারফেজ এবং আর্টসেলের শিল্পীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, কনসার্ট চলাকালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মাদকাসক্ত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।

শোকজপ্রাপ্তরা হলেন, এইচআরএমের ১৮ ব্যাচের সৈয়দ জাফর সাদিক, ওই বিভাগের একই ব্যাচের তাফ্নুল সাদাত তাহা, ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিংয়ের ১৮ ব্যাচের জুবায়ের আহমেদ ইয়াসিন, আর্কিটেকচারের ১৮ ব্যাচের মিজানুর রহমান, বাংলার ১৮ ব্যাচের শীর্ষেন্দু মালাকার, সয়ল ১৮ ব্যাচের বহ্নি শিখা চৌধুরী ও সমাজবিজ্ঞানের ১৬ ব্যাচের সামিউল মুরাদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন।

তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

আরও পড়ুন:
খুবির সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Jagannath University to have self contained campus at Keraniganj Education Advisor

কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা ‌ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় নিজ উদ্যোগে পাস করিয়ে নিয়েছি, যেটি ছাত্ররা এমনকি শিক্ষকরাও জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত সেটার কার্যবিবরণী জারি হয়নি। কেরানীগঞ্জে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে, যা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। কেরানীগঞ্জে সম্পূর্ণ নতুন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ‌ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একনেক সভায় প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছি। কেরানীগঞ্জে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে, যা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এতো বড় একটি মেগা প্রকল্প আমরা নেবো কি না তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু একনেকের গত মিটিংয়ে (অনুমোদন হয়েছে), যেটা আমাদের ছাত্ররা এবং শিক্ষকরাও জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত সেটার কার্যবিবরণী জারি হয়নি।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রাবাস থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, স্কুল থাকবে, চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে। এরকম একটা প্ল্যান করার অনুমতি একনেক থেকে পাস করে দেয়া হয়েছে।’

চলমান প্রকল্প নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি- তারা বলছে যে প্রকল্প পরিচালকের অনেক দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত করে অনিয়ম পাওয়া গেলে পরিচালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বুয়েটের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এটা এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো অনেকাংশে স্বায়ত্তশাসিত। তারা যদি সেটা চায় তাহলে ইউজিসির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহায়তা করবো, কী করে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেয়া যায়। মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের ছোটখাটো কিছু দাবি আছে। সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। যেমন তারা চাচ্ছে এতদিন যত দুর্নীতি হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার (শ্বেতপত্র)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, তারা তৈরি করবে।’

প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরনো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে; সম্প্রতি ইউজিসি ঘোষিত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

আরও পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের
পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dont want to see rehabilitation of fascism cronies Hasnat Abdullah

ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না: হাসনাত আবদুল্লাহ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: নিউজবাংলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘আমাদের অবহিত না করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নতুন সরকার গঠন করতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন করে শপথ নেয়া উপদেষ্টাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছেন উল্লেখ করে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিপ্লবের চেতনা নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাজা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছেন। আপনারা তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী, নাগরিক, শ্রমিক-জনতার সঙ্গে মশকরা বন্ধ করুন।

‘আপনারা বিপদে পড়বেন। আর তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন চলবে না। ফ্যাসিবাদের নুন যারা খেয়েছে, আমরা কোনো ফর্মেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘গতকাল (রোববার) আমাদের অবহিত না করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নতুন সরকার গঠন করতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকব।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে তাদের রাখার পক্ষে আমরা নই। যে লোক ২০১৩ সালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে হেফাজত ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছে, এমনকি ৫ আগস্টের পরও ৩২ নম্বর বাড়ি সংস্কারের কথা বলেছে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে, তাদের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘কথা ছিল আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

‘আপনারা যদি মনে করেন যে বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গেছে, তাহলে বলবো আপনারা ভুলের মধ্যে আছেন। ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপে আমরা আবারও নামতে প্রস্তুত আছি।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কানিস ফাতেমা, রাফিদ হাসান সাফওয়ান, রিফাদ রশীদ, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রোববার উপদেষ্টা হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।

নতুন এই উপদেষ্টাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসর আছেন দাবি করে সেদিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Adviser Nahids promise to fulfill all the demands of job students

জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের সচিবালয়ের বাইরে এসে জবি শিক্ষার্থীদের সব মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে নেমে বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না- এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি পূরণ করা হবে।’

কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না- এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি পূরণ করা হবে। শিগগির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে।

‘আমি জানি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকেন। আমার পরিবারের একজন সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের আবাসিক হল নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তাদের সব দাবি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমরা তিনদিনের মধ্যে হল করে দিতে পারবো না। কিন্তু আর্মির কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এর জন্য আমাদের বসতে হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ আমরা তিনদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবো। কাজটা যেভাবে দেয়া যায় সেভাবেই কাজ করবো।’

সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে- এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সচিব ও সংশ্লিষ্ট যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা এর জন্য ক্ষমা চাইবেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান দেন জবি শিক্ষার্থীরা। এতে সচিবালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে তুমি কে, জবিয়ান জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার অধিকারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপন করা দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এই প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুএনা ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা নির্ধারণ।

আরও পড়ুন:
পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Position of Jabi students in front of the secretariat with five demands

পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল দাবিসংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তবে শিক্ষা সচিব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা না করায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয় ঘেরাও করেন। তাদের দাবি- শিক্ষা উপদেষ্টা সশরীরে এসে শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে হবে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনী কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার প্রথমে শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীরা। পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তবে শিক্ষা সচিব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা না করায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয় ঘেরাও করেন।

জবি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এই প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুএনা ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা নির্ধারণ।

জানা গেছে, শিক্ষা সচিবকে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ ও অপু মুন্সী। কিন্তু ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল সচিবের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি।

দেখা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের বাইরে এসে ‘শিক্ষা সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে স্লোগান দেয়া শুরু করেন। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টাকে আন্দোলনস্থলে হাজির হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢুকেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজে দেখা না করে তার প্রতিনিধি পাঠান আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। আমরা এটা মানি না।

‘এখন আমাদের দাবি, শিক্ষা উপদেষ্টা সশরীরে এসে আমাদের দাবি শুনবেন। আমরা দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি।’

হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া ২৬ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, মুচলেকায় মুক্ত ২৮
সচিবালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আটক কমপক্ষে ৫০
নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জবি
সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
ধূপখোলা মাঠ ফিরে পেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The anti discrimination student movement will hold a mass rally in Gulistan tomorrow

গুলিস্তানে রোববার গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গুলিস্তানে রোববার গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে রোববার দুপুর ১২টা থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে একই দিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে গুলিস্তানে গণজমায়েত করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট মোড়ে এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শনিবার শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার জিরো পয়েন্টে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিন বিকেল ৩টায় নুর হোসেন চত্বর থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ঢাবি ছাত্রদলের কর্মসূচি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে বিদেশে হেনস্থার প্রতিবাদ এবং ১৫ বছরে বিভিন্ন হামলায় জড়িতদের বিচারসহ তিন দফা দাবিতে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের দাবিগুলো হলো-

ড. আসিফ নজরুলের ওপর বিদেশের মাটিতে হামলা ও হেনস্থার অপচেষ্টাকারী বিদেশে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা।

আরও পড়ুন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
ভ্যানে মরদেহের স্তূপ, প্রাথমিকভাবে চার পুলিশ শনাক্ত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচারিত গণমাধ্যমের তালিকা ভুয়া
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: ঢামেকে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ হস্তান্তর
জনগণের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে সমর্থন করে না ছাত্র আন্দোলন: সমন্বয়ক রিফাত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police officers should give up bureaucratic attitude Sakhwat

পুলিশ কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব ছাড়তে হবে: সাখাওয়াত

পুলিশ কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব ছাড়তে হবে: সাখাওয়াত নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের যত দ্রুত সম্ভব অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। থানাপর্যায় থেকে পুলিশকে জনসম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ের পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক স্থাপন করে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

মানবিক পুলিশ গড়তে কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ এবং বাহিনীটিকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করতে হবে। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।

নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেছেন।

শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, থানাপর্যায় থেকে পুলিশকে জনসম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ের পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক স্থাপন করে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After two and a half months the blocked Simebi vice chancellor returned to office

আড়াই মাস পর অফিসে ফিরেই অবরুদ্ধ সিমেবি উপাচার্য

আড়াই মাস পর অফিসে ফিরেই অবরুদ্ধ সিমেবি উপাচার্য সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার অফিসে এলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) উপাচার্য বৃহস্পতিবার সকালে কার্যালয়ে আসার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হন বেতন-বঞ্চিতরা। চাকরি নিয়মিতকরণ ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উপাচার্য ১৫ দিনের মধ্যে দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে তার অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান হয়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই ‘লাপাত্তা’ ছিলেন সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। প্রায় আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই তিনি নিজ কার্যালয়ে ফেরেন। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে উপাচার্য কার্যালয়ে এসেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে জড়ো হন বেতন বঞ্চিতরা। এক পর্যায়ে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উপাচার্য ১৫ দিনের মধ্যে দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে তার অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান হয়।

এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও বিষয়টি সুরাহা করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে লাপাত্তা ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও দেখা মেলেনি তার। অথচ অজ্ঞাত স্থান থেকেই তিনি গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হিসেবে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলামকে নিয়োগ দেন।

সূত্র জানায়, ডিন হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিএনপি নেতা ডা. নাজমুল ইসলামের আশ্বাসে ভিসি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার কার্যালয়ে আসেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, উপাচার্য বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক বলতে কেউ নেই। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ তিনজনই লাপাত্তা। আজ যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নিয়ে ভিসি ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে তারা অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আপস করবো না। তারা আমাদের কাছে আশ্রয় পাবে না। আর ওনাকে (ভিসি) টেককেয়ার করা কিংবা সহযোগিতার প্রশ্নই আসে না।’

স্বৈরাচারের দোসর বললেও ভিসির সইয়ে ডিন পদে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তম সিন্ডিকেটের সভায় আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি সই করেছেন মাত্র। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা এমন কিছু না। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে নাম পাল্টে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নঈমুল হক চৌধুরী নিয়োগ বাণিজ্যসহ ব্যাপক জালিয়াতি করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়াদ শেষ হলে প্রথমে চাকরি হারান রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নঈমুল হক চৌধুরী। এরপর একই পথে যেতে হয় উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকেও।

প্রথম উপাচার্যের মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। ডা. এনায়েত হোসেন যোগ দেয়ার আগেই আগের উপাচার্যের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। এরপর ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো বেতন-ভাতা পাননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

নিয়োগের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করার আশ্বাস দেন ভিসি ডা. এনায়েত। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় দুই বছর হলেও এসবের কোনো কিছুই করেননি তিনি।

এ অবস্থায় সৃষ্ট জটিলতা ও বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলাকালেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা হয়ে যান। গত মাসে পদত্যাগ করেছেন রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান। তার বিরুদ্ধেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে ভিসি ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

p
উপরে