× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
MP Jinnahs millionaire wife wants exemption from ACC case
google_news print-icon

দুদকের মামলায় অব্যাহতি চান এমপি জিন্নাহর কোটিপতি স্ত্রী

দুদকের-মামলায়-অব্যাহতি-চান-এমপি-জিন্নাহর-কোটিপতি-স্ত্রী
দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলা হয়েছিল। ওই মামলার সূত্র ধরেই তার স্ত্রী মোহসীনা আকতারের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানে তার আড়াই কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের তথ্য মেলে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে অব্যাহতি চান জাতীয় পার্টির নেতা ও বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর কোটিপতি স্ত্রী মোহসীনা আকতার।

মোহসীনা আকতার এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ২৪ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক অজয় কুমার সাহাকে সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে মতামত দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক চিঠির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও মোহসীনা আকতারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। এর পরপরই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন মোহসীনা আকতার। আবেদনের সঙ্গে তিনি এর সপক্ষে কিছু কাগজপত্র সংযুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলা হয়েছিল। ওই মামলার সূত্র ধরেই তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানে আড়াই কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়।

‌এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদ বিবরণী নোটিশ ইস্যুর জন্য দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুপারিশ করেন। ওই সুপারিশে কোটি টাকার বেশি সম্পদের সন্দেহজনক তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। ওই সম্পদ মূলত তার স্বামী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

ওই সুপারিশকে বিবেচনায় নিয়ে মোহসীনা আকতারের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মোহসীনা আকতার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণ দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বরাবর দাখিল করেন।

মোহসীনা আকতার তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৯৭ টাকার অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়।

সম্পদ বিবরণী ও আয়কর নথি অনুসারে তার প্রদর্শিত সম্পদের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে আয় দেখানো হয় ১০ লাখ টাকা। ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ১৯(ই) ধারায় ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ টাকা জরিমানা আয়কর দিয়ে ৫৪ লাখ টাকা আয় প্রদর্শন করেন তিনি।

২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত প্রদর্শিত মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ৮৯২ টাকা আয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকার। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পায় দুদক।

প্রসঙ্গত, আয়কর অধ্যাদেশে ১৯(ই) ধারা অনুযায়ী, অতীতের যেকোনো বছরের আয় গোপন করা হয়ে থাকলে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে বৈধ করা যাবে। ওই করবর্ষেও তার প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রেমিট্যান্স আয়ের কথা বলা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধান যা বলে

অনুসন্ধানকালে মোহসীনার সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইকালে ৩০ লাখ ৯২ হাজার টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্যসহ মোট ২ কোটি ৪০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সে হিসাবে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসামি মোহসীনা আকতার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর তার অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য ২০১৯-২০২০ করবর্ষে মোহসীনা আকতার আয়কর নথি খোলেন। ওই করবর্ষে তিনি বিবিধ ব্যবসার আয় বাবদ ১০ লাখ টাকা, ১৯ই ধারায় ৫৪ লাখ টাকা আয় দেখিয়ে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ টাকা আয়কর দিয়েছেন।

ওই করবর্ষে তিনি তার প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রেমিট্যান্স পেয়েছেন। এভাবে তিনি ১ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার টাকা প্রদর্শন করেন। এর বিপরীতে ১ কোটি ৯ লাখ ৭২ টাকার গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেলেও ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আয়ের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

মোহসীনা আকতার একজন গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস নেই। তার এক ভাই সৌদি আরবে থাকেন। তার নিজ ব্যাংক হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৪৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রেমিট্যান্স আসে। কিন্তু তিনি ওই টাকা তাদের দান করেছেন কি না তার কোনো তথ্য ও রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করেননি তিনি। দুদক মনে করে মোহসীনা আকতার তার স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার জন্য তার সৌদি প্রবাসী ভাইয়ের টাকা আনার বিষয়টি সাজিয়েছেন।

সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বিগত তিন বার সংসদ সদস্য হিসেবে কর্মরত। মোহসীনা আকতারের নিজের কোনো গ্রহণযোগ্য ও বাস্তব আয়ের উৎস নেই। মূলত সংসদ সদস্য স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার নিজ নামে বিবিধ ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথি খুলেছেন।

২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত প্রদর্শিত মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ৮৯২ টাকা আয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকার। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পায় দুদক।

আরও পড়ুন:
সম্রাটের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২০ অক্টোবর
নওগাঁয় খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদকের মামলায় কর্নেল শহিদের এবার ৩ বছরের জেল
কর কর্মকর্তার ৫ বছরের জেল
দুদকের মামলায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী ও স্ত্রী কারাগারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Distribution of sweets in Jhalkathi after Amus arrest

আমুর গ্রেপ্তারে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ

আমুর গ্রেপ্তারে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও খোদ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন আমির হোসেন রিজভী আমুর নির্বাচনি এলাকা ঝালকাঠি ও নলছিটির বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে আমুর নির্বাচনি এলাকা ঝালকাঠি ও নলছিটিতে অনেককে উল্লাস করতে দেখা যায়। জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন অনেকে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও খোদ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন রিজভী ঝালকাঠির বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ঝালকাঠিতে সরকারি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের গড ফাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়াণ তো আমির হোসেন আমু।

আরও পড়ুন:
হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে
ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার
গান বাংলা’র চেয়ারম্যান তাপস গ্রেপ্তার
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shami Kaiser is on three day remand in the attempted murder case

হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে

হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে শমী কায়সার। ফাইল ছবি
রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শমীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করলে তিনদিন মঞ্জুর করা হয়।

হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন।

রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শমীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করেন উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে শমী কায়সার সরাসরি জড়িত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বানচাল করতে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করেছিলেন। টাকার উৎস খুঁজে বের করতে তাকে রিমান্ডে নেয়া দরকার।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শমী কায়সার আদালতে বলেন, ‘আমি ইন্টারনেট চালু করার কথা বলেছিলাম। ঘটনার সময় আমি বনানীতে ছিলাম। আমি ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানিয়েছি। তাই আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

শমী কায়সারকে হয়রানি করতে মামলায় জড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে রিমান্ড আবেদন বাতিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শমী কায়সারকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক আজমপুর হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

তিনি নিজেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আরও পড়ুন:
বাসচালক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুস শহীদ চারদিনের রিমান্ডে
আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আনন্দ মিছিল
ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার
উপদেষ্টা সাখাওয়াতের মিথ্যা সাক্ষাৎকার তৈরি ও প্রচারকারী গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Home Minister Asaduzzamans pistol recovered

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের পিস্তল উদ্ধার

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের পিস্তল উদ্ধার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
খুদেবার্তায় বলা হয়, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের লাইসেন্সকৃত পিস্তল রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।’

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বুধবার এক খুদেবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন।

খুদেবার্তায় বলা হয়, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের লাইসেন্সকৃত পিস্তল রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।’

আরও পড়ুন:
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১৫ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ
ঢাকাসহ চার জেলায় চার দিন ১৩ ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল
পুলিশ ঝুঁকিমুক্ত মনে করলে সমন্বয়কদের ছেড়ে দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amir Hossain Amu arrested from Dhanmondi

ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি (গোয়েন্দা শাখা)।’

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ বুধবার এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানায়।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি (গোয়েন্দা শাখা)।’

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

আরও পড়ুন:
আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আনন্দ মিছিল
ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার
উপদেষ্টা সাখাওয়াতের মিথ্যা সাক্ষাৎকার তৈরি ও প্রচারকারী গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five people including Salman Anisul were arrested in the new case

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সালমান, আনিসুলসহ পাঁচজনকে

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সালমান, আনিসুলসহ পাঁচজনকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কোলাজ: নিউজবাংলা
আসামিদের মধ্যে কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার একটি মামলায়, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, সালমান এফ রহমানকে মিরপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুক হককে মিরপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার একটি করে মোট দুইটি মামলায় এবং জাহাঙ্গীর আলমকে লালবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর চার থানায় হওয়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

তাদের কারাগার থেকে বুধবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান পাঁচজনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

গ্রেপ্তার দেখানোর পর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

আসামিদের মধ্যে কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার একটি মামলায়, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, সালমান এফ রহমানকে মিরপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুক হককে মিরপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার একটি করে মোট দুইটি মামলায় এবং জাহাঙ্গীর আলমকে লালবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আরও পড়ুন:
চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি
ডিজিটাল আইনের মামলায় পিনাকীসহ দুজনকে অব্যাহতি
খালেদা জিয়ার আরও এক মামলা হাইকোর্টে বাতিল
তারেক রহমানের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল হাইকোর্টে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Recommending the release of 8 people including Tariq Rahman from the extortion case

চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ

চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
অব্যাহতির সুপারিশ করা অন্যরা হলেন- ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার একেএম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আটজনের জড়িত থাকার সত্যতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আগামী ২৭ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতির সুপারিশ করা অন্যরা হলেন- ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার একেএম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

পুলিশের অব্যাহতির আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একখানা হলফনামা সম্পাদন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।

এছাড়াও তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান যে, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিকে তিনি চিনতেন না। এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার নামে ১১ মামলা বাতিল হাইকোর্টে 
সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়: তারেক রহমান
ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র‍্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জে মমতাজ ও টুলুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arakan Army has taken 20 fishermen at gunpoint

অস্ত্রের মুখে ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

অস্ত্রের মুখে ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি গত অক্টোবরে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে টেকনাফে ফিরিয়ে আনছে বিজিবি। ফাইল ছবি
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে মাছ ধরার ১৫টি নৌকা এবং জালসহ ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ঘটনটি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদের মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি বোট ও ১৩টি নৌকাসহ জালও নিয়ে গেছে তারা।

সোমবার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় বঙ্গোপসাগর থেকে ওইসব জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আবারও বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে মাছ ধরার ১৫টি নৌকাসহ ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।

‘এর আগে মিয়ানমারের নৌবাহিনী বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। সে সময় একজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এসব ঘটনায় টেকনাফে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনটি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলারসহ ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে নাফ নদ মোহনা হয়ে বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক জায়গায় মাছ ধরতে যাওয়া ১৫টি নৌকা মাছ শিকারে যায়। এ সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা ওইসব নৌকা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে। এতে জেলেদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, ‘আমার এলাকার ১৫টি নৌকা নাফ নদে মাছ ধরতে গেলে তাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নৌকার মালিক পক্ষ থেকে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’

এর আগে ৯ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে মাছ ধরার ছয়টি ট্রলারে ৫৮ জন জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় জেলে ও মাঝি-মাল্লাদের অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। সে সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এক জেলে নিহত ও দুই জেলে আহত হন। পরে আটক অন্য জেলেদের ফেরত দেয়া হয়। ওই ঘটনায় সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।

এছাড়া ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আরও পড়ুন:
টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৯ কৃষক
বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত 
ট্রলারে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক জেলে নিহত, দুজন আহত

মন্তব্য

p
উপরে