চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক চাঁপাই চিত্র অফিসে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পত্রিকা অফিসটির ছাদে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।
চাঁপাই চিত্রের সম্পাদক কামাল উদ্দিন জানান, পত্রিকার কাজ শেষে শনিবার প্রায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনিসহ পত্রিকায় কর্মরত সবাই বের হয়ে যান। মধ্যরাতে নাইটগার্ডের মাধ্যমে ককটেল হামলার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় দৈনিক হিসাবে আমরা সব ধরনের সংবাদই প্রকাশের চেষ্টা করে আসছি। সংবাদ মূল্য থাকলে আমরা সংবাদ প্রকাশে পিছপা হই না। কোনো প্রকাশিত সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমরা আশা করি পুলিশ অপরাধীকে খুঁজে বের করবে।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ওসি আলমগীর জাহান বলেন, ‘শনিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা ককটেল কি না তাৎক্ষণিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বারুদের গন্ধ পাওয়া গেলেও এটির কোনো স্প্লিন্টার পাওয়া যায়নি।’
কোনো দুষ্কৃতকারী ভীতি ছড়াতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডেকেছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি শহীদুল হুদা অলক। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী ব্যবসায়ী। মামলায় মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর আসকারদিঘির পাড়ে ফিউশন ইটস্ নামে এক রেস্তোরাঁ মালিক নাজমে নওরোজ ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
ফিউশন ইটস্ নামের এই রেস্তোরাঁ প্রথমে ‘এরিস্টোক্র্যাট’ ও পরে ‘লা এরিস্টোক্রেসি’ নামে চালাতেন নাজমে নওরোজ।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সুবাদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম) মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আসামি তার মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউড়ি মহিলা শাখা থেকে প্রথমে দুই কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর কয়েক দফায় তাকে মোট ৩০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই ঋণগুলো নেয়া হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে তার সই করা বেশ কয়েক পাতা খালি চেক দিতে হয়েছিল। সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন এসব খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে তার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। গত ২২ জুলাই টাকাগুলো ফেরত চাইলে বাদীকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।
বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ১০ এপ্রিল।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। তবে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২০৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন:দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা বলেন, ‘১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন:এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার হাজার প্রান্তিক পেঁয়াজচাষির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী বিভিন্ন উপজেলার প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ জন প্রান্তিক কৃষক। তাতে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তারা।
রাজবাড়ী জেলা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়। এই বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৫১ টন পেঁয়াজ।
গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম না হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তার পরের দিনই ২ ডিসেম্বর জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে দ্রুত সমাধান কী হতে পারে সেটাও জানতে চান জেলা প্রশাসক।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে লাল তীর কোম্পানির তাহেরপুরি বীজ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। সভায় আরও জানানো হয়, এই বীজের গুণগত মান ভালো।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমি ৩ ডিসেম্বর একটি ৫ সদস্যের টিম গঠন করি। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়ে সেই দিনই সচিব স্যার বরাবর এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করি। ৩ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে সচিব এবং উপদেষ্টা মহোদয় ৪ তারিখ বিকেলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং পাবনা জেলা প্রশাসনের সাথে জরুরি ভার্চুয়াল সভা করেন।’
এ বিষয়ে মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চার হাজার প্রান্তিক কৃষককে উন্নত জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করেছিল উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চলতি নভেম্বরে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে এক কেজি করে ৪ হাজার জন প্রান্তিক কৃষককে পেঁয়াজ বীজ দেয়া হয়। এই বীজ বপন, সেচ, সার, কীটনাশক ও জমি প্রস্তুত বাবদ প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে প্রতিটি কৃষকদের, কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ বপন করার বেশি সময়ও বেশি নেই।
‘সব মিলিয়ে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে আমাদের কৃষককে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সাথে নতুন পেঁয়াজের বীজ না দিলে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়তাম।’
জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাজবাড়ী জেলায় ৪ হাজার জন কৃষকের মাঝে বিএডিসি থেকে প্রাপ্ত বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজ ৫০০ জন, বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের বীজ ১ হাজার জন এবং তাহেরপুরী জাতের বীজ ২ হাজার ৫০০ জনকে বিতরণ করা হয়েছিল। ওই বীজ না গজানোর কারণে তদন্তপুর্বক ৩ হাজার ৭২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পুনরায় লালতীর কোম্পানির তাহেরপুরী জাতের বীজ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
বাকি পেঁয়াজ বীজ দ্রুত বিতরণ করার কথা জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত রোববার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তিনি ওই সময় পেঁয়াজচাষিদের দ্রুত পেঁয়াজ রোপণ করার অনুরোধ করেন, যাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখা না দেয়।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হকসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।
এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।
‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।
জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।
‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:গাজীপুরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে একটি অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো চারজন হলেন ছালেহা আক্তার টুকটুকি (২৬), ইমরান হাসান রাজন (৩৮), মো. মামুন (২৩) ও মো. দুলাল (৪২)।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, বুধবার রাতে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি ট্রাক ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে চান্দনা চৌরাস্তাগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় সামনে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ওই অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি ট্রাক ও কভার্ডভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন।
অটোরিকশার তিনজন যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য