× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After the ban fishermen are busy catching hilsa
google_news print-icon

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত জেলেরা

নিষেধাজ্ঞা-শেষে-ইলিশ-ধরায়-ব্যস্ত-জেলেরা
দীর্ঘ অবসরের পর নতুন ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের ঘাটগুলো, ব্যস্ত জেলে ও আড়তদাররা। ছবি: নিউজবাংলা
শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে নদীতে প্রচুর পানি বেড়েছে। এতে করে সাগর থেকে মেঘনার মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। মাছের আকার অনেক বড়। দুই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে।’

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে আবারও পুরোদমে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই ইলিশ আহরণে নেমে পড়েন পদ্মা-মেঘনার জেলেরা। দীর্ঘ অবসরের পর নতুন ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের ঘাটগুলো, ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে জেলে ও আড়তদারদের। নতুন ইলিশের খবরে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারাও।

জেলেদের জালেও আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা। এদিকে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সিত্রাংয়ের প্রভাবে মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়তে পারায় এবার রেকর্ডসংখ্যক উৎপাদনের আশা করছে মৎস্য বিভাগ।

প্রজনন মৌসুমে স্বাচ্ছন্দ্যে ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময়ের মধ্যে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে নিয়ে।

এ সময়ে বেশির ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারায় ইলিশের উৎপাদন গেল বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছে মৎস্য বিভাগ। আশানুরূপ ইলিশ পেলে ২২ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা।

শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্ত মো. আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে নদীতে প্রচুর পানি বেড়েছে। এতে করে সাগর থেকে মেঘনার মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। মাছের আকার অনেক বড়। দুই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে।’

তিনি জানান, জেলায় এবার ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টন। যা গত বছরের চেয়ে তিন হাজার টন বেশি।

প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগের এবারের যৌথ অভিযান সফল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাই এবার প্রচুর পরিমাণ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে।’

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত জেলেরা

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকা ছিল। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত ও মজুতকরণ বন্ধ ছিল জেলার ৫২ হাজার জেলের।

তবে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও সব মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়তে পারেনি বলছেন জেলেরা। ডিমওয়ালা ইলিশও ধরা পড়ছে। তবে যে ইলিশ জালে উঠছে এতে তারা খুশি।

জেলায় প্রায় ৩০টি ছোট-বড় মাছের ঘাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের জেলে কালাম ও মারফত উল্যাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। এখন ব্যস্ত সময়। জালে মাছ ধরা পড়ায় খুশি লাগছে। আজকে যে মাছ পাওয়া গেছে, সেটা গত কয়েক বছরের তুলনায় আকারে অনেক বড়।’

মতিরহাটের আড়তদার লিটন বলেন, ‘মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক ক্রেতা-বিক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। এ হাটে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে। প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ বিক্রির আশা করছি।’

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত জেলেরা

এদিকে দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড় স্টেশনেও ব্যবসায়ী ও জেলেদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। শনিবার ভোর থেকে ঘাটে আহরিত ইলিশ নিয়ে আসতে শুরু করেছেন জেলেরা। ঘাটে অন্যান্য সময়ের চেয়ে ক্রেতার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো।

তবে এখানকার জেলেরা বলছেন, প্রথম দিনের সকালে আশানুরূপ ইলিশ পাননি তারা।

জেলে রফিক মোল্লা বলেন, ‘রাত থেকেই নদীতে ইলিশ ধরা হয়েছে। প্রথম দিনের সকালে আশানুরূপ মাছ পাইনি। তবে যেসব মাছ ধরা পড়েছে, অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে। এখন যা ইলিশ পেয়েছি তা ঘাটে বিক্রি করে আবার নদীতে ফিরে যাব।’

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলেরা সবেমাত্র ইলিশ ধরা শুরু করেছে। সকাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ ঘাটে এসেছে। আশা করছি, আর কয়েকদিন পর ইলিশ আহরণ আরও বাড়বে।’

আরও পড়ুন:
মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৩৫ জেলে আটক
‘এহনো যদি চাউল দুগ্গা না পাই তয় কী খামু’
অভিযানের ট্রলারে আগুন: তদন্তে জেলা প্রশাসনের কমিটি
অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ, অস্বীকার ইউএনওর
ইলিশ রক্ষার অভিযানে হামলা মামলায় আসামি ৩১২ জেলে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
2 children died in boat sinking in Halti Bill

নাটোরে হালতি বিল ও নদীতে ডুবে সহোদরসহ ৪ শিশুর মৃত্যু

নাটোরে হালতি বিল ও নদীতে ডুবে সহোদরসহ ৪ শিশুর মৃত্যু নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিল। ফাইল ছবি
হালতি বিলে ঘুরতে এসে নৌকা ডুবে মারা যায় দুই সহোদর ১১ বছরের সাদমান ও ৯ বছরের আব্দুর রহমান। আর সিংড়ায় বারনই নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছে ৫ বছরের ফাতেমা ও ৯ বছরের সবুর।

নাটোরে পৃথক দুই দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার নলডাঙ্গায় হালতি বিল ও সিংড়ায় বারনই নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হালতি বিলে ঘুরতে এসে নৌকা ডুবে মারা যায় দুই সহোদর ১১ বছরের সাদমান আব্দুল্লাহ ও ৯ বছরের আব্দুর রহমান। আর সিংড়ায় নদীতে ডুবে মারা গেছে ৫ বছরের ফাতেমা খাতুন ও ৯ বছরে বয়সী আব্দুস সবুর।

নৌকা ডুবে মারা যাওয়া দুই সহোদরের বাবার নাম আরিফুল ইসলাম। বাড়ি লালপুর উপজেলার আড়বাব এলাকায়।

নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হালতি বিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন আরিফুল ইসলাম। নৌকায় চড়ে বিলের মধ্যে বেড়ানোর সময় খোলাবাড়িয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের তারের সঙ্গে বেঁধে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি উল্টে যায়।

নৌকার অন্য যাত্রীরা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে পারলেও দুই ভাই সাদমান আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাটোর ফায়ার সার্ভিসকে ঘটনা জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে দুই ভাইকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

বারনই নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

এদিকে সিংড়া উপজেলার উলুপুর গ্রামে বারনই নদীতে অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরের দিকে। তাদের মধ্যে ফাতেমা একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। অপর শিশু সবুরের বাবার নাম সাহাদ ইসলাম।

সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন ফাতেমা ও সবুর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাড়ি সংলগ্ন বারনই নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে ফাতেমাকে ডুবে যেতে দেখে সবুর তাকে বাঁচাতে যায়। এ সময় সে-ও পানিতে ডুবে যায়।

স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে নদীতে নেমে শিশু দুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশের মাধ্যমে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবইর দলকে খবর দেয়া হয়। ডুবুরি দল এসে দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলের কিছু দূর থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন:
তিস্তায় নৌকাডুবি: ৩০ ঘণ্টা পর মিলল আহিদুলের মরদেহ
তিস্তায় নৌকাডুবি: দুই মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ একজন
কংস নদীতে নৌকাডুবি: কিশোরের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ২
তিতাসে নৌকাডুবিতে স্কুলছাত্রী ও ইমামের মৃত্যু
চাঁদপুরে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবে জেলের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
UP woman member drowned in Naf river

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু নাফ নদীতে ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবিতে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন।

শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীর মোহনায় শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনায় পড়ে স্পিডবোটটি।

নিহত ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা খাতুন সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্য।

টেকনাফ উপজেলার ইউএনও আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আলমের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ২১ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে নদীর মাঝামাঝি মোহনায় হঠাৎ তলা ফেটে সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার খবরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। অবৈধভাবে এ রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবিতে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a bus in Feni

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত প্রতীকী ছবি
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মহাসড়কে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা ৫৯ বছরের আবু তাহের, তার স্ত্রী ৪৮ বছলেরর সালমা আক্তার ও অজ্ঞাত আরেকজন।

নিহতের আবু তাহেরের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।

সাদেক হোসেন আরও বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি সিএনজিটিকে চাপা দিলে মারা যান তারা।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no election without Sheikh Hasina Who?

শেখ হাসিনা ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: কাদের

শেখ হাসিনা ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা বাদে আর কোনো নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবেন তা আমরা হতে দেব না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনো নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। একমাত্র শেখ হাসিনা সেই নেতা, যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। এ দেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছেন যিনি তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস…। সি হ্যাজ শো দ্য ওয়ে আউট অফ পোভার্টি।

‘ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবেন তা আমরা হতে দেব না। ষড়যন্ত্র করে ওই নেতাকে বাদ দেবেন? শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। আমরা সেটা হতে দেব না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক। কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনও বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভুত কাণ্ড!’

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা শেষ। আল্টিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়। ক্যাপ্টেন এলে জোরদার খেলা হবে। আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন, আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন লাশ। ওই লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।’

সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
দুই সেলফিতে সব ফয়সালা হয়ে গেছে: কাদের
সাইবার নিরাপত্তা আইন জনগণের জন্য ক্ষতিকর: জিএম কাদের
সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপি দেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: কাদের
জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি আত্মমর্যাদার প্রমাণ: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Clash between two groups of Awami League at Prime Ministers birthday event 10 injured

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত ৫০, এমপি অবাঞ্ছিত

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত ৫০, এমপি অবাঞ্ছিত মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত এক কর্মী। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় এমপির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতের অধিকাংশের বাড়ি গজারিয়া উপজেলায় বলে জানা গেছে।

এদিকে সমর্থকদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আয়োজিত জনসভা থেকে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা শুক্রবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৭৫টি ট্রলারে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দুপুরে গজারিয়া উপজেলা থেকে সদর উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন।

বিকেল ৫টার দিকে ট্রলারগুলো মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের অধিকাংশই গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সমর্থক বলে জানা গেছে।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনার পর অনেকে গজারিয়ায় ফিরে এসেছেন। আহতদের মধ্যে ৩৩জন এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের ১১জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। চারজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ বলেন, ‘অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও তার অনুসারীরা অধিকাংশই বিএনপি সমর্থক।

‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। সেখানে তার সমর্থকদের দিয়ে রাস্তায় মহড়া দেয়ার কী দরকার ছিল? তারা পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করতে চেয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, ‘ট্রলারে করে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহর লোকজন শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটের অদূরে বেড়িবাঁধে আসে। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের পায়ে ধাক্কা লাগে জিন্নাহর লোকজনের। এরপর তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা আমার বড় ভাই মনির হোসেনকে ও তার কয়েকজন সমর্থককে বেধড়ক মারধর করে। সব দোষ জিন্নাহর সমর্থকদের।’

সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সরে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Who is this old woman who was killed by a bus in Gulshan with a black burqa bag on her body?

গুলশানে বাসের ধাক্কায় নিহত এই বৃদ্ধা কে?

গুলশানে বাসের ধাক্কায় নিহত এই বৃদ্ধা কে? মৃত নারীর কাছে ছিল এই ব্যাগ। তার মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে। ছবি: নিউজবাংলা
মৃত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বড় ব্যাগে তার কিছু কাপড় এবং কতগুলো ওষুধ ও ১৫৩০ টাকা পাওয়া গেছে।

রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দুর্ঘটনায় আহত হন আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সী এই নারী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মৃত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বড় ব্যাগে তার কিছু কাপড় এবং কতগুলো ওষুধ ও ১৫৩০ টাকা পাওয়া গেছে।

বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীর শরীরে কালো বোরক ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানায় জানানো হয়েছে।

গুলশানে বাসের ধাক্কায় নিহত এই বৃদ্ধা কে?

বৃদ্ধাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর একজন জাহিদ হোসেন হৃদয় জানান, বিকেলের দিকে গুলশানের নদ্দা কালাচাঁদপুরে এই বৃদ্ধা রাস্তা পারাপারের সময় রাজধানী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান।

তিনি বলেন, এরপর এই বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ান। তবে দ্বিতীয়বারে আবার বাসটি তাকে ধাক্কা দিলে তখন তিনি রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। আমরা দৌড় দিয়ে বাসটি ও চালককে আটক করি।

হৃদয় জানান, এর কিছুক্ষণ পরে গুলশান থানার উপপ্রদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। পরে তিনি তাদের মাধ্যমে এই নারীকে ঢামেক হাসপাতালেল জরুরি বিভাগ পাঠান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League worker killed in BNP attack in Chittagong

চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কিশোর নিহত

চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কিশোর নিহত হাসপাতালে নিহতের স্বজনের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিকেলে ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রোগ্রাম ছিল। এসময় ছাত্রলীগও পাশাপাশি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বিএনপি লোকজন মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের উপর হামলা করে। হামলায় নোমান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে দাবি করছেন। ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছে, তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছেন।

উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ওসমানপুর এলাকায় শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মোহাম্মদ নোমান ওসমানপুর এলাকার প্রয়াত নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে দাবি উঠেছে। তবে এ সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিকেলে ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রোগ্রাম ছিল। এ সময় ছাত্রলীগও পাশাপাশি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির লোকজন মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে।

‘হামলায় নোমান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে দাবি করছেন। ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ওসমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, আজমপুর বাজারে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিনের প্রোগ্রাম ছিল। এ সময় খবর পেয়ে আমরা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিই। তাদের প্রোগ্রাম শেষে লাঠিসোটা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে মুহুরি প্রজেক্ট থেকে আজমপুর বাজার পর্যন্ত ভাঙচুর চালায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিসেও হামলা করা হয়। আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না, তারা আমাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতা হাসান রাফি আরফিন, যুবলীগ নেতা সাত্তার সুজন দুখু, ছাত্রলীগকর্মী নোমানসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। তাদের মধ্যে নোমানের মৃত্যু হয়েছে।’

সঞ্জয় মল্লিক বলেন, পুরো হামলাটা বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের নির্দেশেই হয়েছে বলে ধারণা আমাদের।

মন্তব্য

p
উপরে