রংপুরেও বিএনপির সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘট ডাকা নিয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তাদেরকে প্রভাবিত করার যে অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে এসেছে, সেটি নাকচ করে বলেছেন, বাস মালিকরা স্বাধীন, তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
এই বৈঠক চলাকালেই শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক আসে। দাবি হিসেবে মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের কথা উঠে এলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, শনিবার রংপুরে তাদের বিভাগীয় সমাবেশে বাধা দিতেই এমন কর্মসূচি।
গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ এবং ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরেও এমন পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। শনিবার রংপুরে সমাবেশ আছে দলটির।
রংপুরেও পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে সহিংসতার কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘এখানে বাসের মালিক-শ্রমিকরা আছেন। তারা দেখেছিলেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে। বাস বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির যে আন্দোলন সেটা কিন্তু শেষ হয়নি। তারা কিন্তু বলেনি যে, তাদের সেই আন্দোলন নেই, এটা কিন্তু কেউ বলেনি।
‘এখন যদি তারা (মালিক-শ্রমিক) মনে করে বাস বা ট্রাকটি সেইফ না, তাহলে তারা মাঠে নামাতে নাও পারে। এ জন্য তো আমরা তাদের ফোর্স করছি না। তারা স্বাধীন।’
তিনি বলেন, ‘তারা (পরিবহন মালিক) কী করেন না করবেন সে সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারা যদি মনে করেন যে, বাস গেলে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আগের মতো, তাহলে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় এতে আমাদের কিছু বলার নেই।’
বিএনপির সমাবেশ বন্ধের কোনো চিন্তাই সরকার করে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে আসছেন, এগুলো রাজনৈতিক অধিকার। আমরা তাদের সভায় কোনো বাধা দিচ্ছি না। যেখানে যেভাবে করতে চাচ্ছেন সেখানেই করছেন।’
‘এখন বাস নিয়ন্ত্রণ করে মালিক ও শ্রমিক সমিতি। তারা কী করবে না করবে এটা তাদের ব্যাপার। আমরা বাধা দিচ্ছি না’- বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে একটি স্পিনিং মিল ও একটি পেপার তৈরির কারখানায় বছরের পর বছর অবৈধ উপায়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
তিতাস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানা দুটির কর্তাব্যক্তিরা পালিয়ে গেছেন, পরে কারখানা দুটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী।
সাভার পৌর এলাকার পূর্ব রাজাশনে মারহাবা সিনথেটিক স্পিনিং মিল ও সুইচ কোয়ালিটি পেপার বিডি লিমিটেড নামে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু সাদাত মো. সায়েম জানান, মারহাবা সিনথেটিক স্পিনিং মিল থেকে গোপনে পার্শ্ববর্তী সুইচ কোয়ালিটি পেপার বিডি লিমিটেড কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়েছিল।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পেপার মিলটিতে ১০ টন ওজনের দুটি ব্রয়লার ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি জেনারেটরের মাধ্যমে এই চোরাই গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছিল। এতে করে প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার সরকারি গ্যাস চুরি করে আসছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর পক্ষ থেকে একটি দল রাজাশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে কাউকে না পেয়ে উভয় কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় সরকারি সম্পদ চুরির অভিযোগে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:মাদারীপুর সদরে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী বর্ণিল মাদারীপুর উৎসবের পর্দা নামলো শিবচরে ।
শিবচরে মঙ্গলবার রাতে সেটির বর্ণিল পর্দা নামলো। শেষ দিনে গান গেয়ে মঞ্চ মাতান তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় মাদারীপুর আছমত আলী খান স্টেডিয়ামে ১২ দিনব্যাপী মাদারীপুর উৎসব ও মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, উদ্বোধন থেকে শুরু করে সমাপনী পর্যন্ত দেশ বরেণ্য সব গুনীজনের অংশগ্রহণে জমকালো সব আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষনীয়। জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতিকে সারাদেশে পরিচয় করাই ছিল মাদারীপুর উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।
২০ জানুয়ারী সন্ধা ৬টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী শুরু হয় পৌর অডিটরিয়ামে।
জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় গৃহীত নানা কর্মসূচি পালনসহ ১২ দিনব্যাপী ‘মাদারীপুর উৎসব ২০২৩’ এর সমাপনী দিন মঙ্গলবার শিবচরে স্মার্ট শিবচর উদ্বোধন এফ.আর খান উদ্যোক্তা সম্মেলন ও জব ফেয়ার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হলো এবারের বর্ণিল আয়োজন।
এ ছাড়া ১২ দিন জেলা সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর, ডাসারসহ ৫ উপজেলায় আলাদাভাবে উৎসবের বিভিন্ন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ছিল গোল্ডকাপ দাবা, কাবাডি টেনিস, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট, পিঠা উৎসব, ম্যারাথন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘প্রজন্মকে জানি’ সাহিত্য সম্মেলনসহ ২৬টির বেশি অনুষ্ঠান হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট, আচমত আলী খান গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট, জেলা প্রশাসক জাতীয় লন টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
২২ জানুয়ারী কালকিনিতে উপমহাদেশের প্রথম নারী চিকিৎসক ডা. জোহরা কাজী গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, রাজৈর উপজেলা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘প্রজন্মকে জানি’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আর শেষ দিন মঙ্গলবার দুপুরে শিবচরের চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়ামে স্মার্ট শিবচর উদ্বোধন, এফ. আর. খান উদ্যোক্তা সম্মেলন ও জব ফেয়ার উদ্বোধন এবং সন্ধ্যায় হাতির বাগান মাঠে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৫ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
জব্দ করা চিংড়ি কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হরিণা ফেরিঘাটে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৬২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়, যা সাড়ে ১৫ মণের সমান।’
সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম ও কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ানের উপস্থিতিতে বিকেলে চিংড়িগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়।
বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বুধবার ভোট শুরু হয়েছে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
উপনির্বাচনের ছয়টি আসন হলো ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা (এমপি)।
ঢাকার গোলাপবাগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যদের একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরের দিন পদত্যাগপত্র জমা দিতে পাঁচজন এমপি সংসদ ভবনে যান।
ওই দিন অসুস্থ থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে আসতে পারেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। অন্যদিকে বিদেশে থাকায় যেতে পারেননি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ। তাদের হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন রুমিন ফারহানা।
নিজেদের অধীন প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করলেও এ ভোটে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন, তবে জাতীয় নির্বাচনে ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে তাদের।
প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া না গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এক প্রার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মনে করছেন, নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আত্মগোপনে আছেন।
এ নিয়ে ইসি আনিছ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।’
নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ট্রাক, পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত, তবে ইসির অনুমতি নিয়ে যেকোনো যান চলাচল করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ছয় আসনের ভোটে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্এণ এসেছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ভিআইপি-ব্যাগ কারখানার আগুন। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আগুন লাগার পর নৌবাহিনী, খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিচ্ছিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তবে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক এমাদুল শেখ বলেন, ‘কারখানায় ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় আগুনের ফুলকি এসে পড়ে ফোমের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে কক্ষটি ধোঁয়ায় আচ্ছন হয়ে পড়ে এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মামুন মাহমুদ বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার সময় আগুনের খবর পেয়ে নৌবাহিনীসহ ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ফ্যাক্টরিতে ফ্যাব্রিক্স, পলিথিন, ফ্যাব্রিকেটেড পণ্য রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে।
‘এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার ফাইটাররাও আহত বা নিহত কাউকে পাননি। তবে আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর আমরা পুরো ফ্যাক্টরি তল্লাশি করব। তখন বোঝা যাবে যে আসলে কেউ হতাহত হয়েছে কি না।’
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘কারখানায় কোম্পানিটির ফোম ও ব্যাগ ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত সেখানে কর্মরত শ্রমিকেরা বেরিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবাহনী মাঠের বিপরীতে ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে মঙ্গলবার প্রায় কয়েকশত মানুষ গাছ কাটা বন্ধের প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সড়কদ্বীপ উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। এটি এমনভাবে তৈরি হচ্ছে যেখানে পরবর্তী সময়ে গাছ রোপণ করা হলেও টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বক্তারা বলেন, গাছ কেটে কোনো উন্নয়ন হয় না। প্রতিবাদী ফেস্টুন ও বক্তৃতার ভেতর দিয়ে তারা গাছ বাঁচানোর এই আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেয়ারও আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, এলাকাবাসীর মধ্য থেকে শারমিন মুর্শিদ, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, আমিরুল রাজিব, মান্নান মুনির, ইমতিয়াজ আলম বেগ, মোস্তফা জামান, সৈয়দ মুহাম্মদ জাকির এবং আমিনুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।
‘আপনাদের আন্দোলনের কী খবর? সবাই বলে ভুয়া। সরকার পতন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, ৫৪ দল, বিএনপির ২৭ দফা, ১০ দফা, ১৪ দফা, অবশেষে পদযাত্রা। সবই ভুয়া। কেউ মারা গেলে যেমন নীরব পদযাত্রা হয়, আপনাদের পদযাত্রা অনেকটা সেরকম। এ দিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন ভুয়া।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে এসব কথা বলেছেন।
দেশব্যাপী রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তিব্বত কলোনি বাজার সংলগ্ন রাস্তায় মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নি সন্ত্রাসের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে।
বুধবার দেশের ৬টি আসনে উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘মাগুরা মার্কা ফ্রি-স্টাইলে নির্বাচন আর হবে না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হবে। আওয়ামী লীগের লোকদের সমর্থন দেয়ার সুযোগ আছে। আমরা সমর্থন দিয়েছি তার মানে এই নয় যে, নির্বাচন অন্যরকম হবে। মির্জা ফখরুল, বুধবারের নির্বাচন দেখুন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তার মুখের বিষ তখন উগরে ওঠে। বিএনপির নেতাদের শক্তি কমে আসছে, দম ফুরিয়ে আসছে। দম ফুরিয়ে গেছে বলে লাফালাফি বন্ধ করে এখন নীরব পদযাত্রা।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম মান্নান কচি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য