× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
No one chewed the reserve PM
google_news print-icon

রিজার্ভ কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী

রিজার্ভ-কেউ-চিবিয়ে-খায়নি-প্রধানমন্ত্রী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পায়রা বন্দরের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন ও ভিত স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘরের টাকা ঘরে থাকবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এটা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন যে রিজার্ভের টাকা কেন খরচ করা হচ্ছে? বা রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? যারাই প্রশ্ন করলেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি, এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিতে, বিভিন্ন কাজে আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’

রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল বলে যারা সমালোচনা করেন, তাদের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রিজার্ভের অর্থ কেউ চিবিয়ে খায়নি। এই অর্থ দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, খাদ্য কেনা, সার কেনা, আমদানিসহ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পায়রা বন্দরের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন ও ভিত স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজস্ব এই অর্থ দিয়েই পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই টাকা দিয়েই যেহেতু প্রথম কাজটি আমরা শুরু করলাম, ভবিষ্যতে এভাবেই নিজেদের রিজার্ভের টাকা, এই টাকাও আমরা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। সেটা আমরা বন্দরকে লোন দিয়েছি খুব অল্প সুদে। ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বাদে ২ শতাংশ তাদের দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঘরের টাকা ঘরে থাকবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। এটা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন যে রিজার্ভের টাকা কেন খরচ করা হচ্ছে? বা রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? যারাই প্রশ্ন করলেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়?

‘তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি, এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিতে, বিভিন্ন কাজে আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’

বাংলাদেশকে রক্ষায় শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে উন্নয়নটা হবে সুষম উন্নয়ন। সব অঞ্চলের মানুষ সমানভাবে উন্নত জীবন পাবে। প্রতিটি গ্রামে যারা বাস করে তারা নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহরে পরিণত হবে।’

যুদ্ধ বন্ধ করুন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন

সারা বিশ্বের অগণিত সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে, আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হলেও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও জ্বালানিসংকটে ভুগছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। একদিকে করোনা মহামারি, অতিমারির প্রভাব। এরপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সেই সঙ্গে স্যাংশান। যার ফলে আজকে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। তারা কষ্টে আছেন।’

এই যুদ্ধ কাদের স্বার্থে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘(এই যুদ্ধে) কারা লাভবান হচ্ছে জানি না। হয়তো লাভবান হচ্ছেন, যারা অস্ত্র ব্যবসা করেন বা অস্ত্র বানান। সাধারণ মানুষ কিন্তু, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’

বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার আবেদন থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে, এই যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে, স্যাংশান প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে, জীবনমান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা আমি মনে করি, আমাদের উন্নত বিশ্ব এই যুদ্ধংদেহি ভাব নিয়ে যারা পথে নেমেছেন, তাদের কাছে আমার এই আবেদন থাকল।

‘আমি এটা চাই, মানুষ বাঁচুক, সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেয়া হোক, এই অস্থিরতা বন্ধ হোক। যেন শান্তির সুবাতাস বয়ে যেতে পারে, মানুষের জীবনমান উন্নত হতে পারে, সেটাই আমরা চাই।’

পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দরের পথে পায়রা

২০১৩ সালের নভেম্বরে তৃতীয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করে তৈরি করা হয় মাস্টার প্ল্যান।

পরিকল্পনামাফিক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বন্দর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন, ওয়্যার হাউস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান এবং জেটির মতো অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামোগুলো। দেশি-বিদেশি শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়েছে বন্দরের নিজস্ব ৮টি সহায়ক জাহাজ, প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কাস্টম, ইমিগ্রেশন ও ব্যাংকসহ বন্দর সহায়ক নানা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজের নির্বিঘ্ন চলাচলে বন্দরের চ্যানেলের গভীরতা ৮ মিটার বজায় রাখা হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত এ বন্দরে চলাচল করছে পণ্যবাহী জাহাজ। এদিন এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।

এ ছাড়া বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬ লেনের সংযোগ সড়ক, আন্দারমানিক নদীর ওপর সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের ভিত স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পর্যায়ক্রমে কনটেইনার টার্মিনাল, বার্গ টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনালসহ তৈরি করা হবে অন্যান্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বন্দর তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা যখন করি অনেকেই বাধা দিয়েছেন। বলেছেন, সেখানে বন্দর হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এখানে অনেক সিলড আছে। বিশেষ করে আমাদের রামনাবাদ চ্যানেল আন্ধারমানিক নদী এখানে এত বেশি সিলড, যেগুলো অপসারণ করে খুব বেশি নৌ চলাচলের সুযোগ করা যাবে না। কিন্তু আমার একটা দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।

‘কারণ আমি নিজেই এসব অঞ্চল অনেক ঘুরেছি। প্রতিটি নদীতে আমি স্পিড বোটে করে আমি বিভিন্ন চরগুলোতে গিয়েছি, দেখেছি। তখন থেকে আমার একটা ইচ্ছা ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে সব সময় শুনতাম এ অঞ্চলের কথা। আমার বাবার মুখে শোনা, কাজেই তখন থেকে আমার চিন্তা এখানে একটা বন্দর আমাদের হওয়া দরকার বা ওই অঞ্চলে।’

এর মধ্যে পায়রা বন্দরে ২৬০টি বৈদেশিক বাণিজ্যের জাহাজের আগমনে ৬১৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হওয়ায় আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রামনাবাদ চ্যানেলে যে গভীরতা সেটা ৬ দশমিক ৩ মিটার ধরে রাখার জন্য ইতোমধ্যে মেনটেইনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা এখনও স্থিতিশীল আছে। অনেকের ধারণা ছিল ড্রেজিং করে দিলে পরে আবার পুনরায় সিলড হয়ে যাবে।

‘আমার কথা হচ্ছে এটা আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই যখনই আমরা কোন ড্রেজিং করব আমাদের প্রথমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। এবং প্রতি বছর আমাদের মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। তাহলে আমাদের নৌপথ গুলো সচল রাখা সম্ভব।’

পায়রা বন্দরের সক্ষমতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চ্যানেলটিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রেজিং কাজ। এর ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং কমবেশি ১০ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এতে বন্দরে ৩০০০ টিইইউ বা ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন কার্গো বহনক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ ভেড়ানোর সক্ষমতা এই বন্দর অর্জন করবে।’

রামনাবাদ চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও মেনটেইনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজে সহযোগিতা করছে বেলজিয়ামভিত্তিক বিশ্বখ্যাত একটি ড্রেজিং কোম্পানি। এ জন্য বেলজিয়াম সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা কিন্তু প্রতিবছরই ড্রেজিং করতে হবে। এ জন্য পায়রা বন্দরের জন্য নিজস্ব ড্রেজার সংগ্রহ করতে হবে। প্রত্যেক বন্দরের জন্য আলাদা নিজস্ব ড্রেজারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের মোংলা বন্দরেও নিজস্ব ড্রেজার ছিল না। আমি মনে করি, ড্রেজার রাখা দরকার। কারণ প্রতি বছরই মেনটেইনেন্স ড্রেজিংটা আমাদের নিয়মিতভাবে করে যেতে হবে।’

ড্রেজিং হয়ে গেলে নৌপথটা উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া কথা জানান দেশের টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি এর মাধ্যমে আসাম এবং ভুটান পর্যন্ত কিন্তু নৌপথ চালু হতে পারে। আমরা যেমন আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দর ভুটান, নেপাল ও ইন্ডিয়াকে ব্যবহার করবার জন্য আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। পায়রা বন্দরটাও কিন্তু একসময়, যেহেতু এটির একপাশে মোংলা, এক পাশে চট্টগ্রাম বন্দর, ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় হচ্ছে পায়রা বন্দর। ফলে এটি কিন্তু অন্য ধরনের একটা গুরুত্ব বহন করবে। সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’

নদীমাতৃক দক্ষিণাঞ্চলে মাটির কারণে রেল যোগাযোগ তৈরি করা কষ্টসাধ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবুও এটার ওপর সীমাক্ষা চলছে। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা আছে যে একেবারে ঢাকার সঙ্গে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলসেতুও চালু করব।

‘আমি নৌপথকে সব থেকে গুরুত্ব দিই। কারণ নৌপথ সব থেকে অল্প খরচে করা যাবে। আর এখান থেকে নৌপথে সমগ্র বাংলাদেশে আমরা যোগাযোগ করতে পারব।’

আরও পড়ুন:
দেশ ও মানুষের কথা ভাবুন: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
যে যা পারো খাবার উৎপাদন বাড়াও: প্রধানমন্ত্রী
লোডশেডিংয়ের সময়ে বাংলাদেশের পাশে নেপাল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে ইরান
সিত্রাং মনিটরিং সেল: তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
I will not be in any position in the post government government in February
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে ড. ইউনূসের নিবন্ধ

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেসারাট নিউজে নিবন্ধ লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে গত বছর বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে প্রফেসর ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আর নির্বাচন শেষেই তিনি রাষ্ট্রের সব দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। নির্বাচনে যে সরকার গঠিত হবে সেটির কোনো পদেই থাকবেন না বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।

ড. ইউনূস লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করেছি : জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত করা কোনো পদে আমি থাকব না।’

তিনি বলেছেন, ‘আমার সরকারের মূল লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের সঙ্গে তাদের পরিকল্পনাগুলো বলতে পারবে। আমাদের মিশন হলো, সব বৈধ ভোটার যেন তাদের ভোট দিতে পারে, যারা প্রবাসে আছেন তারাও। এটি একটি বড় কাজ। কিন্তু আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রফেসর ইউনূসের নিবন্ধটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

এক বছর আগে, এই মাসেই বাংলাদেশের হাজার হাজার সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শিক্ষার্থী, যাদের পেছনে ছিল সমাজের সব স্তরের অগণিত মানুষের সমর্থন, আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, যা শেষ পর্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়েছিল, তার মাধ্যমেই তারা একজন স্বৈরাচারকে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য করে।

এরপর যে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে ছাত্রনেতারা আমাকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ জানায়। এই সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশকে স্থিতিশীল করা এবং গণতন্ত্রের নতুন পথ তৈরি করা। শুরুতে আমি রাজি হইনি। কিন্তু যখন তারা জোর করল, তখন আমি তরুণদের জীবন উৎস্বর্গের কথা ভাবলাম, আমি তাদের ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, সুশীল সমাজের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা পরিষেদের সঙ্গে আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করি।

এই গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা থেকে। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম ‘জেনারেশন জেড’ বিপ্লবের সূত্রপাত হয়েছিল। এই বিপ্লব তরুণদের জন্য একটি আদর্শ হয়ে উঠেছে, যা দেখায় কীভাবে তারা মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো—যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং বৈষম্য—মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।

আমরা ভাগ্যবান যে তারা ‘তাদের পালা আসার জন্য’ অপেক্ষা করেনি। যখন সভ্যতা অনেক দিক থেকে ভুল পথে চালিত হচ্ছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছিল যে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।

স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে আমাদের উত্তরণের একটি স্পষ্ট প্রমাণ ছিল যখন দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকী বাংলাদেশকে তাদের ‘২০২৪ সালের সেরা দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা তখন অর্থনীতি পুনর্গঠন, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং চুরি যাওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ উদ্ধারে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, আমরা তখনো বুঝতে পারিনি বিশ্ব আমাদের এই অগ্রগতিকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। ডেসারেট নিউজ আমাদের এই যাত্রার চমৎকার কাভারেজ দিয়েছে, যা আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করি।

আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার ছিল গণঅভ্যুত্থানে যারা নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল এবং যারা গুরুতর আহত হয়েছিল—সেই হাজার হাজার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। এরসঙ্গে আমরা বিগত সরকার ও তার সহযোগীদের লুট করা অর্থ উদ্ধারেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার বছরে ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে। এই অর্থ পুনরুদ্ধার করার জন্য যুদ্ধ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যখন আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন অব্যবস্থার মাত্রা দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছিল না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছিল। অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছিল।

সরকারি কর্মচারীরা, যারা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য না দেখানোর কারণে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, তারা ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন।

ধীরে ধীরে আমরা পুনর্গঠন শুরু করেছি। যেসব রাজনৈতিক দল স্বৈরাচারের প্রতিরোধ করেছিল, তাদের পাশাপাশি নতুন গঠিত দলগুলোও নতুন ধারণা, শক্তি এবং কর্মপ্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনী, যারা ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালাতে দেয়নি, তারা তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।

আমি এটি স্পষ্ট করে দিয়েছি: আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি এরপরের সরকারের কোনো নির্বাচিত বা নিযুক্ত পদে থাকব না।

আমাদের প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবে। বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকসহ সব যোগ্য নাগরিককে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া একটি বিশাল কাজ। কিন্তু আমরা এটি সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেও পরিবর্তন এনেছি। যেন আমাদের প্রতিবেশী এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক জোরদার করা যায়।

বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির একটি মূল কেন্দ্র হতে পারে এবং হওয়া উচিতও। আমরা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।

রুবিওরে সঙ্গে সম্প্রতি আমার একটি ফলপ্রসূ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, যা আমাদের উভয় দেশের বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক ছিল।

যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘও আমাদের সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা এই পথে একা নই।

নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের নিয়ে একটি ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছি। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সাংবিধানিক সংশোধনী আনা। যা এমন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনে ফিরে না যায়।

বাংলাদেশ যদি শেষ পর্যন্ত এমন একটি দেশে পরিণত হয় যেখানে দেশের সব মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। তবে তা হবে লাখ লাখ বাংলাদেশির দৃঢ়তা, কল্পনা এবং সাহসের ফল।

এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে যারা আছেন তাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। তারাই আমাদের সর্বোত্তম আশা—এবং সম্ভবত আমাদের শেষ আশা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Authorization of Visa Exemption Agreement with Pakistan

পাকিস্তানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন

পাকিস্তানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন

সরকারি এবং কূটনীতিক পাসপোর্টে পারস্পারিক ভিসা অব্যাহতি সুবিধা পেতে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, ‘পাকিস্তানের মতো এ রকম চুক্তি আমরা আরও ৩১টি দেশের সঙ্গে করেছি। এই চুক্তি পাঁচ বছরের জন্য করা হবে । এর ফলে যারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন, তারা এখন বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন। একইভাবে পাকিস্তানের যারা অফিসিয়াল এবং কূটনীতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন— তারাও বাংলাদেশে সফর করতে পারবেন কোন ভিসা ছাড়াই। এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস।’

উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Authorization of the draft of the Revenue Policy and Revenue Management Amendment Ordinance

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের ৩৯তম বৈঠকে আজ ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণের পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদকে সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Ministry of Social Welfare wants to work through the coordination team to speed up the pace the new secretary of the ministry

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Ministry of Youth and Sports is going to organize the National Policy Competition 2021

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নয়টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫। জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য "বাংলাদেশ ২.০: তারুণ্যের নেতৃত্বে আগামীর পথে " নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ধারণাপত্র জমা দিয়ে শুরু করবে এবং নির্বাচিত দলসমূহ পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রস্তুত ও উপস্থাপনা করবে। বিজয়ীরা পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি তাদের নীতি প্রস্তাবগুলো সরকারিভাবে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

নীতি প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হল-

১. রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

২. জুলাই পরবর্তীতে সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: জাতীয় স্বার্থ ও বৈদেশিক সম্পর্কের পুনঃসংজ্ঞায়ন

৩. নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ: শিক্ষা ও দক্ষতার রূপান্তর

৪.দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ: জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী তরুণদের ভূমিকা

৫. গুজব প্রতিরোধে বাংলাদেশের করণীয় ও বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি

৬. জুলাই গণভুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ

৭.বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ: সম্ভাবনার ব্যবহার ও নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা প্রস্তুতি

৮. সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের পথে: ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

৯. চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্বোধনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র

  1. কৃষি, নদী উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় ব-দ্বীপের পুনরাবিষ্কার।

রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতিগতভাবে অগ্রসর হওয়া। তরুণদের চিন্তাপ্রক্রিয়া, মননশীলতা এবং গবেষণাধর্মী সক্ষমতাকে সামনে রেখে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করা সম্ভব আর সেটি হতে হবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে বিনিয়োগ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই আমাদের রাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ ২.০-কে বাস্তবায়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jatiya Sangsad Election September 7 published a list of draft polling booths

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে এবং তা ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৮ (১) ও (২) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ ও চূড়ান্তকরণের জন্য গেজেটে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বে তা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, এই তালিকার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী : খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর, সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ: ২০ অক্টোবর।
উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ছকের আলোকে খসড়া ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত তথ্য (সফটকপিসহ) আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The species of indigenous fish must be protected by identifying reservoirs across the country Fisheries and Livestock Advisors

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।

উপদেষ্টা বুধবার (২০ আগষ্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়' -শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কমছিল। তাই আমরা এখাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।

৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।

প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে