× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
15 including the police were injured in the clash between the two sides of A League
google_news print-icon

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫

আলীগের-দুই-পক্ষের-সংঘর্ষে-পুলিশসহ-আহত-১৫
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা শেখ মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ ও জামাতা মামুন গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটে দাঁড়ান। দুজনই পরাজিত হন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে দুপক্ষের লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায়।

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

উপজেলা সদরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আতঙ্কে আশপাশের দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। লোকজন রাস্তা থেকে সরে যায়।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও তার জামাতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ হোসেন ও কনস্টেবল মো. জুয়েল ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন।

তিনি আরও জানান, দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জব্দ করা হয় ১০টি ককটেল।

কী কারণে সংঘর্ষ জানতে চাইলে থানা পুলিশ জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা শেখ মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ ও জামাতা মামুন গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটে দাঁড়ান। দুজনই পরাজিত হন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে দুই পক্ষের লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায়।

পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের কীর্তিনাশা নদীর তীর ও ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর ওপর প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ।

এ বিষয়ে মামুন মোস্তফা বলেন, ‘বাদশা শেখের লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমার কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আমার ৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’

বাদশা শেখ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই কাদির শেখের ছেলে মিলন শেখকে মারধর করা হয়। এর জের ধরে কিছু লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আমি ও আমার ছেলে ইউনুছ মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম।’

আরও পড়ুন:
ক্ষমতায় আসবে আ.লীগই, হারানোর দল নেই : মির্জা আজম
আ.লীগের সম্মেলন শেষে পদবঞ্চিতদের হামলা-ভাঙচুর
জাফর উল্যাহর হাতে নিক্সন-নিয়ন্ত্রিত আ.লীগ কার্যালয়
আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh became because Bangabandhu was born PM

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, স্বতন্ত্র জাতিসত্তা ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র দেয়ার জন্য। মাতৃভাষার আন্দোলন দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। আর তার হাত ধরেই আসে দেশের স্বাধীনতা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মেছিলেন বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। তার জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, স্বতন্ত্র জাতিসত্তা ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র দেয়ার জন্য।’

বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘মাতৃভাষার আন্দোলন দিয়ে যাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তারই হাত ধরে আসে দেশের স্বাধীনতা। দেশ গঠনের জন্য তিনি অল্প কিছুদিন সময় পেয়েছিলেন। তার মধ্যেই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভিত রচনা করেছিলেন।

‘একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের যা যা প্রয়োজন তার সবই গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেঈমান মিলে তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। থমকে যায় সামনে এগিয়ে যাওয়া। পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে দেশ। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।’

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগকেও বার বার ধ্বংসের অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন দলটির সভাপতি। তিনি বলেন, হাজার অত্যাচার আর নির্যাতন করেও আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেন। ইতিহাস শুধু বিকৃত করা নয়, স্বাধীনতার আদর্শকে বিসর্জন দেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসে। ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।’

বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এরা (বিএনপি) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছে।

‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করান। এমনকি ৭ খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়।’

আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামে শহরের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করছি। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে।

‘বিএনপি অন্ধ বলে উন্নয়ন দেখে না। তারা মাইক লাগিয়ে সারাদিন ভাঙা রেকর্ডের মতো মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের করে দেয়া ডিজিটাল দেশের সুবিধা নিয়ে বিএনপি সারাদিন বলে বেড়ায় যে সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি।’

আসন্ন রমজান মাসে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রমজানে সব ধরনের পণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। এসবের মধ্যে কেউ যাতে মজুতদারি, কালোবাজারি করে জনগণের ভোগান্তি না বাড়ায় সে জন্য সবাইকে নজর রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
রমজানে কিছু ব্যবসায়ী জিনিসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
বিদায় হজে মহানবীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বে নার্সিং পেশার গুরুত্ব ও খ্যাতি বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী
‘করুণা নয়, ন্যায্য অধিকার চাই’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ববির শ্রদ্ধা রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will not allow BNP Jamaat to come to power again PM

জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী

জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তার বাংলাদেশ সেভাবেই বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে আর তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীরা আর কোনোদিন এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের কখনও মেনে নেবে না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

সরকার দেশের উন্নয়নে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো ঘরে ঘরে মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াতত) মানুষের কাছে বার বার মিথ্যা বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই সত্য করতে চায়। কিন্তু তাদের আমলে মানুষ কী পেয়েছে? খাবারের জন্য হাহাকার, বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গেছে। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি চেয়েছিল বলে রমজান মাসে ২৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা এবং সার চেয়েছিল বলে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কারও কাছে সার চাইতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সুপেয় পানি ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছি, এখন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

দেশের মানুষ ভাল থাকলে বিএনপি-জামায়াতিদের মনে কষ্ট হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনিই এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই তার বাংলাদেশে কোনো মানুষ অন্নকষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না, শিক্ষার আলোবঞ্চিত থাকবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন-মান উন্নত হবে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তার বাংলাদেশ সেভাবেই বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আওয়ামী লীগ এবং এর প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় সূচনা বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন সভায় বক্তব্য দেন।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম সভা সঞ্চালনা করেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মাদকের বিস্তার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলব স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জুমার খুতবায় কী নিয়ে কথা বলার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There was no option to take the help of law and order forces in the polls

‘ভোটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না’

‘ভোটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না’ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে সদ্য নির্বাচিত কমিটি। ছবি: নিউজবাংলা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদ্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন একতরফা হয়নি। আর এই নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিপন্থিদের গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দায়ী।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না বলে দাবি করেছেন সদ্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী নেতারা।

রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল। এ সময় সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন একতরফা হয়নি।’

নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘তাদের গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস এজন্য দায়ী।’

লিখিত বক্তব্যে আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান এবং সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল সমিতির কনফারেন্স রুমে বসে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করছিলেন। হঠাৎ দরজায় ধাক্কা দিয়ে বহিরাগত লোকজনসহ সন্ত্রাসী কায়দায় মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল কনফারেন্স রুমে ঢুকে আহ্বায়ককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

‘তারা টেবিলের ওপরে থাকা ব্যালট পেপার ছিনতাই করে কিছু ছিঁড়ে ফেলেন এবং কিছু নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন এবং ন্যক্কারজনক।’

‘এছাড়াও তারা ব্যালট পেপার তছনছ করেন এবং পায়ে মাড়িয়ে দলিত মথিত করেন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। ফলে নির্বাচনের আগের রাতেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর চেষ্টা করলে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে অনেক বহিরাগত সন্ত্রাসী প্যান্ডেলে ঢুকে পড়েন ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

‘ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হতে থাকে এবং একটানা ভাঙচুর চলতে থাকে। এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ শুরু ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য গ্রহণ ব্যতীত কোনো বিকল্প অবশিষ্ট ছিল না।’

আবদুন নূর দুলাল বলেন, ‘ইতোপূর্বে সব নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়া হয়। বর্তমান নির্বাচনেও পদত্যাগকারী আহ্বায়ক মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী সহায়তা চেয়ে চিঠি দেন। এমনকি প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।’

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালনকালে ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকরা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সামগ্রিক দায়ভার বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সামগ্রিক বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সংযম, দায়িত্বশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের পরিচয় দিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। দুই দিনব্যাপী এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা ১৪ পদে জয়লাভ করেন।

আরও পড়ুন:
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট শুরু বুধবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami Leagues principle money laundering Fakhrul

আওয়ামী লীগের মূলনীতি টাকা পাচার: ফখরুল

আওয়ামী লীগের মূলনীতি টাকা পাচার: ফখরুল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিচ্ছে। সরকার ব্যাংক খাতে লুট করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টুকরো করে দিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৮শ’ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি।’

দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মূলনীতি টাকা পাচার করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই রাষ্ট্রকে এখন সংস্কার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তেমনই দেশকে নতুনভাবে পরিচালনার জন্য সংস্কার প্রয়োজন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এদিন বিএনপির নির্ধারণ করা ১২টি সাংগঠনিক মহানগরে এই সমাবেশ করা হয়।

নয়াপল্টনের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। এরপর ১০ দফার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুনভাবে এই রাষ্ট্রকে সাজাতে হবে।’

আওয়ামী লীগ প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার ব্যাংক খাতকে লুট করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টুকরো করে দিয়েছে। দেশের রিজার্ভ থেকে ৮শ’ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে।’

দেশের সব জায়গায় দুর্নীতি ছেয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি। ইউনিয়ন পরিষদ, আদালত সবখানেই দুর্নীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি। সেখানেও ঘুষ দিতে হয়। একজন পিয়নের চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

কারণ এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের আদালত প্রাঙ্গণেও এ সরকার ভোট চুরির স্বরূপ দেখিয়েছে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি জনগণের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। এই সরকার জনগণের আন্দোলনে সরে যেতে বাধ্য হবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরিচয় এখন ভোটচোর। আদালতেও তারা এখন ভোট চুরি করে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই- আগামীতে আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে এই সরকারের ফয়সালা করা হবে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন কোপাকুপি লীগে পরিণত হয়েছে। তারা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে। এই আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে হবে রাজপথে।’

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই সরকার বড় পরিকল্পনা করেছে। রমজানের পর বিএনপির সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ঈদের পর বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে নামতে দেয়া হবে না।

‘এটা হতে দেয়া যাবে না। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে হটাবে।’

আরও পড়ুন:
সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরানোর দায়িত্ব সরকারের: ফখরুল
আদানির সঙ্গের চুক্তি দেশবিরোধী: ফখরুল
ভিন্ন দল করায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারীদের স্মরণ করা হয় না: ফখরুল
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি: ফখরুল
সময় হলে রাজনীতিতে আসবেন খালেদা জিয়া: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Govt talks of development but fears public vote Moin Khan

সরকার উন্নয়নের কথা বলে অথচ জনগণের ভোটকে ভয় পায়: মঈন খান

সরকার উন্নয়নের কথা বলে অথচ জনগণের ভোটকে ভয় পায়: মঈন খান শনিবার খুলনার নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন আবদুল মঈন খান। ছবি: নিউজবাংলা
মঈন খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবকিছুর মূল্য বাড়লেও মানুষের জীবনের মূল্য কমেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হলে আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের কথা বলে অথচ জনগণের ভোটকে ভয় পায়। আর জনগণকে ভয় পায় বলেই তারা দিনের ভোট রাতে করেছে।

শনিবার বিকেলে খুলনার নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করছে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ রক্তাক্ত। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবকিছুর মূল্য বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য কমেছে। গত ৪ মাসে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে সরকার।’

মঈন খান আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে, সুপ্রিম কোর্ট দখলে নিলে কি সংবিধান লঙ্ঘন হয় না? মানুষের ভোটের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বনি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুন:
মিথ্যা ইতিহাস লিখে স্কুলে পাঠদানের চেষ্টা হচ্ছে: মঈন
সরকার কুশিক্ষা দিয়ে জাতিকে ধ্বংস করছে: মঈন খান
সরকার শিশুদের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে: মঈন খান
জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন দূর করেছেন: মঈন খান
ম্যাককালামের প্রস্তাবে টেস্টে ফিরতে চান মঈন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If BNP and its allies had not pulled back the country would have gone further Information Minister

বিএনপি ও তার মিত্ররা পেছনে না টানলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি ও তার মিত্ররা পেছনে না টানলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: তথ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তার মিত্ররা সবকিছুতে না বলা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে। তাদের রাজপথের সংঘর্ষের রাজনীতি আজ সুপ্রিম কোর্টের বারান্দায় পৌঁছে গেছে। সেখানে আইনজীবীদের নির্বাচনে তারা ব্যালট ছিনতাই করেছে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি ও তার মিত্ররা সেই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তারা পেছনে টেনে না ধরলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব অপশক্তিকে দমন করে, সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় আজ শপথ নেয়ার দিন।

‘জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা, যার ধমনি-শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবহমান, যার কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয়, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে চলেছে। জাতির পিতার জন্মদিন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সার্থকতা এখানেই যে, পাকিস্তান আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।’

তথ্যমন্ত্রী এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই আলোচনায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তার মিত্ররা পলিটিক্স অভ ডিনায়াল এবং ‘পলিটিক্স অভ কনফ্রন্টেশন অর্থাৎ সবকিছুতে না বলা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে। তাদের রাজপথের সংঘর্ষের রাজনীতি আজ সুপ্রিম কোর্টের বারান্দায় পৌঁছে গেছে। সেখানে আইনজীবীদের নির্বাচনে তারা ব্যালট ছিনতাই করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি এবং এখানে দায়িত্বশীলদের সমালোচনা হবে, বিতর্ক হবে। কিন্তু সবকিছুতে না বলার রাজনীতির যে অপসংস্কৃতি, তা দূরীভূত হওয়া প্রয়োজন।

‘আমাদের সবার লক্ষ্য হবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাহলেই আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে পারব।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ সভায় বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত কবি রফিক আজাদের ‘এই সিঁড়ি’ কবিতার আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।

আরও পড়ুন:
পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ব্যালট ছিনতাই করেছেন বিএনপিপন্থীরা: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্রীড়ায় এগিয়েছে দেশ: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে হামলা জামায়াত-বিএনপির মহাপরিকল্পনার অংশ: তথ্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া করেছেন বিভেদ, শেখ হাসিনা গড়েছেন সম্প্রীতি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government disoriented by fear of defeat 12 party alliance

পরাজয় আতঙ্কে সরকার দিশেহারা: ১২ দলীয় জোট

পরাজয় আতঙ্কে সরকার দিশেহারা: ১২ দলীয় জোট রাজধানীর বিজয়নগরে শনিবার ১২ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তব্য দেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। ছবি: নিউজবাংলা
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। কিন্তু এই সরকার সেই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা বাতিল করেছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি মানতে বাধ্য হবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সরকার ততই বেপারোয় উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেছেন, জনসমর্থনহীন এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। পরাজয়ের আতঙ্কে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।’

রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শনিবার এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বায়স্তবানে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘জনগণের ভোটে অবাধ নির্বাচনে এই সরকারের সবচেয়ে বড় ভয়। কারণ জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠনের সাহস তাদের নেই।

‘বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্যকে সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে। মানুষ খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। জনগণের এখন একটাই চাওয়া- এই লুটেরা সরকারের বিদায়।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। কিন্তু এই সরকার সেই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা বাতিল করেছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি মানতে বাধ্য হবে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, বাংলাদেশ ন্যাপের (ভাসানী) আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ নৌকা চিরতরে ডুবিয়ে দেবে’
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’ নামে নতুন জোট
২০ দলের সাবেক শরিকদের নতুন মোর্চা ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’
বিএনপির ছাড়া আসনে আওয়ামী লীগের ছাড়ের আশায় জাপা
নয়াপল্টনে পুলিশি হামলার নিন্দা বাম জোটের

মন্তব্য

p
উপরে