ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝোড়ো বাতাসে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পার্ক কিংবা উদ্যানে লাগানো গাছের চেয়ে বেশি উপড়ে গেছে সড়কের আইল্যান্ড এবং ফুটপাত ঘেঁষে লাগানো গাছগুলো।
উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে, তাদের এলাকায় গতরাতের ঝড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুইশতাধিক গাছ ভেঙে পড়ছে। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা না বলতে পারলেও আনুমানিক দেড় থেকে দুইশ গাছ ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করছে।
প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি অল্প ঝড়েও রাজধানীর রাস্তায় গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কখনও কখনও ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। প্রশ্ন উঠেছে, খোলা মাঠের চেয়ে সড়কের আশপাশে লাগানো গাছই কেন বেশি পড়ছে?
উদ্ভিদ বিশেজ্ঞরা বলছেন, এত বড় ঝড়ে কিছু গাছ পড়বে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সোমবার রাতে এত গাছ পড়া অস্বাভাবিকভাবে নেয়া যায় না। এ ছাড়া সাধারণ ঝড়েও রাজধানীর সড়কে ওপর হারহামেশা গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মূলত রাস্তার মাঝে বা ফুটপাতে লাগানো গাছ শক্ত কোনো ভিতের ওপর না থাকা এবং নার্সারি থেকে প্রধান মূল কাটা গাছ সংগ্রহ করে রোপণ করার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে আগামীতে সড়ক ও ফুটপাত তৈরির সময় সেখানে লাগানো গাছ যাতে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই কাজ করা হবে।
গতরাতে সিত্রাং নামক ঘূর্ণিঝড়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ওপর গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাতেই সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকটি টিমকে সেই সব গাছ অপসারণের কাজ করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কাজ করে সব গাছ অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, গত রাতের ঝড়ে উত্তর সিটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই শাতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে। রাত থেকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত আমাদের ১০টি অঞ্চলের ১০টি টিম কাজ করে পড়ে যাওয়া গাছগুলো অপসারণ করেছে। এখন মোটামুটি সব সড়কই চলাচলে উপযোগী হয়েছে।’
আর দক্ষিণ সিটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না বলতে পারলেও দেড় থেকে দুই শতাধিক গাছ পড়েছে বলে জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উপড়ে পড়েছে ২০টি গাছ। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনের সামনে থাকা আরও কিছু গাছ পড়েছে।
গত রাতের ঝড়ে মোহাম্মাদপুরের আসাদ গেট এলাকায় ফুটপাতের ওপর থাকা একটি বড় গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সকালের মধ্যেই সড়কের ওপর থেকে সেটি অপসারণ করে সিটি করপোরেশন। দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের ওপর গাছের গোড়ালি পড়ে আছে। তবে পুরো গাছের ডাল-পালা কেটে নিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় পথচারী হাবিব রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাশের গলিতেই আমি থাকি। মধ্যরাতে জোরে একটা শব্দ শুনতে পাই। তখন ভেবেছি বাস এক্সিডেন্ট করেছে। বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা নিয়ে এখান এসে দেখি বাতাশে এই গাছ পড়ে গেছে। ভাগ্য ভালো, তখন এখানে কোনো মানুষ ছিল না, থাকলে বড় কিছু হয়ে যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এইখানে একটু জোরে ঝড় হলেই গাছ পড়ে যায়। মূলত এইখানের মাটি ভালো না। তাছাড়া গাছের এক পাশেই রয়েছে ইটের প্রাচীর আর এক পাশে রয়েছে রাস্তা। এর মাঝে তো গাছের শিকড় বেশি দূরে যেতে পারে না। যার কারণে এখানে একটু জোরে বাতাস হলেই মাঝে মাঝে গাছ পড়ে যায়।’
রাস্তার মাঝে ও পাশের লাগানো গাছ কেন বেশি উপড়ে যায় এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আশফাক আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাছ পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই আমাদের শহরের বেশিরভাগ রাস্তার মাঝের আইল্যান্ড প্রশস্ত নয় এবং এর গভীরতাও বেশি নয়। দেখা যায়, আইল্যান্ড তৈরির সময় নিচের কনক্রিট বা ইট জাতীয় বস্তু রেখেই তা তৈরি হয়। এ কারণে গাছের শেকড় বেশি বিস্তৃতি লাভ করতে পারে না।
‘এ ছাড়া ফুটপাত ও আইল্যান্ড ভালো মাটি দিয়েও ভারাট করে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কারণে আমরা দেখতে পাই একটু ঝোড়ো হাওয়া হলেই শহরের কোথাও না কোথাও রাস্তায় গাছ পড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সড়কের পাশে পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। তারপরও কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এই বিষয়গুলো নজরে রেখে পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো।’
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের উপবন সংরক্ষক (বন ভবনের রিমস্ ইউনিট) মোহাম্মাদ জহির ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন মূলত ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার গাছ রোপণ করে, যাতে গরু-ছাগলে খেয়ে ফেলতে না পারে। এই গাছগুলো যেহেতু ২ থেকে ৩ বছর নার্সারিতে থাকতে হয়, তাই এই গাছগুলোর মূল মাটির গভীরে চলে যায়। যখন নার্সারির মালিক এই গাছগুলো টবে বা পলিব্যাগে উঠিয়ে বিক্রি করেন, তখন মাটির গভীরে থাকা গাছের প্রধান শেকড় কেটে ছোট করে তুলে আনেন। এতে হয়তো গাছ বাঁচে, কিন্তু প্রধান শেকড় না থাকায় এই গাছগুলোর মূল এবং শিকড় বেশি দূর যেতে পারে না। স্বভাবিকভাবেই এই গাছ একটু জোরে ঝোড়ো হাওয়া হলেই উপড়ে পড়বে। রাস্তার পাশের গাছ উপড়ে পড়ার এটা একটা বড় কারণ।
‘আর একটা কারণ হলো রাস্তার আইল্যান্ড বা ফুটপাতে চারপাশে কনক্রিট থাকে, যার কারণে গাছের শিকড় গভীরে যেতে পারে না। এ ছাড়া শহরে লাগানোই ঠিক না এমন গাছও আমরা এই শহরে লাগাচ্ছি। যে গাছগুলো একটু বড় হলেই ফাঁকা জায়গায় থাকলেও জোরে বাতাসে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাস্তার পাশে লাগানো এই গাছগুলো যে শক্ত ভিতের ওপর থাকা দরকার, সেই ভিতের ওপর থাকে না। ছোট একটা আইল্যান্ডের ওপর যখন একটা মাঝারি বা বড় গাছ থাকে, তখন বাতাসে সেটা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর শিকড়ই তো বেশি দূর যেতে পারে না। এ কারণে দেখা যায়, ঝড় হলে রমনা পার্কসহ অন্যান্য পার্কের গাছের খুব একটা সমস্যা হয় না, কিন্তু একই ঝড়ে রাস্তার আইল্যান্ড বা ফুটপাত ঘেঁষে লাগানো গাছ উপড়ে যায়।
‘আমরা চেষ্টা করছি ভবিষ্যতে আমাদের যে রাস্তাঘাট তৈরির সময় সেগুলো এমনভাবে তৈরি করব, যাতে আমাদের রাস্তার পাশের এই গাছগুলো শক্ত ভিত পায়। আমরা সেই পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছি। তবে এটা স্বাভাবিক যে সিত্রাংয়ের মতো একটি ঝড়ে শহরের কিছু গাছ পড়বেই। পৃথিবীর সব দেশেই এমন ছবি আমরা দেখতে পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রকম ঝড়ে সব জায়গায় গাছ উপড়ে যায়, তবে সেগুলো আমাদের জনজীবনে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না বলে সেটা আমাদের দৃষ্টিতে তেমন একটা আসে না। রাস্তা ওপর সবার দৃষ্টি থাকে বলেই সবাই এটা দেখতে পায় এবং এটা নিয়ে আলোচলা করে।’
গাছের প্রধান মূল কেটে ফেলা গাছ কিনে সিটি করপোরেশন লাগাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম রেজা বলেন, ‘এ বিষয় আমার জানা নেই। এ রকম ঘটনা ঘটলে আগামীতে গাছ দেখেশুনে লাগাব।’
আরও পড়ুন:সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে গতিরোধ ও বিক্ষোভের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে প্রধান আসামি করে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক ওবায়দুল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্তে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও অবরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও আজির উদ্দিন। এ ছাড়াও মামলায় আরও সাতজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।’
গত শনিবার (১৪ জুন) জাহিদ খান ও আজিরের নেতৃত্বে জাফলংয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এতে বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহরের গতিরোধ করা হয়। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তার বাড়ি ঢাকা বিভাগে। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৩ জন।
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদীয় আসন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থান পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে নেত্রকোণা জেলা শহর এবং এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বধলা উপজেলা গঠিত হয়েছে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে, যেগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আয়তন ৩০৮.০৩ বর্গ কিঃমিঃ। মোট জনসংখ্যা-৩,১০,৮৩৪। পুরুষ-৪৯.২৭%, মহিলা-৫০.৭৩%। মুসলমান-৯৪.৮০%, হিন্দু-৪.৮১%, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান- ০.১৯% এবং অন্যান্য-০.২০%। এখানে গারো ও হদি নামক দু’টি আদিবাসী সম্প্রদায় আছে। তাদের পরিবারের সংখ্যা- ৪৪৫টি। মোট ভোটার-২,৭০,৬৯৯ জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। পুরুষ ভোটার: ১,৩৭,৯১৬জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। মহিলা ভোটার:১,৩২,৭৮২ জন ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাপ্ত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্র সংখ্যা: ২,৩৬,১০৩। বিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২,১০,৭৯১। অবিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২৫,৩১২।
এবার পূর্বধলা সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস (তথ্য ক্যাডার)। সাবেক বিসিএস জুডিশিয়ারী (সহকারী জজ) (কোয়ালিফায়েড ফর বিসিএস-২২)। সাবেক লেকচারার, আইন বিভাগ, কুইন'স ইউনিভার্সিটি।
সলিসিটর ফর ইংল্যান্ড, এন্ড ওয়েলস হাইকোর্ট। প্রিন্সিপাল সলিসিটার অফ মওদুদ ল'চেম্বার্স সলিসিটর্স, লন্ডন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়াও তিনি বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান বলেন, ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিএনপি'র একত্রিশ দফা বার্তা নিরচ্ছন্ন ভাবে পৌছানোর দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়ীতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে একেকটি পরিবারের ও গ্রাম্য জীবন তথা উপজেলার সার্বিক জাতীয় সমস্যা, উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কাজ করে যাবে। আমাদের স্লোগান ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে যেই আগামীর নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবো। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রিহীন, অসৎ লোক, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন স্বার্থপর তথা জনগণের আস্থার পরীক্ষায় ফেল করা কোনো ব্যাক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র হাই কম্যান্ডসহ বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইবেন না। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী চাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র দলের হয়ে জনগণের সেবায় বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন ও কঠিনতর হবে। পেশিশক্তির দিন শেষ এবং দিন শেষে জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বাস করি পূর্বধলার জনগণ জননেতা নির্বাচনে কোনোক্রমেই ভুল করবেনা। প্রাণের পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের নিমিত্তে অবশ্যই একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি বিরোধী, দেশপ্রেমিক, নিঃস্বার্থ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজে নেবে পূর্বধলাবাসী। সে জন্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বধলার মনোনয়ন বিএনপির হাইকমান্ড ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করবে। সকল জাতীয়দাবাদী নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক, শুভানুদ্ধায়ীদেরকে ধানের শীষের সমর্থনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূর্বধলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী দলীয় সংহতির ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের দৃপ্ত আহবান জানাই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, একতাই বল। পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়নে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা তারেক রহমানের একত্রিশ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেরামতে ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় মুক্তির ভূমিকা পালনে সবাই অংশগ্রহণ করি। পূর্বধলার সকল সম্মানিত নাগরিকের আস্থা, ভালোবাসা, কল্যাণ ও পছন্দের প্রতীক হউক ধানের শীষ।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই শতভাগ আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।
ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।
ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’
অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে কর্মকর্তাদের ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।
সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে সিইসি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদেরকে যতকাজ দিয়েছি, কোন কাজে আপনারা ব্যর্থ হননি। টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আপনারা সব কাজ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যা বাকি আছে, অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে আছে। এখন সবাই মিলে ফিনিশিং দিতে হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, আমাদের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করা, আইন অনুযায়ী কাজ করা, বিবেক সম্মতভাবে কাজ করা।
সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা থাকব রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে খেলুক। খেলে যারা জিতবে জিতুক।
আমাদের দায়িত্ব হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সবসময় বলে যাচ্ছেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। কিসের ওপর ভিত্তি করে উনি কথাটা বলছেন। এই যে উনি ওয়াদাটা দিচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী দিচ্ছেন। আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ওয়াদাটা দিচ্ছেন।’
সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।
সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।
যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য