× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Navy is ready for rescue work with 17 ship helicopters
google_news print-icon

১৭ জাহাজ, হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকাজে প্রস্তুত নৌবাহিনী

১৭-জাহাজ-হেলিকপ্টার-নিয়ে-উদ্ধারকাজে-প্রস্তুত-নৌবাহিনী
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-পরবর্তী উদ্ধার ও চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত নৌবাহিনীর জাহাজ। ছবি: আইএসপিআর
ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টস মোতায়েন করা হবে।

ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌঅঞ্চলে মোতায়েনের জন্য ১৭টি জাহাজ, দুইটি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ), দুইটি হেলিকপ্টারসহ প্রয়োজনীয় যান নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে এসব জাহাজে ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রেখেছে বাহিনীটি।

পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্টও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর এমপিএ ও হেলিকপ্টারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা হবে। প্রথম ধাপে উদ্ধারকাজের জন্য বানৌজা সমুদ্র অভিযান-কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়, বানৌজা পদ্মা-কুতুবদিয়া ও বহির্নোঙর এলাকায়, বানৌজা হাতিয়া এবং এলসিটি ১০৩-সন্দ্বীপ ও হাতিয়াসংলগ্ন এলাকায়, এলসিভিপি ১১-পটুয়াখালী এলাকায় ও এলসিভিপি ১২-পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নিয়োজিত থাকবে।

এ ছাড়া খুলনার মোংলায় বানৌজা স্বাধীনতা, প্রত্যাশা, প্রত্যয়, ধলেশ্বরী, নির্মূল, অনুসন্ধান, জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অদম্য, অতন্দ্র, দুর্ধর্ষ ও দুর্দান্ত এবং ধানসিঁড়িকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকবে।

ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টস মোতায়েন করা হবে।

আরও পড়ুন:
‘সিত্রাং’ শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে?
খুলনায় বেড়িবাঁধে ধস, সিত্রাং নিয়ে চরম আতঙ্ক
পায়রা বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে সিত্রাং
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ
সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বরিশালে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
New market for Bangladeshi products due to Russia Ukraine war PM

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার: প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার: প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব... আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’

২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বিবেচনা করে নতুন দীর্ঘমেয়াদি রপ্তানি নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব... আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’

সরকারি বাসভবন গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির

তিনি উল্লেখ করেন, একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর লক্ষ্য হবে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করতে পারতাম। আমরা এর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। সরকার রপ্তানি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ভারত গ্রহণের পর, আমরা এক বছরের ভিত্তিতে নীতির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি রপ্তানি নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্জনগুলো ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের কোনো বিকল্প নেই।’

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘...কিন্তু এর পর আমরা কী করব? এরই মধ্যে, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছি। আমি মনে করি আগামী দিনে আমরা কী করব বা আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব তা বিবেচনা করার এটাই সঠিক সময়।’

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে অর্থনীতির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে কারণ সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, রপ্তানি খাতের উন্নয়নের জন্য একটি কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং পণ্য চিহ্নিত করতে হবে। এ জন্য আমরা একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি-২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে।

প্রধানমন্ত্রী আইসিটি এবং ডিজিটাল ডিভাইস, আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও মাঝারি ওজনের শিল্প, মোটর যান এবং ইলেকট্রনিক মোটর গাড়ির কথা উল্লেখ করে পণ্য বৈচিত্র্যের কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, সরকার দেশ-বিদেশের বিনিয়োগ নিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মাদকের বিস্তার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature may increase slightly at the beginning of fasting

রোজার শুরুতে সামান্য বাড়তে পারে গরম

রোজার শুরুতে সামান্য বাড়তে পারে গরম মাথায় কাপড় দিয়ে উত্তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা এক ব্যক্তির। ফাইল ছবি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমে এসেছিল। সেটি আগামী কয়েক দিন বাড়তে পারে।

আগামী কয়েক দিন দেশের তাপমাত্রা বাড়তে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এমন অবস্থা চলতে পারে রোজার শুরুর সময়েও।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমে এসেছিল। সেটি আগামী কয়েক দিন বাড়তে পারে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে। সে সময়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে কি না জানতে চাইলে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সে সময়ে তাপমাত্রা এখনকার তুলনায় সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে বলা হয়, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়া হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার দেশের সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে।

আজ ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩ মিনিটে।

আরও পড়ুন:
চৈত্রের প্রথম দিনে রাজধানীতে ক্ষণিকের বৃষ্টি
রোজায় অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
ছুটির দিনে হালকা বৃষ্টি হতে পারে খুলনা, ঢাকায়
দিনে সামান্য বাড়তে পারে গরম
গরম একটু বাড়বে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh became because Bangabandhu was born PM

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, স্বতন্ত্র জাতিসত্তা ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র দেয়ার জন্য। মাতৃভাষার আন্দোলন দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। আর তার হাত ধরেই আসে দেশের স্বাধীনতা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মেছিলেন বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। তার জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, স্বতন্ত্র জাতিসত্তা ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র দেয়ার জন্য।’

বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘মাতৃভাষার আন্দোলন দিয়ে যাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তারই হাত ধরে আসে দেশের স্বাধীনতা। দেশ গঠনের জন্য তিনি অল্প কিছুদিন সময় পেয়েছিলেন। তার মধ্যেই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভিত রচনা করেছিলেন।

‘একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের যা যা প্রয়োজন তার সবই গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেঈমান মিলে তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। থমকে যায় সামনে এগিয়ে যাওয়া। পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে দেশ। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।’

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগকেও বার বার ধ্বংসের অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন দলটির সভাপতি। তিনি বলেন, হাজার অত্যাচার আর নির্যাতন করেও আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেন। ইতিহাস শুধু বিকৃত করা নয়, স্বাধীনতার আদর্শকে বিসর্জন দেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসে। ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।’

বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এরা (বিএনপি) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছে।

‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করান। এমনকি ৭ খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়।’

আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামে শহরের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করছি। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে।

‘বিএনপি অন্ধ বলে উন্নয়ন দেখে না। তারা মাইক লাগিয়ে সারাদিন ভাঙা রেকর্ডের মতো মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের করে দেয়া ডিজিটাল দেশের সুবিধা নিয়ে বিএনপি সারাদিন বলে বেড়ায় যে সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি।’

আসন্ন রমজান মাসে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রমজানে সব ধরনের পণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে। এসবের মধ্যে কেউ যাতে মজুতদারি, কালোবাজারি করে জনগণের ভোগান্তি না বাড়ায় সে জন্য সবাইকে নজর রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন:
রমজানে কিছু ব্যবসায়ী জিনিসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
বিদায় হজে মহানবীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বে নার্সিং পেশার গুরুত্ব ও খ্যাতি বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী
‘করুণা নয়, ন্যায্য অধিকার চাই’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ববির শ্রদ্ধা রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ARFB embarked on a new horizon in research

গবেষণায় নবদিগন্তের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করল এআরএফবি

গবেষণায় নবদিগন্তের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করল এআরএফবি জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়। ছবি: সংগৃহীত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন হয়। একইসঙ্গে সংগঠনটির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এআরএফবি। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে কেক কাটা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়।

পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এআরএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান।

আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমেটেডের সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর কোম্পানির কো. সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন, সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের শিকার: টুকু
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will not allow BNP Jamaat to come to power again PM

জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী

জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তার বাংলাদেশ সেভাবেই বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে আর তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীরা আর কোনোদিন এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের কখনও মেনে নেবে না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

সরকার দেশের উন্নয়নে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো ঘরে ঘরে মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াতত) মানুষের কাছে বার বার মিথ্যা বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই সত্য করতে চায়। কিন্তু তাদের আমলে মানুষ কী পেয়েছে? খাবারের জন্য হাহাকার, বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গেছে। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি চেয়েছিল বলে রমজান মাসে ২৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা এবং সার চেয়েছিল বলে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কারও কাছে সার চাইতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সুপেয় পানি ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছি, এখন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

দেশের মানুষ ভাল থাকলে বিএনপি-জামায়াতিদের মনে কষ্ট হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনিই এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই তার বাংলাদেশে কোনো মানুষ অন্নকষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না, শিক্ষার আলোবঞ্চিত থাকবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন-মান উন্নত হবে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তার বাংলাদেশ সেভাবেই বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আওয়ামী লীগ এবং এর প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় সূচনা বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন সভায় বক্তব্য দেন।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম সভা সঞ্চালনা করেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মাদকের বিস্তার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ
জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলব স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জুমার খুতবায় কী নিয়ে কথা বলার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Freedom of media also requires accountability Information Minister

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী ও অন্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ বা এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথের পাশাপাশি অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে সবার আগে সবশেষ সংবাদ দেয়ার প্রতিযোগিতা। আর এটি করতে গিয়ে দেখা যায় এমন অনেক সংবাদ পরিবেশিত হয় যেগুলো সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। এ কারণে স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান প্রতিযোগিতার মধ্যে সঠিক সাংবাদিকতা, সঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং একটি সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ।’

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ বা এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথের পাশাপাশি অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে সবার আগে সবশেষ সংবাদ দেয়ার প্রতিযোগিতা। আর এটি করতে গিয়ে দেখা যায় এমন অনেক সংবাদ পরিবেশিত হয় যেগুলো সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। অনলাইনের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে। এ কারণে স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।

‘পত্রিকা বা যে কোনো গণমাধ্যম শুধু সংবাদ পরিবেশন কিম্বা বিনোদনের জন্য নয়। একটি পত্রিকা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার যেদিকে দৃষ্টিপাত করছে না সেদিকে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারে।’

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমরা একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক বিতর্কভিত্তিক সমাজে বসবাস করি। এই গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, যেভাবে অবাধে সবকিছু লিখতে পারে পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশে সেটি পারে না।

‘অনেক উন্নত দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আছে একইভাবে তাদের কাজ ও প্রকাশ সম্পর্কে দায়িত্বশীলও থাকতে হয়। সেখানে ভুল বা অসত্য সংবাদের জন্য জরিমানা গুনতে হয়, শাস্তি পেতে হয়। আমাদের দেশে এমন নজির এখনও হয়নি। মাঝে মধ্যে প্রেস কাউন্সিল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। কারণ তিরস্কার করা ছাড়া কাউন্সিলের আর কোনো ক্ষমতা নেই। সুতরাং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

সংবাদপত্র শিশু-কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের মনন তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় অনেক দৈনিক পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকতো, সেখানে আমিও লিখেছি, সেটি অনেক আনন্দের। কিন্তু এখন আর ছোটদের পাতা নেই, হারিয়ে গেছে। রূপচর্চার পাতা আছে, রান্নাবান্নার পাতা আছে কিন্তু ছোটদের পাতা অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে গেছে। দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাব, যেন সপ্তাহে না হোক অন্তত ১৫ দিনে ছোটদের একটা পাতা থাকে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পত্রিকায় সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘রাস্তায় যে পাগলটা বিড় বিড় করে কথা আওড়ায় তার পাগল হওয়ার পেছনে একটা গল্প আছে। কিন্তু কেউ তা শোনে না, শোনার প্রয়োজনও মনে করে না। যে মানুষটি নদী ভাঙন কিংবা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরের ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের স্বপ্নের কথা কেউ লেখে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিষিদ্ধ কোনো জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তার বেদনার কথা কেউ ভাবে না, লেখে না। সেগুলোও উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’

দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সিনিয়র সাংবাদিক শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

পরে কেক কেটে পত্রিকার নবরূপে প্রকাশ উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ।

আরও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে হামলা জামায়াত-বিএনপির মহাপরিকল্পনার অংশ: তথ্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া করেছেন বিভেদ, শেখ হাসিনা গড়েছেন সম্প্রীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চেঁচামেচির মধ্যেই গণতন্ত্র চর্চা সূচকে একধাপ এগিয়েছে দেশ: তথ্যমন্ত্রী
চলচ্চিত্রের বিকাশে করোনার মধ্যেও জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে বিএনপি-জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Airline will not reduce fares on Hajj package

হজ প্যাকেজে ভাড়া কমাবে না বিমান

হজ প্যাকেজে ভাড়া কমাবে না বিমান রাজধানীর কুর্মিটোলায় বলাকা ভবনে রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম। ছবি: নিউজবাংলা
বিমানের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে হজের বিমান ভাড়া অনেক কম। আমরা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরপর আর কমানো সম্ভব নয়। তাছাড়া হজযাত্রী বহনে বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটই ডেডিকেটেড। ডলারের দাম বৃদ্ধিও একটি কারণ।’

ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে হজ প্যাকেজে বিমান ভাড়া অনেক কম বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, ‘হজ প্যাকেজে ভাড়া কমানো সম্ভব নয়। আমরা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরপর আর কমানো সম্ভব নয়।’

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হজযাত্রী পরিবহনসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আজিম বলেন, ‘হজ প্যাকেজে ১৬টি ব্যয়ের খাত থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিমান ভাড়া। এই ভাড়া বিমান এককভাবে নির্ধারণ করে না। বিমান শুধু ফ্লাইটের ভাড়া প্রস্তাব করে। পরে বিমান মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কমিটিসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা অনুমোদন দেয়।

‘প্রতি বছর ভারত, পাকিস্তানেও হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এবার তারা এখনও হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেনি। তবে বিগত বছর আমরা দেখেছি তাদের চেয়ে আমাদের বিমান ভাড়া কম।’

বিমানের এমডি বলেন, ‘এবার হজে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমান এর চেয়ে আর ভাড়া কমাতে পারবে না। কারণ বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটই ডেডিকেটেড। শুধু যাত্রী নিয়ে যাবে, ফেরার সময় যাত্রী বহন করবে না। আবার হজ শেষে হজযাত্রীদের নিয়ে আসবে, কিন্তু যাওয়ার সময় যাত্রী নেবে না। এ কারণে ভাড়া কমানো সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় এবার ডলারের দাম অনেক বেড়েছে। ডলারের দাম বাড়লে বিমান পরিচালনার খরচও বেড়ে যায়।’

আরও পড়ুন:
বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু ২১ মে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল
হজ প্যাকেজের দাম বাড়ার কারণ জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়
পৌনে ৭ লাখ টাকার হজ প্যাকেজ অমানবিক: হাইকোর্ট
কীভাবে কোমরে ব্যথা পেলেন, জানালেন মেহজাবীন

মন্তব্য

p
উপরে