ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আর নিরাপত্তাপ্রহরী দিয়ে চলছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়। মূল ফটক সারা বছর থাকে তালাবদ্ধ। কর্মকর্তারাও মন চাইলে আসেন মাঝেমধ্যে। পরিত্যক্ত পড়ে আছে অফিসকক্ষগুলো। ভেতরে কয়েকটি চেয়ার-টেবিল আর একটি স্টিলের আলমারি ছাড়া আর কিছুই নেই।
কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া কোয়ার্টারগুলোতে থাকে এক মৎস্যজীবী লীগ নেতার গরু আর হাঁস-মুরগি। প্রথমে দেখলে মনে হবে এটি যেন গোয়ালঘর। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর সেখানে বখাটেদের আড্ডা আর জুয়া-মাদকের আসর বসে বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের।
কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সর্বশেষ কবে এসেছিলেন সেটাও সঠিক করে বলতে পারেন না কেউ। উপপরিচালকের কক্ষের বাইরে নেই নামফলক, পুরো অফিসের ভেতরে কোথাও নেই জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
সরেজমিনে শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকায় অধিদপ্তরটির জেলা কার্যালয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র!
অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে হাঁস-মুরগি আর গরু পালন এবং মাদকসেবীদের আনাগোনার বিষয়টি তারা অবগত নন। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনুন্নত যোগাযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হাওরের জেলাগুলো উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে পিছিয়ে রয়েছে। এ অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার জনমানুষের দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘হাওর উন্নয়ন বোর্ড’ গঠনের নির্দেশ দেন। পরে ১৯৭৭ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হলেও ১৯৮২ সালে এই বোর্ডের বিলুপ্তি ঘটে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২০০০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমির উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন জাতীয় কমিটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই কমিটির চেয়ারপারসন।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি জেলার নিম্নভূমি নিয়ে হাওর অঞ্চল। এই অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ২০১২ সালে ২০ বছর মেয়াদি হাওর মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, যাতে ১৭টি উন্নয়ন ক্ষেত্রে ১৫৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের ৪০টি সংস্থা এ পর্যন্ত ১১০টির বেশি প্রকল্প নিয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে হাওর ও জলাভূমি অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, বন্যা ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির কথা থাকলেও এই কার্যালয়ের বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
জেলা কার্যালয়ের মূল ফটক সারা বছরই থাকে তালাবদ্ধ। দুটি আধা পাকা ঘরের একটিতে অফিস আর অপরটিতে আবাসিক কোয়ার্টার। অফিস ভবনে আটটি কক্ষ রয়েছে। এর একটিতে বসেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। বাকিগুলোতে কয়েকটি চেয়ার-টেবিল আর একটি স্টিলের আলমারি ছাড়া কিছুই চোখে পড়েনি।
অন্য ভবনে কক্ষ রয়েছে ছয়টি। এর একটিতে থাকেন নিরাপত্তাপ্রহরী। বাকিগুলোতে পালন হচ্ছে হাঁস-মুরগি আর গরু।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, কোয়ার্টারের বারান্দায় রাখা বেশ কয়েকটি রাজহাঁস আর ৬ নম্বর কক্ষে রাখা আছে গরু। ৪ ও ৫ নম্বর কক্ষে রাখা আছে গরুর জন্য খড় ও কাঁচা ঘাস। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কয়েকজনকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তালাবদ্ধ কার্যালয়ে তারা কীভাবে প্রবেশ করল, এমন প্রশ্নে নীরব ভূমিকা পালন করেন নিরাপত্তাপ্রহরী।
কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ইকবাল হোসেন জানান, তিনি এখানে যোগদান করেছেন ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই এখানে তিনি আর নিরাপত্তাপ্রহরী ছাড়া আর কেউ থাকেন না। এই কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে পরিদর্শনে এসে আবার চলে যান।
ইকবাল হোসেন জানান, এই কার্যালয়ে ১৫ জন লোকবল থাকার কথা থাকলেও আর কেউ নিয়োগ হননি। এখানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সর্বশেষ কবে এসেছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সঠিক করে বলতে পারব না। তবে আনুমানিক ছয়-সাত মাস আগে মহাপরিচালক এই কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। তখন উপপরিচালক স্যারও সাথে এসেছিলেন। এ সময় তারা কয়েকটি বৃক্ষ রোপণ করে চলে যান। পরে আর কেউ আসেননি।’
কার্যালয়ের মূল ফটক সব সময় তালাবদ্ধ থাকে কেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো আমরা দুইজন ছাড়া অফিস স্টাফও কেউ নেই। তা ছাড়া সচরাচর কারও কাজও পড়ে না। সকল কাজ ঢাকা অফিস থেকেই পরিচালিত হয়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তালাবদ্ধ রাখি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে বহিরাগতরা এসে আড্ডা দিতে চায়। নিষেধ করতে গিয়ে আমি বেশ কয়েকবার মারধরের শিকার হয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘এই কার্যালয়ে কোনো প্রকার কার্যক্রম ও লোকবল না থাকায় অফিস সব সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। তবে সন্ধ্যার পরে প্রায়ই এখানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসে অনৈতিক আড্ডায় মেতে ওঠেন। অনেক সময় স্থানীয় উঠতি বয়সী যুবকেরা এসে নেশা ও জুয়ার আড্ডাও বসান।’
এ বিষয়ে নিরাপত্তাপ্রহরী আব্বাস আলী চৌকিদার জানান, এ অফিসে তিনি আর ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ইকবাল হোসেন ছাড়া আর কেউ আসেনও না, থাকেনও না। ২০২০ সালে তিনি এখানে যোগদান করেছেন। তখন থেকেই কক্ষগুলো খালি পড়ে থাকে। সে কারণে সেখানে গরু আর হাঁস-মুরগি পালন করেন তিনি।
একপর্যায়ে তিনি জানান, এই গরু তার নিজের না। জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন তাকে লালনপালনের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া কার্যালয়ের ভেতরে অনৈতিক আড্ডা, জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয় জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিরাপত্তাপ্রহরী আব্বাস আলী তার কাছ থেকে গরু বর্গা নিয়ে লালনপালন করছেন। আব্বাসের অনুরোধেই তাকে গরু কিনে দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. খাইরুল আলম সুমন কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে তার মুঠোফোন ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি৷
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. আলী মুহম্মদ ওমর ফারুক মুঠোফোনে জানান, এই কার্যালয়ে একজন উপপরিচালকসহ ১৫ জনের লোকবল থাকার কথা। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় সেখানে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আর একজন নিরাপত্তাপ্রহরী ছাড়া আর কেউ থাকেন না। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অচিরেই সেখানে কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সেখানে হাঁস-মুরগি আর গরু পালন এবং অনৈতিক আড্ডা বসার বিষয়টি তারা অবগত নন। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য