× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Housewife injured by crocodile bite while visiting poultry farm
google_news print-icon

নদীর কুমির বাড়িতে ঢুকে কামড়ে দিল গৃহবধূকে

নদীর-কুমির-বাড়িতে-ঢুকে-কামড়ে-দিল-গৃহবধূকে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পারুল। ছবি : নিউজবাংলা
পারুলীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি উঠানে পারুলী পড়ে আছে, আর পাশেই একটি কুমির। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁশ দিয়ে কুমিরটিকে বাড়ি মারলে পাশের পুকুরে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। তারপর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার হাত ও পায়ে কামড়ের জখম রয়েছে। তবে সে আশঙ্কামুক্ত। আল্লাহ বাঁচায় দিছে।’

ফরিদপুরের সদরে কুমিরের কামড়ে এক গৃহবধূ জখম হয়েছেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে শনিবার ভোরে এ ঘটনা।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাকজ্জামান মোস্তাক নিউজবাংলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত ৫৫ বছরের পারুলী বেগম ওই এলাকার রাজ্জাক শেখের স্ত্রী। তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ও পায়ে কুমিরের কামড়ের ক্ষত রয়েছে।

চিকিৎসাধীন পারুলী বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোরে ফজর নামাজের সময় আমার হাঁস-মুরগিগুলো ডাকছিল। এখানে শিয়ালের উৎপাত আছে, তাই সঙ্গে সঙ্গে হাঁস-মুরগি দেখতে যাই। হাঁস-মুরগির ঘরটি নেটের জাল দিয়ে চারপাশে ঘেরা থাকে।

‘সেই জালের কিছু একটা পেঁচানো দেখে আমি সেটাকে জাল থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। এমন সময় জালের মধ্যে কুমির দেখে চিৎকার দিই। তখন কুমিরটি আমাকে কামড় দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’

পারুলীর স্বামী রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি উঠানে পারুলী পড়ে আছে, আর পাশেই একটি কুমির। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁশ দিয়ে কুমিরটিকে বাড়ি মারলে পাশের পুকুরে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। তারপর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার হাত ও পায়ে কামড়ের জখম রয়েছে। তবে সে আশঙ্কামুক্ত। আল্লাহ বাঁচায় দিছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক জানান, এ ঘটনায় কুমিরের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। কারণ, গত বছরেও এই এলাকায় হাঁস খেতে এসে একটি কুমির আটকা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও যশোর থেকে কুমির উদ্ধারে টিম এসে পাঁচ দিন চেষ্টার পর সেটি উদ্ধার করে।

তিনি জানান, পদ্মাবেষ্টিত চর-অধ্যুষিত এলাকা এই ইউনিয়ন। গত বছরও কুমির আতঙ্কে ছিল গ্রামবাসী। কুমিরটি উদ্ধারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হোক।

আরও পড়ুন:
৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে সুন্দরবনের কুমির উদ্ধার
মুজিববর্ষ: সুন্দরবনে অবমুক্ত ১০০ কুমির
জলাধার থেকে উদ্ধার সেই কুমির গেল সাফারি পার্কে
হাঁসের লোভে ধরা পড়ল সেই কুমির
আটকা পড়া কুমির উদ্ধারে দ্বিতীয় অভিযানও ব্যর্থ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Flood Fish worth 71 crore washed away in Sherpur

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ শেরপুরের একটি মাছের ঘের। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

শেরপুরের এবারের বন্যায় পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ঘের থেকে ৭১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

এমন বাস্তবতায় চাষিরা বলছেন, ঠিক সময়ে বন্যার পূর্বাভাস পেলে ক্ষতি কমানো যেত।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এ উন্নতি হয়।

জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের ৫ উপজেলায় পানিবন্দির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে।

জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত হয় শেরপুর। তলিয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য খাত।

মাছচাষি রাকিবুল মিয়া বলেন, ‘বহু মাছ চলে গেছে। দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব তলিয়ে গেছে। যত প্রজেক্ট আছে এখানে, সব মাছ ভেসে চলে গেছে।’

আরেক মাছচাষি খাইরুল বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস না থাকায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারি নাই। এ জন্যই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। আমাদের প্রজেক্টের মাছ বাইরে চলে গেছে। আর এদিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরে বিক্রি করতাছে।

‘আর মানুষ কম দামে পেয়ে আনন্দ করে কিনতাছে, কিন্তু আমরা তো বুঝতাছি কেমন ক্ষতি হইছে আমাদের।’

মাছচাষি নাইম বলেন, ‘আগে যদি আমরা জানতাম বা কেউ যদি জানাত, তাহলে আমাদের এত ক্ষতি হতো না। আগে জানলে তো আর এই অবস্থায় থাকত না।

‘সব জাল দিয়ে ঘিরে রাখতাম। আমার ৫ লাখ টাকার মাছ ছিল। সব শেষ।’

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

এবারই স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা।

শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

‘তারা যদি সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা দেয়, তাহলে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
By 2050 54 percent of people will live in cities
আলোচনা সভায় বক্তা

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভবন। ফাইল ছবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে বলে জানিয়েছেন একটি আলোচনা সভার এক বক্তা।

খুলনায় বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর।

তিনি বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

আহসানুল আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জুতসই বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা দরকার। শহরাঞ্চলে গণপরিবহনের জন্য জায়গা কমিয়ে কেবল ব্যক্তিগত যান চলাচলের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন নাগরিক সাম্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ।

তিনি বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই নিরাপদ বসতি একটি মৌলিক চাহিদা। নগরের পরিকল্পনা তৈরির সময় ওই স্থানের প্রকৃতি, পরিবেশ ও পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক পথের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকের চাহিদা এবং সমস্যার দিকগুলোও মাথায় রাখতে হবে।

হেলাল বলেন, প্রতিটি এলাকার বসতি নির্মাণের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জলবায়ুগত ভিন্নতার কারণে স্থাপনার নির্মাণ উপকরণ ও নকশায় ভিন্নতা আনার দরকার হয়। এ ক্ষেত্রে বিস্তৃত ও গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা থাকতে হবে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মিছবাহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আইএবি খুলনা কেন্দ্রের আহ্বায়ক গৌরী শংকর রায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের খুলনা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আবির-উল-জব্বার।

আরও পড়ুন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত
উপাচার্য হিসেবে সেনা কর্মকর্তা চান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
ক্ষমতার হাতবদল, চাঁদাবাজি বহাল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League leader accuses BNP leader of occupying Jalmahal 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার  জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল। ছবি: নিউজবাংলা
কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ক্ষমতার পালাবদলের পর এক আওয়ামী লীগ নেতার লিজ নেয়া কোটি টাকার সরকারি জলমহাল দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বিরুদ্ধে।

জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল।

ওই সময় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, হুমাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রাশিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোস্তাক আহমেদ কমল অভিযোগ করেন, তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর জলমহালটি এক বছরের জন্য ৭৩ হাজার ২৫ লাখ ৪৪১ টাকায় লিজ নেন। ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অনিতা রানীর নামে জলমহাল লিজ নেয়া হলেও সব টাকা পরিশোধ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল, তবে জলমহালটি পরিচালনা করছিলেন অনিতা রানীসহ ছয়জন মিলে।

কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।

মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাক আহমেদ কমল।

জলমহালের মালিকানা উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করাসহ উপজেলা বিএনপির নেতাদের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হেলাল খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনিতা রানীর নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
সব কূল হারিয়ে বিপাকে বিএনপিপন্থি সাত কাউন্সিলর
সংস্কারের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
ইউপি বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
ইটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Expired committee of Chhatra Dal in Barisal University is cancelled 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ফাইল ছবি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাহাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

দ্রুত কমিটি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ২০২১ সালে। এর তিন বছর পর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করল সংগঠনটি।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষ দখল, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়সহ বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিতর্ক ও চাপের মুখে অবশেষে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
434 tons of hilsa went to India in eight days through Benapole

বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ

বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ বেনাপোল বন্দরে ২৬ সেপ্টেম্বর চালানের ইলিশের মান পরীক্ষা করা হচ্ছে (বাঁয়ে); রপ্তানি করা ইলিশ। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
ইলিশ রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ‌আটদিনে ১৩৬টি ট্রাকে ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হবে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ ডলার দরে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকা।

ইলিশ রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ‌আটদিনে ১৩৬টি ট্রাকে ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ ডলার দরে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকা।

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রোববার ছয়টি ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ টন, মঙ্গলবার ২৩টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ টন এবং সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ট্রাকে ২৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

বেনাপোলে মাছ কিনতে আসা কামাল হোসেন জানান, সোমবার বেনাপোল মাছ বাজারে প্রতি এক কেজি বা তার চেয়ে ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে একই আকারের ইলিশ ছয়শ’ থেকে আটশ’ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।

দেশের বাজার দরের তুলনায় কম দামে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। ইলিশের দেশীয় বাজার দরের সঙ্গে সংগতি রেখে দাম সমন্বয় করা উচিত।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ২৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে আট দিনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হলো ৪৩৪ টন ৩০০ কেজি। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে।

আরও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল ১৮ টন
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন: উপদেষ্টা
সুনামগঞ্জ সীমান্তে আবারও ইলিশের চালান আটক
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Youth arrested with 21 crore whale vomit

২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক

২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপরে তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করে বিজিবি। ছবি: নিউজবাংলা
বিজিবি জানিয়েছে, বিক্রয় নিষিদ্ধ এই তিমি মাছের বমি বা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পারফিউম ও ওষুধ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য জিনিসের চোরাচালান অত্যন্ত বিরল ঘটনা। 

কক্সবাজারের টেকনাফে ২১ কোটি টাকা মূল্যের সোয়া আট কেজির বেশি ওজনের বিক্রয় নিষিদ্ধ তিমি মাছের বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি জানিয়েছে, বিক্রয় নিষিদ্ধ এই তিমি মাছের বমি বা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পারফিউম ও ওষুধ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য জিনিসের চোরাচালান অত্যন্ত বিরল ঘটনা।

রোববার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

আটক শামশুল আলম টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের নির আহমদের ছেলে।

লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘রোববার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া সীমান্ত দিয়ে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা কিছু মালামাল পাচার করার খবরে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক এক ব্যক্তি বস্তা কাঁধে করে বাজারপাড়ার দিকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা তাকে থামার নির্দেশ দেন।

‘লোকটি বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গে থাকা বস্তাটি ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হন বিজিবি সদস্যরা।’

তিনি বলেন, ‘পরে পাচারকারীর ফেলে যাওয়া বস্তাটিতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যান্বারগ্রিস বা তিমি মাছের বমি পাওয়া যায়। উদ্ধার করা এসব অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।’

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সোমবার সকালে উদ্ধার করা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বুরি) কক্সবাজারস্থ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরে সেখানে অ্যাম্বারগ্রিসের বৈশিষ্ট্য এবং শনাক্ত সম্পন্ন করা হয়।

‘উদ্ধার করা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Army next to flood victims in Sherpur

শেরপুরে বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী

শেরপুরে বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে সেমবার রান্না করা খাবার বিতরণ করে সেনাবাহিনী। ছবি: নিউজবাংলা
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শেরপুরে সোমবার বিকেল পর্যন্ত চার হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পোঁছে দেয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত জনপদে যাদের বাসাবাড়িতে রান্না করার ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণও অব্যাহত রয়েছে।

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। জেলার পাঁচটি উপজেলাতেই সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শেরপুরে সোমবার বিকেল পর্যন্ত চার হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পোঁছে দেয়া হয়েছে। যাদের বাসায় রান্না করার ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।

সোমবার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও নকলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন সেনা সদস্যরা।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের মিরপাড়া এলাকায় দু’শতাধিক দুর্গতর মাঝে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের ১৩ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট জোহায়ের খাবার বিতরণ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করেন।

লেফটেন্যান্ট জোহায়ের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বন্যাদুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নকলা উপজেলায় ১৩ বীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক দায়িত্ব পালন করেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক বলেন, সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ ছাড়াও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু
শেরপুরে তিন নদীর বাঁধে সাত ভাঙন, দুই উপজেলা শহর প্লাবিত
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের

মন্তব্য

p
উপরে