× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bogra BNP convention organized farce vote
google_news print-icon

বগুড়া বিএনপির সম্মেলনে ‘প্রহসনের ভোটের আয়োজন’

বগুড়া-বিএনপির-সম্মেলনে-প্রহসনের-ভোটের-আয়োজন
বিএনপি বগুড়া জেলা কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির প্রভাবশালী অনেক নেতার নাম বাদ দেয়া হয়েছে ভোটার তালিকা থেকে। সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটে আগ্রহী এক নেতা তালিকায় তার নাম না দেখে মনোনয়নপত্র জমাই দেননি। বিএনপির একাংশের নেতারা একে প্রসহনের ভোটের আয়োজন বলছেন।

দুই যুগ পর ভোটের মাধ্যমে বগুড়া বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নেই। এর কারণ, ভোটার তালিকায় ‘কারসাজি’।

নেতারা অভিযোগ করছেন, তালিকা কাটছাঁট করা হয়েছে। অনেক ত্যাগী নেতাকে ভোটার করা হয়নি। বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। এ নিয়ে দলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নেতারা একে প্রহসনের নির্বাচনও বলছেন।

জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, দলের ভেতর গ্রুপিং ও ভোটের মাঠে কর্তৃত্ব রাখতে ইচ্ছা করেই এমন কৌশল নেয়া হয়েছে। তারা বলছেন, এভাবে ভোট হলে তাতে গণতন্ত্রের ঘাটতি থাকবে। অথচ এই ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বগুড়াই ছিল বিএনপির জন্য মডেল।

১৯৯৯ সালে বগুড়া বিএনপিতে প্রথম গোপন ব্যালটে নেতা নির্বাচন করা হয়। এরপর দেশের অন্য জেলাগুলোতেও একইভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন শুরু হয়।

কিন্তু ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল বগুড়ায় কোনো সম্মেলন ছাড়াই জেলা বিএনপির কমিটি গঠন হয়। ২০১৯ সালের থেকে কয়েকটি আহ্বায়ক কমিটি থাকার পর সম্প্রতি আবার ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আগামী ২ নভেম্বর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই তিন পদে নেতা নির্বাচন করবে দলটি। সভাপতি পদে সাবেক রেজাউল করিম বাদশা এবং সাইফুল ইসলামের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে নেতাকর্মীদের ধারণা।

এই নির্বাচন করতে গত ১৯ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তালিকায় একাধিক নেতাদের নাম না থাকায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সঠিক সংখ্যা না জানালেও প্রায় ৩০ জনের নাম বাদ পড়ার কথা জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতারা জানান, যারা থানা ও পৌর বিএনপিতে ভোট করে হেরেছেন তাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে এটা শুধুমাত্র একটা ইস্যু। দলের ভেতর কোন্দল আছে। এ কারণে ইচ্ছা করেই অনেককে বাদ রেখে তালিকা করা হয়েছে।

এই কোন্দলের জন্য তারা সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশার দিকে আঙ্গুল তুলছেন।

তবে জেলা বিএনপির নির্বাচন কমিটি এটিকে নিছক একটি ভুল হিসেবে দেখছে। কিন্তু এমন ভুলের সমাধান সম্পর্কে কোনো কিছু পরিষ্কার করতে পারেননি তারা।

গত ১৯ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন মনোয়ন জমা দিতে যান। ২০১০ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক হন। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন সাইফুল ইসলাম।

এবার জয়নাল আবেদীন আবার সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ন নিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় নিজের নাম না পেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। একই দিন আরও কয়েকজন তালিকায় নাম নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য লিখিত আবেদন দেন।

এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার দুদিন পর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। আমি বিষয়টি খেয়াল করিনি। নির্বাচনের নমিনেশন নেয়ার পর প্রতীক নিতে গেলে ভোটার তালিকায় আমার নাম না থাকার বিষয়টি জানতে পারি। তখন বিষয় জানালে সবাই বলেন যে ভুলে এটি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য ছিলাম। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। আমার নাম যদি না থাকে, তাহলে কী হয়েছে বুঝে নেন।

‘এখন সুযোগ থাকলেও আমি তো আর ভোট করব না। দলকে ভালোবেসে অনেক দিয়েছি। ভবিষ্যতেও দিয়ে যাব। ভোটের দরকার নেই।’

ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার নেতাদের মধ্যে আছেন সাইদুজ্জামান শাকিল। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য লিখিত আবেদনও করেছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।

কেন তাকে বাদ দেয়া হলো এমন প্রশ্নে শাকিল বলেন, ‘দলে পক্ষ-বিপক্ষ থাকেই। সেখান থেকে এ কাজ হয়েছে। নির্বাচনে মনোয়ন নেয়ার আগে জেলা আহ্বায়ক ছিলেন রেজাউল করিম বাদশা। সব কিছু হয়ে যাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। এখন তালিকা প্রকাশের পর কমিটি বলছে ভুলে এটা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মতো পুরোনো নেতা-কর্মীদের বাদ দেয়াকে ভুল বলেই তো আরও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

সাইদুজ্জামানের ভাষ্য, ‘আমাদের এ সমস্যার সমাধান না হলে ভোটের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এখানে অস্বচ্ছতার রেশ থেকেই যাচ্ছে। একটা পক্ষ চাচ্ছে সব তাদের মতো করতে। তারা তফসিল ঘোষণার আগেই গোপনে এসব করেছেন। কিন্তু লিডার (তারেক রহমান) সব কিছু দেখছেন। তিনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন।’

বাদ পড়া আরেক নেতা বগুড়ার তালোড়ার যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন স্বপন। তার এলাকার অন্তত ৮ জনের নাম ভোটার তালিকায় বাদ দেয়া হয়েছে। তালিকায় নাম না দেখে স্বপন চিঠি দেন জেলা কমিটিকে। কিন্তু তারা চিঠি নিয়ে রেখে দিয়েছেন। আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

স্বপন বলেন, ‘আমরা জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সিপার আল বখতিয়ারের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। এ জন্য আমাদের বিপক্ষরা জানেন আমরা তাদের ভোট দেবো না। এ কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তারা।

‘আমি টানা ৯ বছর তালোড়া যুবদলের সভাপতি ছিলাম। আমাদের ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। এটা নির্বাচন নয় পকেট কমিটি। এটা একটা প্রহসনের নির্বাচন।’

জানতে চাইলে সাবেক আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বগুড়া শহরের ভোটার তালিকার দায়িত্বে ছিলেন শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম হিরু। তিনি বলেন, ‘বাদ পড়ার বিষয়টি একটু ভুল বোঝাবুঝিতে হয়েছে। আমাদের ১০১টি সদস্যের কোরাম পূরণ করতে গিয়ে কয়েকজন বাদ পড়েছেন। সাবেক সম্পাদক চাঁন ভাইয়ের বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলায়। এ জন্য আমরা মনে করেছিলাম তিনি ওই উপজেলা কমিটিতে থাকবেন। তার বাদ পড়ার খবর পেয়ে নিজের কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। একইভাবে সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ ভাইও বাদ পড়েছেন।’

জেলা কমিটি ১৭২ সদস্যের হলেও নির্বাচন হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে। এর মধ্যে সভাপতি পদে তিন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ ও সাংগঠনিক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর জেলায় বিএনপির প্রকাশিত তালিকায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ২২ জন।’

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মিঠু এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নিজেরও নাম বাদ পড়েছে।

মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমিসহ জেলা কমিটির ৭ জন নেতার নাম বাদ পড়েছে। আর জেলায় সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ জনের নাম ভোটার তালিকায় নেই।’

তালিকায় নাম বাদ পড়াকে ভুল বোঝাবুঝি বলে উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিটির এ সদস্য। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নিজেদেরও দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কোনো কারণে তালিকা প্রস্তুতের সময় যাচাই করা হয়ে ওঠেনি। এখন হাতে যে সময় রয়েছে, নতুন করে আর সংশোধন করা সম্ভব হবে না।’

তবে ভোটার সংখ্যা কমে যাওয়ায় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেন মামুনুর রশিদ মিঠু।

আরও পড়ুন:
বিএনপির সমাবেশের আগে খুলনায় আওয়ামী লীগের শোডাউন
খুলনার সমাবেশে কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকে : ফখরুল
খুলনায় ধর্মঘটে লঞ্চ শ্রমিকরাও
খুলনায় বাস বন্ধ কেন, জানে না বিআরটিএ
মাগুরা থেকে খুলনার বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
People will decide to ban the government nine A League Dr Zahid

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার। সব সময়ই তা বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat announces a 12 day movement program demanding PR approach

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

জামায়াতের ৫ দফা দাবি হলো:

১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।

৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোমাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP next to the sick leader of Hefazat e Islam

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ এক নেতার খোঁজখবর নিয়েছে বিএনপির নেতারা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং জামিয়া কাসিমিয়া আশরাফুল উলুম ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল খতিবে বাংলার আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীবের শারীরিক খোঁজখবর নিতে রোববার হাসপাতালে যান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zia Manch is the approval of the 22 member committee of Faridpur metropolis

জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

কাইয়ুম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এনামুল করিম
জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ইকবালের নির্দেশক্রমে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরের জিয়ার সৈনিক, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ কাইয়ুম মিয়াকে আহ্বায়ক ও এনামুল করিমকে সদস্য সচিব করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দপ্তর সম্পাদকের চলতি দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মো. জামাল হোসেনের স্বাক্ষরীত এক পত্রে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবর রহমান দিলীপ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাইম আক্তার মুকুল, মাহবুবুর রহমান আজাদ, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফরিদ হোসেন, কিবরিয়া জামান, সম্রাট আলম, আসাদুজ্জামান, ডা. মোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ নাসির মিয়া, উজ্জল মিয়া, শেখ আব্দুল আলীম মুক্তি, মাসুদ খান, নয়ন শেখ, তুষার আহমেদ, আব্দুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান আরিফ, ইউসুফ শেখ ও শহীদ আলম চৌধুরী ফরহাদ।

এদিকে জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তারুণ্যদীপ্ত নতুন এই কমিটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তোলবে। এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PR means Permanent Restlace Salahuddin Ahmed

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মেনে নিলে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
পিআর পদ্ধতি কার্যকর হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, পিআর মানে হচ্ছে, ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।
উদাহরণ টেনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিআর চালুর পর দেখা গেছে, সরকার গঠন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। কোথাও এক বছর বা দেড় বছর পর সরকার গঠিত হয়েছে। আবার সরকার গঠনের পর তা টেকসই হয়নি। কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যেই সরকার ভেঙে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর মূল উদ্দেশ্য স্রেফ সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে সেই শক্তি, যারা চায়, দেশ সব সময় অনিশ্চয়তায় থাকুক।
পিআর নিয়ে যেসব জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে, তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ কোথায় রইল? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।
সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ, অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’
ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nobody abused Mirza Fakhrul in New York Ruhul Kabir Rizvi

নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি : রুহুল কবির রিজভী

নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি : রুহুল কবির রিজভী

নিউইয়র্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি। তাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সবকিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নবনির্বাচিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তী সরকার দক্ষতা দেখাতে পারলে ফ্যাসিবাদের দোসররা এমন কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস পেত না। সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দোসরদের প্রেতাত্মারা দেশে নামতে পারছে, বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে বিএনপির কোনো আতাঁত নেই।

ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক শেখ হাসিনা। বহু ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাস্টারপ্ল্যান চলছে। জুলাই শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখনো অর্থ লুটপাটকারীদের টাকা দেশে ফেরত আনতে পারেনি, বিচারও করতে পারেনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP did not give a green signal to any candidate

কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়নি বিএনপি

কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়নি বিএনপি

বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনো আসনে বা কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সম্প্রতি ‘প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিচ্ছে বিএনপি’ সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। রিজভী জানিয়েছেন, সবুজ সংকেত সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে মনগড়া।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রুহুল কবির রিজভী।

নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নের নামে নাম প্রকাশ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত তৈরির চেষ্টা করছে একটি মহল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উপযুক্ত সময়েই দলের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বেছে নিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’

প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারি বোর্ড পালন করে এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়।

তাই তফসিল ঘোষণার পরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা বিএনপির কেন্দ্র থেকে ঘোষণা ব্যতিত পত্রিকায় প্রকাশিত কোন মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

p
উপরে