× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tiger counting is stuck due to non receipt
google_news print-icon

অর্থছাড় না পাওয়ায় আটকে আছে বাঘ গণনা

অর্থছাড়-না-পাওয়ায়-আটকে-আছে-বাঘ-গণনা
সুন্দরবনের ভোমরার খাল বা সুন্দরীর খালে গাছের ডালে বসে ছিল একটি বাঘ। ছবি : ফরিদী নুমান
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনে বারবার বাঘ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। তবে গণনা না করে বাঘের বর্তমান সংখ্যা বলা তো সম্ভব নয়।’

‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের’ আওতায় বাঘ গণনার ও বাঘের বংশ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছিল বন বিভাগ। তবে অর্থছাড় না হওয়ায় ওই প্রকল্পটি আটকে আছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মেয়াদ ছিল চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত।

বন বিভাগের ধারণা ছিল মে মাসের শুরুতে প্রকল্পের অর্থ পাওয়া যাবে। তবে গত পাঁচ মাসেও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির কোনো অর্থ ছাড় দেয়নি।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকলেও টাকা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে তারা টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণে আমরা বাঘ গণনাও করতে পার‍ছি না। এর জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো ত্রুটি নেই। দায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের।’

বন বিভাগের তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। তার মধ্যে ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে সুন্দরবনের বাঘ আছে ১১৪টি, যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৬টি ও ২০০৪ সালের জরিপে ছিল ৪০৪টি।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনে বারবার বাঘ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। তবে গণনা না করে বাঘের বর্তমান সংখ্যা বলা তো সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দবনের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে বাঘের গুরুত্ব সব থেকে বেশি। এই প্রকল্পটি মূলত বাঘের বংশ বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছিল। তবে অর্থ না পাওয়ায় আটকে আছে।’

অর্থছাড় না পাওয়ায় আটকে আছে বাঘ গণনা

কী আছে প্রকল্পে?

মিহির কুমার দো জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনে বাঘ গণনা করা, বাঘ গণনার জন্য আবাসন লঞ্চ ও সাপোর্ট বোট চার মাসের জন্য ভাড়া করা, ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার জন্য ২০০টি বিশেষ ক্যাটাগরির ক্যামেরা সংগ্রহ, ব্যাটারি, এসডি কার্ড কেনা, জরিপ দলে অনিয়মিত শ্রমিক, ট্রলারচালক ও জরিপের সব কার্যক্রম পরামর্শক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিচালনা, জরিপ দলের সব সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান, উপাত্ত সংগ্রহ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য ৩ কোটি ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।

এ ছাড়া প্রকল্পের বাকি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল বাঘ সংরক্ষণের জন্য। তার মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের ৩৪০ জন সদস্য ও চারটি রেঞ্জের কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদের পোশাক সরবরাহ ও প্রতি মাসে বনকর্মীদের সঙ্গে মাসিক সভা করা।

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘের ৮০ শতাংশ খাবার আসে হরিণ থেকে। এই প্রকল্পের আওতায় বাঘের শিকার হরিণ, বন্য শূকর– এ ধরনের প্রাণীর জরিপ করার উদ্যোগ ছিল।’

এ ছাড়া বংশ বৃদ্ধির জন্য পুরুষ ও নারী বাঘকে কাছাকাছি রাখার জন্য বাঘ হস্তান্তর, তাদের বিচরণ এলাকা জানার জন্য দুটি বাঘে স্যাটেলাইট সংযুক্তি ও মনিটর করা, বাঘের পরজীবীর সংক্রমণ ও অন্যান্য ব্যাধি এবং মাত্রা নির্ণয়, উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ কার্যক্রম এ প্রকল্পটির করার কথা রয়েছে।

মিহির কুমার দো বলেন, ‘বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন প্রায় প্রতি বছর আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের যে অংশে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি, সে জায়গায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ ও সুন্দরবনে আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানো যায়, আগুন নেভানোর যন্ত্রাংশ, পাইপ ও ড্রোন ক্রয় কার্যক্রমও এ প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে।

‘সুন্দরবনে গ্রামসংলগ্ন এলাকায় নদী ও খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাঘ গ্রামে প্রবেশ করে জানমালের হুমকি হয়ে থাকে। এ জন্য ৬০ কিলোমিটার অংশে নাইলনের ফেনসিং নির্মাণ করে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

তিনি জানান, সুন্দরবনে ২০০৭ সালে সিডর, ২০০৯ সালে আইলা ও ২০২১ সালে ইয়াসের মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বনের সব এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। তখন বনের বাঘ ও বাঘের শিকার প্রাণী আশ্রয়ের জন্য লোকালয়ে প্রবেশ করে। বাঘ ও বাঘের শিকার প্রাণী ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়ের জন্য সুন্দরবনে ১২টি মাটির কিল্লা স্থাপন করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

এ ছাড়া বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের সব কার্যক্রমে পরামর্শক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে বিশেষ প্রশিক্ষণ, জরিপ সম্পন্ন, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, প্রতিবেদন তৈরি কার্যক্রমে স্বল্পমেয়াদি ১২ জন পরামর্শক বিশেষজ্ঞের সংস্থান প্রকল্পে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫, শ্বেতাঙ্গ কিশোর আটক
দুই বছর ধরে খাঁ খাঁ প্রশিক্ষণ ভবন
জুয়ার ৩৩১ ওয়েবসাইট বন্ধ করল বিটিআরসি
ভোটের সময় হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন
সুন্দরবনে বৃষ্টিপাত-তাপমাত্রা অপরিবর্তিত ৬০ বছর, তবু বাড়ছে লবণাক্ততা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Tiger deer hunting tourism does not stop in Sundarbans pollution is increasing
২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস

সুন্দরবনে থেমে নেই বাঘ-হরিণ শিকার, পর্যটনে বাড়ছে দূষণ

সুন্দরবনে থেমে নেই বাঘ-হরিণ শিকার, পর্যটনে বাড়ছে দূষণ সুন্দরবনে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া পলিথিনের খাবারের প্যাকেট কামড়ে খাচ্ছে বন্যপ্রানী বানর। সম্প্রতি সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকোট্যরিজম কেন্দ্র থেকে তোলা। ছবি: আওয়াল শেখ।
হরিণের মাংস ও বাঘের চামড়া পাচার চলছে এখনও। নদ ও খালে অসাধু জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় নষ্ট হচ্ছে জলজ পরিবেশ। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব পর্যটন না হওয়ায় বনে বাড়ছে দূষণও।

বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন বাঘ, চিত্রা হরিণ, কুমিরসহ নানা প্রজাতির মাছ, সরীসৃপ ও পাখির আবাসস্থল। সম্প্রতি এ বনে গাছকাটা প্রায় শূন্যের কোটায় নামলেও থেমে নেই বেশকিছু অনিয়ম।

হরিণের মাংস ও বাঘের চামড়া পাচার চলছে এখনও। নদ ও খালে অসাধু জেলেরা বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় নষ্ট হচ্ছে জলজ পরিবেশ। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব পর্যটন না হওয়ায় বনে বাড়ছে দূষণও।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ দুজনকে আটক করে র‌্যাব। ওই ব্যক্তিরা বনের মধ্যে ছাগলের মাংসের মধ্যে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে বাঘ শিকার করেছিলেন।

র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, ‘এ শিকার তারা প্রায় কোটি টাকা মূল্য বিক্রি করার জন্য শৌখিন মানুষ খুঁজছিলেন গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কারা এই পাচার দলের সঙ্গে সংযুক্ত ও কারা এর ক্রেতা, তার কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তদন্তাধীন।’

বিভিন্ন হিসেবে, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জরিপ অনুয়ায়ী, বাংলাদেশে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা আছে ১১৪টি। তবে ২০০৪ সালের জরিপ অনুসারে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৪৪০টি। অর্থ্যাৎ ১৫ বছরে বন থেকে ৩২৬ টি বাঘ কমে গেছে।

বন বিভাগের হিসাব মতে, ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘ মারা গেছে কমপক্ষে ৪৬টি। এর মধ্যে প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছে ৮টি, শিকারিদের হাতে মারা গেছে ১৩টি, লোকালয়ে প্রবেশ করায় স্থানীয়দের হাতে মারা গেছে ৫টি, দুর্বৃ্ত্তদের হাতে মারা যাওয়া বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছে ১৯টি ও ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে মারা গেছে একটি। বাকি বাঘগুলি কোথায় গেল তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

বন বিভাগের দাবি, সম্প্রতি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নতুন করে শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালের মার্চ মাসে এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করবে বন বিভাগ।’

বাঘের পাশাপাশি সুন্দরবনে থেমে নেই হরিণ শিকারও। বন বিভাগ ও স্থানীর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন শিকারিকে হরিণের মাংস ও চামড়াসহ আটক করা হয়েছে।

বনজীবীরা জানান, হরিণ শিকারের জন্য নাইলনের দড়ির ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ গহীন বনে বেশি হরিণ শিকার করা হয়। বাজারে প্রতি কেজি হরিণের মাংসের মূল্য ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনে হরিণ হত্যা ও পাচারের অপরাধে অনেকে আটক হয়েছেন। এই চোরা শিকারিরা অনেক শক্তিশালী। এদের বিরুদ্ধে মানুষ সাক্ষ্য দিতেও ভয় পায়। তারা এই সুযোগ নিয়ে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসে, আবারও অপরাধে লিপ্ত হয়। তবে ব্যাপকভাবে যে হরিণ শিকার হয়, তা নয়।’

তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব ডিভিশনে ৫১৬ জনবলের বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৯০ জন। এত কম জনবল নিয়েও আমরা যথেষ্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কাজ করছি।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার করা হচ্ছে। তথ্য দিলে ৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। ফলে কেউ হরিণ শিকার করলে আমাদের কাছে তথ্য আসছে, আমরা আটক করতে পারছি।’

২০১৮ সালের জরিপ মতে, এক থেকে দেড় লাখ হরিণ রয়েছে। বাঘ জরিপের আওয়তায় ২০২৪ সালের মার্চ মাসে হরিণের সংখ্যাও জানাবে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘের ৮০ শতাংশ খাবার আসে হরিণ থেকে। তাই একই প্রকল্পের আওতায় বাঘের শিকার হরিণ ও বন্য শূকর-এ ধরনের প্রাণীর জরিপ করা হচ্ছে।'

সুন্দরবন বনদস্যুদের হাত থেকে বনজীবীরা মুক্তি পেলেও, বনজীবীদের বিষের উৎপাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সুন্দরবন। জেলেদের ভাষ্য মতে, বনে এখন অল্প সংখ্যক স্থানে অধিক পরিমাণে জেলে একত্রে মাছ শিকার করতে যান। ফলে অনেক সময়ে কোন কোন জেলে বেশি মাছ আহরণ করতে পারেন না। তবে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে একসঙ্গে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।

জেলেরা জানান জানান, একবার কোনো খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে ১৫ দিনের মধ্যে ওই খালে কোনো মাছ তো পাওয়ায় যায় না। এমনকি মাছের ডিম বা পোনা পাওয়া যায় না।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, কিছু অসাধু জেলে বিষ দিয়ে মাছ শিকারে জড়িত। কিন্তু তারা অল্পদিনে আইনের গণ্ডি পেরিয়ে আবারও বনে গিয়ে অপধার শুরু করে।

বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনে অভ্যন্তরে বর্তমানে সাতটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলে হলো, করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট ও কলাগাছী। ওইসব স্থানে প্রতি বছর প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। এ ছাড়াও নতুন করে আরও চারটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বনবিভাগ পরিবেশবান্ধব বলে দাবি করলেও, বাস্তবে তা হয়নি। তারা পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা করছে এটা বলা যেতে পারে। আর আমাদের দেশে এটা বাস্তবায়ন হতে আরও অনেক দেরি লাগবে।

তিনি বলেন, ‘বনে পর্যটকরা পলিথিন নিয়ে যাচ্ছেন। খাবারের অংশসহ সেই পলিথিন ফেলে আসছে, এটা বন্যপ্রাণী খাচ্ছে। ফলে তাদের শরীরে এটি ইফেক্ট পড়বে। এখারে বন বিভাগের তদারকির অভাব আছে, কারণ বনে জনবল সংকট। আর আমাদের দেশের মানুষও পরিবেশ সম্পর্ক সচেতন নয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Lawyers wife jailed for gang rape case

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করে উল্টো জেলে আইনজীবীর স্ত্রী

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করে উল্টো জেলে আইনজীবীর স্ত্রী
আদালত সূত্রে জানা যায়, কারাগারে যাওয়া ওই নারী নিজেকে বিধবা পরিচয় দিয়ে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের অভিযোগ এনে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০১৩ সালে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ মার্চ ওই মামলাকে সম্পূর্ণ মিথ‍্যা বলে রায় দেয়া হয় এবং সব আসামি বেকসুর খালাস পান। 

নওগাঁয় গণধর্ষণের মামলা মিথ‍্যা প্রমাণিত হওয়ায় এক আইনজীবীর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই নির্দেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কারাগারে যাওয়া ওই নারী নিজেকে বিধবা পরিচয় দিয়ে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের অভিযোগ এনে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০১৩ সালে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ মার্চ ওই মামলাকে সম্পূর্ণ মিথ‍্যা বলে রায় দেয়া হয় এবং সব আসামি বেকসুর খালাস পান।

এরপর মিথ‍্যা মামলা করার অভিযোগে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই নারী আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:
নওগাঁ কীভাবে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা
নওগাঁর এক গ্রামে ৩৬৫ পুকুর খননের নেপথ্যে কী
নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থান ঘুরতে চালু হচ্ছে ট্যুরিস্ট বাস
চাল বেচে দিয়েছেন কাভার্ড ভ্যানচালক, ফোনে জানলেন ব্যবসায়ী
শিশু মরিয়ম পেল ডিএমপি কমিশনারের উপহার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The discussed Chhatra League president was arrested

আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে পেটানোর মামলায় সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনের সঙ্গে একটি মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১০ মার্চ দুই পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস করেন। সেই শালিসে উভয়ের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে পেটানোর মামলায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ফরিদপুর র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাবের ভাষ্য, সোমবার রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রায়মোহনকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনের সঙ্গে একটি মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১০ মার্চ দুই পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস করেন। সেই শালিসে উভয়ের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

গত ১০ মার্চ সালথায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ফরিদপুরের একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের ইভটিজিংয়ের শিকার ওই তরুণী।

গত ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনকে দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী সেই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। একই দিনে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:
বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ এপ্রিল
অন্তর্কোন্দলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করল কুবি ছাত্রলীগ
অধ্যাপক তানজীমের নিরাপত্তা চান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা
ছাত্রলীগ নেত্রীর জন্মদিনে চাঁদা না দেয়ায় মারধরের অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the mobile court is not real

ভ্রাম্যমান আদালতের খবরে আসলই না বরপক্ষ

ভ্রাম্যমান আদালতের খবরে আসলই না বরপক্ষ সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বাল্যবিবাহ দেয়ার অভিযোগে কনের বাবা-মাকে জরিমানা করছেন। ছবি: নিউজবাংলা
'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক বিয়ে বন্ধ করে দিই। এসময় কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেয়ে বরপক্ষ কনের বাড়িতে আসেনি।'

নোয়াখালীল সেনবাগে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করায় বাবাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়নি বরপক্ষ।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাজুরিয়া সরদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক বিয়ে বন্ধ করে দিই। এসময় কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেয়ে বরপক্ষ কনের বাড়িতে আসেনি।'

আরও পড়ুন:
ইংল্যান্ড-ওয়েলসে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল
বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে জরিমানা
বাল্যবিবাহ: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন জেলে
বাল্যবিয়ে ঠেকাল দর্শনা থানা পুলিশ
শ্বশুরবাড়ি নয়, স্কুলে যাবে মেয়েটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five teachers including 4 are in jail in the case of inciting student to commit suicide

ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ৪ শিক্ষকসহ পাঁচজন কারাগারে

ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ৪ শিক্ষকসহ পাঁচজন কারাগারে কারাগারে পাঠানো হয়েছে পাঁচজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
গত বছরের ১ জুন কীটনাশক পানের পর মারা যায় ১৪ বছরের সিফাত হোসেন। স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। তার বাবা মিজানুর রহমান এ ঘটনায় মামলা করেন।

নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক ও আরও একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালতে হাজির হয়ে সোমবার ওই পাঁচজন জামিন আবেদন করলে আবেদন নাকচ করে সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম।

কারাগারে যাওয়া চার শিক্ষক হলেন সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৫৬ বছর বয়সী মো. আজাহারুল ইসলাম, ৪৩ বছরের সহকারী শিক্ষক মো. সাজেদুর রহমান সাজু, ৩৯ বছরের শ্রী সুবল মন্ডল, ৫১ বছেরের মো. নজরুল ইসলাম। বাকিজন দাসকান্দি গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে মিঠু।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১ জুন কীটনাশক পানের পর মারা যায় ১৪ বছরের সিফাত হোসেন। স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। তার বাবা মিজানুর রহমান এ ঘটনায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ মে সকালে স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাতকে নবম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থী মারধর করে। ঘটনাটি ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে জানালে ওই দিনই তার বাবা প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর কাছে অভিযোগ করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তবে প্রধান শিক্ষক বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে উল্টো নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে মারপিট করতে বলেন, আর না হয় হাতে মেয়েদের চুড়ি পরে থাকতে বলেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীর বাবা সাজেদুর রহমান মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ করেন এবং বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবল মন্ডল ও নজরুল ইসলামও মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে ওই দিন রাতে কীটনাশক খায় মারধরের শিকার সিফাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১ জুন দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলী আদালতে ওই বছরের ৯ জুন মামলা করেন। মামলার এজাহারে থাকা বাকি আসামিরা ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন:
যৌতুকের দাবিতে চবি ছাত্রীকে মারধর, কারাগারে র‍্যাব সদস্য
কারাগারে অসুস্থ হাজতির ঢামেকে মৃত্যু
কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ২ হাজার ১৬২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
23 people have been sentenced to death and 6 have been sentenced to life for killing youths in Madaripur

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে কুপিয়ে যখম করে প্রতিপক্ষরা। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

মাদারীপুর সদ‌রে রাজিব সরদার হত্যা মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, তুষার শরীফ, ইউসুপ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন-সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। এ সময় তিনি পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার তিন দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালত দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।

এদিকে এ রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে কুপিয়ে হত্যা করেন প্রতিপক্ষরা। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন:
মাস্টার্সের সার্টিফিকেট আনা হলো না আফসানার
এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৯
মাদারীপুরে বাস খাদে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাস খাদে, নিহত ১৭
বেশি দামে মুরগি বিক্রি করায় দোকানিদের জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed in random shootings in Rohingya camp

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলির পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বালুখালীর ১৩ নম্বর ক্যাম্পে জি/ব্লকে ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান।

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উখিয়ার বালুখালীর ১৩ নম্বর ক্যাম্পের জি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-১৩নম্বর ক্যাম্পের জি ব্লকের বেচা মিয়ার ছেলে ৩০ বছরের মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ হোসেনের ছেলের ৩৪ বছরের মোহাম্মদ রফিক। এ ঘটনায় ২৮ বছরের মোহাম্মদ ইয়াছিন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বালুখালীর ১৩ নম্বর ক্যাম্পে জি/ব্লকে ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলে রফিক নামে এক যুবক নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে রফিক নামের আরও এক যুবক মারা যান। আহত যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পরিচালক (এএসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি এপিবিএন ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পর মিলল রোহিঙ্গার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ
উখিয়ায় গুলিতে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক নিহত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল টেকনাফে
দুর্বৃত্তদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা গুলিবিদ্ধ

মন্তব্য

p
উপরে