× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Those who won votes under ECs close observation
google_news print-icon

ইসির নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভোট, জিতলেন যারা

ইসির-নিবিড়-পর্যবেক্ষণে-ভোট-জিতলেন-যারা
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার সকালে ভোটকেন্দ্রে জমায়েত হন ভোটাররা। ছবি: নিউজবাংলা
ইসি জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৬০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবিড় পর্যবেক্ষণে সারা দেশে জেলা পরিষদের ভোট হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়ে টানা বেলা ২টা পর্যন্ত চলে।

ভোট শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রেস ব্রিফ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেছেন, ‘দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গন্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’

ইসি জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৬০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোট গণনা শেষে বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন।

নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও বাসসের খবর-

চট্টগ্রাম: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।

বিকেলে ভোট গণনা শেষে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। তিনি জানান, পেয়ারুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত মোটরসাইকেল প্রতীকে ১১৪ ভোট পেয়েছেন।

জেলার ১৫ উপজেলায় ১৫টি সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৫টি পদে প্রার্থী ছিলেন ২২ জন। তিনটি সাধারণ সদস্য পদে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) ওয়ার্ডে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী।

গাজীপুর: শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদের ভোট হয়েছে। বিকেলে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, গাজীপুরে জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোতাহার হোসেন মোল্লা ৩৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম পেয়েছেন ২৯৪ ভোট। নির্বাচনে ৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৬৩৬ জন। তাদের মধ্যে ৬২৮ জন ভোট দিয়েছেন।

২টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদা ইয়াসমিন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে উম্মে কুলসুম শিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন। ৫টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে দেলোয়ার হোসেন, আমিনুর রহমান, আনিছুর রহমান আরিফ ও আবদুস ছালাম নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোর্ত্তজা রশিদী দারা। বেলা ৩টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এই ফল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ: জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন শীল জেলা এবং ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনটি সাধারণ সদস্য পদ ও দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন হয়। এই পাঁচ পদের জন্য লড়েন ১৯ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুম আহমেদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবু নাঈম ইকবাল জয়ী হয়েছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন এলাকায় দুজন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় লটারি হবে।

সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া আফরিন ও সিমা রানী পাল।

কুষ্টিয়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ৯৪২ ভোটের মধ্যে তিনি ৭৩২ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন পেয়েছেন ২০০ ভোট।

কুড়িগ্রাম: জেলা পরিষদ ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। ৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৩টি। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৩৬ জন। তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। এর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।

নির্বাচনে তিনটি মহিলা সংরক্ষিত পদে মধ্যে ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী থেকে মাসুদা ডেইজি, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর থেকে শিউলী বেগম এবং চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজীবপুর উপজেলা থেকে আরমিন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

৯ উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন কুড়িগ্রাম সদরে মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব, উলিপুরে মো. জুয়েল, রাজারহাটে এনামুল হক, ভূরুঙ্গামারীতে মো. জহির উদ্দিন, নাগেশ্বরীতে একরামুল হক বুলবুল, ফুলবাড়ীতে মনোয়ারা বেগম, চিলমারীতে মো. জামিনুল হক, রৌমারীতে হারুনুর রশীদ, রাজীবপুরে মো. সোহেল।

নীলফামারী: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মমতাজুল হক। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।

বগুড়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৭৪ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ডা. মকবুল হোসেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন তিনি।

নড়াইল: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১৭৮ ভোট।

গাইবান্ধা: জেলা পরিষদে ৫৫৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আতাউর রহমান সরকার পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট।

বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান এ ফল ঘোষণা করেন।

মাগুরা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পংকজ কুমার কুন্ডু ৩৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরিয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১২৪ ভোট ।

দিনাজপুর: জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১৬২ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২২৬ ভোট।

নাটোর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাজেদুর রহমান খান চশমা প্রতীকে ৫৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ড. মো. নুরুন্নবী মৃধা ঘোড়া প্রতীকে ২৪৭ ভোট পেয়েছেন।

নরসিংদী: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬২২ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনির হোসেন ভূইয়া (আনারস) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মতিন ভূইয়া (কাপপিরিচ) পেয়েছেন ৩৫০ ভোট।

মেহেরপুর: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সালাম (কাপপিরিচ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৬২ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত মোট ভোট ১৭৭। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি গোলাম রসুল পেয়েছেন ১১৫ ভোট।

জয়পুরহাট: নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম (আনারস) ৩৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন (তালগাছ) পেয়েছেন ৯৬ ভোট।

যশোর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল (ঘোড়া) ৯৫৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মারুফ হোসেন কাজল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।

হবিগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯৬১। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীকে পান ৭৭ ভোট।

ঝিনাইদহ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশিদ আনারস প্রতীকে ৪৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস তার চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।

সুনামগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ ভোটের ব্যবধানে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সমর্থিত ড. খায়রুল কবির রুমেন পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট।

পঞ্চগড়: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম আবু তোয়বুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

ময়মনসিংহ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস) প্রতীক নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চশমা) প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট ।

সাতক্ষীরা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬০৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খলিলুল্লাহ ঝড়ু চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।

গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুন্সী আতিয়ার রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন।

ফরিদপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাৎ হোসেন। তিনি ৬২৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. ফারুক হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৫৪০।

লালমনিরহাট: জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মতিয়ার রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
পাটগ্রামে সোমবার ভোট শেষে ফল ঘোষণা হয়েছে। এতে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী ও কালিগঞ্জ আংশিক এ সংরক্ষিত সদস্য পদে মেহেরুন নাহার মেরী এবং পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জের আংশিকে রোকাইয়া সুলতানা সুমি নির্বাচিত হয়েছেন।

ফেনী: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী খায়রুল বশর মজুমদার তপন আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নেত্রকোণা: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস) জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আসমা আশরাফ (প্রজাপতি) পেয়েছেন ২১৬ ভোট।

লক্ষ্মীপুর: জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোবাইল প্রতীকের ওচমান গণি পাটওয়ারী আবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২৩ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর রহমান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

চশমা প্রতীকে জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ৯৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. আশরাফ উদ্দিন রেনু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৮ ভোট।

সিরাজগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

কক্সবাজার: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহীনুল হক মার্শাল (আনারস)। তিনি ৫৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।

রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এই ফল ঘোষণা করেন।

রংপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ৬০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামীলীগ প্রার্থী রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৮ ভোট। ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

এবার দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয় ৫৭ জেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত স্থগিত করে।

ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুই জেলায় নির্বাচন হয়নি। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্যসহ মোট ১০৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতি উপজেলা সদরে ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপন কক্ষে ভোট দেয়ার ছবি তুলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড় পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল থেকে ১ হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন সিইসিসহ চার কমিশনার।

গত ২৩ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ বাদে ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন:
জেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোট টানতে কৌশলী প্রার্থী
গাইবান্ধার ভোট: শুনানিতে ৬৮৫ জনকে ডাকছে তদন্ত কমিটি
৫৭ জেলা পরিষদ ভোটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়েছে ইসি
৫৭ জেলা পরিষদের ভোটেও থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা
এক আসনে নিরাপত্তা নেই, ৩০০ আসনে কেমনে থাকবে: গয়েশ্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Government is committed to organizing elections within the stipulated time Chief Advisor

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
ভোটের তারিখের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে না।

ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।

তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হবে না।

ভোটের তারিখের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

আরও পড়ুন:
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত: অর্থ উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই পদবির কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।

কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়াও তিনি নিম্ন কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।

আরও পড়ুন:
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক জাতিসংঘ মহাসচিবের
নওগাঁয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Elections from December to December of this year Chief Advisor

এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি সংস্কার কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশিত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস লাগতে পারে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচি নির্ভর করবে সরকার গৃহীত প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি সংস্কার কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশিত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস লাগতে পারে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন তাকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন তিনি ‘হতচকিত’ বোধ করেন।

বিবিসিকে ড. ইউনূস বলেন,‘আমি কখনও ভাবিনি যে আমি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেব। আমি আগে কখনও প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলাম না। তাই সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আমাকে উপায়গুলো খুঁজে নিতে হয়েছে।

‘যখন বিষয়টি ঠিক হলো, তখন আমরা সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করলাম।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমার কাছে দেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং অর্থনীতি পুনর্গঠন মূল অগ্রাধিকার ছিল।’

বিবিসির আজকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, যা অধ্যাপক ইউনূস এ বছরের শেষের দিকে আয়োজনের আশা করছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

ঢাকার সরকারি বাসভবনে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় কি না। আমি তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন,‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি অর্থনীতি। এটি একটি বিচূর্ণ অর্থনীতি, একটি বিপর্যস্ত অর্থনীতি।

‘এমন মনে হচ্ছে যেন গত ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়ংকর টর্নেডো চলছে আর আমরা এখন সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন:
শ্রম আইনকে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সরকারি প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের যোগদান ১২ মার্চ
হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণ করা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা
শেখ পরিবারের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Before the advisor to the local government election

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মত তুলে ধরেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’

অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণের দাবি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারাও এ মতের পক্ষে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় জনপ্রতিনিধিরা নেই। তাদের দায়িত্বগুলো বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা পালন করছেন।

‘সেই জায়গা থেকে তাদের যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, আজকের ডিসি সম্মেলনে আমরা সেগুলো শুনেছি এবং এগুলো অ্যাড্রেস করেছি।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারদের প্রত্যেকেই মূল দায়িত্বের বাইরে কিছু না কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের অতিরিক্ত সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সমস্যাটা হলো একজন অফিসার যখন নিজ দায়িত্বের বাইরে আরও দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করেন, তার পক্ষে কোনোটাই যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, যে কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিত।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়েও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনও চলমান আছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও সরকার নেয়নি।

‘আশা করছি খুব দ্রুতই কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে। হয় আমরা দ্রুতই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করব, অন্যথায় প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, সংস্কার আগে: জামায়াত
ক্ষমতায় যে দলই আসুক, মিলেমিশে কাজ করব: মির্জা আব্বাস
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর সরকার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The importance of the chief adviser in the process of ensuring free and fair elections

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াব বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সেই প্রক্রিয়া তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অভিমত দেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডব্লিউইএফের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ক্লাউস শোয়াব ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল।’

তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তারা কী ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।’

বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি আর তরুণ নয়, বরং সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, এ প্রজন্ম পুরোনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corruption in elections will be reduced if recommendations are implemented Badiul Alam

সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম

সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি
বদিউল আলম বলেন, ‘হত্যাকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নয়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে।

কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে প্রকাশ করেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেওয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করা হয়নি; বরং এ সংস্থার ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।’

ফেরারি আসামি, বিচারিক আদালতে দোষী হলেই অযোগ্য, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত বা অর্থ পাচারকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

বিষয়টি বিতর্কিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, ‘হত্যাকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহিতায় আনতে গিয়ে তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে না বলেও মত দেন তিনি।

এদিকে আরেক অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেড় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র। চোখ এবং আঙুলে ক্ষতিগ্রস্তদের ইসির নির্দেশনায় দেওয়া হবে এনআইডি। নতুন ভোটার ছাড়াও স্মার্ট কার্ড এবং ভুল সংশোধনের সুযোগও পাবেন আহতরা।

‘এ ছাড়াও সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবেন এ সেবা।’

আরও পড়ুন:
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল
সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Election preparation within the time frame announced by the government CEC

সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি

সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রবিবার এক অনুষ্ঠানে সিইসিসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: ইউএনবি
নির্বাচন ভবনের অনুষ্ঠানে সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‌‘আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন।

রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে রবিবার এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা জানান।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে কম সংস্কার হলে নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে।

নির্বাচন ভবনের অনুষ্ঠানে সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‌‘আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

ওই সময় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সব সন্দেহ দূর করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘সংশয় দূর করার জন্য আমরা এটা (ভোটার তালিকা হালনাগাদ) করছি। আমরা মাঠে অনেক মানুষকে সম্পৃক্ত করছি।’

সারা দেশে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কিছু উপকরণ সহায়তা দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার ও ৪ হাজার ৩০০ ব্যাগ সিইসির কাছে হস্তান্তর করেন।

নাছির উদ্দিন জানান, তারা ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ বিশাল এ কর্মসূচিতে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, ‘এই ছয় মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হবে।’

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, তারা রাজনৈতিক বক্তব্য (বিতর্ক) করেন না এবং আইন ও বিধিবিধানের মধ্যে থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’

ইউএনডিপির সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, তারা আমাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

আরও পড়ুন:
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
সংসদীয় পদ্ধতিতে সব নির্বাচনের প্রস্তাব দেবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
ভোটবঞ্চনার দুঃখ ঘোচানোর অঙ্গীকার সিইসির

মন্তব্য

p
উপরে