× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Water is more expensive than electricity
google_news print-icon

বিদ্যুতের চেয়ে পানির দাম বেশি

বিদ্যুতের-চেয়ে-পানির-দাম-বেশি
খুলনা ওয়াসা ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনায় ওয়াসার পানির দাম এখন ৮ টাকা ৯৮ পয়সা। আর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। পানির এই উচ্চমূল্যের পাশাপাশি সেবা নিয়ে রয়েছে অসন্তুষ্টি।

খুলনা ওয়াসা নতুন মূল্য নির্ধারণ করায় প্রতি ইউনিট পানির দাম বিদ্যুতের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। ফলে শহরের অধিকাংশ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ওয়াসার পানি ব্যবহারে অনীহা দেখা দিয়েছে। ওয়াসার বিরুদ্ধে লবণাক্ত ও ময়লাযুক্ত পানি সরবরাহের অভিযোগেরও কোনো সুরাহা হয়নি।

খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ১৪ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে সার্ভিজ চার্জ, ডিমান্ড চার্জ ও ভ্যাট।

খুলনা শহরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। ২০২০ সালের নির্ধারিত দামে তারা গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে।

ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, আবাসিকের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন মূল্য ৩ টাকা ৭৫ পয়সা, কৃষিকাজের জন্য ৪ টাকা ১৬ পয়সা, শিক্ষা-ধর্মীয়-দাতব্য প্রতিষ্ঠান-হাসপাতালের জন্য ৬ টাকা ২ পয়সা, রাস্তার বাতি-পানির পাম্পের জন্য ৭ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা আছে।

বাণিজ্যিকভাবে ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ৫৩ পয়সা, নির্মাণশিল্পের জন্য ১২ টাকা, ব্যাটারি চার্জিং স্টেশনের জন্য ৭ টাকা ৬৪ পয়সা ও অফিসের জন্য ১০ টাকা ৩০ পয়সা।

খুলনা ওয়াসা ও ওজোপাডিকোর মূল্য তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আবাসিকের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম বিদ্যুতের থেকে ৫ টাকা ২৩ পয়সা বেশি। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম বিদ্যুতের থেকে ৪ টাকা ৩০ পয়সা বেশি।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, ‘একদিকে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে বৈদ্যুটিক পাম্প ছাড়া বহুতল ভবনের ট্যাংকিতে ওয়াসার পানি ওঠানো সম্ভব হয় না। ফলে পানি তুলতে ওয়াসাকে একদিকে মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল আসছে। যে কারণে ওয়াসার পানিতে মানুষ সন্তুষ্ট নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বছরে ৩ মাস ওয়াসার পানি লবণাক্ত থাকে। কারণ তারা মধুমতী নদীর পানি এনে শহরে সরবরাহ করে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মধুমতীতে লবণ পানি থাকে। ওয়াসা অন্য সময়ের রিজার্ভ করা পানির সঙ্গে ওই তিন মাস লবণ পানি মিশিয়ে বিক্রি করে, যা গ্রাহকের সঙ্গে এক রকম প্রতারণা। এই পানি মানুষের ব্যবহারের যোগ্য নয়। এমনকি ছাদের গাছপালাকেও দেওয়া যায় না।’

এ প্রসঙ্গে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ্‌ বলেন, ‘পানির দাম আমরা ইচ্ছা করে বাড়াইনি। ওয়াসার পানি আনা হয় শহর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূর থেকে। সেই পানি রিফাইন করতে প্রতি ইউনিটের জন্য ১৬ টাকা করে খরচ হয়। সম্প্রতি মূল্য বাড়ানো হলেও সরকার এখনো পানির দামে ভর্তুকি দিচ্ছে।’

পানির লবণাক্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বছরের কিছু সময়ে পানি লবণাক্ত ছিল। তবে এখন আমরা পুকুরে পানি রিজার্ভ রেখে দিচ্ছি। যখন মধুমতীর পানি লবণ হয়ে যাবে, তখন রিজার্ভ পানি সরবরাহ করা হবে।’

পানিতে ময়লা বা দুর্গন্ধ থাকে– এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুলনা শহরে ড্রেন, রাস্তা ও টিএনটি লাইন সংস্কারের জন্য বারবার খনন করা হয়। ফলে অনেক সময়ে ওয়াসার পাইপ ফেটে যায়। তখন পানিতে ময়লা মিশতে পারে। তবে তা আমরা দ্রুত মেরামত করে সমস্যা সমাধান করে থাকি।’

পানির দাম বাড়ে গ্রাহকের মতামত ছাড়া

খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ বছরে ৫ দফা পানির দাম বাড়িয়েছে সংস্থাটি। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ৪ টাকা ইউনিট ধরে পানির নতুন মূল্য তালিকা অনুমোদন করে ওয়াসা বোর্ড।

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পানির দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে পানির দাম দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৮০ পয়সা। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পানির দাম আরও ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে ইউনিটপ্রতি মূল্য দাঁড়ায় ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আরও ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করে ওয়াসা। এতে প্রতি ইউনিট পানির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬ টাকা ৯১ পয়সা।

গত আড়াই বছর এই মূল্যই কার্যকর ছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর পানির দাম বাড়ানো হয়।

কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় ক্ষুব্ধ খুলনার নাগরিক নেতারা। তাদের দাবি, আইন অনুযায়ী সেবার দাম বৃদ্ধির আগে অবশ্যই গণশুনানি করতে হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নামক সংগঠনের খুলনা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, ‘গ্রাহকদের মতামত ছাড়া ওয়াসা এভাবে পানির দাম বৃদ্ধি করতে পারে না। আয় বাড়ানোর জন্য পানির দাম না বাড়িয়ে ওয়াসার উচিত নিজেদের খরচ কমানো।’

ক্যাবের খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেবিড বলেন, ‘পাঁচ দফা দাম বাড়ানো হলেও ওয়াসা কখনও গ্রাহকের মতামত নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা স্পষ্ট ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন।’

এ প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘অন্যান্য শহরের তুলনায় খুলনা ওয়াসার পানির দাম কম। এই দাম দিয়ে কর্মকর্ত-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যায় না। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়। প্রতি বছরই এই ভর্তুকি কমছে।

‘সর্বশেষ পানির মূল্যবৃদ্ধি ও নিজস্ব আয় না বাড়ালে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ জন্য ওয়াসার বোর্ড সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।’

পানি পান না হতদরিদ্ররা

খুলনা শহরের ৫ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তি একালায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাসবাস। তবে তাদের পানির চাহিদা পূরণ করতে অনীহা ওয়াসার।

কেসিসির ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত বছর বস্তির একটি টিউবওয়েলের পাইপ ফেটে গিয়েছিল। প্রথমে ওয়াসার কর্মকর্তাদের কাছে যাই। তারা আশ্বাস দিয়েও কাজ করেনি। পরে আমি নিজে ওয়াসার এমডির কাছেও গেলাম, তিনি অভিযোগ শুনলেন, সমস্যার সমাধান করলেন না। একবার মেয়রকে দিয়েও তাকে বলিয়েছি, তবুও কাজ হয়নি। পরে নিজের টাকায় সেই টিউবওয়েল ঠিক করে দিছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসার এমডি আমাকে বলেছেন ওয়াসা সেবা দেয় না, ব্যবসা করে। ওয়াসা নাকি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাদের এই ব্যবসার দরকার নেই। আমরা আগে সেবা চাই।’

কেসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সামছুউদ্দীন আহমেদ প্রিন্স বলেন, ‘প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে খুলনা ওয়াসা পানি সরবরাহে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এতে পর্যাপ্ত সেবা মিলছে না। আমি কাউন্সিলর হয়েও আবেদন করে বাড়িতে পানির সংযোগ পাইনি। আমার বাড়ির দলিলসহ সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারা সেই করোনা কালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাকে ঘোরাচ্ছেন। আজ দিব, কাল দিব এভাবেই দুই বছর চলছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে সিটি করপোরেশনের পানি ব্যবস্থাপনার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি। ওয়াসা যখন পানির লাইনের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করছিল, তখন খুব আশায় ছিলাম, পানির সমস্যা লাঘব হবে। তাদের কাছ থেকে আমি নিজেই সেবা পাচ্ছি না, বস্তির মানুষ কীভাবে পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসা মিটার বসিয়েছে। যাদের এক ইঞ্চি মোটা পাইপ দিয়ে পানির সংযোগ দেয়া হয়েছে, তাদের দেড় ইঞ্চি পাইপের বিল করে দিচ্ছে। কোথাও দেখা যায় পরিবারে তিনজন সদস্যের জন্য পানির বিল ২ হাজার টাকার বেশি হয়েছে। এমন অসংখ্য অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বস্তি এলাকায় আমরা পাইপলাইনের মধ্যে পানি না দিলেও সেখানে টিউবওয়েল রয়েছে। সেখান থেকে বস্তিবাসীর পানির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াসা এখনও শহরের শতভাগ মানুষের পানির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়নি। এ ছাড়া যেসব বাড়ির কেসিসির হোল্ডিং নম্বর নেই, তাদের আমরা পানির সংযোগ দিই না।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

২০২০ সালের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ময়ূর নদ হতে পারে খুলনা শহরের পানির চাহিদা পূরণের সেরা মাধ্যম।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ময়ূর নদটি খুলনার আলুতলা থেকে শুরু হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে বিলপাবলা এলাকা পর্যন্ত বয়ে গেছে। সেখানে প্রায় ৪০ বর্গকিলোমিটার জায়গা রয়েছে। খুলনা শহরে প্রতি বছর ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

এই গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলিপ কুমার দত্ত।

তিনি বলেন,‘এই নদটি সংস্কার করে বর্ষা মৌসুমে স্বাদু পানি ধরে রাখা যেতে পারে। সেই পানি দিয়ে শহরের মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো যাবে। এটা ওয়াসাকে বারবার বলা হলেও তারা কখন আমলে নেইনি।’

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘একসময়ে খুলনা শহরের মানুষের জন্য সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করত কেসিসি। তখন কোনো অভিযোগ ছিল না। এখন ওয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগের অভাব নেই। কী কাজে তারা ৫২ কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে যাবে? শহরের পাশের নদী থেকে পানি রিফাইন করলেই তো লবণ পানিকে মিষ্টি করা যায়। তাদের সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই।’

আরও পড়ুন:
ওয়াসা কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে পানির দর
ঘুষের মামলায় ওয়াসার সাবেক ফিল্ড অফিসারের ৪ বছরের দণ্ড
ধনী-গরিবের আলাদা পানির বিলে সময় লাগবে
কেবল দাম বাড়ালে হবে না, ওয়াসাকে দুর্নীতিও কমাতে হবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two maternity deaths at the same clinic in Kushtia Attack on the home of the clinic owner

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।

সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The allegation of BNP leader Hafiz Ibrahim to the home adviser is false and fabricated

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।

মন্তব্য

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে