× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Swastis Dhaka City Transport has been launched on two new routes
google_news print-icon

স্বস্তির ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু নতুন দুই রুটে


স্বস্তির-ঢাকা-নগর-পরিবহন-চালু-নতুন-দুই-রুটে
ঘাটারচর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ও কদমতলী পর্যন্ত দুই রুটে চালু হয়েছে ঢাকা নগর পরিবহন। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর বাস চলাচলে বিশৃঙ্খলা দূর করতে নগরীর রুট সংখ্যা কমিয়ে এনে মানসম্পন্ন বাস সেবা চালুর এই উদ্যোগ ঢাকার দুই মেয়রের। তাদের ঘোষণা হচ্ছে, এই সেবা পুরো নগরজুড়ে চালু হওয়ার পর বিদ্যমান নিম্নমানের বাসগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

যাত্রী যে গন্তব্যে যাবেন, ঠিক ততটুকুর ভাড়া দিচ্ছেন, টিকিট কেটে নির্ধারিত স্থানে সুশৃঙ্খলভাবে উঠছেন- নগর পরিবহনে এমন চিত্র এখন থেকে দেখা যাবে আরও দুই রুটে।

কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট ও শাহবাগ, কাকরাইল হয়ে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এবং ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর হয়ে মিরপুর রোড ধরে নিউমার্কেট হয়ে যাত্রাবাড়ীর কদমতলী পর্যন্ত চালু হলো ঢাকা নগর পরিবহন, যে বাসগুলো যাত্রীদের চলার পথের ভোগান্তি অনেকটাই কমাবে।

বৃহস্পতিবার সকালে বৃহস্পতিবার সকাল বসিলা যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন স্থানে এই বাস সেবা চালুর উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এই দুই রুটের মধ্যে ফার্মগেট হয়ে চলা ২২ নম্বর রুটে দেয়া হয়েছে ৫০টি নতুন বাস আর নিউমার্কেট হয়ে চলা ২৬ নম্বর রুটে দেয়া হয়েছে বিআরটিসির ৫০টি বাস দেয়া হয়েছে।


স্বস্তির ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু নতুন দুই রুটে

এ নিয়ে নগর পরিবহনে রুটের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে। গত ১৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চালু হয় প্রথম সেবা।

রাজধানীর বাস চলাচলে বিশৃঙ্খলা দূর করতে নগরীর রুট সংখ্যা কমিয়ে এনে মানসম্পন্ন বাসসেবা চালুর এই উদ্যোগ ঢাকার দুই মেয়রের। তাদের ঘোষণা হচ্ছে, এই সেবা পুরো নগরজুড়ে চালু হওয়ার পর বিদ্যমান নিম্নমানের বাসগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই সিটিতে শৃঙ্খলা আনার জন্য দুই মেয়র যা যা চাইবেন, আমার পক্ষ থেকে তাই দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নত করার যে লক্ষ্য নিয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধান কাজই হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা আনা। এই নগর পরিবহনের মাধ্যমে সেই শৃঙ্খলা আসবে।’

বিআরটি নিয়ে কথা শুনতে হয়’

মন্ত্রী কথা বলেন গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চলা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভোগান্তি নিয়েও। তিনি বলেন, ‘আমরা অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ করছি, সবগুলো উদ্বোধনও করছি। কিন্তু এই যে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত একটা প্রকল্প নিয়েছি, তা আজও শেষ করতে পারলাম না। এর কারণে আমাকে সব জায়গায় কথা শুনতে হয়। আমি সচিবদের বলব, এই রকম কোনো প্রকল্প আপনারা হাতে নেবেন না। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থারা টাকা দিতে চাইলেও এই রকম ভোগান্তির প্রকল্প হাতে নেবেন না।

যেখান সেখানে ভবন নির্মাণের প্রবণতা নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে। সরকারি কর্মকর্তারা সেটা দেখলেই ভবন নির্মাণ করতে চান। কিন্তু এত ভবন নির্মাণের দরকার নেই। ভবনে আরামে আপনারা কাজ করবেন আর বৃষ্টিতে অন্য কাজ বন্ধ হয়ে থাকবে, তা হবে না।’

১৬০০ বাস বন্ধ হয়ে যাবে

সভাপতি বক্তব্যে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য উন্নত ঢাকা গড়া, আর উন্নত ঢাকা গড়তে হলে তার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এই পরিবহন চালু করেছি।

‘গত বছর পুরাতন বাস দিয়ে প্রকল্পটা চালু করলেও এবার ২২ নম্বর রুটে সম্পূর্ণ নতুন বাস চালু করছি, যাতে যাত্রীরা মানসম্মত সেবা পায় আরামদায়ক মনে করে এই বাসে ওঠে।’


স্বস্তির ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু নতুন দুই রুটে
রুট উদ্বোধন করে বাসে চড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

মেয়র বলেন, ‘আমরা যাত্রী ছাউনিগুলো পরিষ্কার করে রাখব যাতে কেউ এটা দখল না করতে পারে। আর অনুমোদনহীন ১ হাজার ৬০০ গাড়ি চলতে দেবো না। সেগুলো বন্ধ করে দেবো।’

মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার কেন

ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকে চালু হওয়া এই রুটে অন্য কোনো রুট পারমিটহীন বাস ঢুকতে দেবো না। কারণ অন্য বাস এই সব রুটে থাকলে যাত্রীরা কনফিউজড হয়ে যায়, শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।

‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটে আমরা একটির পর একটি এই নগর পরিবহন চালু করব এবং একটা সময় আমরা পুরো ঢাকায় এই নগর পরিবহন চালু করব।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সড়ক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেয়র বলেন, ‘অতি দুঃখের সঙ্গে আমরা দেখতে পাই, আমরা অনেক বড় প্রকল্প করছি, এই যেমন মেট্রোরেল... অথচ এই মেট্রোলের পিলার আজ পোস্টারে ভরে গেছে। যেন পিলারগুলো আজ বিভিন্ন নেতা পোস্টার মারার জন্য তৈরি হয়েছে।

‘আমি আজ মন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আপনি এই বিষয়গুলো দেখবেন। আর নেতাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ করার জন্য পোস্টার লাগাতে হয় না। আওয়ামী লীগ মানুষের মনের ভেতরে থাকে। নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার আছে ফ্রন্ট গিয়ার, নৌকা শুধু সামনেই চলবে।’

ঢাকা নগর পরিবহনের বিস্তারিত

বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ২১ নং রুটে (ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-প্রেস ক্লাব-মতিঝিল...যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে বাস সেবা পরিচালনা শুরু করা হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৯টি ক্লাস্টার (৯টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের), ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।


স্বস্তির ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু নতুন দুই রুটে
এখন পর্যন্ত তিনটি রুটে চালু হওয়া নগর পরিবহন চলবে মোট ৪২ রুটে

এর মাঝে সবুজ ক্লাস্টারে বর্তমানে চলমান মোট ৫৪টি রুটকে সমন্বয় করে ৮টি রুটে পরিণত করা হয়েছে যাদের রুট নং ২১ হতে ২৮।

প্রকল্পের আওতায় যাত্রী উঠানামর জন্য ৭০টি ছাউনি (বাস স্টপেজ) তৈরি করা হয়েছে।

২২ নম্বর রুট

ঘাটারচর- ওয়াশপুর-বসিলা - মোহাম্মদপুর টাউন হল-আসাদ গেট-ফার্মগেট কাওরানবাজার-শাহবাগ-কাকরাইল ফকিরাপুল-মতিঝিল-টিকাটুলি-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-কোনাপাড়া-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার।

২৬ নম্বর রুট

ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-টাউন হল-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-নিউমার্কেট-আজিমপুর-পলাশী-চাঁনখার পুল-ফ্লাইওভার হয়ে-পোস্তগোলা কদমতলী।

আরও পড়ুন:
বাসে ভাড়া ১ টাকা কমাতে যেতে হবে ২০ কিলোমিটার
বাসের ভাড়া কমতে পারে কিলোতে ৫ পয়সা
বাস ভাড়া ছয় বছর আগে কমেনি, এবার কি কমবে?
বাসে বাড়তি ভাড়া চার্ট না থাকার সুযোগে
চার্টের ভাড়া নামেই, লাব্বাইক নেয় ইচ্ছামতো

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ
Ahsan Manzil three day clean museum campaign

আহসান মঞ্জিলে তিন দিনব্যাপী পরিচ্ছন্ন জাদুঘর ক্যাম্পেইন

আহসান মঞ্জিলে তিন দিনব্যাপী পরিচ্ছন্ন জাদুঘর ক্যাম্পেইন

ইনোভেশন প্রদর্শনী আয়োজনের লক্ষ্যে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন জাদুঘর ক্যাম্পেইন। ‘পরিচ্ছন্ন জাদুঘর, হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই স্লোগানে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শো-কেসিং পরিচালনার ক্যাম্পেইনটি ২৬ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার জাদুঘরে পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের কীপার মো. সুলতান মাহমুদ ও উপকীপার দিবাকর সিকদার।

এদিন বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইটির সূচনা হয়। পরবর্তীতে জাদুঘর প্রাঙ্গণে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম আহসান মঞ্জিলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং খুব দ্রুতই জনসাধারণের সুবিধার্থে আরও কয়েকটি ওয়াশরুম স্থাপনের নির্দেশনা দেন। এছাড়াও গ্যালারি আরও আধুনিকায়ন, প্রয়োজনীয় স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করার বিষয়েও আস্বস্ত করেছেন।

ক্যাম্পেইনটির বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের কীপার মো. সুলতান মাহমুদ জানান, জনসাধারণকে সচেতন করতেই মূলত আমাদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা আহসান মঞ্জিলে আসে তারা যেনো নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে এবং নোংরা না করে সে লক্ষ্যেই আমরা সকলকে সচেতন করবো।

সার্বিক বিষয়ে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে উপকীপার দিবাকর সিকদার বলেন, আহসান মঞ্জিলে পূর্বে যেসব ডাস্টবিন ছিল সেগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা নতুন করে বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা জাদুঘরের বিভিন্ন স্থানে ২৫টি ডাস্টবিন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছি। এছাড়াও সকলে যেনো জাদুঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করছে আহসান মঞ্জিলের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বিডি ক্লিনের ভলেন্টিয়াররা। ক্যাম্পেইন চলাকালীন বিডি ক্লিনের সহযোগিতায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Summon Murder Submit reports of DUBI inquiry committee

সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা

সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) সকালে উপাচার্য ভবনে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিবেদনটি উপাচার্যের হাতে জমা দেন। এ সময় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ‘উপাচার্য স্যার আজ (সোমবার) প্রতিবেদনটি রিসিভ করেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

হত্যাকাণ্ডে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম গত ১৪ মে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানিয়েছে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপট করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Petrol pump strike is the capitalist

চলছে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বিপাকে রাজধানীবাসী

চলছে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বিপাকে রাজধানীবাসী

দশ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে আধাবেলা পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বন্ধ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন, বিপাকে পড়েছেন রাজধানীবাসী।

উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা বাইক চালক জিয়া হোসেন সকালে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হলে দেখেন আশপাশের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ।

নিজের দুরবস্থার কথা জানিয়ে জিয়া বলেন, অনেকেই জানে না আজকে ধর্মঘট চলছে। বাইক ঢেলে ঢেলে নানা পাম্পে ঘুরেও তেল পাওয়া যায়নি।

রাইড শেয়ারের আরেক বাইক চালক মনসুর বলেন, "আমরা প্রতিদিন সকালে তেল নিয়ে কাজে বের হই। আজকে সকাল থেকে প্রতিটা পাম্প বন্ধ। বাইকে তেল না থাকায় বসে থাকতে হচ্ছে।"

প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার নজরুল জানান, পাম্পে তেল থাকলেও বিক্রি বন্ধ রেখেছে কর্মচারীরা। জ্বালানি না থাকায় সড়কে গাড়ির চাপও তুলনামূলক কম।

সরেজমিনে রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মধুবাগ, শাহজাহানপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ পাম্প বন্ধ।

রামপুরার হাজিপাড়া পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী আকবর বলেন, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। এসময় তেল উত্তোলন এবং বিপণন বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘটের মূল দাবি তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা এবং সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল আগেরটাই বহাল রাখা।

পাম্প সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসাবে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণের নিয়ম বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ, অননুমোদিতভাবে ঘর বা খোলা স্থানে তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যুতে জটিলতা দূর করা এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া যেখানে-সেখানে ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা না করে ডিপো গেইটে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলে গঠিত এ ঐক্য পরিষদ।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tensions are increasing in NBR military police deployment

এনবিআরে সেনা–পুলিশ মোতায়েন, উত্তেজনা বাড়ছে

এনবিআরে সেনা–পুলিশ মোতায়েন, উত্তেজনা বাড়ছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের সামনে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সকাল থেকেই এনবিআর ভবনের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনবিআর কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা জেনেছি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ এনবিআর চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আসার কথা রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ সরকারি, আধা-সরকারি অফিস, ব্যাংক, স্কুল-কলেজ খোলা রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এর আগে, বুধবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সব ধরনের অসহযোগিতাসহ একাধিক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সকাল থেকে এনবিআর ভবনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয় কর্মকর্তারা।

সংগঠনের বিবৃতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশের এনবিআর কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী ২৪ ও ২৫ মে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে, কাস্টমস হাউস ও এলসি স্টেশন বাদে। রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির বাইরে থাকবে।

২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা বাদে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের অবিলম্বে অপসারণের নতুন দাবি যোগ করেছে সংগঠনটি।

এর আগে, সংগঠনের তিনটি প্রধান দাবি ছিল—প্রথমত, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; দ্বিতীয়ত, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে; এবং তৃতীয়ত, এনবিআরের প্রস্তাবিত খসড়া ও উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর সব স্টেকহোল্ডার—অকাঙ্ক্ষী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও টেকসই রাজস্ব সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে, এনবিআরের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের একটি অ্যাড হক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Citizenship of the capital in the capital of the rains and movement blockade

টানা বৃষ্টি ও আন্দোলন-অবরোধে রাজধানীর নাগরিক ভোগান্তি চরমে

টানা বৃষ্টি ও আন্দোলন-অবরোধে রাজধানীর নাগরিক ভোগান্তি চরমে প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াতে দূর্ভোগে পরেছেন পথচারী ও অফিস ফেরত কর্মজীবি মানুষ৷ ছবি রাজধানীর মৌচাক এলাকা থেকে তোলা৷ ছবি: মো. রাকিবুল হাসান

টানা বৃষ্টি এবং আন্দোলন-অবরোধে রাজধানী ঢাকাবাসীর নগর জীবন বিষিয়ে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যানবানবাহনের গতি কমে গিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ঢাকায় চলমান বিভিন্ন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র দাবদাহের পর গত কয়েক দিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও ঢাকায় বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিন সকালে ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টানা মৌসুমি বর্ষণে ঢাকার অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কগুলোরও অনেকাংশ তলিয়ে যায়। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এলেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এদিন সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে ধীর হয়ে গেছে যানবাহনের গতি।

এদিকে, বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার কয়েকটি স্থানে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।

একই সময়ে, সকাল ১০টা থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন থেকে হাইকোর্ট এলাকা ও মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তীব্র যানজট; সবকিছু মিলিয়ে নাকাল নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও অফিসফেরত, পথচারী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। অফিসকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ছাতা থাকলেও ভারি বর্ষণের কারণে আধভেজা হয়ে অফিসের পথে রওনা দিতে হয় অনেককে।

এদিন ভারি বৃষ্টিপাতে নিউমার্কেট এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা ও তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। এতে জনবহুল নিউমার্কেটের স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে আলী খান নামে নিউমার্কেট এলাকার এক হকার বলেন, ‘সকালে মাত্র দোকান খুলেছি, তার কিছু পরেই বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি উঠে যায়, দোকানপাট খোলা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরেই নিউমার্কেট এলাকার এই অবস্থা দেখে আসছি। সিটি করপোরেশন এই বিষয়ে অবশ্যই জানে, তারপরও তারা এ নিয়ে কোনো কাজ করে না। এ কারণে আমাদের কষ্টও আর ফুরায় না।’

আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রব আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কোনো সরকারই আমাদের দিকে সুনজর দেয়নি। নিউমাকের্ট এলাকায় দ্রুততার সঙ্গে ড্রেন করে পানি বের করার ব্যবস্থা করা দরকার।’

পানি ওঠার কারণে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন দুপুর ২টা বাজে, অথচ দিনের বেচাকেনা শুরু করলাম মাত্রই। এভাবে চললে তো আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে যাবে। আমাদের সব শেষ। ঋণ হতে হতে এমন অবস্থা যে, নিজের রক্ত বেঁচলেও ঋণ পরিশোধ হবে না।’

জরুরিভিত্তিতে সিটি করপোরেশন যাতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সেই দাবি জানান নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the rain the student body was stopped at Shahbag Md

বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে ছাত্রদলের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে ছাত্রদলের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের হল পর্যায়ের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

গতকাল (বুধবার) সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থানের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নেই আজ আরও একবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে তারা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকেই শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পরই ঝুম বৃষ্টি নামে। তবে বৃষ্টি তাদের অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করতে পারেনি। ১০টার পরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তা নেমে যান ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাদের অনুসরণ করেন আরও অনেকে।

এ সময় তারা ‘আর চাই না, আর চাই না, এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই ,সাম্য হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আজ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির রয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।

ছাত্রদল সাম্য হত্যার বিচারের কোনো আশ্বাস পায়নি জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্যকে হত্যার প্রকৃত খুনিদের আজকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই মামলাটি পুলিশের পর ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা ডিবির সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু একজন প্রকৃত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে—এমন কিছু বলে তারা আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। আবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের চার দিন পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে সময়ক্ষেপণের বিষয়টি লক্ষ করা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ভূমিকা পালনকারী একজন শিক্ষার্থীকে যদি এভাবে হত্যা করা হয় এবং তার খুনিদের যদি প্রশাসন গ্রেপ্তারে এভাবে ব্যর্থ হয়, তাহলে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন ঠিক কী ভূমিকা পালন করছে, তা এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি।

এর আগে (জাহিদুল ইসলাম) পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে, এখন সাম্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হলো জানিয়ে রাকিব বলেন, সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে যাতে সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার হয়, সেই দাবিতেই আমরা আজকের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।

ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। পরে ফার্মগেট-কারওয়ানবাজার হয়ে শাহবাগগামী যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে বাংলামোটর মোড় থেকে মগবাজারমুখি সড়ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The writ case is not barred from taking oath of Israq dismissed

রিট মামলা খারিজ, ইশরাকের শপথ নিতে ‘বাধা নেই’

রিট মামলা খারিজ, ইশরাকের শপথ নিতে ‘বাধা নেই’

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেট অবৈধ ঘোষণার দাবি এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

আদালতের এই আদেশের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এ রিট মামলার ওপর মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।

ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে বসাতে এক সপ্তাহ ধরে তার সমর্থকদের আন্দোলনের মধ্যে আদালতের এই সিদ্ধান্ত এল।

মন্তব্য

p
উপরে