× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP also wants US sanctions on the government
google_news print-icon

সরকারের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি

সরকারের-ওপরও-যুক্তরাষ্ট্রের-নিষেধাজ্ঞা-চায়-বিএনপি
বুধবার পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশকে আরেকবার পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা দ্বিতীয় দফার আন্দোলন শুরু করেছি। চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে সেই আন্দোলনের সূচনা হলো।’

র‍্যাবের মতো বর্তমান সরকারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিলে তো হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে হাসিনা সরকারকে। হাসিনা সরকারের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, কাস্টডিতে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে।’

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার কিছুদিন আগে এসেছিলেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন যে এখানে গুম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট বেরিয়েছে কয়েকদিন আগে। তারা বলেছে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। এখানে গুম হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। এমনকি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই।

‘খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছে তা রাজনৈতিক সাজা বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে সরকার।’

পলোগ্রাউন্ড থেকে নতুন আন্দোলনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।

‘আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, এই দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশকে আরেকবার পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্য এই চট্টগ্রাম থেকে আমরা দ্বিতীয় দফার আন্দোলন শুরু করেছি।

‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, আমাদের লাখো শহীদকে স্মরণ করার আন্দোলন, লাখো মানুষকে মুক্ত করার যে আন্দোলন, আজ চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে সেই আন্দোলনের সূচনা হলো।’

তিনি বলেন, ‘দুদিকে তাকিয়ে দেখবেন বড় বড় ব্যানারে আমাদের কয়েকজন ভাইয়ের ছবি আছে। তারা কারা? যারা গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, জনগণকে অন্যায়-অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য শহীদ হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যখন জ্বালানি তেল আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করি, ভোলায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম প্রথম শহীদ হন। শহীদ হন ছাত্রদলের নূরে আলম। তারপর শহীদ হন নারায়ণগঞ্জে আমাদের যুবদলের নেতা শাওন৷ সবশেষ মুন্সীগঞ্জের শাওন। এরা কারা? এরা সাধারণ মানুষ।

‘এই সাধারণ মানুষগুলো বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘মারো আমাকে, কিন্তু দেশকে আমি মুক্ত করতে চাই। এই দেশকে মুক্ত করতে হবে হায়েনাদের হাত থেকে।

‘আমরা গণতন্ত্র ফিরে চাই। আমাদের অধিকারগুলো ফিরে চাই, যে অধিকার আমরা পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে। আমাদের নেতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকারগুলোকে ফিরে পেয়েছিলাম। সেই অধিকারগুলো আমরা ফিরে চাই।’

সরকারের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি

নতুন আন্দোলনে জেতা ছাড়া বিকল্প পথ নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৫০ বছর হয়ে গেছে স্বাধীনতার। তখন যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। আজ আবার যুদ্ধ করতে হবে গণতন্ত্রের জন্য। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। হয় আমরা জিতব, নয়তো মরে যাব।’

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার কথা বলেছিলেন। আজ চালের দাম ৭০ টাকা কেজি। সবকিছুর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। শুনতে পাচ্ছি, বিদ্যুতের দামও নাকি বাড়াবে।

‘পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, পানির দামও বাড়িয়েছে। এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। কেন? কারণ একটাই। তারা লুট করে, চুরি করে, ডাকাতি করে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ডিসিরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছে- আমরা আপনার কথা মানি না; শেখ হাসিনার কথা মানি। এরকম নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনোভাবেই নির্বাচন নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা তা পরিষ্কার করে বলেছি, আন্দোলন শুরু করেছি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন ‘পুলিশ বলছে- লাঠি নিয়ে মিটিংয়ে আসা যাবে না। পুলিশকে এই অধিকার কে দিয়েছে? পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণের টাকায় পুলিশের বেতন হয়। পুলিশকে মনে রাখতে হবে, তারা শেখ হাসিনার কর্মচারী নয়।’

‘জনগণের একটাই দাবি- শেখ হাসিনার পতন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটাই স্লোগান- হঠাও মাফিয়া, বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দিয়েছে। হামলা করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। কিন্তু সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আজকের সমাবেশকে জনতা মহাসমাবেশে পরিণত করেছে।’

তিনি বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করছি। এসব দাবি শুধু বিএনপির নয়, ১৮ কোটি মানুষের।

‘এই সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এদেশে যতবার গণতন্ত্র সংকটের মুখে পড়েছে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরাই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছে। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’

সরকারের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি

আমীর খসরু মাহমদু চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে। জীবন দেব, গণতন্ত্র আনব, শেখ হাসিনার পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকার আসবে, সেই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, জনগণের ভোটে সরকার গঠন হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। শেখ হাসিনার বিদায়ের বার্তা এসে গেছে। চট্টগ্রামবাসী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে- শেখ হাসিনা এখনই পদত্যাগ করুন। আগামীকাল নয়, পরশু নয়; আজই পদত্যাগ করুন।

‘এইবার যখন নেমেছি আর বাড়ি ফিরে যাব না। যেভাবেই হোক, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক-রাজনৈতিক-সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনব।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘সরকার খালি উন্নয়নের কথা বলে। এত উন্নয়ন উন্নয়ন করেন, এই উন্নয়ন তো এখন বাংলাদেশের মানুষের গলার ফাঁস হয়ে গেছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে খালেদা জিয়ার সরকার চলবে। যারা খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন ১০ ডিসেম্বরের পর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলো।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশটি পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের দেয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ঠিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতা চান। আরেকজন বলেন, পুলিশ হচ্ছে আওয়ামী-বান্ধব। পুলিশ না হলে আওয়ামী লীগ এতোদিন ক্ষমতায় থাকতে পারত না।

‘তাদের এই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের আর কোনো রাজনীতিই থাকে না। ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকরাই এখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছেন। আজকের সমাবেশ প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, ভিপি জয়নাল আবেদীন, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুউদ্দীন খোকন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মৎসজীবী সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, কৃষকদলের সভাপতি জাফিরুল ইসলাম তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।

আরও বক্তব্য দেন- কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দীন আলাল, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহানা আকতার শানু, ওলামা দলের মাওলানা নেসারুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন।

বক্তাদের মধ্যে আরও ছিলেন- বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, এনামুল হক এনাম, জসিম উদ্দিন শিকদার, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনা কি গড যে সমালোচনা করা যাবে না: ফখরুল
৯৬-এর আলোকে তত্ত্বাবধায়কের রূপরেখা করছে বিএনপি
দুর্নীতিতে গ্রিড বিপর্যয় হলে ২০০৩ স্মরণ করুন: ফখরুলকে কাদের
কেবল বিদ্যুৎ নয়, সব কিছুতেই জাতি বিপর্যয়ে: ফখরুল
দেবী দুর্গার আবির্ভাব সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If BNP comes to power allowances will be given to unemployed youth SA Jinnah Kabir

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে চলবে, শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করা হবে, চাকরী যতদিন না হবে তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকার ক্রয় করবে। ৩১ দফায় কৃষকদের কৃষি উপকরণ, কৃষক-শ্রমিক গ্রাম-গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা রয়েছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা কলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির উদ্যোগে তালুকনগক ডিগ্রী কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা সভা ও লিফলেট বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও কৃষক শ্রমিক, দু:স্থ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।

তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক আব্দুস সামাদ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউজ্জল রবির সঞ্চলানায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Priyanka expressed solidarity with the demands of the teachers

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।

ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no obstacle to elections after signing the July Charter Shamsuzzaman Dudu

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।

বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Injured and martyred families were disrespected at the July charter signing ceremony

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আখতার হোসেন বলেন, শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে ‘পাওয়ার এলিট’-এর সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ কমিশন জুলাই সনদের অঙ্গীকারের পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতে যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো তাহলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না।

তিনি বলেন, সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।

এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইনভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।

তিনি বলেন, এনসিপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ৭২ সালের বন্দোবস্ত বিলোপ করে নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিচার সংস্কারের অংশ হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ এই দাবিতে এনসিপিকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারে জোরালো ভূমিকা রেখেছি।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। সনদের আইনিভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’-এর উল্লেখ নেই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনিভিত্তি থাকতে হবে। কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার প্রকৃত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নেই।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত বেসিক স্ট্রাকচারের আওতাভুক্ত। ফলে ৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এতে জুলাই সনদ জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত হবে।

এ কারণে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে—যাতে এর আইনভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

শেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে আগামী কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা জনগণের পাশে থাকব। কোনো অবস্থাতেই জুলাই সনদকে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আইনিভিত্তিহীন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বা ‘জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিণত করা যাবে না। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ইচ্ছাকে ধারণ করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

p
উপরে