রাজধানীর উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। জব্দ করা হয় ৫০০ বোতল বিদেশি মদ ও প্রায় ছয় হাজার ক্যান বিয়ার। গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫ জনকে।
অভিযানের পর ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই রেস্টুরেন্ট ও বারে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে ডিবি পুলিশ, যার ১ নম্বর আসামি বার মালিক মোক্তার হোসেন। কে এই মোক্তার হোসেন তা জানতে অনুসন্ধানে নামে নিউজবাংলা। আর তাতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
জানা যায়, নেহায়েত দরিদ্র পরিবারের সন্তান গাজী মোক্তার হোসেন চাকরির খোঁজে ঢাকায় আসেন। একটি কোরিয়ান ক্লাবে চাকরির সুবাদে পরিচিত হন বার ব্যবসার সঙ্গে। একই সঙ্গে জড়িত হন গ্রামের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে। আর সে সুবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়। হয়ে ওঠেন স্থানীয় বালু ব্যবসার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ঢাকায় মোক্তারের জন্য বড় ‘আশীর্বাদ’ হয়ে আসে সাবেক এক আমলার ছত্রছায়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই আমলার ছত্রছায়ায় এসে মোক্তার রাজধানীতে একে একে পাঁচটি বারের মালিক বনে যান। দেশের বার জগতে তিনি হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।
মোক্তারের উত্থান
মোক্তারের বারে অভিযান চালানোর পর ডিবির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তবে এই অভিযানকে যৌক্তিক ও বৈধ দাবি করা হয় ডিবির পক্ষ থেকে।
মোক্তারের বারে অনুমোদনবিহীন মদ ও অসামাজিক কাজ চলার অভিযোগ করেন ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তাৎপর্যের বিষয় হলো, মোক্তারের বিষয়ে এখন আর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নন ডিবির কোনো কর্মকর্তা। মোক্তারের উত্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির একাধিক কর্মকর্তা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে নাম প্রাকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, মুক্তার চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোক্তার প্রথমে ঢাকায় এসে একটি কোরিয়ান বারে চাকরি পান। এই চাকরির সুবাদে অবৈধভাবে মদ বেচাকেনার সঙ্গে জড়ান।
অবৈধভাবে মদের কারবার করে কিছু অর্থকড়ি কামিয়ে নেন মোক্তার। একপর্যায়ে স্থানীয় রাজনৈতিক যোগাযোগের সূত্র ধরে সাবেক এক মন্ত্রীর মাধ্যমে তার পরিচয় হয় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর বিভিন্নজনকে ব্যবহার করে একে একে বাগিয়ে নেন বার পরিচালনার পাঁচটি লাইসেন্স। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিদেশে মোক্তারের সম্পদ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকেন।‘
ডিবির দায়ের করা মামলায় মোক্তারকে ১ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে তাকে মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে তাকে গ্রেপ্তার করবে।’
মোক্তারের বিষয়ে খোঁজ জানতে তার গ্রামের বাড়িতেও অনুসন্ধান চালায় নিউজবাংলা। জানা যায়, তার পুরো নাম গাজী মোক্তার হোসেন। চাঁদপুরের মতলব উপজেলার জহিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।
মোক্তারকে বাল্যকাল থেকে চেনেন এমন স্থানীয় দুজনের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, মতলব উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের নিশানখোলা গ্রামে ছিল মোক্তারের বাবার ভিটা। তার জন্মও সেখানেই। অভাবতাড়িত পরিবারটি পরবর্তী সময়ে একই উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে চলে আসে। এখনও সেখানেই বাস করছে পরিবারটি। সেখানে তাদের একটি টিনের বাড়ি আছে।
মোক্তারের বাবা পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। মোক্তার শুরু থেকেই স্থানীয় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে চাকরির খোঁজে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এর বেশ কয়েক বছর পর গ্রামের সবাই জানতে পারেন ঢাকায় মোক্তারের একাধিক হোটেল ও বার আছে।
টাকার মালিক হওয়ার পর ১০ বছর ধরে মোক্তার আবার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি বর্তমানে জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সবশেষ চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি চাঁদপুরের কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী সেলিম খানের সিন্ডিকেটের সদস্য বনে যান এই মোক্তার।
তার পূর্বপরিচিত ওই দুই ব্যক্তি আরও জানান, মোক্তার স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একজন এমপি ও সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তার মাধ্যমেই বিভিন্ন রাজনীতিক ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে মোক্তারের পরিচয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। মোক্তারের ছোট দুই ভাইয়ের একজন গাজী সেলিম জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই গাজী সম্রাট চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।
ঢাকায় মোক্তারের খুঁটির জোর সাবেক আমলা
অনুসন্ধানে জানা যায়, মোক্তার প্রথম ঢাকায় আসেন ১৯৯৭ সালে। কোরিয়ান একটি বারে চাকরি করেন বেশ কিছুদিন। এ সময় তার মদের কারবার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হয়। অবৈধ মদ বিক্রি করে রাতারাতি কিছু টাকার মালিক বনে যান।
পরবর্তী সময়ে নিজে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে মোক্তারের ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই অতিরিক্ত সচিবকে ধরেই হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি প্রথম বারের লাইসেন্স পান।
এরপর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভালো যোগাযোগ তৈরি হয় তার। একে একে আরও চারটি বারের লাইসেন্স পান মোক্তার। এরপর রাজনৈতিক প্রভাবে দেশের বার জগতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
নিজের পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজ থাকলেও আড়ালে অনুমোদনহীন মদও বিক্রি করতেন নিয়মিত। এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এমনকি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোক্তারের বারগুলোর সব কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়। সে একজন মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চলত। আমাদের সঙ্গেও এক ধরনের ড্যাম কেয়ার ভাব দেখাত।
‘মোক্তার অনেকবার বেয়াদবিও করেছে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। কাগজ ঠিক থাকায় আর তার রাজনৈতিক প্রভাবের কথা ভেবে হয়তো কর্মকর্তারা তাকে কড়া জবাব দেননি। তবে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বার ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাকে পছন্দ করে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজনৈতিক যোগাযোগ আর সাবেক ওই আমলার ছত্রছায়ায় আবাসিক হোটেল ব্যবসাসহ লেকভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব, উত্তরার লেকভিউ বার, গুলশানের কিংফিশার বার, নারায়ণগঞ্জে ব্লুফিয়ার নামে আরো একটি বারসহ উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলেছেন মোক্তার।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় গাজী মোক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসিক হোটেলে ম্যানেজার পদে চাকরি নেন। এরপর পরিবার থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কোরিয়া-বাংলাদেশ ক্লাবে যুক্ত হয়ে বারের ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিজেই বারের অনুমোদন নেন। পরে শুরু করেন বার ব্যবসা। পরবর্তী সময়ে আরো চারটি বারের মালিক হন। এর মধ্যে হেফাজত নেতাদের বাধায় নারায়ণগঞ্জের বারটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি।
কোনো অবৈধ উপায়ে তার ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়নি দাবি করে মোক্তার জানান, তার পরিবার সচ্ছল ছিল। বাবা অটোরিকশাচালক ছিলেন- এ তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ব্যবসা শুরু করতে তার বাবাই তাকে টাকা দিয়েছিলেন।
লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে এতদিন ব্যবসা করে আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করতে এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমি যদি অবৈধ মদের ব্যবসা করে থাকি তাহলে ডিবি সদস্যরা প্রমাণ করুক।
‘অনেক পত্রিকায় দেখলাম লিখেছে যে আমি পলাতক। অথচ আমি আজও আমার মায়ের মৃত্যুর তিন দিনের মিলাদ শেষ করলাম। আমি গ্রামের বাড়িতে আছি। মোবাইল ফোন সেটও খোলা রেখেছি। তারা যদি আমাকে ডাকে আমি নিজে গিয়ে হাজির হব৷’
বিদেশে সম্পদ আছে কি না এবং স্ত্রী-সন্তানরা কোথায় থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকি। আমার স্ত্রী-সন্তানরা সেখানেই আছে। আমার বিদেশে সম্পদ থাকলে আপনারা বের করে দেখান।’
একাধিক আমলা ও সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্য এবং চাঁদপুরের কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন এই বার ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।
৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।
সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।
তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।
সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।
তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।
সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:শেরপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর হামলাকারীরা ‘ভূমিদস্যু’ বলে অভিযোগ করেছেন আহত কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নন্দীবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত দুই কর্মকর্তা হলেন- সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শহীদুল ও কামারেরচর ভূমি অফিসের নায়েব শহীদুল ইসলাম।
শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে শহরে ফেরার পথে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীবাজার এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ওই দুই কর্মকর্তার গতিরোধ করেন। এ সময় সার্ভেয়ার মোটরসাইকেলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিত পেছন থেকে তাদের দুজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে এবং একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সার্ভেয়ার শহীদুলের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা তাদের শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত সার্ভেয়ার শহীদুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।
পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।
হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।
‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’
আরও পড়ুন:পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনজনকে আটক করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী, যাদের বাড়ি পাবনার বিভিন্ন উপজেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।
সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অডিটে আসেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায়। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান তারা। পরে অডিট কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় অফিস থেকে পাঁচ সদস্যের অডিট টিম ব্যাংকে অডিট শুরু করে। ওই টিমের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনজনের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে রাতে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃতদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য