× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Politicians and ex bureaucrats are reckless
google_news print-icon

রাজনীতিক আর সাবেক আমলায় বেপরোয়া মোক্তার

রাজনীতিক-আর-সাবেক-আমলায়-বেপরোয়া-মোক্তার
রাজনীতিক আর সাবেক আমলার ছত্রছায়ায় অল্প সময়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন মোক্তার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
উত্তরায় ডিবি পুলিশের অভিযান, আটক ও মদ উদ্ধারের ঘটনার পর আলোচনায় উঠে আসা বার মালিক মোক্তার হোসেনের বিষয়ে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার নানামুখী কার্যকলাপ। রাজনৈতিক যোগাযোগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিবের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন সম্পদের সাম্রাজ্য। একে একে হয়েছেন পাঁচটি বারের মালিক। হয়েছেন চাঁদপুরের কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী সেলিম খানের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।

রাজধানীর উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। জব্দ করা হয় ৫০০ বোতল বিদেশি মদ ও প্রায় ছয় হাজার ক্যান বিয়ার। গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫ জনকে।

অভিযানের পর ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই রেস্টুরেন্ট ও বারে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে ডিবি পুলিশ, যার ১ নম্বর আসামি বার মালিক মোক্তার হোসেন। কে এই মোক্তার হোসেন তা জানতে অনুসন্ধানে নামে নিউজবাংলা। আর তাতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।

জানা যায়, নেহায়েত দরিদ্র পরিবারের সন্তান গাজী মোক্তার হোসেন চাকরির খোঁজে ঢাকায় আসেন। একটি কোরিয়ান ক্লাবে চাকরির সুবাদে পরিচিত হন বার ব্যবসার সঙ্গে। একই সঙ্গে জড়িত হন গ্রামের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে। আর সে সুবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়। হয়ে ওঠেন স্থানীয় বালু ব্যবসার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।

রাজনীতিক আর সাবেক আমলায় বেপরোয়া মোক্তার

রেস্টুরেন্ট ও বারে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে এমন অভিযোগে উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারে চালানো অভিযানের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় করা ডিবির মামলায় ১ নম্বর আসামি বার মালিক মোক্তার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

তবে সবকিছু ছাপিয়ে ঢাকায় মোক্তারের জন্য বড় ‘আশীর্বাদ’ হয়ে আসে সাবেক এক আমলার ছত্রছায়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই আমলার ছত্রছায়ায় এসে মোক্তার রাজধানীতে একে একে পাঁচটি বারের মালিক বনে যান। দেশের বার জগতে তিনি হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।

মোক্তারের উত্থান

মোক্তারের বারে অভিযান চালানোর পর ডিবির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তবে এই অভিযানকে যৌক্তিক ও বৈধ দাবি করা হয় ডিবির পক্ষ থেকে।

মোক্তারের বারে অনুমোদনবিহীন মদ ও অসামাজিক কাজ চলার অভিযোগ করেন ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তাৎপর্যের বিষয় হলো, মোক্তারের বিষয়ে এখন আর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নন ডিবির কোনো কর্মকর্তা। মোক্তারের উত্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির একাধিক কর্মকর্তা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

তবে নাম প্রাকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, মুক্তার চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোক্তার প্রথমে ঢাকায় এসে একটি কোরিয়ান বারে চাকরি পান। এই চাকরির সুবাদে অবৈধভাবে মদ বেচাকেনার সঙ্গে জড়ান।

অবৈধভাবে মদের কারবার করে কিছু অর্থকড়ি কামিয়ে নেন মোক্তার। একপর্যায়ে স্থানীয় রাজনৈতিক যোগাযোগের সূত্র ধরে সাবেক এক মন্ত্রীর মাধ্যমে তার পরিচয় হয় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর বিভিন্নজনকে ব্যবহার করে একে একে বাগিয়ে নেন বার পরিচালনার পাঁচটি লাইসেন্স। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

রাজনীতিক আর সাবেক আমলায় বেপরোয়া মোক্তার

ক্ষমতার বলয় বাড়ানোর জন্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন মোক্তার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

বিদেশে মোক্তারের সম্পদ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকেন।‘

ডিবির দায়ের করা মামলায় মোক্তারকে ১ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে তাকে মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে তাকে গ্রেপ্তার করবে।’

মোক্তারের বিষয়ে খোঁজ জানতে তার গ্রামের বাড়িতেও অনুসন্ধান চালায় নিউজবাংলা। জানা যায়, তার পুরো নাম গাজী মোক্তার হোসেন। চাঁদপুরের মতলব উপজেলার জহিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।

মোক্তারকে বাল্যকাল থেকে চেনেন এমন স্থানীয় দুজনের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, মতলব উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের নিশানখোলা গ্রামে ছিল মোক্তারের বাবার ভিটা। তার জন্মও সেখানেই। অভাবতাড়িত পরিবারটি পরবর্তী সময়ে একই উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে চলে আসে। এখনও সেখানেই বাস করছে পরিবারটি। সেখানে তাদের একটি টিনের বাড়ি আছে।

মোক্তারের বাবা পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। মোক্তার শুরু থেকেই স্থানীয় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে চাকরির খোঁজে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এর বেশ কয়েক বছর পর গ্রামের সবাই জানতে পারেন ঢাকায় মোক্তারের একাধিক হোটেল ও বার আছে।

টাকার মালিক হওয়ার পর ১০ বছর ধরে মোক্তার আবার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি বর্তমানে জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

রাজনীতিক আর সাবেক আমলায় বেপরোয়া মোক্তার

সবশেষ চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।

রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি চাঁদপুরের কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী সেলিম খানের সিন্ডিকেটের সদস্য বনে যান এই মোক্তার।

তার পূর্বপরিচিত ওই দুই ব্যক্তি আরও জানান, মোক্তার স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একজন এমপি ও সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তার মাধ্যমেই বিভিন্ন রাজনীতিক ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে মোক্তারের পরিচয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। মোক্তারের ছোট দুই ভাইয়ের একজন গাজী সেলিম জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই গাজী সম্রাট চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।

ঢাকায় মোক্তারের খুঁটির জোর সাবেক আমলা

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোক্তার প্রথম ঢাকায় আসেন ১৯৯৭ সালে। কোরিয়ান একটি বারে চাকরি করেন বেশ কিছুদিন। এ সময় তার মদের কারবার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হয়। অবৈধ মদ বিক্রি করে রাতারাতি কিছু টাকার মালিক বনে যান।

পরবর্তী সময়ে নিজে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে মোক্তারের ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই অতিরিক্ত সচিবকে ধরেই হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি প্রথম বারের লাইসেন্স পান।

এরপর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভালো যোগাযোগ তৈরি হয় তার। একে একে আরও চারটি বারের লাইসেন্স পান মোক্তার। এরপর রাজনৈতিক প্রভাবে দেশের বার জগতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি।

নিজের পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজ থাকলেও আড়ালে অনুমোদনহীন মদও বিক্রি করতেন নিয়মিত। এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এমনকি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোক্তারের বারগুলোর সব কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়। সে একজন মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চলত। আমাদের সঙ্গেও এক ধরনের ড্যাম কেয়ার ভাব দেখাত।

‘মোক্তার অনেকবার বেয়াদবিও করেছে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। কাগজ ঠিক থাকায় আর তার রাজনৈতিক প্রভাবের কথা ভেবে হয়তো কর্মকর্তারা তাকে কড়া জবাব দেননি। তবে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বার ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাকে পছন্দ করে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজনৈতিক যোগাযোগ আর সাবেক ওই আমলার ছত্রছায়ায় আবাসিক হোটেল ব্যবসাসহ লেকভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব, উত্তরার লেকভিউ বার, গুলশানের কিংফিশার বার, নারায়ণগঞ্জে ব্লুফিয়ার নামে আরো একটি বারসহ উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলেছেন মোক্তার।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় গাজী মোক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসিক হোটেলে ম্যানেজার পদে চাকরি নেন। এরপর পরিবার থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কোরিয়া-বাংলাদেশ ক্লাবে যুক্ত হয়ে বারের ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিজেই বারের অনুমোদন নেন। পরে শুরু করেন বার ব্যবসা। পরবর্তী সময়ে আরো চারটি বারের মালিক হন। এর মধ্যে হেফাজত নেতাদের বাধায় নারায়ণগঞ্জের বারটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি।

কোনো অবৈধ উপায়ে তার ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়নি দাবি করে মোক্তার জানান, তার পরিবার সচ্ছল ছিল। বাবা অটোরিকশাচালক ছিলেন- এ তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ব্যবসা শুরু করতে তার বাবাই তাকে টাকা দিয়েছিলেন।

লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে এতদিন ব্যবসা করে আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করতে এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমি যদি অবৈধ মদের ব্যবসা করে থাকি তাহলে ডিবি সদস্যরা প্রমাণ করুক।

‘অনেক পত্রিকায় দেখলাম লিখেছে যে আমি পলাতক। অথচ আমি আজও আমার মায়ের মৃত্যুর তিন দিনের মিলাদ শেষ করলাম। আমি গ্রামের বাড়িতে আছি। মোবাইল ফোন সেটও খোলা রেখেছি। তারা যদি আমাকে ডাকে আমি নিজে গিয়ে হাজির হব৷’

বিদেশে সম্পদ আছে কি না এবং স্ত্রী-সন্তানরা কোথায় থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকি। আমার স্ত্রী-সন্তানরা সেখানেই আছে। আমার বিদেশে সম্পদ থাকলে আপনারা বের করে দেখান।’

একাধিক আমলা ও সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্য এবং চাঁদপুরের কুখ্যাত বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন এই বার ব্যবসায়ী।

আরও পড়ুন:
উত্তরার বারে অভিযান নিয়ে ডিএনসি ও পুলিশের দ্বন্দ্ব
‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে সুখবর শিগগিরই
প্রবারণার ফানুসে উড়ল বুদ্ধের চুল ওড়ানোর স্মৃতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে