× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
State of the art technology is being used to prevent accidents on highways
google_news print-icon

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি

মহাসড়কে-দুর্ঘটনা-রোধে-বসছে-অত্যাধুনিক-প্রযুক্তি
মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক আইন খুব একটা মানি না। গতিসীমা মানি না। জাতিগতভাবেই আমরা উল্টোপাল্টা গাড়ি চালাই। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী কিছুদিনের মধ্যে মহাপ্রকল্প আসছে। এর দুটি পাইলট প্রকল্প আজ অনুমোদন হয়েছে।’

দেশের মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভার থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্র বসানো হবে। এই প্রকল্প দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সারা দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১২২ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নতুন এই প্রকল্প অনুমোদনের খবর জানান।

প্রকল্পটির নাম ইমপ্রুভিং দ্য রিলায়েবিলিটি অ্যান্ড সেফটি অন ন্যাশন্যাল হাইওয়ে করিডর অফ বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রোডাকশন অফ ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম (আইটিএস)।

​প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আইটিএসের মাধ্যমে সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী, যানজট ও দূষণমুক্ত, সর্বোপরি দুর্ঘটনামুক্ত দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক আইন খুব একটা মানি না। গতিসীমা মানি না। জাতিগতভাবেই আমরা উল্টোপাল্টা গাড়ি চালাই। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী কিছুদিনের মধ্যে একটি মহাপ্রকল্প আসছে। এর দুটি পাইলট প্রকল্প আজ অনুমোদন হয়ে গেছে।

‘কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) কিছু দেবে, আমরা কিছু দেব। সেসব যন্ত্র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে বসানো হবে। এই প্রকল্পের এলাকা হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা।

‘কেউ গাড়ি দ্রুত চালিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে। গাড়ির নম্বর চলে আসবে। ট্র্যাক করা যাবে। এখানে এর সাফল্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রকল্পটি আমরা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে নিয়ে যাব।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্প ব্যয় ১২২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেবে সরকার। বাকি ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে কোইকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও উন্নত সড়ক পরিবহন অবকাঠামো ও অপারেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের আওতায় আইটিএস-এর মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হবে। সওজ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার।

একনেক সভায় এই প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বাদ দেয়া হয়েছে একটি প্রকল্প।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাদ দেয়া প্রকল্পটি ছিল বগুড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্লাইং স্কুল ইত্যাদি। এখানে কিছু আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা স্থগিত। তারা রিভিশন করে নতুন করে নিয়ে আসবে সেটা।’

এ ছাড়া অনুমোদন পেয়েছে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের উন্নতমানের সাময়িক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ৫৯ কোট ১৪ লাখ টাকার প্রকল্প সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণের প্রকল্প।

এ ছাড়া রয়েছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদী তীর সংরক্ষণ, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি।

আরও পড়ুন:
বৃষ্টিতে বেহাল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
জটহীন মহাসড়কে কর্মস্থলে ফিরছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষ
কুমিল্লার ৯৬ কিলোমিটারে স্বস্তি
যানজট নেই, তবুও চট্টগ্রাম ও সিলেটের পথে দুর্ভোগ
‘বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে’ টোল আদায় করবে কেইসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Naked bodies of men and women in private cars in Tejgaon

তেজগাঁওয়ে প্রাইভেট কারে নারী-পুরুষের নগ্ন মরদেহ

তেজগাঁওয়ে প্রাইভেট কারে নারী-পুরুষের নগ্ন মরদেহ প্রতীকী ছবি
পুলিশের পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ‘তাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নারীর ব্যাগে কনডম পাওয়া গেছে।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়িতে প্রাইভেট কারের ভেতর দুজন নারী-পুরুষের মরদেহ নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল।

পরে স্থানীয় লোকজনের দেয়া খবরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ।

তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, এলেনবাড়ি এসএসএফের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে প্রাইভেট কারটি দাঁড় করানো ছিল।

মরদেহ দুটি ৫৩ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন ও ৪২ বছর বয়সী মৌসুমী আক্তার রানির।

দেলোয়ার এসএসএফের অফিস সহায়ক এবং মৌসুমীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়।

পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ‘তাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অবস্থা দেখে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, প্রাইভেট কারে তারা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন অথবা উত্তেজক কিছু সেবন করেছিলেন। নারীর ব্যাগে কনডম পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশের পক্ষে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
‘প্রেমিকের’ বাড়ির সামনে প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ
প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’
সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ৯ মাস পর মরদেহ ফেরত
রাস্তায় পড়ে ছিল ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির মরদেহ
হাতিরঝিল থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Husband and wife came to settle the quarrel and killed

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মীমাংসা করতে এসে খুন

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মীমাংসা করতে এসে খুন খুনের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দিনাজপুর সদরে দম্পতির ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আবদুস সোবহান (৪২) নামের এক ব্যক্তি।

এ ঘটনায় হত্যাকারী নূর মোহাম্মদকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুনের ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয়।

খুন হওয়া আবদুস সোবহান আস্করপুর ইউনিয়নের সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকার আমিনুদ্দিন ইসলামের ছেলে। নূর মোহাম্মদ কুড়িগ্রাম জেলার প্রয়াত আবদুল গণির ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নূর মোহাম্মদ সুন্দরা মাঝাপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। এক বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে মুকুন্দপুর গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকত তার।

মঙ্গলবার নূর মোহাম্মদের শ্বশুর জয়নাল আবেদীন ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোতাহারের পাশাপাশি শাহাজান, হামিদুলকে নিয়ে তাদের বিবাদ মীমাংসা করার জন্য। একপর্যায়ে নূর মোহাম্মদকে বাড়ি থেকে ডাকার জন্য সোবহানকে পাঠানো হয়। তিনি বাড়িতে ডাকতে গেলে নূর মোহাম্মদ দা দিয়ে সোবহানের ঘাড়ের ওপর কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবদুস সোবহান।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু চবি ছাত্রীর
মহাসড়কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা, সব আসামি খালাস
বনানী চেকপোস্টে বুকে গুলি করে পুলিশ সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
10 leaders of Jamaat Shibir arrested in Banani

বনানী থানা জামায়াতের আমির ও সম্পাদকসহ আটক ১০

বনানী থানা জামায়াতের আমির ও সম্পাদকসহ আটক ১০
বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বনানীতে নবাবী রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার রাতে বৈঠক করছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাফিসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

রাজধানীতে জামায়াতের ইসলামীর ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বনানী ওয়ারলেস গেট নবাবী রেস্টুরেন্ট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

গোপনে মিটিং করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বনানীতে নবাবী রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার রাতে গোপনে বৈঠক করছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাফিসহ জামাত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
জামায়াতের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট, তল্লাশি
জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে ককটেল সদৃশ বস্তু, সরাতে গিয়ে বিস্ফোরণ
পুলিশ ধরল কেন, ছাড়ল কেন?
জামায়াতের ৪ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
ডিএমপি কার্যালয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teknaf is gradually becoming unsafe due to Rohingya terrorists

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে টেকনাফ

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে টেকনাফ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অপরাধ রাজ্যে পরিণত হয়েছে টেকনাফের পাহাড়গুলো। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, ‘একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী এসব অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকও আছে।’

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে ক্রমেই অনিরাপদ অঞ্চল হয়ে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ। স্থানীয়দের অনেকেই এর মধ্যে ভয়ে এলাকা ছেড়েছে। শিশুরা এখন মাঠে খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিরাও রাত হলে ভয়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যান।

গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ভাবতে হচ্ছে।

টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে রোহিঙ্গারা গড়ে তুলেছে ‘অপহরণ সংগঠন’। সেখানে চলছে বিদেশি পিস্তল, ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য। বাধা দিতে গেলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও গুলি চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।

এছাড়া উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তারা। নিয়মিত অভিযানে আটক করেও ঠেকানো যাচ্ছে না অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের। হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, স্বর্ণের চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে ‘অপরাধ রাজ্য’ তৈরি করেছে তারা।

একসময়ের শান্তিপূর্ণ টেকনাফে এখন অপহরণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সাধারণ রোহিঙ্গারাও অপহরণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। টেকনাফের পাহাড়-জঙ্গলে আস্তানা গড়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে সন্ত্রাসীরা। মুক্তিপণ দিলেও আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে লাশ মাটির গর্তে পুঁতে রাখা হচ্ছে। পরে সেসব কঙ্কাল উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানেও তাদের দমানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ক্যাম্পে খুন এখন নিয়মিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে একটু মাথাচাড়া বা পরিচিত হয়ে উঠছে, তাকেই খুন করা হচ্ছে।

রোববার অপহরণের শিকার হয়েছে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ হোসাইন সূর্য। তার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।

স্থানীয় লেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সূর্য এলাকার সোলতান আহমেদের ছেলে। রোববার স্কুল ছুটির পর অপহরণ করা হয় তাকে।

তার বাবা সোলতান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা ফোন করে বলছে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে আমার ছেলেকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হবে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি।’

শুক্রবার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দেয়ায় গত শনিবার রাতে এক যুবকের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে ওই হাতসহ তাকে ফেরত পাঠায় অভিভাবকের কাছে। মুক্তিপণ না দিলে বাকিদের হত্যা করা হবে বলে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা।

এ বিষয়ে হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের দমদমিয়া, জাদিমোরা, লেদা, আলীখালী, রঙ্গীখালী, পানখালী, কম্মুনিয়াপাড়া ও মরিচ্চ্যঘোনা এলাকার মানুষ অপহরণ আতঙ্কে ভুগছে। এসব এলাকায় মাদক ব্যবসাও বেড়েছে। অপহরণকারীদের হাত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুছাত্র পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সদর ইউনিয়নে কয়েকটি পাহাড় আছে। এসব পাহাড়ে আস্তানা গড়েছে ১০-১২টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাদের অপহরণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশু, ছেলেমেয়ে, স্কুলছাত্র; এমনকি অটোরিকশাচালকরাও। যে কোনো সময় যে কেউ অপহরণের শিকার হচ্ছে। ফলে স্থানীয় সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অনেকে সন্ধ্যার পর সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে দেন না। কেউ কেউ বিশেষ পাহারায় সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন।

অপহরণের ঘটনায় থানায় জিডি ও অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত ২৮ এপ্রিল পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডী উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল, তার দুই বন্ধু ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার ইমরান। ২৪ মে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার হয়, যারা এখন পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।

টেকনাফ থানার তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে এ বছরের ৩০ মে পর্যন্ত সাত মাসে টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে আটটি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা অন্তত ৫০। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০ জনকে। একই সময়ে অপহৃত অনেককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা দিনে ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করে। জানার চেষ্টা করে কাকে অপহরণ করলে বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেভাবে টার্গেট করে অপহরণের ঘটনা ঘটায়।’

বাহারছড়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. হুমায়ুন বলেন, ‘এই ইউনিয়নে অর্ধলাখের মানুষের বসবাস। অধিকাংশ জেলে ও কৃষক। সবাই অপহরণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে দিনেও ঘর থেকে বের হন না।’

এসময় বাহারছড়া ইউনিয়নের এক নারী সদস্য ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. ইসহাক অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করেন হুমায়ুন।

তিনি বলেন, ‘অপহরণে জড়িত থাকায় বর্তমানে কারাগারে ইসহাক। তবে নারী সদস্য এখনও গ্রেপ্তার হননি। বারবার অভিযোগ করার পরও অপহরণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি আমরা।’

বাহাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের সঙ্গে অপহরণের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধী কোনো চক্র রয়েছে, যাদের অবস্থান বেশ শক্ত। গত ৫ মাসে তারা বাহারছড়া ইউনিয়নের ১৫-২০ জনকে অপহরণ করেছে।’

অপহরণকারীদের দমনে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানের দাবি করেন তিনি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কম্বনিয়াপাড়া মহেশখালিয়াপাড়া, কাঞ্জরপাড়া, খারাংখালী, সাতঘড়িয়াপাড়া, রইক্ষ্যম এলাকায় অন্তত ৭০০ পরিবার অপহরণ আতঙ্কে ভুগছে। এসব গ্রামের চারজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।’

টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা টাকার লোভে অপহরণ করছে। অপহরণের ঘটনা মাদকের লেনদেনের পিছনেও হচ্ছে। যারা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসছেন, তাদের কেউ থানায় অভিযোগ করছেন না। তাদের অনেকের সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

‘একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী এসব অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকও আছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘এসব এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশের চৌকি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘এগুলো বাস্তবায়ন হলে অপহরণের ঘটনা কমে যাবে। পাহাড়ি এলাকার চাষিদের দলবেঁধে কাজে যায়ার কথা বলেছি।’

আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা কনে দেখতে গিয়ে লাশ ৩ বন্ধু, উদ্ধারে গাফিলতির অভিযোগ
অপহরণের ২৫ দিন পর মিলল ৩ বন্ধুর লাশ
শিশু অপহরণ করে অনলাইনে বিক্রি
সমকামিতার প্রস্তাব দিয়ে অপহরণ হত্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
50 thousand rupees fine for keeping the charger fan price high

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের একটি দল। ছবি: নিউজবাংলা
এসময় অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয় বলে জানান ভোক্তা অধিকার অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

মাদারীপুরে চার্জার ফ্যান অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় খান ইলেকট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলার পুরান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেশি থাকার সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী চার্জার ফ্যানের দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খান ইলেকট্রনিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’

এসময় অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
কাঁচা ও রান্না করা মাছ-মাংস একসঙ্গে রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে, জরিমানা
নকল জুস তৈরি করায় দোকানিকে জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wifes lover killed husband hiding in in laws house

স্ত্রীর প্রেমিক খুন, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর আত্মগোপন

স্ত্রীর প্রেমিক খুন, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর আত্মগোপন শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার আল-আমিন শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে কদমতলীর হেনোলাক্স গলির একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে বরিশালে শ্বশুরবাড়ি চলে যান আল-আমিন।’

এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠে ইমন কাজীর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তিনি খুন হন। এ মামলায় ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া আল-আমিন শেখ শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

সোমবার বরিশালের হিজলা থানার গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল-আমিনকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার ওয়ারী বিভাগ।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, গত শনিবার কদমতলীর পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে বস্তাবন্দী ইমন কাজীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা কদমতলী থানায় মামলা করেন। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি ডেমরা জোনাল টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সঙ্গে জড়িতকে শনাক্ত করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি আরও জানান, ইমন কাজী ও আল-আমিন শেখ পেশায় অটোরিকশাচালক। সেই সুবাদে আল-আমিনের বাড়িতে ইমনের যাতায়াত ছিল। একপর্যায়ে আল-আমিনের স্ত্রীর সঙ্গে ইমন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে। আল-আমিন বিষয়টি জানতে পেরে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইমনকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেয় আল-আমিন। কয়েকদিন পর ধারের টাকার জন্য ইমনকে চাপ দিতে থাকে।

গত ৩০ মে আল-আমিন ভুক্তভোগী ইমনকে কৌশলে তার বাসায় আনেন। সেখানে তাকে কোকের বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হত্যার পর ইমনের অটোরিকশাটি গেন্ডারিয়ার গঙ্গা শাহ মাজার এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে কদমতলীর হেনোলাক্স গলির একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে বরিশালে শ্বশুরবাড়ি চলে যান আল-আমিন।’

আরও পড়ুন:
ব্যাগের সূত্রে খুলল মেছের হত্যা রহস্যের জট
আধিপত্য, টেন্ডার-চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের বলি টিপু, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ঝগড়া থামাতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী খুন
বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু চবি ছাত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
E Valleys Russell Bails in Digital Law Case

ডিজিটাল আইনের মামলায় ই-ভ্যালির রাসেলের জামিন

ডিজিটাল আইনের মামলায় ই-ভ্যালির রাসেলের জামিন ফাইল ছবি
তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় সহসাই কারামুক্ত হচ্ছেন না ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ জামিন দেন।

তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় সহসাই কারামুক্ত হচ্ছেন না তিনি।

আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

জামিন বিষয়ে জানতে চাইলে আহসানুল করিম বলেন, ‘জামিনের জন্য আপিল আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে জামিন দিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’

এদিকে হাইকোর্টের এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন মো. রাসেল। এরপর দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে তার স্ত্রী মুক্তি পেলেও রাসেলের কারামুক্তি মেলেনি।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাসেল দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান বাদী। অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পরও তিনি তা পাননি।

মামলার তদন্ত শেষে চার্জশীট দাখিল করলে চলতি বছরের ২ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। মামলাটি যা এখনও বিচারাধীন।

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের জামিন আবেদন
ইভ্যালির রাসেল, শামীমার বিচার শুরু

মন্তব্য

p
উপরে