পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে গভীর রাতে লোডশেডিংয়ের যে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে, তার শিকার খোদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, গত রাত দুইটার পর তার বাসাতেও বিদ্যুৎ ছিল না। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ধৈর্য ধরার বিকল্প নেই।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধজনিত কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে রাখার যে সিদ্ধান্ত সেটি সক্ষমতার ঘাটতির জন্য নয়। স্পট মার্কেট গ্যাস আমদানি করতে না পারায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো ভালোই ছিলাম। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে তো আমাদের শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে ফেলেছি। মানে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়ার ক্যাপাসিটি আমরা অর্জন করেছি। কে জানত এ ধরনের যুদ্ধ হবে?’
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দেশের সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি এই খাতের সংকট নিয়ে উঠা নানা প্রশ্ন এবং সমাধান কী, তা নিয়ে কথা বলেন।
গত ১৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত করার ঘোষণা দেয়ার দিন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রতি দিন লোডশেডিং হবে এক ঘণ্টা। কিন্তু পরে হচ্ছিল তিন থেকে চার ঘণ্টা। পরে প্রতিমন্ত্রী এও বলেন, অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবে না। কিন্তু ৪ অক্টোবর দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর চার বিভাগ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, মধ্যরাতের যে লোডশেডিংয়ের দুঃসহ জ্বালা দেশবাসী এক যুগে ভুলেছিল, ফিরে এসেছে সেই স্মৃতিও।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা লোডশেডিং করাতে বাধ্য হয়েছেন। বলেন, ‘হ্যাঁ, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কালকে আমার বাড়িতেও রাত ২টার পরে বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা সবাই তো এক সঙ্গে। আমি বলব, একটু ধৈর্য ধরেন।’
দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় যে বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে না। খারাপের দিকে যাচ্ছে এটা সত্যি কথা, তবে বেশি খারাপের দিকে না।’
‘গরম কমবে ভেবে অক্টোবরের কথা বলেছিলাম’
এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল যে অক্টোবরের দিকে আমাদের ডিমান্ডটা কমে আসবে। অক্টোবর-নভেম্বরে যখন আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন আমাদের ধারনা ছিল ডিমান্ড কমে আসবে। আর এই কমের মধ্যে আমরা ম্যানেজ করতে পারব।…কিন্তু আবহাওয়ার যে অবস্থা যে পরিমাণ গরম, সেখানে ডিমান্ড আগের মতোই রয়ে গেছে।’
লোডশেডিং কমাতে নতুন সময়সীমা নভেম্বরের যে কথা প্রতিমন্ত্রী আগের দিন বলেছিলেন, সেটিও আবহাওয়ার ওপর ভরসা করে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমি আশা করি নভেম্বরে যদি তাপমাত্রা কমে আসে। তাপমাত্রা যদি নিচের দিকে যায় তাহলে অবশ্যই ডিমান্ড কমে আসবে। তখন আমরা ম্যানেজ করতে পারব।’
আরেক সংকট ডলারের দাম
ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন নতুন এক সংকট তৈরি করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘আগে যেখানে আমি ডলার কিনতাম ৮৬ টাকা দিয়ে সেখানে এখন ১০৬ টাকা হয়ে গেছে। তেল আমি ৭৯ ডলারেও কিনেছি সেটা বেড়ে গেছে ১৪০ ডলারে, এখন হয়েছে ১৩০ ডলার। তারপরেও তো লাভ হচ্ছে না। এই যে ডিজেলের দামে যে সমন্বয় করা হয়েছে, এটা করার পরেও প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লস দেবে বিপিসি আগামী বছর। এ জন্য আমি মনে করি একটু ধৈর্য ধরা দরকার।’
পুরো বিষয়টি অর্থনীতির জন্য জটিল সমস্যা তৈরি করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি পেতে অতিরিক্ত অর্থ দরকার। আমাদের কাছে সে পরিমাণ অর্থ নাই। আবার সে টাকার যোগান হলেও তা দিয়ে ডলার কিনে আমদানি বাড়ালে ডলারের উপর চাপ তৈরি হবে।’
গ্যাস আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ইউনিট দর হবে ১০০
স্পট মার্কেটে এখন গ্যাসের দাম, তা এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রতি ইউনিটের দাম ১০০ টাকা পড়ে যাবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যে গ্যাস আমি ৫ ডলারে কিনতাম সেটা ২৮ ডলার হয়ে গেছে। এই দরে আনলে পার ইউনিটের (প্রতি ঘনমিটার) দাম পড়ে ৩৫ টাকা।’
এই গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তা বেশিরভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এটা তো জুলুম হয়ে যাবে। আমি যদি কালকে গ্যাস আনি আর বলি বিদ্যুৎ বাড়াতে হবে, তাহলে বিদ্যুতের দাম হবে এক শ টাকা।’
স্পট মার্কেট থেকে না এলেও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে জ্বালানি আসছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা আরও ১১ বছর তাদের থেকে গ্যাস নিতে পারব। আমরা এখন সেটাই পাচ্ছি। কিন্তু শর্ট টার্মে আমরা স্পট মার্কেট থেকে যেটা নিতাম সেটা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ জানত এই ৫ ডলারের গ্যাস ৪৭ ডলার হয়ে যাবে?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখন যে পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে, তাতে ৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো আছে শুধু লিক্যুইড ফুয়েল বা তেলের। ১১ হাজার মেগাওয়াট আমার আছে গ্যাস বেসড পাওয়ার প্ল্যান্ট। আর বাকি সোলার বা বিদেশ থেকে যেগুলো আনছি এগুলো মিলিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট।
‘এই যে পুরো সিস্টেমের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার আমি গ্যাসে চালাতে পারছি, ১১ হাজারের মধ্যে। আমার যদি গ্যাসও থাকত ফুল লোড, সেখানেও আমি হয়ত ৮ হাজার চালাতে পারতাম। সেখানে আমার প্রায় তিন হাজার শর্টেজ।
‘আর তেলের প্ল্যান্ট তো ২৪ ঘণ্টা চালানো যায় না, চলে ৮ ঘণ্টা। আমি যেটা দিনে চালাচ্ছি সেটা রাতে চালাচ্ছি না।
গ্যাসের ঘাটতির মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রকে না গিয়ে শিল্পে দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা দেখলাম যদি তাদের না দেই তাহলে এক্সপোর্টে বা ফরেইন কারেন্সি আর্নিংয়ে ব্যাঘাত ঘটবে। এ জন্য বিদ্যুতের প্রোডাকশনও আমরা কিছুটা বন্ধ করে দিয়েছি।’
কয়লা ছাড়া সমাধান নেই
ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলে আর স্পট মার্কেটে গ্যাসের নাম নেমে না এলে শীতের পর কী হবে, এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে পরিস্থিতির উত্তরণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়লা পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসতে ডিসেম্বর, জানুয়ারি, মার্চ এ রকম লাগবে সময়।’
কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে মোট চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এই কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে চলে এলে আর সমস্যা থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘কয়লা যদি আমি নিরবচ্ছিন্নভাবে আনতে পারি, ডলারের দাম যদি ঠিক থাকে তাহলে বিদ্যুৎটা ম্যানেজ করতে পারব।’
কয়লা আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটলে কী হবে-সেটিও জানিয়ে রাখেন তিনি। বলেন, ‘সেখানেও যদি ডিসরাপশন (কয়লা আমাদানি) হয় তাহলে সেটা ম্যানেজেবল হবে না।’
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাজধানীর দিকে সঞ্চালন লাইনটি চালু হলেও পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের পদ্মা সেতুর লাইনটা যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে আরও ছয় শ মেগাওয়াট নিয়ে আসতে পারি পায়রা থেকে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেড নাই। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ আছে। আমাদের সমস্যাটা হলো ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী এই বেল্টগুলো।’
গ্রামে কোনো কোনো স্থানে ১০ ঘণ্টাও লোডশেডিং হচ্ছে-এটা জানেনও প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘এটা ম্যানেজেবল না।’
কর্মশালায় স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। স্মার্ট গ্রিড, সাইবার হামলা প্রতিরোধ, ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর ক্লিন এনার্জি এবং ইলেকট্রিক যানবাহন নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভায় বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান, হুয়াওয়ে প্রযুক্তি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান ঝানফেং বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।
এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।
চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।
এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’
সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।
জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।
মন্তব্য