ধর্ষণের শিকার হলেই সম্ভ্রম যায় না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘কুকুর কামড় দিলে সম্ভ্রম যায় না, কিন্তু ধর্ষণের শিকার হলে সম্ভ্রম যায়! নিশ্চয় সম্ভ্রম নারীর কোনো বিশেষ অঙ্গে থাকে না। অতএব ধর্ষণের সঙ্গে সম্ভ্রমের কোনো সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।’
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে সোমবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, আমি কখনই মনে করি না তাদের সম্ভ্রমহানি হয়েছিল। তাদের একদল পশু নির্যাতন করেছিল। তাদের যদি কুকুরে কামড় দিত তাহলে নিশ্চয় আমরা বলতাম না সম্ভ্রমহানি হয়েছিল।’
কন্যাশিশুদের অধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারীর অবস্থা, অবস্থান পড়াশোনা, তার অধিকার, পোশাকের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার নিয়েও কথা আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী এ সময় নারীর অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে তার সুফল পেতে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম যদি পুরোপুরি ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আগামী পাঁচ বছর পর থেকে একটু পরিবর্তন দেখতে শুরু করব। ১০ বছর পর বড় পরিবর্তন দেখতে পাব।’
শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন রাতারাতি হয় না, সময় লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু যদি খুব ভালোভাবে করতে পারি তাহলে আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে শিখতে শুরু করব। তাদের মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারে চিন্তাগুলো চলে যাবে, চর্চাগুলো চলে যাবে। তার মধ্য দিয়ে আমরা একটা বড় পরিবর্তন আশা করতে পারি।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোনার ধলাই নদীর প্রাণ ফেরাতে পৌরসভার উদ্যোগে কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযান শুরু করা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোতা ধলাই নদী আজ আর আগের মতো নেই। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নদীটি কচুরিপানায় ভরে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে তার স্বাভাবিক গতি ও সৌন্দর্য। তবে এবার নদীটিকে তার হারানো প্রাণ ফিরিয়ে দিতে শুরু হয়েছে কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযান। শনিবার সকাল ১০টায় নেত্রকোনা পৌরসভার উদ্যোগে বিএনপি জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় এই মহৎ উদ্যোগের সূচনা হয়। নদীটির পুনর্জাগরণে এই সম্মিলিত প্রয়াস শুধু পরিবেশ নয়, বরং জনজীবন, কৃষিকাজ ও স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধান অতিথি হিসেবে কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানের উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। এছাড়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু জেলা বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন খান চঞ্চল। কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযান শুরুর আগে স্বাগত বক্তব্যে নেত্রকোনা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, ধলাই নদীর প্রাণ ফিরিয়ে দিয়ে এবং দূষণমুক্ত করতেই পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছে। পৌর নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সবুজ প্রকৃতি ও পরিষ্কার নদী রক্ষায় পৌরসভা সবসময় জনগণের পাশে আছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মাঝে নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জানিয়েছেন, ধলাই নদী তার প্রাকৃতিক রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে, যা কৃষিকাজ, নৌযান চলাচল এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদী রক্ষা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি, জনগণের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ হাছনদণ্ডী মাজিরপাড়া উত্তরপাড়ার আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পরিণত হয়ে বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, জীবনযাত্রার মান এবং সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে আরও বেশি দুর্ভোগের কারণ হয়ে ওঠে বলে জানান স্থানিয়রা। দোহাজারী-পৌরসভার মাজিরপাড়ার বৈলতলী সড়ক থেকে উত্তরপাড়ার আবদুল হক সওদাগরের দোকান পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির দুই পাশে কয়েক হাজার পরিবার বসবাস করে।
যাতায়াতের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা এই সড়কটির ওপর নির্ভরশীল। এটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে স্থানীয়রা জানায়, এ সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত।
একটু বৃষ্টিতে বড় বড় খানাখন্দে সড়কটি কাঁদা-পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচল দূরের কথা। পায়ে হেঁটে চলতেও ভোগান্তির শিকার হন বৃদ্ধ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। গর্ভবতী মহিলা ও জরুরি রোগী পরিবহন, কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি পরিবহনে ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর সভার প্রকৌশলী নাইশ উদ্দিন প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সড়কটি মাপামাপি করলেও কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি দোহাজারী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আগামী দিনের সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিএনপি নেতা তছলিম উদ্দিন জানান, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী অনেকবার আবেদন করেছে। অথচ কোনো কাজ হয়নি। পশ্চিম হাছনদণ্ডী এলাকার মানুষের এই ভোগান্তি যেন নিয়তি হয়ে দাড়িয়েছে তাই নিজেস্ব অর্থায়নে স্বেচ্ছামর্মে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার উদ্বোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাঈম উদ্দি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জনদুর্ভোগ এবং জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দোহাজারী পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালিত হচ্ছে। উত্তরপাড়া মাজিরপাড়া সড়কটির বিষয়ে আমাদের নজরে আছে। ভবিষ্যতে বরাদ্দ আসলে প্রথমে ওই সড়কটির আর সিসি ঢ়ালাই দ্বারা উন্নয়ন করা হবে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুশরিয়া বিলে চোখ যত দূর যায়, শুধু লাল-গোলাপি পদ্ম ফুলের সমারোহ। প্রকৃতির এ অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারও দর্শনার্থী। বিলজুড়ে প্রস্ফুটিত ফুলে মুগ্ধ হয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা নৌকায় ভেসে উপভোগ করছেন পদ্মবিলের অপরূপ দৃশ্য। পদ্মবিল যেন পদ্ম ফুলের রঙিন উৎসবে মেতে উঠেছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রামশীল ইউনিয়নের মুশরিয়া, কাফুলাবাড়ি ও জহরের কান্দি গ্রাম ঘিরে বিস্তৃত এ পদ্মবিল। তবে সবার কাছে এটি পরিচিত মুশরিয়া পদ্মবিল নামেই।
বর্ষা মৌসুম এলে মুশরিয়া, জহরের কান্দি ও কাফুলাবাড়ি এলাকার ৪টি ঘাটে নৌকা সাজিয়ে রাখেন মাঝিরা। দর্শনার্থীরা এসে সেই নৌকায় ওঠে বিলের বুকচিরে ঘুরে বেড়ান পদ্ম ফুলের কোলঘেঁষে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় বর্ষা মৌসুমে এই বিলে আউশ-আমন ধানের আবাদ হতো। পরে উৎপাদন বেশি হওয়ায় ইরি-বোরো ধানের চাষ শুরু হয়। বর্ষাকালে চাষাবাদ বন্ধ থাকায় মানুষ তখন শাপলা ফুল ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
প্রায় ১৫ বছর আগে ভক্ত মধু নামে এক ব্যক্তির জমিতে শাপলার চেয়ে বড় আকৃতির গোলাপি ফুল ফোটে। প্রথমে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু বছর দুই যেতেই ফুলটি আশপাশের জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছরের মধ্যেই পুরো বিল পদ্ম ফুলে ভরে যায়। তখন থেকেই বর্ষাকালে বিলজুড়ে পদ্ম ফুল দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন আশপাশের মানুষ। প্রায় হাজার বিঘার জলাভূমির এই পদ্মবিল দেখতে ছুটে আসেন দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকরা।
শনিবার সকালে সরেজমিন পদ্মবিল ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে এখানে। বরিশালের উজিরপুর থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম জানান, ছবিতে পদ্ম ফুল অনেক দেখেছি, কিন্তু এত বিশাল জায়গাজুড়ে পদ্ম ফোটে তা কল্পনাও করিনি। এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন ফুলের সমুদ্রে ভাসছি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে আসা গৃহবধূ সুনিতা বিশ্বাস ও কলেজ ছাত্রী অনিন্দিতা বলেন, আমরা তো এতদিন জানতাম না আমাদের কাছেই এত সুন্দর একটি পদ্মবিল আছে। এখানে এসে খুব আনন্দিত। তবে ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে ভিজতে হয়। কোনো ঘাট নেই। নৌকায় উঠতে কষ্ট হয়।
কোটালীপাড়ার ক্লিনিক ব্যবসায়ী মন্টু বাইন বলেন, সুযোগ পেলেই বর্ষা মৌসুমে আমরা এখানে ঘুরতে আসি। তবে পদ্মবিলকে একটি স্থায়ী পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই।
পদ্মবিল ঘুরিয়ে দেখানোর প্রধান ভরসা মাঝিরা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে ঘুরিয়ে বেড়ান তারা। মাঝি নিখিল বাড়ৈ বলেন, ‘আগে বর্ষায় মাছ ধরে সংসার চলত। এখন মানুষ পদ্ম দেখতে আসে, দর্শনার্থীদের ঘুরিয়ে ভালো আয় হয়। আমাদের জীবন বদলে গেছে।’
মুসরিয়া ঘাটের আরেক মাঝি সনাতন বৈদ্য বলেন, পদ্মবিলের মাঝখানে একটি গঙ্গা মন্দির আছে। সরকারিভাবে মন্দিরটির সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন করা গেলে পদ্মবিল আরও দর্শনীয় হয়ে উঠবে। এখানে একটি মনোরম গোল ঘর নির্মাণ করলে দর্শনার্থীরা বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। একটি পাবলিক টয়েলেট ও ঘাট প্রয়োজন।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মুশরিয়া পদ্মবিল থেকে ঘুরে এসেছি। পদ্মবিলকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আমরা এটিকে একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেখছি। নৌকা ঘাট, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গঙ্গা মন্দির সংস্কারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এই পদ্মবিল স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতির জন্য বড় অবদান রাখতে পারবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্র করে জাতিকে নতুন পথের দিশা দিয়েছে। তিনি শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা, আত্মত্যাগ ও বীরত্ব আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে তরুণরা সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হবে।
জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাঁথা ধরে রাখতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এই চিত্রকর্ম করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরালে ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামের এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহাসিনা বেগম, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অঙ্কিত বিশেষ গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু সাইট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য করে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর নির্দেশনা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এজন্য তিনি মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাফিতি অঙ্কন শিল্পিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, এই প্রজন্ম ও আগামীর প্রজন্মকে জানতে হবে-জুলাইয়ের সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্রজনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরণের উদ্যোগ তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হতে।
তিনি আরও বলেন যে আমাদের দায়িত্ব হবে তাঁদের এ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং একইসাথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের আদর্শকে ধারণ করা। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সকলকে আহবান জানান, যেই বাংলাদেশে থাকবে ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার অবিচল প্রতিশ্রুতি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। আমরা সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গড়ে উঠেছি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি প্রস্তুত।
মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল, এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে, কিন্তু এই দল (বিএনপি) হলো ফিনিক্স পাখির মতো, এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো নেতার নামে স্লোগান নয়, স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা বিনোদ চৌধুরীর বাড়ির পাশে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ প্রজাতির অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন জানান, সাপটি বসতবাড়ির পাশে ঘেরা দেওয়া জালে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল কেটে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি। জালে আটকা পড়ার কারণে সাপটি কিছুটা আহত হয়েছে। উদ্ধারের পর সাপটিকে সুস্থ করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।
মন্তব্য