× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Border killings are a shame for India Momen
google_news print-icon

সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জার: মোমেন

সীমান্ত-হত্যা-ভারতের-জন্য-লজ্জার-মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন পর পরই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ মারা যায়। যদিও এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে- আমরা একটি লাশও বর্ডারে দেখতে চাই না। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে।’

‘সীমান্তে কয়েক দিন পরপরই হত্যাকাণ্ড আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আর ভারতের মতো একটি শক্তিশালী, উন্নত ও পরিপক্ব গণতন্ত্রের দেশ যদি তাদের বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে না রাখে তাহলে তা তাদের জন্য লজ্জাজনক।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা ঢাকার জন্য দুঃখজনক আর নয়াদিল্লির জন্য লজ্জাজনক।

‘কয়েক দিন পর পরই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ মারা যায়। যদিও এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে- আমরা একটি লাশও বর্ডারে দেখতে চাই না। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে।’

সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: নিউজবাংলা

ব্রুনাই সুলতানের ঢাকা সফর একদিন পিছিয়েছে

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তবে তার এই সফর একদিন পিছিয়েছে। ১৫ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান। এর আগে ১৪ অক্টোবর এই সফর হতে পারে বলে জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা সফরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনাই সফর করেন। ব্রুনাইয়ের সুলতানের এটা ফিরতি সফর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সুলতান হাসানাল বলকিয়াহর এই সফর উপলক্ষে ইতোমধ্যে ঢাকা-ব্রুনাই ফ্লাইট অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা। সফরে চার থেকে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-ব্রুনাই সরাসরি ফ্লাইট, অভিবাসন, জ্বালানি সমঝোতা স্মারকের নবায়নসহ আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ব্রুনাইয়ের হালাল বাজার সম্পর্কে আগ্রহ আছে বাংলাদেশের। এ খাতে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে ওই দেশের সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রুনাই একটি আমদানিনির্ভর দেশ। অপরদিকে কৃষি খাতে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য হালাল খাদ্যের একটি বাজার হতে পারে ব্রুনাই।

ব্রুনাইয়ের হালাল সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা অনেক উন্নত এবং বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা নিতে পারে।

সুলতানের এবারের সফরে ওই সমঝোতা স্মারকে এলএনজির পাশাপাশি তেলজাত পণ্য আমদানির বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের আলোকে জ্বালানি আমদানি, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ, সরাসরি বিমান চলাচল এবং সংস্কৃতি খাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ব্রুনাই থেকে ডিজেল আমদানি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, সুলতানের এ সফরে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, প্রাণী ও মৎস্য, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়া দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং আসিয়ান জোটের ডায়ালগ অংশীদার হতে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চাওয়া হবে ঢাকার পক্ষ থেকে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ২০২০ সালে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের সময়ে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে অনেক নেতাই আসতে পারেননি। এখন সেসব নেতাকে বাংলাদেশ সফরে আনার চেষ্টা করছে ঢাকা। ব্রুনাইয়ের সুলতানও ওই সময় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্রুনাইয়ের সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করবেন। সুলতান হাসানাল বলকিয়া সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি সংগ্রহের সম্ভাবনা, কৃষি ও মৎস্য খাতে সহযোগিতা এবং হালাল খাদ্য নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে।

ব্রুনাইয়ে বর্তমানে ২৩ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত। বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ অনেক আগে ব্রুনাই থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করেছে। তারপর তা নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এখন দেশটি থেকে জ্বালানি আমদানির বিষয়ে আলোচনা হবে। ব্রুনাইয়ে তেল-গ্যাসসহ জ্বালানির বিপুল রিজার্ভ রয়েছে।

সুলতানের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুও তুলে ধরবে বাংলাদেশ। ব্রুনাই আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের জোরালো ভূমিকা চাইবে। এ সফরে বর্তমান মিয়ানমার পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা তুলে ধরারও সুযোগ পাবে।

মিয়ানমারে পশ্চিমা বিনিয়োগ বাড়ছে

ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পরও মিয়ানমারে পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগ বাড়ছে। দেশটিতে লাগাতার বিনিয়োগ করে চলেছে যুক্তরাজ্য, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

এমন তথ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সেখানে আমি রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলেছি।’

মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি- বিভিন্ন তথ্যমতে জানা যাচ্ছে যে গত পাঁচ বছরে মিয়ানমারে আপনারা যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছেন। যদিও আপনারা কোনো কোনো জেনারেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু মিয়ানমারে বিনিয়োগ অনেক গুণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্য হচ্ছে মানবাধিকারের নেতা। তারপরও মিয়ানমারে তারা বিনিয়োগ করছে এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়।’

রাখাইনে সংঘাত চলছে এবং এ সময় বাংলাদেশে গোলাগুলি এসে পড়ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছি। তারা বলেছে যে জানাবে এবং আমাদের বিশ্বাস তারা জানিয়েছে। তবে অনেক কিছু মিয়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেজন্য জানালেই যে তারা সবকিছু ঠিক করে ফেলতে পারবে- বিষয়টি সেরকম নয়।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী ভারতে যাওয়ার পরদিন হাসপাতালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাই লেভেল ভিজিট সম্ভব ছিল না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর: তথ্যমন্ত্রী
ভারত সফর থেকে কেন বাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেনকে নিয়ে ভুল তথ্য ভারতীয় মিডিয়ায়
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the fuel of the outside the abusers tried to destabilize Durga Puja Home Advisor

বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা দুর্গাপূজা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা দুর্গাপূজা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তারা সফল হতে পারেনি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পূজার শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা প্রচার করে পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজে বাহিরের ইন্ধন ছিল কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা সফল হতে পারেনি।

এবার বাংলাদেশের সব জায়গায় ভালোভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পূজা সম্পন্ন হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ও বৌদ্ধদের বিজু উৎসব যাতে ভালোভাবে হতে না পারে তার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় কিছু সন্ত্রাসী এ ধরনের কাজ করেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিশেষ করে পূজা কমিটির সহযোগিতায় এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ) মো. ইব্রাহিম, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাদর পাল। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No possibility of lifting the ban on Awami League activities Dr Asif Nazrul

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই : ড. আসিফ নজরুল

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই : ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বুধবার বরিশাল নগরীর শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। ছবি : বাসস

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার হবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই।

বরিশাল নগরীর শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন একটা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়, স্থায়ী কি অস্থায়ী এ ধরনের প্রশ্ন থাকে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে এরকম কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না।

বিদেশি গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অশান্ত পাহাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড়কে যারা অশান্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

তিনি আজ দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছে নগরীর নতুন বাজার সংলগ্ন শংকর মঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দীন, শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি কানু লাল সাহা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তম্ময় তপু প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will be partially refunded of money trafficked by February Finance Advisor

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচারকৃত অর্থের আংশিক ফেরত আসবে:  অর্থ উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচারকৃত অর্থের আংশিক ফেরত আসবে:  অর্থ উপদেষ্টা

বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মঙ্গলবার এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে এগোচ্ছে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়, একদিনে সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে তারা সাধারণত খুব কৌশলী ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হয়। ফলে ফেরত আনার কাজ দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল হয়ে পড়ে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনা মানে সুইস ব্যাংকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে আসা নয়। আন্তর্জাতিক আইনি ও আর্থিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এটি করতে হয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কিছু অগ্রগতি হয়েছে এবং বেশ কিছু বিখ্যাত আইনি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু নির্দিষ্ট বিচার ব্যবস্থার সঙ্গেও আলোচনা এগোচ্ছে। আমরা আশা করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু ফল পাওয়া যাবে।’

অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ১১-১২ টি মানিলন্ডারিং মামলা চিহ্নিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সম্পদের তদন্ত অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করেছে, বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে এবং সংশ্লিষ্টদের পাসপোর্ট ও বসবাসের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব মামলা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এগোচ্ছে।’

আগামী নির্বাচনের পর নতুন সরকার আপনাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাধ্য হয়ে তাদের চালিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা প্রক্রিয়াগুলো চালু করে গেলাম, সেটা অব্যাহত না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। তারা বসে থাকলে টাকা ফেরত আসবে না। আর যদি আনতে হয় এই প্রক্রিয়াগুলো মানতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। আমরা যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি তা বজায় রাখতে হবে।’

খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আতপ চালের একটি বাফার মজুত রাখি। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে যাতে সংকট না হয় সে জন্য নীতিগতভাবে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, সার বিশেষ করে-ডিএপি ও ইউরিয়া আমদানিতে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সুখবর হচ্ছে-আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কিছুটা কমেছে। আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করছি, পাশাপাশি যথেষ্ট চাল ও সারের মজুদও রাখছি।

সাম্প্রতিক বিবিএস প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার শিশু ও মাতৃকল্যাণ বিষয়ে সতর্ক। তাই ভিজিএফ কর্মসূচি এবং উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আসন্ন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হবে।’

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মজুত ভালো থাকায় চালের দাম সম্প্রতি কমেছে। তবে শাকসবজি ও অন্যান্য দ্রুত নষ্ট হওয়া পণ্যের দাম মৌসুমি কারণে ওঠানামা করে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কারসাজি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ‘ এ কারণেই আমরা এখনো পূর্ণ সাফল্য দাবি করতে পারছিনা,’ স্বীকার করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The first meeting of the Dhaka South City Corporation City Level Co ordination Committee

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (সিএলসিসি) এর প্রথম সভা আজ নগর ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া এঁর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের "সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সম্পৃক্ততকরণ নির্দেশিকা" এর আলোকে গঠিত সিএলসিসির ৭১ জন সদস্য উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (সিএলসিসি) সভায় আলোচনাপূর্বক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মপরিকল্পনা সুপারিশ করতে পারে। এ সভায় সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক বাজেট ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক বিবরণীসহ বার্ষিক অর্জন সম্পর্কিত প্রতিবেদন, নাগরিক জরিপ, সামাজিক সমস্যাবলি সমাধানের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, সিটি কর্পোরেশনের সেবাসমূহের মান উন্নয়ন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নাগরিকদের যথাযথভাবে সেবা প্রদানে চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচিত হতে পারে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, "জুলাই পরবর্তী নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে সিএলসিসি কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা তাদের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকদের মতামতের প্রতিফলন হয়।" এ সময় প্রশাসক ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসির গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে জনগণকে এ বিষয়ে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
সভায় সদস্যবৃন্দ ডিএসসিসির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা ও সুপারিশ প্রদান করেন এবং সিটি কর্পোরেশন নাগরিক জরিপে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং মিস নাউকু আনজাই, টিম লিডার, সিফরসি২ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
5 of womens garment workers marriage at an undefeated age
আইসিডিডিআরবির গবেষণা তথ্য

৬৬% নারী পোশাক শ্রমিকের বিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সে

প্রতি ৪ জনে একজনের হয় গর্ভপাত
৬৬% নারী পোশাক শ্রমিকের বিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সে

তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের মধ্যে বাল্যবিয়ে ও কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের প্রবণতা উদ্বেগজনক আকারে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই শ্রমিকদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৬৬ শতাংশ) ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়েছে। তাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়সে প্রথমবারের মতো গর্ভধারণ করেছেন। একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের হারও এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তুলনামূলক বেশি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা বলছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক অন্তত একবার অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং প্রতি চারজনের একজন গর্ভপাত বা মেনস্ট্রুয়াল রেগুলেশন করেছেন।
জানা গেছে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় আইসিডিডিআরবি প্রায় ২৪ মাসব্যাপী এই গবেষণা পরিচালনা করে, যা বাংলাদেশে পরিচালিত প্রথম এমন কোনো গবেষণা। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণাটি কড়াইল ও মিরপুর বস্তি এবং গাজীপুরের টঙ্গী বস্তিতে আইসিডিডিআরবির আর্বান হেলথ অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভেইলেন্সের আওতাধীন এলাকায় পরিচালিত হয়। ১৫-২৭ বছর বয়সি মোট ৭৭৮ জন বিবাহিত নারী গার্মেন্ট শ্রমিককে এই গবেষণাটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর এদের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়।
সেমিনারে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে জানানো হয়, গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন ৪৯ শতাংশ শ্রমিক, যা দুই বছর শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি সম্পর্কে জ্ঞান ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ নারীর; গবেষণা শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ শতাংশে। একই সময়ে পরিবার পরিকল্পনায় লিঙ্গ সমতার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, নারী শ্রমিকরা ঘর ও কর্মস্থল দুই জায়গাতেই সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। গত ১২ মাসে স্বামীর সহিংসতার হার ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। যৌন সহিংসতা ছাড়া অন্য সব ধরনের সহিংসতা গত দুই বছরে বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রেও সহিংসতার প্রবণতা উল্টোদিকে গেছে— গবেষণার শুরুতে যেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন, গবেষণার শেষ দিকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ শতাংশে।
তবে সহিংসতার শিকার হওয়ার পরও খুব কম সংখ্যক নারী আনুষ্ঠানিকভাবে সাহায্য চাইছেন। গবেষণার শুরুতে যেখানে ৩৫ শতাংশ নারী অনানুষ্ঠানিকভাবে (পরিবার বা বন্ধুদের কাছে) সাহায্য চাইতেন, গবেষণার শেষ দিকে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২১ শতাংশে। কর্মক্ষেত্রের সহিংসতার ঘটনাতেও মাত্র এক-পঞ্চমাংশ নারী কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, এবং দুই বছর পরেও এ হার অপরিবর্তিত থাকে।
তরুণ বয়সে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে কিছু নিয়ামকও চিহ্নিত হয়েছে গবেষণায়। দেখা গেছে, যারা সন্তান ধারণের আগেই গর্ভনিরোধক ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তাদের কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের ঝুঁকি ৪৭ শতাংশ কম। এছাড়া যারা প্রথম গর্ভধারণের আগে গার্মেন্ট খাতে কাজ শুরু করেছিলেন, তাদের ঝুঁকি আরও কম।
অন্যদিকে, স্বামী কর্তৃক সহিংসতার অভিজ্ঞতা থাকলে কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেড়ে যায় বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণার উপাত্ত বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, নারীর ক্ষমতায়নের বিভিন্ন মাত্রা স্বামীর সহিংসতাকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। যেমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বেশি থাকলে মানসিক ও যৌন সহিংসতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। মতামত প্রকাশের ক্ষমতা থাকলে যৌন সহিংসতা কমে। আবার চলাচলে স্বাধীনতা থাকলে শারীরিক সহিংসতার ঝুঁকিও কমে যায়।
ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও গবেষণা) সহকারী পরিচালক ডা. সেকেন্দার আলী মোল্লা, পপুলেশন কাউন্সিল বাংলাদেশের সাবেক পরিচালক ডা. উবাইদুর রব, বিকেএমইএর যুগ্ম সচিব ফারজানা শারমিন এবং মেরী স্টোপস বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও স্বতন্ত্র গবেষক ইয়াসমিন এইচ আহমেদ।
বিকেএমইএর যুগ্ম সচিব ফারজানা শারমিন বলেন, গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শমূলক সেবা বৃদ্ধির কাজ চলছে। তবে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআরবির ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. রুচিরা তাবাসসুম নভেদ। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেলে তারা শুধু পরিবারে নয়, কর্মক্ষেত্রেও সহিংসতা থেকে সুরক্ষিত হতে পারেন। গার্মেন্ট শ্রমিক নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The current situation of Khagrachari is satisfactory Jahangir Chowdhury

খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : জাহাঙ্গীর চৌধুরী

খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : জাহাঙ্গীর চৌধুরী ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর রমনায় ডিএমপি’র পাঁচটি থানার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সেখানে আছেন। তিনি বিষয়টি দেখাশোনা করছেন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিবেশী একটি দেশের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে পতিত ফ্যাসিস্টদের দল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট দলটি সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে চলমান দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও বাধাহীনভাবে উদযাপন করা না যায়।

দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ও পূজা নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়, সেজন্য সবাইকে সহায়তা করতে হবে।

পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের অধিকাংশকেই নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএমপিতে ৫০টি থানা রয়েছে, যার অর্ধেক ভাড়া করা ভবনে আছে। আমরা সমস্ত থানাকে তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করার জন্য কাজ করছি।

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় তিনজন নিহত এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fisheries and livestock advisers

খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে অনেক মানুষ খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকছে, অন্যদিকে উৎপাদিত বিপুল খাদ্যের একটি বড় অংশ অপচয় হচ্ছে- যা দুঃখজনক।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত “Towards Zero Food Waste and Loss: Building a Sustainable Food Value Chain in Bangladesh” -শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৯৯৬ সাল থেকে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে। তখন খাদ্য প্রাপ্ততা বড় বিষয় ছিল। এখন খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে পুষ্টিও যুক্ত হয়েছে। দেশে বর্তমানে মাছের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৬০ শতাংশ ও চাষ থেকে ৪০ শতাংশ আসতো বর্তমানে চাষ থেকে আসছে ৬০ শতাংশ ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৪০ শতাংশ। আর তাই প্রাকৃতিক মাছ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের পণ্য পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসসহ নানা খাদ্যপণ্য অপচয়ের শিকার হচ্ছে।

মৎস্য উপদেষ্টা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য খাতে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ জাল ব্যবহার, লক্ষ্যভিত্তিক মাছ ধরা এবং অপ্রচলিত প্রজাতি বাজারজাতের অভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মাছের বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে; একসময় ২৬৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন তা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সুরক্ষা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন করেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. অ্যান্ডায়ার্স কার্লসেন ( Mr. Anders Karlsen), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর ডেপুটি প্রতিনিধি মি. দিয়া সানু ( Mr. Dia Sanou), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জেসে উড ( Mr. Jsse Wood) । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন।

মন্তব্য

p
উপরে