গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাঠুর (নাড্ডার মোড়) অফিসে রোববার ভোরে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে অফিসের তালা ভাঙা দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া বেশ কিছু নির্বাচনি পোস্টার ও চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদশা বলেন, ‘কে বা কারা রাতের অন্ধকারে আমাদের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করেছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিদন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন স্পষ্ট করা যায়নি। তবে হামলাকারীদের চিহ্নিতসহ আটকের চেষ্টা চলছে।’
কোনো ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেছেন, ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য এদেশের আপামর জনসাধারণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অতি শিগগির নির্বাচন দিতে হবে। কারও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘বিএনপি এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায় না। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলেন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে সশরীরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কাউকে খুন করে কিংবা ক্যু করে তিনি রাষ্ট্র-ক্ষমতায় আসেননি।’
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রোববার কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রা-পূর্ব আলোচনা সভায় বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা শেষে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনবার্সন সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন হেনা, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু।
মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আলী বকুল, বিএনপি নেতা নিজামুদ্দিন কায়সারসহ কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য দুপুরের পর থেকে নানা প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কান্দিরপাড় ও আশপাশের এলাকা।
আরও পড়ুন:খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুদকছড়ায় ভারতবর্ষ পাড়ায় পাহাড়ি দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত মিটন চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসিত দলের পানছড়ির সংগঠক বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। মিটন চাকমা রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে মারা যায়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম জানান, রোববার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গোলাগুলি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
নিরন চাকমার পাঠানো ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) একদল সশস্ত্র সদস্য ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে মিটন চাকমা নিহত হন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোল বাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন তিনি।
বিবৃতিতে অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মিটন চাকমা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে ৩০ অক্টোবর একই উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি শান্তিরঞ্জন পাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপিডিএফের তিন কর্মী নিহত হন। তারা প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্মী ছিল। ওই ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।
আরও পড়ুন:নিষেধাজ্ঞা শেষে মুন্সীগঞ্জ-শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেও আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না। তার পরিবর্তে জেলের জালে উঠে আসছে পাঙ্গাস। দাম ভালো পাওয়ায় ইলিশ না পাওয়ার আক্ষেপ কমছে। খুশি জেলেরা।
গত শুক্র ও শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় মৎস্য আড়তে চার কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস বিক্রি করেছেন জেলেরা। আটশ’ থেকে এক হাজার দরে পাইকারদের কাছে পাঙ্গাস বিক্রি করছেন আড়তদাররা।
হাসাইল এলাকার জেলে হাসান ছৈয়াল বলেন, ‘ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর বহু আশা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু জালে তেমন একটা ইলিশ আসছে না। তার পরিবর্তে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাস। আড়তগুলোতে পাঙ্গাসের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’
হাসাইল মৎস্য আড়তের আড়তদার বাবু হাওলাদার বলেন, ‘প্রতি বছরের এই সময়ে নদীতে জেলেরা বড় বড় পাঙ্গাস পেয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছর হাসাইল আড়তের এক জেলে এক খ্যাপে সর্বোচ্চ ৮০ পিস পাঙ্গাস পেয়েছিলো। তবে চলতি মৌসুমে পদ্মায় পাংগাস মাছ বেশি হারে ধরা পড়ছে। এ পর্যন্ত এক খ্যাপে ২৫০ পিস পাঙ্গাস পাওয়ার কথা শুনেছি।’
টঙ্গীবাড়ী থেকে পাঙ্গাস কিনতে আসা গনেশ নামের এক ব্যক্তি বললেন, ৯৫০ টাকা দরে ১১ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস কিনলাম। নদীর পাঙ্গাসের স্বাদই আলাদা। তাই ভোরে আড়তে এসেছি পাঙ্গাস কিনতে। পছন্দমতো কিনে নিলাম।’
কিশোরগঞ্জে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো: ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।
প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম ফাহিমা আক্তার, যিনি ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
এর আগে একই উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদে ছিলেন তিনি।
এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ‘কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। তাকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বেশির ভাগ প্রদর্শনীতে মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশও কৃষক পাননি।
ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ছয়টি প্রকল্প থেকে (ফ্রিপ প্রকল্প, ময়মনসিংহ প্রকল্প, পার্টনার, অনাবাদি, রাজস্ব প্রকল্প ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনী) কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন ফাহিমা।
আরও পড়ুন:নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রোববার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোররাত চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৩ নভম্বের দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এ শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
এ ঘটনায় মুনতাহার হাউস টিউটর ও টিউটরের মা ও মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
আটককৃতরা মুনতাহাদের পশের বাসার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আওয়াল বলেন, ‘গত (শনিবার) রাতেই সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটরকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল।
‘তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি।’
তিনি বলেন, ‘ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা। সাথে সাথে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নাতনিকে ধরে নিয়ে আসি।’
ওসি বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন, তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’
মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, ‘মরদেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’
এর আগে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। এসে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায় সে, কিন্তু বিকেল হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর প্রবেশমুখে সাভারে রোববার চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের কার্যক্রম চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক দলের বিশেষ কোনো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে এবং নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের এই কার্যক্রম চলছে।
সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের আমিনবাজারে মফিদ-ই-আম স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক পুলিশ সদস্য পয়েন্টটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও চেকপোস্ট এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
ওই সময় চেকপোস্টে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে সন্দেহজনক মনে হলে প্রাইভেট কার এবং সাদা মাইক্রোবাসগুলোকে থামিয়ে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের গন্তব্য ও পরিচয় জানতে চান পুলিশ সদস্যরা। যদিও চেকপোস্ট থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর অন্যান্য প্রবেশমুখ সাভারের বিরুলিয়া ও আশুলিয়ার বাইপাইল ও নবীনগর এলাকায় চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছিল।
আমিনবাজার চেকপোস্টে উপস্থিত সাভার মডেল থানার পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এই চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মূলত মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ আমাদের এই কার্যক্রম।’
আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে সামনে রেখে এই চেকপোস্ট বা তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না।
‘মূলত গতকাল (শনিবার) রাত থেকেই ঢাকার এই প্রবেশপথটিতে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা আজও চলমান।’
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশে মোট ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪৩ ও দক্ষিণ সিটিতে ১৪৫, খুলনা বিভাগে ১১০, রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১, সিলেট বিভাগে ২ এবং রংপুর বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৬ হাজার ২৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭১ হাজার ৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই রোগে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৫০ জনের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য