× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After December 10 Khaledas words will continue Country Aman
google_news print-icon

নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে আল্লাহর নামে শহীদ হওয়ার প্রস্তুতি নিন: আমান

নির্বিঘ্নে-নিশ্চিন্তে-আল্লাহর-নামে-শহীদ-হওয়ার-প্রস্তুতি-নিন-আমান
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি আসছে জানিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বানও জানান আমান। বলেন, ‘আপনারা নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে আল্লাহর নামে শহীদ হওয়ার প্রস্তুতি নিন, প্রয়োজনে শহীদ হব, এই বাংলাদেশে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশ অচল করে দিতে কর্মসূচি আসছে জানিয়ে নিশ্চিন্তে শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। বলেছেন, শহীদ হয়ে হলেও এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেবেন না তারা।

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।

বর্তমান সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং গণতন্ত্র হরণ করেছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, তারা সব দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে যাচ্ছেন।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি আসছে জানিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বানও জানান আমান। বলেন, ‘আপনারা নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে আল্লাহর নামে শহীদ হওয়ার প্রস্ততি নিন, প্রয়োজনে শহীদ হব, এই বাংলাদেশে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভায়েরা প্রস্তুতি নিন, ওই কাঁচপুর ব্রিজ, ওই টঙ্গী ব্রিজ, এই দিকে মাওয়া রোড, ওই দিকে আরিচা রোড, সারা বাংলাদেশ, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া কর্মসূচি আসছে। সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবো।

‘এই বাংলাদেশ চলবে না, এই বাংলাদেশ চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে চলবে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় ও দেশনায়ক তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে কোনো দেশ চলবে না কারও কথায়।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করলে নির্বাচিত সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে জাতীয় সংসদ। এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে যায় বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা। তবে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে যোগ দেয় তারা। সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে এবার আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে তারা। দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে তারা।

আমান বলেন, ‘এই সরকারকে যদি ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হয় তাহলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে; এবং আগের রাতে ভোট হবে, ভোট চুরি করবে এবং ভোটের দিন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধীদলীয় যে এজেন্ট আছে তাদেরকে বের করে দিয়ে জোর করে সিল মারবে এবং গায়েবি মামলা দেবে এবং দেশছাড়া করবে।’

তিনি বলেন, এই অবস্থা বাংলাদেশে আর চলতে দেয়া যায় না। চলতে দেয়া যায় না বলেই আজকে বাংলাদেশের জনগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজকে রাজপথে নেমেছে। দাবি একটা, এক পয়েন্টে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এক দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হচ্ছে। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের কী অবস্থা হবে বুঝে নেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বিএনপির এই আন্দোলনের হুমকিকে পাত্তা দিচ্ছেন না। গতবার বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে আলোচনার উদ্যোগ নিলেও এবার তাও নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কেউ নির্বাচনে না এলে তার কিছু করার নেই।

সরকার প্রধানের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমান বলেন, ‘আজকে তারা আস্ফালন করছে যে, ওনাদের অধীনের নির্বাচন করতে হবে। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, তোমার এই খোয়াব ভুলে যেতে হবে। এই স্বপ্ন ভুলে যেতে হবে, বাংলাদেশে দলীয় সরকার প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তাই আজকে সময়ের দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ যাবে কোন পথে? ফয়সালা হবে রাজপথে।’

তিনি বলেন, ‘একটা ভোট চুরির সরকার, ভোটারবিহীন সরকার, আগের রাতের সরকার, নিশিরাতের সরকার, অবৈধ সরকার, অনৈতিক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা আজকে ক্ষমতায় চেপে বসেছে। তার ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। যেহেতু যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।

‘এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জোর করে তাকে ক্ষমতায় আনতে কোনো নির্বাচন করতে দেবে না বাংলাদেশের জনগণ।’

বিএনপির কর্মসূচিতে কয়েকজনের প্রাণহানির বিষয়টি উল্লেখ করে বিএপি নেতা বলেন, “ইতোমধ্যে পাঁচজন রক্ত দিয়েছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা বলেছেন, ‘আমাদের রক্তের ঋণ তখনই শোধ হবে যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে’।
“পাঁচজন কেন যদি পাঁচ হাজারও শহীদ হতে হয় এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।”

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১০
ক্ষীণ হয়ে আসছে সংলাপের সম্ভাবনা
২ ঘণ্টা পর সচল শাহ আমানতের রানওয়ে
ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, উৎস জনগণ: বিএনপিকে কাদের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সাফল্য বৈপ্লবিক: কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The chief adviser will hold a dialogue again on Saturday this time also Japa is not present

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার ফের সংলাপ করবেন, এবারও থাকছে না জাপা

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার ফের সংলাপ করবেন, এবারও থাকছে না জাপা মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: বাসস
শনিবারের সংলাপে গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ) ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলকে সংলাপে ডাকা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হবে কী না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শনিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এদিন ছোট ছোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন তিনি। তবে এবারও জাতীয় পার্টিকে সংলাপের জন্য ডাকা হচ্ছে না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ) ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলকে সংলাপে ডাকা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কার্যক্রমকে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবার সংলাপ হবে। আরও দু-একটি দলকে এই দফায় বা আগামী দফায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সংস্কার প্রক্রিয়া ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা উদ্বেগ কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আজ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডিমের দাম সবচেয়ে ঊর্ধ্বমুখী। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ভোজ্যতেলের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে আনা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ গার্মেন্টস চালু হয়েছে। এছাড়া নানাবিধ কারণে এক শতাংশ কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।’

জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সংলাপে ডাকা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন।

আরও পড়ুন:
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ৯ অক্টোবর রোডম্যাপ প্রকাশ করবে জামায়াত
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The reform committee will identify three parliamentary election irregularities

সংস্কার কমিটি তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে

সংস্কার কমিটি তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। কোলাজ: নিউজবাংলা
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কমিটি নির্বাচনি আইন-কানুন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছি। ফেসবুক পেজ হবে, ই-মেইল ঠিকানাও হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ- এগুলো আমরা চাইব। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব হয়ে যাবে।’

বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব অনিয়ম ও ব্যত্যয় ঘটেছে সেগুলো নির্বাচন কমিশন সংস্কার বিষয়ক কমিটি চিহ্নিত করবে। এসব নির্বাচনে ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও চিহ্নিত করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ সময় তিনি কমিশনের অন্যান্য কার্যক্রমও তুলে ধরেন।

বদিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা একদিনের বিষয় নয়। এটি একটি সাইকেল। এই সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা ঘটেছে তা চিহ্নিত করে আমরা সুপারিশ করব।’

নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব।’

বদিউল আলম বলেন, ‘কমিটি নির্বাচনি আইন-কানুন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, ই-মেইল ঠিকানাও হবে।

‘সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ- এগুলো আমরা চাইব। ওয়েবসাইটটি ইসির ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব হয়ে যাবে।’

ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাওয়া হবে, সংবিধান সংস্কার নিয়ে কী আলোচনা করা হয়েছে- এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাব, সেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল।

‘এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। এগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। কমিশনের নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে আশা করি তখনই আমরা তাদের (উপদেষ্টা) একটা খসড়া দিতে পারব।’

‘না’ ভোট রাখার বিধানের বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেব। যত মতামত আসবে পর্যালোচনা করব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যে কোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেয়া হবে।’

বদিউল আলম আরও বলেন, ‘আমরা তো নিশ্চিত করতে পারব না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গাইডলাইন তৈরি করব। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন ব্যারিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত হয়।’

আরও পড়ুন:
দুদক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চেয়েছে কমিশন
নির্বাচনের সময় মন্ত্রণালয়গুলো ইসির হাতে থাকা উচিত: সাখাওয়াত 
এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন যারা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Govt needs to take major steps to prevent dengue Rizvi

ডেঙ্গু রোধে সরকারকে দ্রুত বড় ধরনের কার্যক্রম নিতে হবে: রিজভী

ডেঙ্গু রোধে সরকারকে দ্রুত বড় ধরনের কার্যক্রম নিতে হবে: রিজভী সোমবার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে স্বাস্থ্য খাতে যেসব সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল তা ছিল অতি নিম্নমানের। করোনার সময়ে আমরা দেখেছি এ ঘটনা। টাকা আত্মসাৎ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।’

ডেঙ্গু মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে বড় ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবীর রিজভী।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স দুই মাসের বেশি হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে আসবে। নির্বাচিত সরকারই একমাত্র জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। যেখানে মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্ন, সেখানে নির্বাচিত সরকার কাজ করতে পারে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে স্বাস্থ্য খাতে যেসব সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল তা ছিল অতি নিম্নমানের। করোনার সময়ে আমরা দেখেছি এ ঘটনা। টাকা আত্মসাৎ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।

‘দেশের হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। মানুষকে অক্সিজেন ও সেবার অভাবে কাতরাতে দেখেছি। মাস্ক থেকে শুরু করে সব সরঞ্জাম অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। করোনার সময়ে অনেকের চাকরি চলে গেছে। তাদের পুনর্বাসন নিয়ে ভাবা হয়নি।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তো জনবান্ধব। এই সরকারের উচিত ছিল, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।’

প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘ডেঙ্গু একটি পুরনো রোগ। এ বিষয়ে আগাম প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। এখন তো ফ্যাসিস্ট সরকার আর ক্ষমতাই নেই। জনসমর্থিত সরকার হয়ে ডেঙ্গুতে জীবনহানি ঠেকাতে সরকার কী কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলো?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা কয়টা ফ্লাইওভার করলাম, তাতে মানুষের জীবন বাঁচবে না। মানুষের জীবন বাঁচাতে যেসব কাজ করা দরকার আগের স্বৈরশাসক তা করেনি।’

বিএনপি গণভিত্তিক একটি দল উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আমল থেকেই বিএনপি বেসরকারি উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে সেবা দিয়ে আসছে।

‘বর্তমানেও দলের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত সচেতনতা ও সেবামূলক কার্যক্রম আজ থেকে আরও বেগবান করা হলো।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দলের চিকিৎসকরা যেমন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনই আজকে ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীসহ দেশবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য সরকারকে বড় উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা তো বেসরকারিভাবে কাজ করতে পারি।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজ শুরু করেছি। আমাদের চিকিৎসকরাও কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটির জনতার মেয়র ইশরাক হোসাইন ও তাবিথ আওয়াল ডেঙ্গু সচেতনতায় কাজ করছেন।

‘ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্লাড সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় হটলাইন চালু করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসাইন বলেন, ‘ডেঙ্গু সচেতনতায় দুই সপ্তাহ ধরে আমরা নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছি। সেসঙ্গে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্যও কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল সালাম আজাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচার শেখেনি: রিজভী
আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে: রিজভী
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক: রিজভী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Womans video goes viral Gazipur district Chhatra Dal president acquitted

নারীর ভিডিও ভাইরাল: গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে অব্যাহতি

নারীর ভিডিও ভাইরাল: গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে অব্যাহতি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন শিশির। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে এক নারীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে রোববার তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ওই পত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির রোববার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।’

ইমরান হোসেন শিশিরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া সদরের সাফাইশ্রী এলাকায়। তার এক প্রতিবেশী নারীর তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রোববার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ওই নারী ইমরান হোসেন শিশিরের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন।

দুজন ভারতে ৯ দিন এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে একসঙ্গে আবাসিক হোটেলে একই কক্ষে রাত্রিযাপন করেছেন বলেও দাবি করেন ওই নারী।

শিশিরের চাপে একাধিকবার গর্ভপাত করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তার অভিযোগ, এতদিন পর্যন্ত তাকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে শিশির তার সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করে নানা রকমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে ওই নারী শ্রীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সংবাদ সম্মলন করে তার বক্তব্য সংবলিত ভিডিও সুপার এডিট করে বানানো হয়েছে বলে দাবি করেন। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেন তিনি।

যদিও স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন, শিশিরের চাপে পড়ে ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’
ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Let them be judged according to the law made by Awami League
রুকন সম্মেলনে জামায়াতের আমীর

আওয়ামী লীগ প্রণীত কালাকানুনেই তাদের বিচার হোক

আওয়ামী লীগ প্রণীত কালাকানুনেই তাদের বিচার হোক রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের রুকন সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুতরা অতীত অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে আনসার লীগ, বিচার লীগ ও নানারকম দাবিদাওয়ার লীগ নামে আরেক রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তাদের অনেকে দাড়ি ও টুপি পরছে। উদ্দেশ্য বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেয়া- আমরা যতদিন ছিলাম ততদিন চরমপন্থার উত্থান হতে দেইনি। আমরা নাই তাই এখন বাংলাদেশে চরমপন্থা আছে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা কারও ওপর কোনো জুলুম ও অবিচার চাই না। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে যেসব কালাকানুন করেছে তার ভিত্তিতেই তাদের বিচার হোক। তারা যেন তাদের সঠিক পাওনাটা পায়।’

রোববার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াত ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

জামায়াতের আমীর বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা, গণতন্ত্র এবং জনগণের ইচ্ছা ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল। ওইদিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল।

‘তারা সেদিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। বহু শিশু এই দৃশ্য দেখার পর একনাগাড়ে অনেকদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, চিৎকার দিয়ে উঠেছে। কিন্তু মজলুমরা তার বিচার পায়নি।’

তিনি বলেন, ‘মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

‘দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ আবার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।’

ডা. শফিকুর বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে সাজানো-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। এখন তাদের নাম সাহস করে কেউ নেয় না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) যারা করে তারাও সেই নাম নিতে চায় না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন?

‘তাদেরকে তারা নিজেরা নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। তারা যখন বাকশাল কায়েম করে তখন তাদের দলসহ সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার আল্লাহর সাহায্য নিয়ে জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে।’

জামায়াতের আমীর বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সাথে তারা দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতায় আসার মাত্র দু’মাসের মাথায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে তারা আঘাত করে ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করেছিল।

‘সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। নেপথ্যের নায়কদের, হুকুমদাতাদের, দৃষ্কৃতকারীদের আড়াল করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকারা তাদের অপরাধের পাওনা এখনও পায়নি। এ পাওনা তাদেরকে পেতে হবে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব হত্যার বিচার করতে হবে।

‘তবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে- শহীদদের তাজা রক্ত এখনও ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।’

জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হেফাজতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি ছিল আরেকটি গণহত্যা। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা আজও জাতি জানতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘অতীত অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে আনসার লীগ, বিচার লীগ ও নানারকম দাবিদাওয়ার লীগ নামে তারা আরেক রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

‘তাদের অনেকে দাড়ি ও টুপি পরছে (আর্টিফিসিয়াল কিনা জানি না)। একদিকে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে ও বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেয়া যে, আমরা যতদিন ছিলাম ততদিন চরমপন্থার উত্থান হতে দেইনি। আমরা নাই তাই এখন বাংলাদেশে চরমপন্থা আছে।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিশোধ নেব না। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে আমরা বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে জুলুমের প্রতিকার চাইব। আমরা সেই প্রতিকারটিই চাচ্ছি।

‘গণঅভ্যত্থানের পর মজলুম দল হিসেবে প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার ছিল জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশের কোথাও একটিও প্রতিশোধ নেয়া হয়নি।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। তাই আমাদের সীমাহীন ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ৯ অক্টোবর রোডম্যাপ প্রকাশ করবে জামায়াত
জামায়াতের‌ সদস্যরা আগে পাল্টাবে, তারপর দেশ পাল্টাবে: আমির
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াত
সীমান্ত হাট না খুলতে জামায়াতের আবেদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nothing has changed in student revolution except change of government Gayeshwar

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পরিবর্তন ছাড়া কিছুই বদলায়নি: গয়েশ্বর

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পরিবর্তন ছাড়া কিছুই বদলায়নি: গয়েশ্বর রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হলেও বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অধিকারের জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর যারা রক্ত দিয়েছে, যারা গুম হয়েছে, যারা সন্তানহারা হয়েছে- এরা সব হারিয়েছে। মাঝে শেখ হাসিনা নেই। আর সব আগের মতোই আছে।’

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পরিবর্তন ছাড়া অন্য কিছুই বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘সরকার বদলে গেছে; কিন্তু তুমি-আমি একই আছি, যা ছিলাম আগে।’

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ‘দুর্যোগ প্রশমনে বিএনপির ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রচার দল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হলেও বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অধিকারের জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর যারা রক্ত দিয়েছে, যারা গুম হয়েছে, যারা সন্তানহারা হয়েছে- এরা সব হারিয়েছে। মাঝে শেখ হাসিনা নেই। আর সব আগের মতোই আছে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগের সব মামলা যদি উঠে যেতে পারে তাহলে এখন কেন আমাদের মামলা উঠছে না। প্রধান উপদেষ্টাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপমানিত করা হয়েছিল। এতে গোটা জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাহলে আমাদের ওপর এতো অত্যাচার-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা কেন বর্তমান সরকারের বিবেচনায় আসছে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ব্যাপারে যদি আমরা সমব্যথী হতে পারি, সোচ্চার হতে পারি, তাহলে আপনারা দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আমাদের মামলাগুলো আগের মতোই আছে, আগের মতোই আদালতে যেতে হচ্ছে কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেননি। কিন্তু জনগণের ভোট করতে হলে তো নির্বাচন কমিশন লাগবে। যেখানে এখনও উইদাউট নির্বাচন কমিশন, সেখানে আমি কীভাবে বিশ্বাস করব আপনি নির্বাচন করবেন? নির্বাচন যত শিগগির হবে, জনগণের পার্টিসিপেশনের জোয়ারের মধ্যে হবে।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার সেটুকু বিবেচনা করবেন। আমরা তো ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। এসব সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে। জনগণের প্রতিনিধিরা পার্লামেন্টে আসবেন, তারা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেসব সংস্কার করবেন।’

তিনি বলেন, ‘কোটা-বৈষম্যবিরোধী থেকে শুরু করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার যে আন্দোলন সেটি ছাত্রদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনো সাংঘর্ষিক না, একই ধারার আন্দোলন। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের (ছাত্রদের) আলাদা করতে চায় কেন?

‘ছাত্ররা সচিবালয় ঘেরাও করবে কেন? কিছু থাকলে তারা সমাবেশ করে সরকারকে সতর্ক করবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর যদি আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টি হয় তার মাশুল কে দেবে?’

গয়েশ্বর রায় সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য কতটুকু সময় লাগবে তা বলেন না কেন? সেনাপ্রধান বলেছেন ১৮ মাস, পরের দিন কেন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা সরকারের কথা না। তাহলে সরকারের কথাটা কী? ৩৬ মাস? ৩০ মাস? তাই বলেন না! বলতে তো হবে আপনাকে।

‘আমরা যদি জানতে পারি আপনারা এত মাস পরে নির্বাচন করবেন, আমাদের তো কাজ আছে। জনগণের কাছে যেতে হবে, তাদের বোঝাতে চেষ্টা করব– আমি এই করব, সেই করব। আমাদেরও তো আকাঙ্ক্ষা আছে জনগণকে কনভিন্স করার। সুতরাং আপনাদের টার্গেট ঠিক করতে হবে।’

জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হকসহ জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের নেতারা বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর
খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী: গয়েশ্বর
ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্য, দলটিকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি: গয়েশ্বর
বিদেশিদের স্বার্থ দেখা ছাড়া সরকারের বিকল্প পথ নেই: গয়েশ্বর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP has stopped all the tricks of the defeated forces Nitai Roy

পরাজিত শক্তির সব অপকৌশল রুখে দিয়েছে বিএনপি: নিতাই রায়

পরাজিত শক্তির সব অপকৌশল রুখে দিয়েছে বিএনপি: নিতাই রায় মাগুরায় নিজ বাড়িতে রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নিতাই রায় চৌধুরি। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘মাগুরায় এবার দুর্গাপূজায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে পরিদর্শন করেছেন। জেলার কোথাও কোন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জেলায় এবার দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা চলতে চাই।’

সারাদেশে এবার দুর্গাপূজা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে এবার দুর্গাপূজা পালন করেছে। পূজা নিয়ে পরাজিত শক্তির সব অপকৌশল রুখে দিয়েছে বিএনপি।

রোববার দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলার হাটবাড়িয়ার নিজ বাড়িতে দূর্গাপুজা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরি।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘মাগুরায় এবার দুর্গাপূজায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে পরিদর্শন করেছেন। জেলার কোথাও কোন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জেলায় এবার দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সম্প্রতি বজায় রেখে আমরা চলতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির নেতা মনোয়ার হোসেন খান, সাবেক জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, মিথুন রায় চৌধুরি, আলমগীর হোসেন, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন কুতুব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব
বিজয়া শোভাযাত্রা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এবারের দুর্গাপূজায় বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা 

মন্তব্য

p
উপরে