× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Gang rape of teenage girl in train in Kamalapur arrested 5
google_news print-icon

কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫

কমলাপুরে-ট্রেনে-কিশোরীকে-সংঘবদ্ধ-ধর্ষণের-অভিযোগ-গ্রেপ্তার-৫
কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থেমে আছে ট্রেন। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। ওই কিশোরী মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে নেত্রকোণা থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিল। শুক্রবার রাতে সে নেত্রকোণা থেকে হাওর এক্সপ্রেসে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন। সেখানে কয়েকজন কিশোরীকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুরাগ কমিউটার ট্রেনের একটি বগিতে নিয়ে যান।’

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে থেমে থাকা একটি ট্রেনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

গ্রেপ্তার পাঁচ তরুণ হলেন, ২০ বছরের আনোয়ার, ২৫ বছর বয়সী নাজমুল, ২২ বছরের রোমান প্রকাশ কালু, ২৫ বছরের নাঈম ও ২১ বছর বয়সী সুমন।

ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র।

জানা গেছে, রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তুরাগ কমিউটার নামের ট্রেনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভর্তি করা হয় ওই তরুণীকে।

কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া রেলওয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ মাহামুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভিকটিমকে নিয়ে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো। এর বাইরে অন্য কিছু আমি বলতে পারব না। আপনারা ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।’

শনিবার বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। ওই কিশোরী মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে নেত্রকোণা থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিল। শুক্রবার রাতে সে নেত্রকোণা থেকে হাওর এক্সপ্রেসে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন। সেখানে কয়েকজন কিশোরীকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুরাগ কমিউটার ট্রেনের একটি বগিতে নিয়ে যান।

‘সেখানে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমরান নামে একজন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
বান্ধবীর বাসায় ‘আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
বাড়ি ফেরার পথে স্কুলশিক্ষককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ দ্রুত বিচারে কেন নয়: হাইকোর্ট
বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: ১০ জনকে আদালতে তোলা হচ্ছে বিকেলে  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The causes of the Faridpur accident were known

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল অতিরিক্ত গতি থাকায় সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানবাহন দুটির সামনের অংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের কানাইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেঁতুলতলায় ঢাকা থেকে মাগুরা অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে সড়কেই ঝরে পড়ে ১১ প্রাণ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তবে সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয়দের দাবি অন্তত তা-ই।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিল। আর পিকআপচালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসেন। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলেন কি না, পিকআপটির চালকের লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি (বাস) ওভার স্পিডে (অতিরিক্ত গতি) চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই শেখ লিমনের বাড়ি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিট ও তার পাশে গর্ত আছে, রাস্তাও এবড়ো থেবড়ো। ঈদের আগেও এখানে বিশ-বাইশটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Yunus bail was extended till May 23
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। খবর বাসসের

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলমখান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চান। ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয়মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আপিল শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।

শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে গ্রহণ
‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার
ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 fugitive accused in Jhenaidah murder case arrested

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার শৈলকুপায় হত্যা মামলার ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে কাদা খেলা নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীন বিশ্বাস হত্যা মামলার ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬।

উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ভগবাননগর গ্রামের সজীব বিশ্বাস (২০), বিজয় বিশ্বাস (১৮), সুশান্ত বিশ্বাস (৩৫), সুভাষ বিশ্বাস (৪০), প্রশনজিৎ বিশ্বাস (২৬) ও পলাশ বিশ্বাস (১৬)।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার সুনিল বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাসকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপূজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় বাগদি সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয় স্বাধীনের।

এ ঘটনায় স্বাধীন বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প)-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত
কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘সন্ন্যাসীদের’ পিটুনিতে যুবক নিহত
ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The sound of mortar shells is coming intermittently in Teknaf

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ কক্সবাজারের টেকনাফের একটি এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।’

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান লড়াইয়ের মধ্যে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলাটিতে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের ভাষ্য, সীমান্তে বসবাসকারীদের জন্য নাফ নদী দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তখন মিয়ানমারের ওপার থেকে ভারি বিস্ফোরণের শব্দ এপারে ভেসে আসে। এতে সীমান্তের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।

‘সারা দিন থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রাতে তা তীব্র হয়ে উঠে আরও। এখনও এ রকম চলতেছে। এপারের ভূখণ্ডে গোলা না পড়লেও ভূখণ্ড কাঁপছে ঠিকই।’

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।

‘ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখনও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ওপার থেকে টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী রাখাইনে তাদের অভ্যন্তরের অনেক দূরে গোলাগুলি চলছে। এ কারণে এপারে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সীমান্তবর্তী লোকজনের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিন সপ্তাহ পর উদ্ধার টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ
৮০০ টাকার জন্য যুবককে গুলি করে হত্যা, দাবি পরিবারের
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Naogaon city the contractor was hacked and injured

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাতে প্রকাশ্যে কোপানো হয় ঠিকাদারকে। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

নওগাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামের পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মোশাররফ হোসেন শান্ত নামের এক যুবক ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেন শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করেন শান্তর অনুসারীরা।

ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে।

শহরজুড়ে আতঙ্ক

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। কীভাবে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়, তা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামের একটি মুদিখানার দোকানিকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হন শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করেন অস্ত্রের মহড়া। মহড়ার পর হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের ওপর।

ঘটনার বিষয়ে ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

‘শান্তর সাথে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।’

সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ।

‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই পুলিশও শান্তর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে নীরব ভূমিকায় থাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।’

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা আটক
নওগাঁয় এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation of assaulting a woman in a residence for 170 rupees

১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ

১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ নেত্রকোণার কলমাকান্দায় হামলার ঘটনায় এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুপচাঁনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়ার কাছে প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ১৭০ টাকা পাওনাদার ছিলেন, কিন্তু রুবেল মিয়া উজ্জ্বল মিয়ার কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন। পরে ওই টাকা পরিশোধের সময় তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে রুবেলসহ তার লোকজন উজ্জ্বল মিয়াকে মারধর করে।

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় ১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

আহত তারাবানু (৪২) নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামের মো. রুপচাঁনের স্ত্রী। তিনি কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার রাতের এ ঘটনায় আহত তারাবানুর স্বামী রুপচাঁন বাদী হয়ে রোববার রুবেল মিয়া (৩৫), রাসেল মিয়া (৩২), ইদ্রিস মিয়া (৪৫), জাহাঙ্গীর (২৫), সাদ্দাম মিয়া (২৩), আকবর আলীসহ (৩৮) ১২ জনের নামে কলমাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুপচাঁনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়ার কাছে প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ১৭০ টাকা পাওনাদার ছিলেন, কিন্তু রুবেল মিয়া উজ্জ্বল মিয়ার কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন। পরে ওই টাকা পরিশোধের সময় তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে রুবেলসহ তার লোকজন উজ্জ্বল মিয়াকে মারধর করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্য বিরোধ চলছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে উজ্জ্বল মিয়ার বসতঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে রুবেল মিয়াসহ তার লোকজন। হামলার প্রতিবাদ করলে রুপচাঁনের স্ত্রী তারাবানুকে মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ইউসুফ আলী বলেন, ‘রুপচাঁনের বাড়িতে রুবেল মিয়ার লোকজন হামলা করেছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাৎক্ষণিক আহত তারাবানুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জয়ত্রী দেবনাথ জানান, তারাবানুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তারাবানু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল মিয়াকে পাওয়া যায়নি, তবে রুবেল মিয়ার মামা আকবর আলী জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, রুপচাঁন বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে ভূমি অফিস সহায়ককে সাময়িক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি
নিউজবাংলায় সংবাদ: পত্নীতলার ভূমি কর্মকর্তাকে শোকজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Suspect Shanto arrested in Naogaon contractors stab wound incident

নওগাঁয় ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত শান্ত গ্রেপ্তার

নওগাঁয় ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত শান্ত গ্রেপ্তার ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন শান্ত। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছিল। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন শান্তকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার। এরপরই ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করাসহ গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

নওগাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন শান্তকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোমবার বিকেল তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন শান্তর বাড়ি শহরের চকগোবিন্দ এলাকায়।

এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় সোমবার হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ।

এদিকে রোববার রাতেই শান্তর প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়াসহ ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মোশাররফ হোসেন শান্ত নামের এক যুবক ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেন শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর আহত বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করেন শান্তর অনুসারীরা।

ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে।

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার পর সোমবার সকাল থেকেই শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিল মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। তাদের আটকে রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযানে নামে থানা পুলিশ। সর্বশেষ দুপুরে পুলিশের অভিযানে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছিল। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন শান্তকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার।

‘এরপরই ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করাসহ গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

কীভাবে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়, তা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে এক মুদি দোকানিকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ।

ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হন শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। এরপর হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের উপর।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

‘শান্তর সাথে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।’

সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি- মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ। ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।’

মামলা করলে হত্যার হুমকির অভিযোগ করে সাজ্জাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছিল শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এর পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।’

আরও পড়ুন:
সোমালিয়ায় জিম্মি সাইদুজ্জামানের পরিবারকে ঈদ উপহার নওগাঁর ডিসির
নওগাঁয় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা আটক

মন্তব্য

p
উপরে