× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
RAB has been trained on the advice of the United States Prime Minister
google_news print-icon

র‌্যাব তো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে, ট্রেনিংও তাদের: প্রধানমন্ত্রী

র‌্যাব-তো-হয়েছে-যুক্তরাষ্ট্রের-পরামর্শে-ট্রেনিংও-তাদের-প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
‘র‌্যাবের ওপরে তারা যখন স্যাংশন দিল, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে র‌্যাব সৃষ্টি করেছে কে? র‌্যাব সৃষ্টি তো আমেরিকার পরামর্শ। আমেরিকা র‌্যাব সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছে। আমেরিকা তাদের ট্রেনিং দেয়। তাদের অস্ত্রশস্ত্র, তাদের হেলিকপ্টার, এমনকি তাদের ডিজিটাল সিস্টেম, আইসিটি সিস্টেম-সবই আমেরিকার দেয়া।’

যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র‌্যাব গঠন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের দেয়া প্রশিক্ষণ অনুযায়ী র‌্যাব তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।

বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে র‌্যাব বিশেষ ভূমিকা রাখায় যুক্তরাষ্ট্র ‘নাখোশ’ হয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন সরকারপ্রধান।

গণভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘র‌্যাবের ওপরে তারা যখন স্যাংশন দিল, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে র‌্যাব সৃষ্টি করেছে কে? র‌্যাব সৃষ্টি তো আমেরিকার পরামর্শ। আমেরিকা র‌্যাব সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছে। আমেরিকা তাদের ট্রেনিং দেয়। তাদের অস্ত্রশস্ত্র, তাদের হেলিকপ্টার, এমনকি তাদের ডিজিটাল সিস্টেম, আইসিটি সিস্টেম-সবই আমেরিকার দেয়া।’

একজন গণমাধ্যমকর্মী সরকার প্রধানের কাছে প্রশ্ন রাখেন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপড়েন চলছে কি না। গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো, র‌্যাবের ওপর দেশটির নিষেধাজ্ঞাসহ নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই প্রশ্ন রাখেন সেই গণমাধ্যমকর্মী।

পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমেরিকা যখন স্যাংশন দেয় বা কোনো কথা বলে, বা অভিযোগ আনে, আমার একটাই কথা, যেমন আপনারা ট্রেনিং দিয়েছেন, তেমন তারা কার্যক্রম করেছে। এখানে আমাদের করার কী আছে? আপনাদের ট্রেনিংটা যদি একটু ভালো হতো, তাহলে না কথা ছিল।’

র‌্যাব তো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে, ট্রেনিংও তাদের: প্রধানমন্ত্রী
এলিট ফোর্স র‌্যাবের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি

‘আমরা শাস্তি দেই, যুক্তরাষ্ট্র দেয় না’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে বাংলাদেশে তার শাস্তির বিধান থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে তেমন নজির নেই বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সে র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক, আর্মি হোক, যে হোক, কেউ যদি অপরাধ করে তার কিন্তু বিচার হয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনারা দেখেছেন পুলিশ ইচ্ছা মতো গুলি করে মারলেও তাদের কিন্তু সহসা বিচার হয় না।

‘শুধু একটা বিচার হলো, আমেরিকার লোক সবাই যখন আন্দোলনে নামল, তখন ওই একটা বিচারই বোধ হয় তারা সারাজীবনে করতে পেরেছে। তা না হলে তো তারা কথায় কথায় গুলি করে মেরে ফেলে দেয়।

‘একটা বাচ্চা পকেটে হাত দিল, গুলি করে মেরে ফেলে দিল। একটা খেলনা পিস্তল নিয়ে তাকে মেরে ফেলে দিল। আমাদের কতজন বাঙালি মারা গেছে, সেখানে কিন্তু তারা কিছু বলেনি। সেই কথাগুলো আমি স্পষ্ট তাদেরকে বলেছি। আমি কিন্তু বসে থাকিনি। আমি মনে করি এটা আমাদের বলার কথা।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের নিয়ে চিন্তা করা উচিত’

অন্য এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ‘স্যাংশন তারা কতোটুকু তুলবে জানি না। তবে স্যাংশন দিয়ে তারা ক্ষতি যতটা করেছে, আমরা যাদের দিয়ে এ দেশে সন্ত্রাস দমন করেছি, তাদের ওপর স্যাংশন দেয়ার অর্থটা কী? সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া?

‘আমার এটাও প্রশ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে, তাহলে কী সন্ত্রাস দমনে তারা নাখোশ? ৪০ বছর ধরে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, সেই তালেবানের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ভেগে চলে আসল আমেরিকার সৈন্যরা।’

যুক্তরাষ্ট্র ‘নিজেদের ব্যর্থতা’ স্বীকার করে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিয়েতনামে ৩০ বছর যুদ্ধ করল, বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের মদদ দিল, সেভেন ফ্লিট পাঠাতে চাইল। আমরা কিন্তু আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি। তাদের নিজেদের চিন্তা নিজেদের করা উচিত।

‘এখন ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে সমানে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, স্যাংশন দিচ্ছে। স্যাংশন দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে? সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। কথায় কথায় একটা দেশ আরেকটা দেশকে স্যাংশন দেয় এটা কেমন কথা?’

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়— আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সমস্যা থাকতে পারে, থাকে। কিন্তু কারও সঙ্গে আমরা ঝগড়া বিবাদে যাই না। যুক্তরাষ্ট্র সময়ে সময়ে আমাদের ওপর নানা ধরনের স্যাংশন, অথবা একসময় জিএসপি বাদ দিল, নানা রকমের ঘটনা ঘটায়।’

গুম প্রসঙ্গে মরিয়ম মান্নান, ফরহাদ মজহারের কথা স্মরণ

বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে যে গুমের অভিযোগ আনেন, সেটি নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘কয়েকটা আন্তর্জাতিক সংস্থা খুব উৎফুল্ল, গুম-খুন, গুম-খুন, গুম-খুন। গুমের হিসাব যখন বের হতে শুরু করল তখন তো দেখা গেল সব থেকে বেশি গুম জিয়াউর রহমানের আমলেই শুরু। তারপর থেকে তো চলছে। তারপর আমরা যখন তালিকা চাইলাম, ৭৬ জনের তালিকা পাওয়া গেল। আর এই ৭৬ জনের মধ্যে কী পাওয়া গেছে, সেটা আপনারা নিজেরাই ভালো জানেন।’

সম্প্রতি মাকে গুম করার দাবি তুলে পরে বিব্রতকর অবস্থায় পড়া মরিয়ম মান্নানের ঘটনাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। উঠে আসে কবি ফরহাদ মজহারের গুমের ঘটনাও, যাকে গুম করার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়ের পর দেখা যায়, তিনি খুলনায় রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াদাওয়া করছেন, এমনকি বান্ধবীকে টাকাও পাঠান মোবাইল ব্যাংকিংসেবা ব্যবহার করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে এমনও আছে, মাকে লুকিয়ে রেখে অন্যজনকে শায়েস্তা করতেও মাকে খুন করেছে, গুম করেছে, সে ঘটনাও বের হয়ে যাচ্ছে। আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই, আপনারা খুঁজে খুঁজে সেগুলো বের করেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে ধরে। কেউ বোনকে লুকিয়ে রেখে, গুম হয়েছে সেটা বলে। কেউ ঢাকা থেকে চলে গেলেন খুলনা। বলা হলো তাকে গুম করা হয়েছে। দেখা গেল নিউ মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে খুলনায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে তালিকা, সে তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভারত থেকে পলাতক কিছু আসামি, তাদের নামও সেই তালিকায়। এটা কেমন করে হয়?’’

গুমের তালিকায় কোনো কোনো নাম আমেরিকায় লুকিয়ে আছে বলেও দাবি করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সে রকমও তথ্য আছে। বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরেছি, এই যে গুম গুম করেন আগে দেখেন সেটা কী কারণে?’

এসময় সংবাদকর্মীদের ওপও ক্ষোভ ঝাড়েন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘গুমের ঘটনা যখনই ঘটে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করে। সেই নিউজটা আসেই না বা পত্রিকায়ও আপনারা সেটা বড় করে দেখান না। গুমটা যত বড় করে দেখান, গুমটা যখন উদ্ধার হয়, ওটা যদি সমানভাবে দেখাতেন তাহলে তো বাংলাদেশের এই বদনামটা হতো না।’

অপপ্রচারের অভিযোগ

দেশের কিছু মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগও আনেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তারা যেসব স্টেটে থাকে সেখানকার স্থানীয় সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, তাদের কাছে নানা রকম বানোয়াট মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে। দিয়ে দিয়ে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে।

‘আর সেই সঙ্গে দেশের বদনাম করে। যারা করে তারা নিজেরা একেকটা অপকর্ম করে কিন্তু দেশ ছাড়া। কোনো না কোনো অপরাধে তারা অপরাধী অথবা চাকরিচ্যুত।’

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও তাদের প্রজন্মরাও এসব অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

জাতিসংঘেও যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘আমি কিন্তু আমার বক্তৃতায় এ কথা স্পষ্টভাবে বলে আসছি, এটাও বলেছি এ যুদ্ধ থামাতে হবে। শুধু অস্ত্র প্রতিযোগিতা আর যুদ্ধ করে শুধু অস্ত্র প্রস্তুতকারী বা বিক্রিকারী দেশ লাভবান হবে আর আমাদের মতো সাধারণ দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, কষ্ট পাবে, আমাদের দেশ কেন, ইউরোপের মানুষ তো কষ্টে আছে।’

দেশে দেশে যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনে বিদ্যুতের দাম ৮০ শতাংশ বাড়িয়েছে। আমি যদি ৪০ পার্সেন্ট বৃদ্ধি করি আপনারা কেমনভাবে চিল্লাবেন? একটা উন্নত দেশ, তাদের সবকিছুই বিদ্যুতে, বাড়ির দরজাও খুলে বিদ্যুতে, চুলাও জ্বলে বিদ্যুতে সবই, আমাদের তো এখনও তা না। আমেরিকারও একই অবস্থা। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে।’

ইউরোপ কয়লা নিয়ে এত কথা বলেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের ওপরেই প্রচণ্ড চাপ। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি তো কোনো চাপের কাছে মাথানত করিনি। যেটা আমার প্রয়োজন সেটা আমি করব। হ্যাঁ তাতে আমার দেশের এনভায়রনমেন্ট নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে আমি সচেতন। সেটা যে হচ্ছে না, তার প্রমাণও আমি দিয়েছি। আন্তর্জাতিক বহু ফোরামে এটা নিয়ে তর্ক হয়েছে। এখন পেলে জিজ্ঞেস করতাম, এখন আপনারা কী বলবেন, সেই আদিযুগেই তো ফিরতে হলো?’

আরও পড়ুন:
বিশ্বে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী: প্রধানমন্ত্রী
বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত আমি: শেখ হাসিনা
সব ধর্মকে সম্মান দেখাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে