রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী বছর সারা বিশ্বের জন্য ‘অত্যন্ত দুর্যোগময়’ হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের অর্থনীতি ‘যথেষ্ট শক্তিশালী’ আছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
গত ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেকটা কমে গেলেও এখনও যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ আছে বলে মনে করেন সরকার প্রধান।
গণভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, এই সফরে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, সবাই অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকের মাঝে কিন্তু এই ধরনের একটা আশঙ্কা। সবাই এ কথা বলেছে যে ২০২৩ সাল বিশ্বের জন্য অত্যন্ত একটা দুর্যোগময় সময় এগিয়ে আসছে, এমনকি বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষও দেখা দেবে, এমন শঙ্কা সকলের মনে আছে। এ নিয়ে সবাই চিন্তিত ও আতঙ্কিত।’
‘দেশের অর্থনীতি যথেষ্ট সচল’
দেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদিকে করোনাকালীন সংকট, আরেকদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এবং স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন। এর মাঝেও আমাদের অর্থনীতি এখনও যথেষ্ট সচল রাখতে পেরেছি। এটা আমার কথা না, আন্তর্জাতিক নানা সংস্থাও সে কথা বলছে।
‘শুধু এটুকু বলব, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে লং টার্ম, মিডিয়াম টার্ম, বা ইমিডিয়েট, যেকোনো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কোনো রিস্ক নেই। আমি কথা দিতে পারি। এটুকু ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির যে টার্গেট আমরা নির্দিষ্ট করেছি, সেটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হব, এ ব্যাপারে সবাইকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই। এরপর যদি মহাদুর্যোগ দেখা দেয়, এমনিতেই সারা বিশ্ব তো কষ্ট পাচ্ছে। তাতে বেশি কিছু বলার নেই। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী আছে, এটুকু আশ্বাস আমি দিতে পারি।’
উৎপাদন করুন, অপচয় করা যাবে না
দুচিন্তা না করে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদও দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা তো মানসিক ব্যাপার, কার কী মানসিকতা তার ওপরও নির্ভর করে। তবে সকলে মিলে যদি এই চিন্তা করে যে, না, দেশটা আমাদের, এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সেইক্ষেত্রে আমাদের অপচয় করলে হবে না।
‘তারপরও দেশবাসীর কাছে আমি বারবার আহ্বান করেছি, আপনারা যার যেখানে যতটুকু জমি আছে, বা জলাধার আছে, সেখানে যেন কিছু না কিছু উৎপাদন করে। কারণ, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করা দরকার।’
প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বিদ্যুৎ ব্যবহার, পানি ব্যবহার, খাদ্য ব্যবহার, প্রতিটি ব্যবহারে সবাই যেন একটু সাশ্রয়ী হয়। কারণ আগামী সংকটটা যেন আমাদের সেভাবে না দেখা দেয়।’
রিজার্ভ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ
যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের দিকে ছুটছিল আট মাসের মধ্যে তা ৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে এবং তা ক্রমহ্রাসমান।
তবে রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা নিয়েও সন্তুষ্ট শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ এখনও যথেষ্ট। আমাদের যে রিজার্ভ আছে, যদি কোনো সংকট দেখা দেয়, পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার মতো রিজার্ভ আমাদের আছে। রিজার্ভ হিসাব করা হয় এ কারণে যে, কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে আপনার তিনমাসের খাদ্য কেনার সংগতি আছে কি না। আমাদের সেখানে পাঁচ মাসের আছে।’
বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধে ভবিষ্যতেও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা যত ঋণ নেই, বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কখনও কোনোদিন খেলাপি হয়নি। যত সমস্যা থাক আমরা কিন্তু সময়মতো ঋণ পরিশোধ করি। যখন ঋণ পরিশোধ করি আমাদের রিজার্ভ তখন কিছুটা কমে যায়। করোনাভাইরাসের সময় যখন অনেক কার্যক্রম বন্ধ ছিল, আমরা যথেষ্ট রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছিলাম।’
বাজেটের সমস্যা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত প্রকল্পগুলো একান্তভাবে আমাদের জরুরি সে প্রকল্পগুলো এবং অধিক টাকা দিয়ে দ্রুত শেষ করে সেখান থেকে রিটার্ন পাওয়া যায়, সেই ধরনের প্রকল্পগুলো আমরা দ্রুত শেষ করে দিচ্ছি।
‘আমরা দেখি ওই প্রকল্পটা আমাদের দেশের জন্য কতটা প্রযোজ্য, কত টাকা খরচ করতে হবে, কত টাকা ঋণ নিতে হবে, কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর আমার কত টাকা রিটার্ন আসবে। রিটার্ন ভালো পাব, সেটা গ্রহণ করি, বাকিগুলো করি না।’
গণমাধ্যম নিয়ে মাথাব্যথা নেই
গণমাধ্যমের সমালোচনা নিয়ে এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা আছে, তাদের বোধ হয় সারা জীবনই বাংলাদেশের খারাপ কথাটা বলতে পারলে তারা স্বস্তি পায়। এটা আমি যুগ যুগ ধরে দেখছি। এরকম ধরনের মানুষ থাকে। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা অথবা বলতে হবে যে পরশ্রীকাতরতায় ভোগে।
‘বাংলাদেশ যত ভালো করুক, তাদের চোখে ভালো হওয়া যাবে না। তবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি সেটা নিয়ে চিন্তাও করি না। আমার লক্ষ্য থাকে যে, জনগণের ওপর আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে, আমি যে কাজটা করছি জনগণ কতটা লাভবান হলো, জনগণের কষ্ট যাতে না হয়, সেদিকেই আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিই।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত “অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, আচরণবিধি প্রতিপালন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন” শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাখাওয়াত হোসেন।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ সাহেদ আহমেদ এবং দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এহসানুল হক।
সেমিনারে শ্রীমঙ্গলে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হরতাল চলবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে।
হরতাল সমর্থনকারীরা পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বেড়া সিএন্ডবি মোড়ে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও ট্টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। এদিকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়।
রোববার সকাল থেকে কোনো বাস বা অন্য কোনো যান চলছে না সড়কে। বেড়া নগরবাড়ি ও কাজিরহাট নদী বন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এর আগে শনিবার এক সভায় এই ঘোষণা দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।। শনিবার সকালে বেড়া উপজেলা সদরের সান্যালপাড়া সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকছেদ আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম দিপু, বণিক সমিতির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, রিকশা ভ্যান সমিতির সধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খাজা, চতুহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মোল্লাসহ বিভিন্ন সংগঠণের প্রতিনিধি।
সভায় রোববার বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনে চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া উপজেলার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এরপর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেড়া উপজেলাবাসী। এর আগে একই দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন আলাদা করা হয়েছে। আর বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত।
ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই। তারা লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কে সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক, আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বালু অপসারণের অভিযোগে সজল পাল নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের সালন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুল ইসলাম।
তিনি জানান, সজল পাল সরকারি বালু অবৈধভাবে অপসারণ করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বালুগুলো জব্দ করে পুনরায় পূর্বের স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর আওতায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। বাল্কহেডের সাথে নৌকার সংঘর্ষের ফলে ৮ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। অতঃপর ৮ জনের মধ্যে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উক্ত বিষয়টি জনৈক এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ড কে অবগত করে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান আরম্ভ করে। পরবর্তীতে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার বিকাল ৫ টায় কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ২ টি অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ডেমরা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারে মদ্যপানের পর স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জনতার সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, নিহত রঞ্জন চাকমার মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আটক বিরেল চাকমাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। তাদের সকলের বাড়ি রাঙ্গামাটি।
মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিরেল চাকমা (৫৫) এর সাথে রঞ্জন চাকমার স্ত্রী পূর্ব পরিচিত। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে গত ৩ দিন আগে তার স্বামী রঞ্জন চাকমা কক্সবাজার এসে বিরেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় জসিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য স্বামী-স্ত্রী বিরেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
“ নিহতের স্ত্রীর জানিয়েছে, বিরেল চাকমা কয়েকদিন থেকে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। রাজি না হওয়ায় বিরেল চাকমা সংক্ষুব্ধ হয়। “
জেলা পুলিশের এ মুখপাত্র বলেন, “ শনিবার দিবাগত রাতে ওই বাসায় বিরেল চাকমা ও রঞ্জন চাকমা মিলে মদ্যপান করে। বিরেল চাকমা মাতাল অবস্থায় রঞ্জন চাকমার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললে রঞ্জন চাকমা ও বিরেল চাকমা'র বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিরেল চাকমা ধারলো দা দিয়ে রঞ্জন চাকমার মাথায় সজোরে কোপ মেরে হত্যা করে। তারপর বিরেল চাকমা ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। “
জসিম উদ্দিন জানান, পরে ওই নারী কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় চিৎকার দিয়ে আশপাশের লোকজনের সাহায্য চায়। এতে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হলে বিরেল চাকমাকে শরীরে রক্তমাখী অবস্থায় ব্যাগ হাতে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। এসময় তাকে ধৃত করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আটক আসামী বিরেল চাকমার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামে দুদিন ব্যাপি জলবায়ু পরিষদের সদস্যগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
রবিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও এর দাশেরহাট কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, নাগেশ্বরী উপজেলা জলবায়ু পরিষদের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুড়িগ্রাম জেলা জলবায়ু পরিষদের
সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক খাদিজা পারভীন খুশি, উলিপুর জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন প্রমুখ।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পদক্ষেপসমূহ নিশ্চিতকরণ টেকসই সমাধান (অ্যাক্সেস) প্রকল্পের আওতায়
কুড়িগ্রাম জেলা জলবায়ু পরিষদ সংগঠনের নাগেশ্বরী, উলিপুর এবং জেলা কমিটির ৪৫জন সদস্যকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
হেলভেটাস সুইস ইন্টার কো অপারেশন, বাংলাদেশের সহযোগীতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)
মন্তব্য