গ্রিড বিপর্যয়ের পর রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। যেটুকু বাকি আছে তা-ও দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহের আওতায় আনার কাজ চলছে।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ইস্টার্ন গ্রিড ফেল করার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর সন্ধ্যা থেকে জেলা শহরগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির সর্বশেষ আপডেট জানিয়েছেন মঙ্গলবার রাত ১১টায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে রাত ৯টার মধ্যে গ্রিড রিস্টোর করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অল্প কিছু জায়গাতে বিদ্যুৎ আসেনি বা স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিল। সেসব এলাকার গ্রাহকগণ আরেকটু ধৈর্য্য ধরুন। ধীরে ধীরে লোড বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মূল সংকট কেটে গেছে। দ্রুতই আপনারা বিদ্যুৎ পাবেন।
‘উল্লেখ্য, বেলা ২টা ৪ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর ২টা ৩৬ মিনিটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রাত ৯টায় সিস্টেম জেনারেশন ৮ হাজার ৪৩১ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয় এবং সতর্কতার সঙ্গে সেটা বাড়িয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান।
ইতোমধ্যে পূর্বাঞ্চলের বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যেমন ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করে ধীরে ধীরে সিস্টেম স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঢাকায় ২৩০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ১ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
বড় অংশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বাকি অংশেও দ্রুতই বিদ্যুৎ ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকার বিদ্যুৎ পরিস্থিতির সর্বশেষ আপডেট জানিয়ে মঙ্গলবার এর আগে রাত ১০টার দিকে প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেজে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে- মিরপুর, মগবাজার, মাদারটেক, রামপুরা, গুলশান, উলন, বসুন্ধরা, আফতাবনগর, বনশ্রী, ধানমন্ডি (আংশিক), আদাবর, শেরে বাংলা নগর, তেজগাঁও, মিন্টো রোড, মতিঝিল, শ্যামপুর, পাগলা, পোস্তগোলাসহ বেশকিছু এলাকায়।
‘পাওয়ার গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন। দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। ধৈর্য্য ধারণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আপডেট তথ্য জানিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে এবং ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায় সরবরাহ চালু হয়েছে। ঢাকায় লোড বেশি হবার কারণে সব লাইন সচল করতে কিছুটা দেরি হতে পারে।’
সন্ধ্যা ৭টার পর হবিগঞ্জে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে। চাঁদপুর এবং নেত্রকোনাও আলোতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ফেনীতেও বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম ও সিলেটেও বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে রাত সাড়ে ৭টার দিকে।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এর আগে ২০২২ সালে কমিশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনের সদস্যরা ২০২৩ সালের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার কাছে কমিশনের সভাপতির দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত কমিশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের প্রতি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মুহিত আগামীতে কমিশনের কাজে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
দেশজুড়ে জানুয়ারিতে অনেকটা কমে আসা শীতের অনুভূতি ফের তীব্র হয়েছে কয়েকটি জেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজারে।
কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরবর্তী সময়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চতাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্য কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বলা হয়, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে অধিদপ্তর জানায়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি আরও জানায়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
আরও পড়ুন:কৃচ্ছ্র সাধনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খাতে খরচ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। জ্বালানি তেলে খরচ কমানো হয়েছে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ। পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও ব্যয় কমানো হয়েছে।
ব্যয় সংকোচনে এসব পদক্ষেপের সুবাদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয়ের হিসাব থেকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল কমেছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার কমানো হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমানো হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিছু খাতে ব্যয় সংকোচন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দের কিছু টাকা বাঁচিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া যায় কি না। ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই ব্যয় কমানো শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হলো এবং ঢেউটা বাংলাদেশ পর্যন্ত আসল। তখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় আরও কমানোর কাজ শুরু করলাম।
‘প্রথমত আমরা বিদ্যুতে হাত দিলাম। তারপরে পেট্রল এবং লুব্রিকেন্টের খাতে খুবই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাড়িগুলোকে একটু রেশনিং করে আমরা সেটাও কমিয়ে এনেছি। একইভাবে আপ্যায়ন খাতেও আমরা ব্যয় কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যে আপ্যায়নের মেন্যুটি করেছি, সেটি খুবই সাদামাটা।’
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে আহসান কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংসদীয় বাজেট থেকে অর্থ বিভাগের কাছে সমর্পণ করেছি। এ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুনে বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ২৩ লাখ ৮ হাজার ৮৩৮ টাকা। জুন থেকে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিয়ে জুলাইয়ে খরচ হয় ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ টাকা। জুন থেকে খরচ ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের ব্যয় হয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৩ টাকা। জুন থেকে খরচ ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (প্রায় অর্ধেক) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় দাঁড়ায় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ টাকা।
২০২২ সালের জুনে পরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪১ হাজার ৪০২ লিটার। জুন থেকে ৪ হাজার ৪০০ লিটার (১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ) কমিয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৭ হাজার ২ লিটার। জুন থেকে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমিয়ে আগস্টে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটার। আর জুন থেকে ৯ হাজার ৬৬৬ লিটার তেল (২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে তেলের ব্যবহার ৩১ হাজার ৭৩৬ লিটারে নামিয়ে আনা হয়।
জুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৬৫ টাকা। ওই মাস থেকে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ কমিয়ে জুলাইয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
জুন থেকে ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ওই মাস থেকে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ খরচ কমিয়ে সেপ্টেম্বর আপ্যায়ন ব্যয় হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২০ টাকা।
আরও পড়ুন:মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে মেহেরপুর জেলা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ লক্ষ্যে একটি বিল পাস হয়েছে।
অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর বিল-২০২৩’ উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর বিলের ওপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।
১০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩ এর বিধানাবঈ পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।
আচার্য নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দেবেন। কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনোভাবে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদের বেশি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। আচার্য যেকোনো সময় উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী, সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হতে প্রার্থী হতে চাইলে ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে আচার্যের অনুমোদন নিয়ে ‘বিজনেস ইনকিউবেটর’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। বিজনেস ইনকিউবেটর হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থাপিত বা পরিচালিত কোনো বিজনেস ইনকিউবেটর, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সব সহযোগিতা দেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা প্রদান।
আরও পড়ুন:বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম যে অভিযোগ করেছেন তার ভিত্তি নেই বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে বুধবারের ওই ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলম অসেন্তাষ হয়েছে। ওনার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সকাল থেকে আমরা ডিসি সাহেবের সঙ্গে, জেলা নির্বাচন অফিসাদের সঙ্গে; সবার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এ ধরনের কোনো বিষয় তাদের কাছে নাই। তদের রেজাল্ট শতভাগ ঠিক।’
বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয় আসনে ভোট হয় বুধবার। একতারা প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে হিরো আলম বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
পরে রাতে বগুড়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফল পাল্টে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম। ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ভোট চুরি হয়নি, ফলাফল ছিনতাই হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট জানিয়ে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন,‘আমাদের কাছে যে রেজাল্ট শিটগুলো আসছে, আসলে কোথাও কোনো ব্যতয় নাই।’
হিরো আলমের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থী যখন হেরে যায়, আমাদের দেশের সংস্কৃতিটা কিন্তু এরকমই। হেরে গেলে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানান ধরনের প্রবণতা কিন্তু আছে আমাদের দেশে।
‘এটা শুধু হিরো আলম সাহেব নয়, যতগুলো ইলেকশন করলাম সব জায়গায়তে এ ধরনের প্রবণতা আমার লক্ষ্য করেছি।’
এজেন্টের হাতে ফলাফল দেয়া হয়নি- এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন,‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি, নন্দীগ্রামে খুব একটা এজন্টে দেননি প্রার্থী। ডিসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন- আমি আর এসপি অনেকগুলো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। আমরা ওখানে গিয়ে ওনার (হিরো আলমের) এজন্ট পাই নাই।’
কাহালু উপজেলায় হিরো আলমের কিছু এজেন্ট ছিল জানিয়ে তিনি বলেন,‘কাহালু ওনার নিজের এলাকা। এজন্টেই ছিল না। অন্যান্য প্রার্থীর কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ নাই। উনি হেরে গেছেন তাই এ ধরনের অভিযোগ করছেন।
‘উনি বরাবরই বলেছেন ভোট ভালো হয়েছে। উনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হেরে গেলেও ফলাফল মেনে নেব। হেরে গেছে কষ্ট হইছে। কষ্ট উনি নানাভাবে প্রকাশ করছেন। এটা উনি করতে পারেন। একজন মানুষ বললে তো হয় না। প্রমাণ থাকতে হবে।’
হিরো আলমের আসনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ওয়েবসাইটে দেবেন কি না- এমন প্রশ্নে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘আমরা নিশ্চয়ই দেব। আমাদের ওয়েবসোইটে দিতে সমস্যা কোথায়? ফলাফল এখনো হয় নাই। যেটা পেয়েছি সেটা তো বেসরকারি। আসার পরে দিয়ে দেব।’
হিরো আলম আদালতে যাবেন, গেলে অসুবিধা তো নাই মন্তব্য করে এই কমিশনার বলেন,‘অভিযোগ দেয়া আর অভিযোগ এস্টাবলিশ করা দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ।’
ভোটের আগে আচরণবিধি খুব বেশি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করেন না ইসি রাশেদা সুলতানা। বলেন, ‘কোনো প্রার্থী কোনো লিখিত অভিযোগ করে নাই। নির্বাচনের পূর্বের প্রস্তুতি সন্তোষজনক ছিল। ভোটের দিন ভোটের ভেতরে কোনো অনিয়ম হয় নাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু-একটা দেখতে পেরেছি। তবে ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যা হয় নাই। পুরোপুরি ভোটটা সন্তোষজনক হয়েছে।’
আরও পড়ুন:এ বছর বেসরকারিভাবে হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা হবে বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (হাব)।
রাজধানীর নয়াপল্টনের হোটেল ভিক্টরিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হাবের সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হজে গিয়ে কোরবানি দিতে হলে আলাদা টাকা খরচ করতে হবে।
প্যাকেজে ঘোষিত অর্থের মধ্যে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া হবে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়ার জন্য গুনতে হবে ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। সার্ভিস চার্জ হিসেবে নেয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা। বাকি টাকা অন্যান্য খাতের জন্য নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার কথা রয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ পড়বে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা।
আরও পড়ুন:সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল সেক্টর-৪-এ বৃহস্পতিবার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় পাতাল রেলপথ নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে আমরা ক্ষমতায় আছি বলে, সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।
‘এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন নিয়ে বাঁচতে পারে। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।’
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণ যতদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আছে, ততদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করে কেউ সরকারের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। পাতাল রেল নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হল এবং পাতাল রেলে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হল।
‘বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশ আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ রুখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলে। এই গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ইনশাআল্লাহ ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ নেতা সিরাজ হত্যার প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১৯৯৪ সালে ঠিক একই স্থানে নৌকাযোগে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি সেই স্থানেই পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুছি তোমোহাইড।
বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট পাওয়ার কথা তুলে ধরে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি। এত বছর মানুষের জন্য কাজ করায় এবং উপকার করায় তারা আমাদেরকে ভোট দিচ্ছে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পাচ্ছি। কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা সেটা করতে সমর্থ হয়েছি। এ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের সেবক। আমরা জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি, তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি। আমরা জনগণকে দিতে এসেছি, তাই এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে না।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে।’
রাজধানীতে মোট ছয়টি মেট্রোরেল হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ লাইনগুলো করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডিও শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনটি মেট্রোরেল লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেক কাজ হচ্ছে। তিনটি ফাস্ট ট্র্যাকসহ ৪৬টি ছোট-বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নতুন শহর পূর্বাচল গড়ে তোলা হচ্ছে। পূর্বাচল একটি স্মার্ট সিটি হবে। সে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহরকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য