পৃথিবীব্যাপী পর্যটনকেন্দ্রিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পালন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে মঙ্গলবার বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে পর্যটন দিবস।
এবার পর্যটন দিবসে দেশের পর্যটন খাতে যুক্ত হয়েছে এক নতুন অনুষঙ্গ, পদ্মা সেতু। গত ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হয় দেশের মূল ভূখণ্ড।
এই সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটনের এক নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাগর সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতেও বইছে নতুন বাতায়ন।
পদ্মা সেতু চালুর পর সেতুতে বিভিন্ন যান চলছে। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
এতদিন দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটন বলতে মানুষ বুঝতো কক্সবাজারের কথা। একসময়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় সড়কপথে যেতে একাধিক ফেরি পার হতে হতো। সেসব নদীতে সেতু হয়ে গেছে। এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কে আর কোনো ফেরি নেই। এতে কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই স্বল্প সময়ে কুয়াকাটা পৌঁছতে পারছেন পর্যটকরা। তাই আসন্ন পর্যটন মৌসুমে কুয়াকাটা সাজছে এক নতুন রূপে। শীতের জন্য তৈরি হচ্ছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের এই শহর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পিত অবকাঠামো, উন্নত সড়ক যোগাযোগ আর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে কুয়াকাটা হতে পারে কক্সবাজারের সমান্তরাল বা বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র।
কুয়াকাটায় অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত আবাসিক হোটেল রয়েছে ৭৪টি। এর বাইরে আরও ৫৬টি হোটেল আছে। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণির হোটেল আছে ১৫টি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু খোলার পর থেকেই এখানে পরিবহনের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৫ থেকে ৬টি পরিবহন কোম্পানি নিয়মিত সেবা দিত, এখন সেখানে শ’ খানেকের মতো পরিবহন কোম্পানি তাদের সেবা শুরু করেছে। এর কারণে পর্যটকের আনাগোনাও বহুলাংশে বেড়েছে। অনেক বিলাসবহুল পরিবহনও এখন সরাসরি এখানে আসছে। এই সিজনে মনে হচ্ছে অনেক পর্যটক এখানে আসবে।
‘কক্সবাজার অনেক বছরের সাধনার ফল সরকারের। এখানে সরকারি-বেসরকারি প্রচুর বিনিয়োগ আছে। আজকের এ অবস্থায় আসতে কিন্তু অনেক সময় লেগেছে। আমাদের এখানে কেবল শুরু। এখানে আমাদের এখন মেরিন ড্রাইভ দরকার। এটা না হলে পর্যটনের বিকাশ হবে না। যোগাযোগব্যবস্থা আরও ভালো করতে হবে। রাস্তাগুলো ফোর লেনে আনতে হবে। সেবার ক্ষেত্রেও মান বাড়াতে হবে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা বেশ ভালো। ট্যুরিস্ট পুলিশ, নেভাল পুলিশ এখানে আছে। নিরাপত্তা বেশ ভালো। ১০০ ভাগ না হলেও ৯০ ভাগ ভালো। পর্যটক এলে এখানে কোনো বৈরীভাব নাই। তাদের ট্রেইন্ডআপ করতে হবে, যাতে করে পর্যটকদের আরও সেবা দেয়া যায়।’
কুয়াকাটাকে ঘিরে শীতকালের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোও। বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এভিয়েশনের জন্য শীতকাল হলো পিক সিজন। আশা করছি কুয়াকাটা বেসড এখন পর্যটকদের যে আকর্ষণ তৈরি হয়েছে, এতদিন বারবার একজন হয়তো কক্সবাজারেই যেত, এবার হয়তো নতুন গন্তব্য হিসেবে কুয়াকাটাকেই প্রায়োরিটি দেয়া হচ্ছে। শীতে আশা করছি যাত্রী বাড়বে।
‘এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত খুব কাছাকাছি দুটি জায়গা থেকে দেখা যায়। এটা কক্সবাজারে পাওয়া যায় না। লোকাল কমিউনিকেশন, যেমন সৈকত থেকে যে অন্য পর্যটন গন্তব্যগুলো আছে, এগুলোর কমিউনিকেশন ও নিরাপত্তার বিষয়টি যদি আরেকটু বাড়ানো যায় তাহলে আকর্ষণ বাড়বে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়ক পথের যাত্রীদের আনাগোনা তো থাকবেই। ফলে আকাশপথের যাত্রীদেরও আনাগোনা অনেকটা বাড়বে।’
দেশের পর্যটনের বিকাশে সরকার যে মহাপরিকল্পনা করছে তাতে কুয়াকাটার বিষয়েও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা রয়েছে বলে জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মাস্টারপ্ল্যান তো প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এটি হলে শুধু কুয়াকাটাই নয়, সারা দেশের পর্যটন অনেকটাই বদলে যাবে। এখন তো পদ্মা সেতুর কারণে সেখানে পর্যটক বাড়ছে। সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা অবশ্যই আছে।
‘সাগরমুখী পর্যটন বলতে এখন আমরা কক্সবাজারকেই বুঝি। আমার মনে হয়, সেখানেও একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কুয়াকাটাও কক্সবাজারের সমান্তরাল একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার মনে হয়। গত রোববার সংসদীয় কমিটিতেও এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। সেখানে কী করা যায় সেটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
এ বছরের মধ্যেই মহাপরিকল্পনার কাজ শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা অবকাঠামো যেটা করব, সেটা হবে মাস্টারপ্ল্যানের আদলে। কোথায় কোন জিনিসটি হলে ভালো হয়, সেটার জন্যই তো মাস্টারপ্ল্যান। এটা একদম শেষ পর্যায়ে আশা করছি, এ বছরই শেষ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজের মজাদার স্মুদি। শেফ মরিয়ম নাইসের তরমুজের স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. তরমুজের টুকরা-১৫০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো)
২. কলা-১টি
৩. কোল্ড আপেল জুস- ১০০ মিলিলিটার
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা তরমুজের টুকরা, কলা ও কোল্ড আপেল জুস একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:রোজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা জিলাপি খেয়ে থাকি। কেউ কেউ নিয়মিতই খাবারটি খান।
এ জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।
ঘরে বসে কীভাবে জিলাপি বানানো যায়, তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
ডো তৈরির জন্য এক কাপ ময়দা, তিন থেকে চার কাপ পানি, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ টক দই, এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা।
সিরা তৈরির জন্য দুই কাপ চিনি, এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার। এর সঙ্গে ভাজার জন্য লাগবে দেড় কাপ তেল।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে পানির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর টক দই দিয়ে খুব ভালো করে পাঁচ মিনিট ফেটে নিতে হবে। তারপর এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।
পরে সিরা করে নিতে হবে। পাত্রে পানি, চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে ঘি, লেবুর রস, সামান্য ফুড কালার দিয়ে সিরা করে ঠান্ডা করতে হবে।
এক ঘণ্টা পরে মেখে রাখা ডোর মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে আবার দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে মুচমুচে করে জিলাপি ভাজতে হবে। চিনির সিরায় এক মিনিটের মতো রেখে তা উঠিয়ে নিতে হবে।
জিলাপি ভাজার জন্য সসের বোতল, ছোট পানির বোতল বা পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন:আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন মজাদার আম পান্নার শরবত। ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল কুক উইথ পারুলের আম পান্নার রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১.কাঁচা আম- ৪টি
২.চিনি/মিশ্রি- স্বাদমতো
৩. ভাজা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ
৫. বিট লবণ- ১ চা চামচ
৬. লবণ- স্বাদমতো
৭. কাঁচা মরিচ- ২টি (কুচি)
৮. এলাচ গুঁড়া- সামান্য
৯. পুদিনা পাতা-সামান্য
১০. লেবুর রস- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। এবার গরম পানিতে আম সেদ্ধ করে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডারে সেদ্ধ আম, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, বিট লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, লেবুর রস ও পুদিনাপাতাসহ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আম পান্না। এটিকে আরও লোভনীয় দেখাতে আপনি সামান্য সবুজ খাবারের রং দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:যাত্রীসেবার মান্নোয়নের অংশ হিসেবে অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমানের যে সকল সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ)-এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
‘সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ টিকেট ক্রয়ের সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন। বিমানের ওয়েবসাইটে বুক ফ্লাইট (Book Flight) অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ (Manage My Trip) অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।’
আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। রোজায় ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইফতারে মজার মজার খাবারের পাশাপাশি রোজাদারদের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পুষ্টিকর খাবারেরও। এসব বিষয় চিন্তা করে ইফতারে রাখতে পারেন শির খুরমা।
রন্ধন শিল্পি রোকসানা আক্তার সুমি রেসিপি শির খুরমার রেসিপি তুলে ধরেছেন নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ:
১. সেমাই ১কাপ
২. দুধ এক লিটার
৩. গুঁড়া দুধ ১কাপ
৪. কনডেন্স মিল্ক এক কাপ
৫. ঘি ৩ টেবিল চামচ
৬. ৩টি এলাচ গুঁড়ো
৭. নুন এক চিমটি
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই কাজু,কিসমিস, পেস্তা, খোরমা সব ১ টেবিল চামচ করে কুচি করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ ৫ মিনিট ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। গুঁড়া দুধ ও কনডেন্স মিল্ক দিয়ে আরও তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে ড্রাই ফ্রুটস গুলো হালকা ফ্লেমে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সেমাই ভাজতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দুধে ঢেলে দিতে হবে। কিছু ড্রাই ফ্রুটস দিতে হবে। এক চিমটি নুন দিতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস ও কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য