× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chhatra League case against BNP in armed march and attack
google_news print-icon

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

সশস্ত্র-মিছিল-ও-হামলায়-ছাত্রলীগ-মামলা-বিএনপির-বিরুদ্ধে
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ছাত্রলীগের মিছিলে রামদা, কুড়াল, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্লোগান দেয়া হয়। পরে হামলা হয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বাড়িতে। আগের রাতে ছাত্রদলের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাদের পক্ষ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ফেসবুকে সয়লাব, জাতীয় গণমাধ্যমেও এসেছে বড় বড় ছবি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অস্ত্র হাতে মিছিল করা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই পুলিশের। তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি- এমন যুক্তি দেখিয়ে পুরোপুরি নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

সশস্ত্র ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলেও তারা যাদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার বাদী ছাত্রলীগের এক নেতা। আর বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা মামলা করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।


যা ঘটেছিল

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ ডাকে বিএনপি। রূপগঞ্জে যেন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করতে না পারে, সে জন্য সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের অন্তত ৩০টি স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। চলে মোটরসাইকেলের মহড়াও।

দুপুরে ভুলতা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।

এতে দেখা যায়, রামদা, কুড়াল, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিল থেকে বারবার স্লোগান দেয়া হয় ‘বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ আছে এক সাথে।’

সেদিন স্লোগান দিচ্ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজ নিজেই। তার পাশেই বড় একটি ছোরা হাতে নিয়ে মিছিলের সঙ্গে এগিয়ে যান রাশেদুল নামে এক কর্মী। একই সারিতে হেলমেট পরে রামদা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন আরেক কর্মী ইয়াসিন। চাইনিজ কুড়াল উঁচু করে স্লোগান দিচ্ছিলেন সজিব ও অন্য আরেকজন, যার নাম জানা যায়নি।

সে রাতেই উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতিকে মারধর করা হয়। হামলা হয় তার এবং বিএনপির আরও দুই কর্মীর বাড়িতে।

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের বিএনপির সভাপতি হারুন মিজি বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু অস্ত্রশস্ত্রসহ বিএনপি কর্মী হযরত আলী, ইউসুফ আলীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মাসুমকে।’


পুলিশ নির্বিকার

এ ঘটনার পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আটক করার চেষ্টা করেনি কোনো অস্ত্রধারীকে।

তাদের ব্যাপারে কেন নির্বিকার পুলিশ- জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। এ কারণে তাদের নামে মামলা হয়নি। মামলা না হলে তো ধরা যায় না।’

তবে রামদা, কুড়াল নিয়ে মিছিলের চিত্র দেখেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা, সেটি তিনি বলেছেন নিজেই।

যদি দেখেই থাকেন, তাহলে ধরছেন না কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যদি তাদের ওই দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা যেত তাহলে তাদের পুলিশ আটক করত। তবুও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেই কি রামদা, কুড়াল নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করার পরও ছাড় দেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রশ্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে করা প্রয়োজন।’

পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসপি গোলাম মোস্তাফা রাসেলের বক্তব্য জানার চেষ্টা করে নিউজবাংলা। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

তবে সশস্ত্র মিছিলের পরের দিন তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘যারা রামদা, কুড়াল নিয়ে মহড়া চালিয়েছে তাদের সন্ধান করা হচ্ছে। থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে।’

ফোন ধরেননি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু।

গত রোববারের সশস্ত্র মিছিলে থাকলেও তাদের কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যাদের হাতে এগুলো ছিল, আমি তাদের চিনি না। এরা কারা জানি না। আমি সন্ত্রাস করি না।’

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

আপনারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকজন যেন জ্বালাও-পোড়াও করতে না পারে এ জন্য আমরা ভুলতায় ছিলাম। অন্য নেতা-কর্মীরা আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন এলাকা দখলে রাখে।’


বিএনপির বিরুদ্ধে মামলায় ‘হ্যাঁ’, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলায় ‘না’

সেই সশস্ত্র মিছিলের আগের দিন রাজধানীতে তাবিথ আওয়ালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখা এলাকায় ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে মশাল মিছিল করেন নেতা-কর্মীরা।

মিছিলটি মহাসড়কের বলাইখা থেকে ভুলতা বাসস্টেশনের দিকে গেলে সেখানে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এরপর হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

এর জেরে রাত ১০টার দিকে মাসুদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ককটেলের। মারধর করা হয় ছাত্রদল নেতার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় মাসুদুর রহমানের মামলা নেয়নি পুলিশ।

তবে সোমবার জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় শ বিএনপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা হয় রূপগঞ্জ থানায়।

ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া মামলায় উল্লেখ করেছেন, ‘শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ১০ জনসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড় শ লোক লাঠিসোঁটা, ককটেল, পিস্তল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আউখাব অনুপম গার্মেন্টের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে চলে যায়।’

তবে এই ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি দাবি করেন থানায় গেলেও মামলা নেয়নি।

তবে বেশি রভাগ ঘটনার পর থানায় যায় না নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, থানায় গেলেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের খোঁজে মহড়া চালানো হয়।

জেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন, ‘জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খোকনের বাড়িতে অসংখ্যবার হামলা হয়েছে। গুলি ছোড়া হয়েছে। আমরা থানায় গেছি। অভিযোগ করেছি কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। আদালতে মামলার আবেদন করলে থানাকে তদন্ত দেয়। থানা পুলিশ জানিয়ে দেয় এমন ঘটনাই নাকি ঘটেনি।’

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে নেতা-কর্মীসহ পরিবারের সদস্যদের। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হলে আগামীতে কঠোর জবাব দেয়া হবে।’

সশস্ত্র মহড়া কেবল সেদিনই নয়

স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনীতির আধিপত্য ধরে রাখতে একের পর এক হামলা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গত এক মাসে এমন ঘটনা রয়েছে অন্তত ১০টি স্থানে। কিন্তু মামলা হয়নি একটি ঘটনায়ও।

এই সময়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১৪ জন নেতা-কর্মীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধর করা হয়েছে অনেক নেতা-কর্মী এবং তাদের স্বজনদের।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, গোলাকান্দাইলের যুবদল নেতা ওমর হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কায়েতপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, কাঞ্চন পৌর বিএনপির তিন নেতার বাড়ি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতির বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সর্বশেষ চনপাড়ায় তিন নেতা-কর্মীরা বাড়িতে হামলা ও মারধর করা হয়।

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে


ফোন ধরেননি মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি

অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতারা যার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তিনি হলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যিনি রূপগঞ্জ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার ব্যক্তিগত সহকারী এমদাদ হোসেনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

রূপগঞ্জের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে পাওয়া অভিযোগ সম্পর্কে জানালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমরা প্রত্যাশা করি না। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা জেলা আওয়ামী লীগ তার তদন্ত করব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া বলেন, ‘কারা ছাত্রলীগের সভাপতি, সেক্রেটারি আমি তো তাই জানি না। যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি। ’


হামলার বিষয়ে পুলিশ যা বলছে

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তিন দিন আগে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা থানায় এসে অভিযোগ দেয় না। তারা যে ঘটনা বলে ঘটনাস্থলে গেলে তার উল্টো পাওয়া যায়।’

এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম সায়েদের মুঠোফোনে অন্তত আটবার ফোন করা হয়, তবে তিনি ফোন ধরেননি।

এই পুলিশ কর্মকর্তার ফোন না ধরা কোনো নতুন ঘটনা নয়। সচরাচর সাংবাদিকদের কল তিনি এড়িয়ে চলেন। ঘটনাচক্রে কোনো দিন ধরলেও বলে থাকেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিএনপি নেতার কারখানায় আগুন কীভাবে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৭৬ ছাত্রীকে সাইকেল দেবে ছাত্রলীগ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬
চিকনে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে নামুন: গয়েশ্বর
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP leaders meeting with British High Commissioner

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকমিশনারের বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলের তিন নেতা। এ সময় হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার দুজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে এটাই বিএনপির নেতাদের প্রথম বৈঠক।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকমিশনারের বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলের তিন নেতা। এ সময় হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার দুজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বৈঠকের কারণ উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশন লিখেছে, হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক কৌশল বুঝতে দলটির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

ওই লেখায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সঙ্গে হাইকমিশনার সারাহ কুকের একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League sunk their own boat Moin Khan

আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের নৌকা ডুবিয়েছে: মঈন খান

আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের নৌকা ডুবিয়েছে: মঈন খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ফাইল ছবি
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। তবে গ্রাম-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।’

আওয়ামী লীগ তাদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হৃদরোগে আক্তান্ত ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি অসুস্থ কাকনের শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, বাংলাদেশে অতীতে কখনোই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা দলীয় প্রতীকে শুরু করেছে।

‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্জনের পর তারা বুঝতে পেরেছে যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা হলে দেশের সামাজিক কাঠামোটা ভেঙে যাবে। তারা নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। তবে গ্রাম-গঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কে যাবে কে যাবে না সেটা তো বিএনপি দলীয়ভাবে দেখতে পারে না।’

মঈন খান বলেন, বিরোধী দলকে দমনের জন্য সরকার হামলা-মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এসব করে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনেও তারা দেশের মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি।

‘ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করেছে। তারা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। কারণ এই ভোটের ওপর তাদের আস্থা নেই।’

মঈন খান বলেন, ‘দল গোছানো ও সংগঠন পুনর্গঠন করা চলমান প্রক্রিয়া। রাজনীতি কোনো কাপড় নয় যে, সাজিয়ে গুছিয়ে আলনা বা আলমারিতে রাখা যায়। সরকারকে বলবো- প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
মেজর হাফিজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আক্রোশের শিকার: মঈন খান
বাংলাদেশ আজ ডামি সোনার বাংলা: মঈন খান
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে আ.লীগ সরকার: মঈন খান
নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, সন্দেহ আছে: মঈন খান
প্রহসনের নির্বাচন করে আ.লীগ ক্ষমতায় টিকতে পারবে না: মঈন খান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League does not want candidates of relatives of ministers and MPs in the upazila

উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ

উপজেলায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা চায় না আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল চায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের নিজ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে অংশ না নেন। আজ (বৃহস্পতিবার) এক বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি জানান। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও জেলা-উপজেলায় তা জানাতে শুরু করেছি।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার দলটির এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমে তা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জানিয়ে দেয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা নেতাদের একজন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চান উপজেলা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হোক। সে কারণে দল চায় যে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের নিজ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা যেন এই নির্বাচনে অংশ না নেন।’

‘আজ (বৃহস্পতিবার) দলের একটি বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে বিষয়টি জানান। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং জেলা-উপজেলায় তা জানাতে শুরু করেছি।’

এবার স্বতন্ত্র মডেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক বলয় নিজেদের কব্জায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। দলের হাইকমান্ড এই নির্বাচনে কাউকে সমর্থন না দেয়ার নির্দেশনা দিলেও এসবে কান দিচ্ছেন না তারা।

কোনো কোনো সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন। নিজ দলের প্রভাবশালীদের এমন হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে তৃণমূলে নানামুখী বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিজেদের পরিবারের দখলে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি উপজেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। ভোটের মাঠে স্বজনদের জিতিয়ে আনতে নানামুখী কৌশল অবলম্বন শুরু হয়েছে। এতে তৃণমূলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

দলীয় সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতারা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এবং একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক দলীয় ও দলীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দলের হাইকমান্ডের কাছে জমা পড়েছে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। কেউ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করলে তাদেরকে শো-কজ, সতর্কতা, তলবসহ বর্তমান দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে দলের হাইকমান্ডের।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করার স্বার্থে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদেরকে নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

বিএনপি ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করায় ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিরোধ তৈরি হয়।

জাতীয় নির্বাচনের মাস তিনেকের মাথায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের পছন্দের ব্যক্তিদের প্রার্থী করা নিয়ে দলীয় বিরোধ আরও বেড়ে যাচ্ছে। এর রেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পড়তে শুরু করেছে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন কাজ না করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। নাটোরে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, এবার চার পর্বে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১৫২টি ও দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।

আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Summon that candidate in Singra upazila election to EC

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বৃহস্পাতবার অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

উল্লেখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এ ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League strict to stop interference of ministers MPs in upazila elections Quader

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বাধ্যগ্রন্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বিপরীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন ।

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে।

তিনি বলেন, তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে-জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারবর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Obaidul Kader speaks more frankly Rizvi

ওবায়দুল কাদের বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

ওবায়দুল কাদের বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন। তিনি কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তো তালিকা দেয়া হয়েছিল। আর তালিকা তো তাদের কাছেই রয়েছে। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ তো তাদেরই কব্জায়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার যে তালিকা চেয়েছেন তা সরকারের কাছেই আছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখেছি, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন। তিনি কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তো তালিকা দেয়া হয়েছিল। আর তালিকা তো তাদের কাছেই রয়েছে। আইন, আদালত, থানা, পুলিশ তো তাদেরই কব্জায়।

‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন। সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন ও অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। বিনাভোটের সরকার আজ পর্যন্ত তার কোনো জবাব দিতে পারেনি।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ সব গুম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীকে গুমের ১২ বছর পূর্ণ হলো আজ (বুধবার)। আজও তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তান-পরিবারসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী।

‘শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানীতে ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়িচালক আনসার আলীসহ তুলে নিয়ে যায় ইলিয়াস আলীকে। এরপর গাড়িটি পাওয়া গেলেও হদিস মেলেনি তাদের। একথা আজ জনগণের সামনে স্পষ্ট যে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম আর টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠা গণ-আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিলেন। ইলিয়াস আলী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় ঈর্ষাকাতর সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে তাকে গুম করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদেরই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, আয়নাঘরে আটক করে রাখা হচ্ছে। ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার প্রমাণ অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয় ভারতে। সেখানে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে দেয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গুম-খুন-ক্রসফায়ার বাহিনী র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে গুমের মাত্রা কিছুটা কমলেও এখনও গুম হচ্ছে। তবে গুমের প্যাটার্ন চেঞ্জ হচ্ছে। সেটা হলো আগে যারা গুম হতো তারা আর ফেরত আসতো না। এখন যারা গুম হচ্ছেন তারা ৫ দিন ৭ দিন এমনকি এক মাস পরেও কেউ কেউ ফেরত আসছে। অথবা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। গুম বাহিনী এখন স্বল্প সময়ের জন্য গুম করছেন। এই স্বল্প সময়ের গুম হওয়াটাও খুবই ভয়ংকর।’

রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া আউট প্রচার চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত: রিজভী
যার সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ার কথা তাকে ভরা হয়েছে জেলে: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে: রিজভী

মন্তব্য

p
উপরে