× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chhatra League case against BNP in armed march and attack
google_news print-icon

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

সশস্ত্র-মিছিল-ও-হামলায়-ছাত্রলীগ-মামলা-বিএনপির-বিরুদ্ধে
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ছাত্রলীগের মিছিলে রামদা, কুড়াল, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্লোগান দেয়া হয়। পরে হামলা হয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বাড়িতে। আগের রাতে ছাত্রদলের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাদের পক্ষ থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ফেসবুকে সয়লাব, জাতীয় গণমাধ্যমেও এসেছে বড় বড় ছবি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অস্ত্র হাতে মিছিল করা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই পুলিশের। তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি- এমন যুক্তি দেখিয়ে পুরোপুরি নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

সশস্ত্র ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলেও তারা যাদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার বাদী ছাত্রলীগের এক নেতা। আর বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা মামলা করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।


যা ঘটেছিল

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ ডাকে বিএনপি। রূপগঞ্জে যেন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করতে না পারে, সে জন্য সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের অন্তত ৩০টি স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। চলে মোটরসাইকেলের মহড়াও।

দুপুরে ভুলতা এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।

এতে দেখা যায়, রামদা, কুড়াল, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিল থেকে বারবার স্লোগান দেয়া হয় ‘বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ আছে এক সাথে।’

সেদিন স্লোগান দিচ্ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজ নিজেই। তার পাশেই বড় একটি ছোরা হাতে নিয়ে মিছিলের সঙ্গে এগিয়ে যান রাশেদুল নামে এক কর্মী। একই সারিতে হেলমেট পরে রামদা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন আরেক কর্মী ইয়াসিন। চাইনিজ কুড়াল উঁচু করে স্লোগান দিচ্ছিলেন সজিব ও অন্য আরেকজন, যার নাম জানা যায়নি।

সে রাতেই উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতিকে মারধর করা হয়। হামলা হয় তার এবং বিএনপির আরও দুই কর্মীর বাড়িতে।

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের বিএনপির সভাপতি হারুন মিজি বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু অস্ত্রশস্ত্রসহ বিএনপি কর্মী হযরত আলী, ইউসুফ আলীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মাসুমকে।’


পুলিশ নির্বিকার

এ ঘটনার পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আটক করার চেষ্টা করেনি কোনো অস্ত্রধারীকে।

তাদের ব্যাপারে কেন নির্বিকার পুলিশ- জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। এ কারণে তাদের নামে মামলা হয়নি। মামলা না হলে তো ধরা যায় না।’

তবে রামদা, কুড়াল নিয়ে মিছিলের চিত্র দেখেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা, সেটি তিনি বলেছেন নিজেই।

যদি দেখেই থাকেন, তাহলে ধরছেন না কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যদি তাদের ওই দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা যেত তাহলে তাদের পুলিশ আটক করত। তবুও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেই কি রামদা, কুড়াল নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করার পরও ছাড় দেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রশ্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে করা প্রয়োজন।’

পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসপি গোলাম মোস্তাফা রাসেলের বক্তব্য জানার চেষ্টা করে নিউজবাংলা। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

তবে সশস্ত্র মিছিলের পরের দিন তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘যারা রামদা, কুড়াল নিয়ে মহড়া চালিয়েছে তাদের সন্ধান করা হচ্ছে। থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে।’

ফোন ধরেননি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু।

গত রোববারের সশস্ত্র মিছিলে থাকলেও তাদের কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান সবুজ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যাদের হাতে এগুলো ছিল, আমি তাদের চিনি না। এরা কারা জানি না। আমি সন্ত্রাস করি না।’

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

আপনারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকজন যেন জ্বালাও-পোড়াও করতে না পারে এ জন্য আমরা ভুলতায় ছিলাম। অন্য নেতা-কর্মীরা আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন এলাকা দখলে রাখে।’


বিএনপির বিরুদ্ধে মামলায় ‘হ্যাঁ’, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলায় ‘না’

সেই সশস্ত্র মিছিলের আগের দিন রাজধানীতে তাবিথ আওয়ালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখা এলাকায় ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে মশাল মিছিল করেন নেতা-কর্মীরা।

মিছিলটি মহাসড়কের বলাইখা থেকে ভুলতা বাসস্টেশনের দিকে গেলে সেখানে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এরপর হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

এর জেরে রাত ১০টার দিকে মাসুদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ককটেলের। মারধর করা হয় ছাত্রদল নেতার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় মাসুদুর রহমানের মামলা নেয়নি পুলিশ।

তবে সোমবার জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড় শ বিএনপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা হয় রূপগঞ্জ থানায়।

ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া মামলায় উল্লেখ করেছেন, ‘শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ১০ জনসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড় শ লোক লাঠিসোঁটা, ককটেল, পিস্তল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আউখাব অনুপম গার্মেন্টের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে চলে যায়।’

তবে এই ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি দাবি করেন থানায় গেলেও মামলা নেয়নি।

তবে বেশি রভাগ ঘটনার পর থানায় যায় না নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, থানায় গেলেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের খোঁজে মহড়া চালানো হয়।

জেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন, ‘জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খোকনের বাড়িতে অসংখ্যবার হামলা হয়েছে। গুলি ছোড়া হয়েছে। আমরা থানায় গেছি। অভিযোগ করেছি কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। আদালতে মামলার আবেদন করলে থানাকে তদন্ত দেয়। থানা পুলিশ জানিয়ে দেয় এমন ঘটনাই নাকি ঘটেনি।’

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে নেতা-কর্মীসহ পরিবারের সদস্যদের। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হলে আগামীতে কঠোর জবাব দেয়া হবে।’

সশস্ত্র মহড়া কেবল সেদিনই নয়

স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনীতির আধিপত্য ধরে রাখতে একের পর এক হামলা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গত এক মাসে এমন ঘটনা রয়েছে অন্তত ১০টি স্থানে। কিন্তু মামলা হয়নি একটি ঘটনায়ও।

এই সময়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১৪ জন নেতা-কর্মীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধর করা হয়েছে অনেক নেতা-কর্মী এবং তাদের স্বজনদের।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, গোলাকান্দাইলের যুবদল নেতা ওমর হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কায়েতপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, কাঞ্চন পৌর বিএনপির তিন নেতার বাড়ি, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতির বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সর্বশেষ চনপাড়ায় তিন নেতা-কর্মীরা বাড়িতে হামলা ও মারধর করা হয়।

সশস্ত্র মিছিল ও হামলায় ছাত্রলীগ, মামলা বিএনপির বিরুদ্ধে


ফোন ধরেননি মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি

অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতারা যার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তিনি হলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যিনি রূপগঞ্জ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার ব্যক্তিগত সহকারী এমদাদ হোসেনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

রূপগঞ্জের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে পাওয়া অভিযোগ সম্পর্কে জানালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমরা প্রত্যাশা করি না। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা জেলা আওয়ামী লীগ তার তদন্ত করব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া বলেন, ‘কারা ছাত্রলীগের সভাপতি, সেক্রেটারি আমি তো তাই জানি না। যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি। ’


হামলার বিষয়ে পুলিশ যা বলছে

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তিন দিন আগে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা থানায় এসে অভিযোগ দেয় না। তারা যে ঘটনা বলে ঘটনাস্থলে গেলে তার উল্টো পাওয়া যায়।’

এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম সায়েদের মুঠোফোনে অন্তত আটবার ফোন করা হয়, তবে তিনি ফোন ধরেননি।

এই পুলিশ কর্মকর্তার ফোন না ধরা কোনো নতুন ঘটনা নয়। সচরাচর সাংবাদিকদের কল তিনি এড়িয়ে চলেন। ঘটনাচক্রে কোনো দিন ধরলেও বলে থাকেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিএনপি নেতার কারখানায় আগুন কীভাবে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৭৬ ছাত্রীকে সাইকেল দেবে ছাত্রলীগ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬
চিকনে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে নামুন: গয়েশ্বর
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League procession

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।

ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।

যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতা
দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় আওয়ামী লীগের দোসররা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Begum Khaleda Zia will return home in mid April

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।

বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে হয় তো তিনি দেশে ফিরবেন। এক সাথে দুই জন অবশ্যই যাবেন না এটা আমি বিশ্বাস করি।’

লন্ডন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দী লিটন, জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র নেবেন যেভাবে
মুক্তিপণ দিয়েও সন্তানকে জীবিত পেল না পরিবার, তিনজন গ্রেপ্তার
বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু
দিল্লি নয়, ঢাকা থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে অস্ট্রেলিয়া
টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inu Menon Anisul Dipu Moni and Sadek Khan Remand

ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে

ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে ছবি: সংগৃহীত
ইনু, মেনন, দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু, মেনন, দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন:
বছরের প্রথম দিন ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়
শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক এমপি নদভী রিমান্ডে 
ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা রিমান্ডে
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বরখাস্তকৃত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বিজি প্রেসের এক কর্মচারী রিমান্ডে, অপরজন কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the future no one dares to commit such a crime Tareq Rahman

ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান

ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার তারেক রহমান লিখেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার লিখেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

তিনি লিখেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।’

তিনি লিখেন, ‘আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে এলাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের।’

তারেক রহমান আরও লিখেন, ‘আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

‘বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।’

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ধর্ষণ: মাগুরার শিশুটির চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুন
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন

দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার জিসাসের মানববন্ধনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। ছবি: জিসাস
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জিসাস সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মাগুরায় আট বছরের শিশুসহ দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, অনলাইনে হেনস্তার প্রতিবাদ এবং ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জিসাস সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জিসাস সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হেলাল।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণপূর্ত কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি ও জিসাস সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, জিসাস সহসভাপতি এ কে এম এনামুল হক খান, রমজান আলী তিকো, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন (মিষ্টি), জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রন্জিতা কনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী রিয়া খান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মালা।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিসাস সহসভাপতি কাজী সুজাউদ্দৌলা সুজা, মহি উদ্দিন হাওলাদার, জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার মাহমুদ, জিসাস প্রচার সম্পাদক দিদারুল ইসলাম মেঘ, জিসাস সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন স্বপন, জিসাসের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, জিসাস সহ-প্রচার সম্পাদক আহমেদ মেহরান, জিসাস সদস্য খোকা মাহমুদ।

কর্মসূচি সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব জিসাসের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস মল্লিক।

আরও পড়ুন:
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যু: আইএসপিআর
শাহবাগে ধর্ষণের বিচার দাবি ৩০ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে মারধর
নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tareq Rahman calls for priority to womens empowerment for progress

অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মতো আমাদেরও উচিত একটি ন্যায়পরায়ণ, সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, যেখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‌‘বাংলাদেশের তরুণী ও নারীরা তাদের চারপাশের মানুষদের কাছ থেকে ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। প্রত্যেক নারীকেও পুরুষের সমান মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুযোগ পাওয়া উচিত।’

তিনি উল্লেখ করেন, তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অসাধারণ ব্যক্তি হলেন তার মা, স্ত্রী ও কন্যা।

তারেক রহমান ফেসবুক পেজে স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবিও শেয়ার করেন।

পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সুযোগ, সাফল্য এবং সুখ চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেরই একই অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মতো আমাদেরও উচিত একটি ন্যায়পরায়ণ, সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, যেখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মেয়ের ছেলেদের সমান সুযোগ থাকা উচিত এবং তাদের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত। হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত এবং নির্ভয়ে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশের সুযোগ নেওয়া উচিত।’

তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপির নীতি প্রণয়নে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজে নারীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়, যেখানে দলের ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষার জন্য অ্যাকাডেমিক ও বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

উপসংহারে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি।’

আরও পড়ুন:
আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক নারীদের নিরাপত্তা: ফখরুল
পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও পাশে থাকবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুন
সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার সর্বোত্তম সুযোগ ক্রান্তিকালে: শিরীন হক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The safety of women is one of the most determining women in the modern state Fakhrul

আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক নারীদের নিরাপত্তা: ফখরুল

আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক নারীদের নিরাপত্তা: ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বাসস
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আসুন, আমরা নারীদের প্রতি উগ্রতা, বিদ্বেষ এবং অশ্রদ্ধামূলক সকল আচরণকে না বলি এবং এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সুসংহত করার জন্য আহ্বান জানাই।’

নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম নির্ধারক হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আসুন, আমরা নারীদের প্রতি উগ্রতা, বিদ্বেষ এবং অশ্রদ্ধামূলক সকল আচরণকে না বলি এবং এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সুসংহত করার জন্য আহ্বান জানাই।’

গত ১৫ বছরে হাজার হাজার পুরুষ, নারী গুম, খুন, অত্যাচারিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে অমানবিক সংগ্রাম করেছে ওই পরিবারগুলোর নারীরা। জুলাইতেও আন্দোলনের শুরু এই বাংলাদেশের নারীদের হাতেই। শহীদ হয়েছে আমাদের সন্তানরা, ছোট শিশুকন্যাও। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্ট্রান, বৌদ্ধ, সকলেই এই আন্দোলনের শরিক।’

মির্জা ফখরুল আশা করেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ লক্ষ্য থাকবে। লিঙ্গ, বয়স, পেশা নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক যেন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করে, এমন বাংলাদেশই আমাদের কাম্য। বাড়ি থেকে রাস্তায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে, অফিসে, সর্বত্র তাদের আত্মসম্মানকে মূল্যায়ন করা উচিত।’

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আজকের ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো জায়গা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীরা আমাদের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির অংশীদার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে আসুন আমাদের অগ্রগতি দ্রুততর করতে পদক্ষেপ নিই।’

আরও পড়ুন:
পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও পাশে থাকবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার সর্বোত্তম সুযোগ ক্রান্তিকালে: শিরীন হক
অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দিন: সরকারকে ফখরুল
দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ঘাটতি নেই: জিএমপি কমিশনার

মন্তব্য

p
উপরে