× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Are transport workers above the law?
google_news print-icon

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে ‘জিম্মি’র অভিযোগ

সিলেটে-পরিবহন-শ্রমিকদের-বিরুদ্ধে-নগরবাসীকে-জিম্মির-অভিযোগ
সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পরিবহন শ্রমিকদের। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেট নগর বৃহস্পতিবার রাতে আকস্মিকভাবে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে রিকশা, এমনকি বাইক চলাচলেও বাধা দেয়া হয়। জরুরি কাজে কেউ বাইক নিয়ে যেতে চাইলে তাদের হেনস্তা, এমনকি মারধরের অভিযোগও উঠেছে।

নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে থানায়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ পুরো নগর অবরুদ্ধ করে ফেলেন পরিবহন শ্রমিকরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার জন্য অচল হয়ে পড়ে সিলেট।

নগরের অন্তত ২৫টি স্থানে এলোপাতাড়িভাবে গাড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে রিকশা, এমনকি বাইক চলাচলেও বাধা দেয়া হয়। জরুরি কাজে কেউ বাইক নিয়ে যেতে চাইলে তাদের হেনস্তা, এমনকি মারধরের অভিযোগও উঠেছে।

এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের যান চলাচল। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলেও বাধা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবারের অবরোধ কেন?

পরিবহন শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে সম্প্রতি লেগুনা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. শাহাব উদ্দিনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।

শাহাবউদ্দিনের করা মামলায় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মইনুল ইসলাম, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রুনু মিয়া মইন ও আওলাদ মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় মারপিট ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে ‘জিম্মি’র অভিযোগ

বৃহস্পতিবার এই মামলার ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান পরিবহন শ্রমিক নেতারা। এরপর সন্ধ্যা থেকে আচমকা সিলেট নগরের সবগুলো সড়ক অবরোধ করে দেন শ্রমিকরা। মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে বন্ধ করে দেন যান চলাচল। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে রিকশা, বাইক চলাচলেও বাধা দেন শ্রমিকরা। চালক এবং যাত্রীদের মারধরও করা হয়।

অবরোধে প্রায় অচল হয়ে পড়ে সিলেট নগর। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। অবরোধের কারণে কোনো গাড়ি নগরে প্রবেশ করতে বা বের হতে পারেনি।

মামলার আট দিন পর আন্দোলনে নামার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমরা আজই জানতে পেরেছি। আজ কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এ ব্যাপারে দেখা করতে যান। তিনি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।’

দুর্ভোগ-ক্ষোভ

অফিস শেষে বাড়ি ফেরার জন্য রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাইক নিয়ে বের হন বেসরকারি চাকুরে তমজিদ হোসেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা কিন ব্রিজের ওপর আটকে ছিলেন তিনি।

তিনি বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রমিকরা সড়কে এলাপাতাড়িভাবে গাড়ি ফেলে রেখেছে। ফলে কোনো যানবাহনই যেতে পারছে না। বাইক দিয়ে যেতেও তারা বাধা দিচ্ছে। ফলে ৩ ঘণ্টা ধরে ব্রিজের ওপর আটকে আছি।’

শ্রীমঙ্গল থেকে বাসে করে সিলেট রওনা দিয়েছিলেন কল্লোল চক্রবর্তী। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌলভীবাজারের শেরপুরে আসার পর যানজটে আটকা পড়েন তিনি। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে আবার শ্রীমঙ্গলে ফিরে যেতে হয় তাকে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যান বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পাল। তিনি বলেন, ‘সব বাস বন্ধ রয়েছে। কেউ টিকিট বিক্রি করছে না। আচমকা এমন কর্মসূচিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছি।’

পরিবহন শ্রমিকদের এই অবরোধে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন অনেকেই।

সিলেট জেলা পুলিশের পরিদর্শক শ্যামল বণিক ফেসবুকে একটি ছবি যুক্ত করে লিখেছেন, ‘হাইওয়ে রাস্তায় দাউদাউ আগুন জ্বলতে দেখে ভয়ে সব গাড়ি থেকে নেমে যাত্রীরা যখন ছোটাছুটি করছে, তখন অসহায় অন্ধ ব্যক্তিটি তার শিশুসন্তানকে নিয়ে কান্না শুরু করেছে। তাদের অনেক কষ্টে নিরাপদে বাসস্ট্যান্ড পৌঁছিয়ে দিলাম।’

নগরের চৌহাট্টায় এমন দুর্ভোগের প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ‘রাতে চৌহাট্টা পয়েন্টে একটা মোটরসাইকেলে বাবা তার দুই শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের আটকে পরিবহন শ্রমিকরা লাঞ্ছিত করে। ব্যাপক অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাদের।’

ফেসবুকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুডপান্ডার খাবার বিতরণকারী এক তরুণের আর্তনাদের ভিডিও। যাতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি অভিযোগ করছেন, বৃহস্পতিবার রাতে নগরের খাবারের অর্ডার নিয়ে বাইকে করে আসছিলেন। শাহী ঈদগাহ এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা তাকে আটকে মারধর করে।

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে ‘জিম্মি’র অভিযোগ

সিলেটের নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আব্দুল করিম কিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকরা দিনের পর দিন তাণ্ডব চালাচ্ছে। মানুষকে জিম্মি করে ফেলছে। তবু আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে একটা মামলাও হয়নি। কোথাও তাদের তাণ্ডবে বাধা দিতেও দেখা যায়নি।’

কী বলছেন শ্রমিক নেতারা

পুলিশের কারণেই সিলেটের মানুষকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মইনুল ইসলাম। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘১৩ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনারের অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে, তার অপসারণ দাবিতে। আর বৃহস্পতিবারের দুর্ভোগের দায় মহানগর পুলিশ কমিশনারের।’

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মামলার খবর শুনে আমাদের নেতা-কর্মীরা পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের আশ্বাস দেয়া তো দূরের কথা, উল্টো দুর্ব্যবহার করেছেন। আরও মামলার হুমকি দিয়েছেন। এই দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা অবরোধ করেছে। ক্ষোভ থেকেই আমরা মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, নিজেরাও কষ্ট করেছি।’

মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের অপসারণ দাবিতে করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘এই পুলিশ কমিশনার আমাদের জনগণ ও সরকারের মুখোমুখি করে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি সরকারবিরোধী।’

এ ব্যাপারে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, ‘আমাদের নামে ছিনতাইয়ের মামলা করা হয়েছে। আমরা কী ছিনতাইকারী? পুলিশ এই মামলা নেয় কী করে? এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশই দায়ী।’

জাকারিয়া আরও বলেন, ‘লেগুনা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে শাহাবউদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আমাদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছিলেন। সেই বিচার না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের সভা পণ্ড করেন। আমাদের নেতাকে আটকিয়ে লাঞ্ছিত করেন। আমাদের নামে মিথ্যে মামলা করেন। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদেই আমরা বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমেছিলাম।’

পুলিশ এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে ‘জিম্মি’র অভিযোগ

পুলিশের ভাষ্য

মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিলেটে বৈধ অটোরিকশার চেয়ে অবৈধ অটোরিকশা বেশি। অনেক বাস চালকের রেজিস্ট্রেশন নেই, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই পরিবহন শ্রমিকরা একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমে যায়। তারা কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো গাড়ি চালানোর স্বাধীনতা চায়। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে তাদের ব্যাপারে পুলিশকেও অনেক সময় পিছু হটতে হয়।’

পরিবহন শ্রমিকরা নিজেদের স্বার্থে ‘মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিং’ করছে উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, ‘কিছু ঘটলেই তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। মানুষজনকে চলাচলে বাধা দেয়। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা দুই ধরনের পন্থা অবলম্বন করি। একটা হচ্ছে বুঝিয়ে আন্দোলনকারীদের সরানো। আরেকটা হচ্ছে শক্তি প্রয়োগ ও আইনি পদক্ষেপ।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে আমরা প্রথম পন্থাই অবলম্বন করছি। তারা বারবার জনদুর্ভোগ তৈরি করছেন, তবু পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা শক্তি প্রয়োগ বা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছি না। কারণ এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে, সামনে দুর্গাপুজা, এরপর সিলেটে নারী এশিয়া কাপ। এসব কারণে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি। ফলে আমরা অনেকটা নমনীয় আচরণ করছি।’

তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা তো পুলিশ করেনি। তাদেরই একজন করেছে। পুলিশের কাজ তদন্ত করা। এটা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা বোঝেননি। তারা মামলা প্রত্যাহার চান। কিন্তু এটা তো বাদী বা আদালত ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের এসব কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে আরও কাহিনি আছে। শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলমান আছে। সেই মামলায় তাদের বড় অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। এটার জন্যও চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছেন তারা।’

আরও পড়ুন:
ঢাকার ৩ রুটে নগর পরিবহন চালুর সময় পেছাল
পণ্য বহনে ভাড়া: কারও নিয়ন্ত্রণ নেই
বাসে বাড়তি ভাড়া চার্ট না থাকার সুযোগে
চার্টের ভাড়া নামেই, লাব্বাইক নেয় ইচ্ছামতো
আধুনিকায়ন হচ্ছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল: তাপস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ransom claims by abducting students of Barisal University

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা।

পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে মাদারিপুরে সকাল ৮টার দিকে বাস থেকে নামলে অপহরণের শিকার হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।

আসাদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় চাচা মারা যাওয়ায় আজ ভোরে ৬টায় বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাদারিপুর পর্যন্ত যান বাসে। বাস থেকে নেমে মাদারিপুর নেমে ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতেছিলেন এমন সময় মাইক্রোবাসটি তাকে ঝিনাইদহে পৌঁছে দিবে বলে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে ০১৫১৮৪৯৫৬০৯ নম্বর থেকে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরনকারীরা তার সব কিছু রেখে তাকে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে আসাদের সহপাঠী রাফিদ হাসান জানান, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় ও আজ ভোরের দিকে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হন ।

এ বিষয়ে আসাদের বাবা বলেন, আসাদের বড় চাচা গতকাল রাতে মারা যাওয়ায় আজকে ভোরে বাড়ি আসার পথে মাদারিপুর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ওর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে করে আসাদ বাড়ি ফিরছে বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বরিশাল থেকে ঝিনাইদাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মাদারিপুরে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা জেনে সাথে সাথে মাদারিপুর পুলিশকে কল করি। শিক্ষার্থী এখন নিরাপদে আছে সে বাড়ি ফিরতেছে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The death of a young man in Daulatpur

দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২২ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসেম আলী দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের মৃত আছান শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন একটি ভবনে ইট ভেজাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক মোটরে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন হাসেম আলী। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shabbi Student Rape Proctor is the head of the three member committee

শাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: প্রক্টরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি

শাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: প্রক্টরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে শনিবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো সাইফুল ইসলাম এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক বেলাল শিকদার।

এসব তথ্য জানিয়ে শাবি প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট দেবো। এর সাথে আরও কেউ জড়িত কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে সিলেটের কতোয়ালি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থ’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

আদনান ও পার্থকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় তদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা দু'জনই শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার শান্ত তারা আদনান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের অনুসারী ছিলেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসীূচতে তাকে দেখা গেছে। আদনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড দল ‘নোঙর’-এরও সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক শিক্ষার্থী স্বাগত দাস পার্থ গত বছরের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। তার ফেসবুকে প্রোফইলেও জুলাই আন্দোলনের সমর্থনে ছবি যুক্ত রয়েছে। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, পার্থ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তবে তিনি তেমন সক্রিয় ছিলেন না।

এদিকে, পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যসংগঠন ‘দৃক থিয়েটার’-এর কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালের শৃঙ্খলা-বডি সূত্রে জানা যায়- গত ২ মে সন্ধ্যারাতে সহপাঠী শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থের সঙ্গে শহরের কনসার্টে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে তারা ওই ছাত্রীকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন আদনান এবং পার্থ। একইসাথে এই ঘটনার ভিডিও এবং মেয়েটির নগ্ন ছবি ধারণ করেন। পরে ওইসকল ভিডিও ও নগ্ন ছবি দেখিয়ে আদনান এবং পার্থ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এবং ঘটনা জানাজানি করলে ভিডিও ও ছবি অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ আদনান এবং পার্থকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। এরপর প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদেরকে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বর্তমানে অপরাধীরা পুলিশ হেফাজতে আছে এবং মামলার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।'

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, 'প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হচ্ছে।'

মন্তব্য

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

র‍্যাবের অভিযানে ০৫ টি ডাকাতি, ০২ টি অস্ত্র আইনের মামলাসহ মোট ০৯ টি মামলার আসামী জলিল ডাকাতকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-১, র‍্যাব-৮ এবং সিপিএসসি, র‍্যাব-৬, খুলনার যৌথ আভিযানিক দল।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী) এবং র‌্যাব-৬, সিপিএসসি (খুলনা) এর যৌথ গোয়েন্দা ও অভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুন ২০২৫ ইং তারিখ বিকেল আনুমানিক ১৭৪৫ ঘটিকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ডাকাতি মামলার মূল হোতা মোঃ আঃ জলিল খাঁন (৪০), পিতা- আলী আকবর খাঁন, সাং-হোসনাবাদ, থানা- বেতাগী, জেলা- বরগুনা’কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ গিয়াস উদ্দিন একজন প্রবাসী, যিনি সৌদি আরব থেকে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং দেশে ফেরেন। গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে, আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকায় তার মঠবাড়িয়া থানাধীন বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। ১০-১২ জনের এই ডাকাত দল বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ওই সময় ঘর থেকে প্রায় ৩,৫০,০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নগদ, ২৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি স্মার্টফোন এবং ১টি ল্যাপটপসহ মোট আনুমানিক ৪৫,২০,০০০ (পঁয়তাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২১ জুন ২০২৫ তারিখ বিকালে পরিচালিত অভিযানে মোঃ আঃ জলিল খাঁনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sherpur is popular in Sherpur

শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সী মানুষ
শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

কৃষকের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু নানা কারণে এ খেলাটি দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শুকনো মৌসুমে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়ে থাকে এ খেলা। শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়ায় মই দৌড় খেলার আনন্দে মেতে উঠে কৃষক সহ সাধারণ মানুষ।

শেরপুর জেলার কৃষকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা। শুকনো মৌসুমে মাঝে মাঝেই জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। যেখানেই আয়োজন করা হয় এ মই দৌড় খেলা, সেখানেই হাজির হয় হাজার হাজার বয়স্ক, যুবক শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাকে অনেকেই এখনো দেখেই নি। নতুন করে এ খেলা দেখে তারা খুব আনন্দ পেয়ে থাকে। যে এলাকায়ই ষাড়ের মই দৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় সেখানেই উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। ১৯ জানুয়ারি এমনই এক খেলার আয়োজন করে উৎসবে মেতে উঠে শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়া এলাকার মানুষ।

একটি মইয়ে ৪টি ষাড় গরু থাকে। আর এরকম দুটি করে মই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অনেক সময় নির্ধারিত দাগের বাইরে চলে যায় ষাড়ের মই। এতে আউট ধরা হয় ওই মইকে। এখানে থাকে দুজন মইয়াল। আরো থাকে ৩ জন ধরাল। রেফারীরর বাশিঁ ফুকানোর সঙ্গে সঙ্গেই মইগুলোর ষাড়েরা দৌড়ানো শুরু করে। যে মই বিজয়ী হয় তখন তারা মেতে ওঠে আনন্দে। আর চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশুর উল্লাস ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ খেলা দেখাতে পেরে ময়ালরাও অনেক খুশি।

গ্রামবাংলার ষাড়ের দৌড় খেলা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে জানান দিতে নাগপাড়ায় প্রথমবারের মতে এ খেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের আগ্রহের কারণে পরবর্তীতেও আয়োজন করা হবে ঐতিহ্যবাহী ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। এমনটাই জানালেন আয়োজকরা।

বিভিন্ন স্থান থেকে ৮টি মই দৌড় দল এ খেলায় অংশ গ্রহণ করে। এতে জামালপুর জেলা ইসলামপুরের চন্দনপুরের হাবু বেপারি চ্যাম্পিয়ন হয়।

খেলাশেষে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করবে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সাইম, শিক্ষক আসমত আলীসহ আরো অনেকে।

আয়োজক আসমত আলী বলেন, ‘এ খেলার প্রতি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের আগ্রহ আছে, তাই আমরা প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন করব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The bodies of Bangladeshi youth were hanging on the border

সীমান্তের ওপারে গাছে ঝুলছিলো বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

সীমান্তের ওপারে গাছে ঝুলছিলো বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

সীমান্তের ওপারে ভারতের ভেতরে সিলেটের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া সীমান্তের ওপারে জাকারিয়া আহমদ (২৩) নামের ওই যুবকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পান পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানিয়েছে পরিবার।

নিহত জাকারিয়া (২৩) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামারগ্রাম কামালবস্তির আলাউদ্দিন আলাইয়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর ছাফ পিলারের নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে দড়িতে ঝুলন্ত একটি মরদেহ দেখা গেছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহটি জাকারিয়ার বলে শনাক্ত করে।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সোমবার একই ইউনিয়নের কাকরাইল গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ে হয়েছিল।

সিলেট কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ জানান, ‘সীমান্তের পিলারের ওপারে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধারের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র উৎমাছড়া ক্যাম্পের কমান্ডারের সাথে আলাপ হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হলে পরবর্তীতে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করতে পারবে। যেহেতু সীমান্তের ওপারে তাই কিছু আইনি জটিলতার জন্য লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।’

এদিকে , বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উৎমা বিওপি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সমন্বয়ে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

p
উপরে