কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে একটি মাদ্রাসার বারবার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পরে নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত স্থানান্তর হয়েছে পাঁচবার। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে নয়, মাদ্রাসা সুপারের ইচ্ছামতো স্থানান্তর হয় যখন তখন।
কখনও স্থানান্তর করে আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির সামনে, কখনও বা যাতায়াতের অনুপযোগী হাওরে, কখনও আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির কাছের বাজারে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়েও একবার হয়েছে লণ্ডভণ্ড। বর্তমানে সেই মাদ্রাসার অবস্থান উপজেলার ধলাই-বগাদিয়ার বাজারের একটি টিনশেড ঘরে।
তবে যে ঘরটিকে মাদ্রাসা হিসেবে দেখানো হয়েছে সেটি মূলত ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘর। রবি, সোম ও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা সেই ঘরের দরজা বন্ধ। ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় পুরো ঘরটাই ফাঁকা। এক কোণায় একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ।
মাদ্রাসা সুপারের দাবি, এখানেও অনেক কিছু ছিল স্থানীয়রা শত্রুতা করে নিয়ে গেছে।
অস্তিত্ববিহীন এই প্রতিষ্ঠানটির নাম শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজস্ব জায়গায় কেবল একটি সাইনবোর্ড আছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা আসেন ইচ্ছে মতো, চলেও যান যখনতখন। শিক্ষার্থীরা কেবল ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই খুশি কর্তৃপক্ষ। উপস্থিতির ব্যাপারে কারও কোনো দুশ্চিন্তা নেই তাদের।
মাসে পাঁচদিন এলেও প্রত্যেকের উপস্থিতি আছে কমপক্ষে পঞ্চাশ শতাংশ। শিক্ষকরা মাসের পরে মাস না এসেও হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের সাক্ষর আছে সবারই।
মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয় ১৯৯৯ সালে। পাঠদানের জন্য অ্যাকডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০০৫ সালে। আর এমপিওভুক্ত হয় ২০১০ সালে।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিজস্ব জায়গা জমি না থাকায় শ্যামপুর বড়হাটি মসজিদের পিছনে অস্থায়ীভাবে পাঠদান চলে। এর পরে মাদ্রাসা পরিচালনার কমিটির সভাপতি প্রয়াত জজ মিয়া এক একর জায়গা দান করেন। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে তৎকালীন সভাপতি জজ মিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে মাদ্রাসা সুপারের। আর এই দ্বন্দ্বের জেরেই মাদ্রাসার নামে জায়গা থাকা সত্ত্বেও সেখানে মাদ্রাসা স্থাপনে অসম্মতি জানান সুপার আমিনুল হক।
পরে হঠাৎ একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মাদ্রাসা সুপার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কার্যক্রম। পরে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি তার নিজের বাড়ির কাছে একটি ছোট বাজারে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু করেন।
শ্যামপুর থেকে মাদ্রাসার ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। সুপারের অভিযোগ, শ্যামপুরের লোকজনের ব্যবহার ভালো না। তিনি যেখানে ভালো মনে করেন সেখানেই মাদ্রাসা চলবে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধলাই বগাদিয়া বাজারে নামেমাত্র দুইটা টিনের তৈরি করে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুলে আসছেন ১৭ জন শিক্ষক। পরে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কালবৈশাখি ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়েছে দেখিয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে ছয় মাস।
এরপর একটা ঘর তুলে কার্যক্রম শুরু হয় বগাদিয়া গ্রামের হারিছ মিয়ার বাড়িতে। পরের তিনমাস পাঠদান দেখানো হয় বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ঘরে।
এরপর আবার স্থানান্তর করা হয় মাদ্রাসা, এবার সুপারের নিজস্ব জমিতে। মাদ্রাসার নামে দান করা ১০০ শতাংশ জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি আবারও ঘর নির্মাণ করতে থাকেন ফসলি জমিতে। যেখান যাতায়াত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে শিক্ষার্থীদের। এক পর্যায়ে শ্যামপুরবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে ঘর ভেঙে নিয়ে যায় স্থায়ী জায়গায়।
এ ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালের। পরদিন রাতে মাদ্রাসা সুপার শ্যামপুর গ্রামের ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মিঠামইন থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্যামপুর গ্রামের লোকজন তার মাদ্রাসার তিনটি টিনের ঘর, চেয়ার-টেবিল ও নথিপত্র লুটে নিয়ে গেছে। এতে তার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
যদিও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি সবেমাত্র ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেছিলেন। এখনও সেখানে পাঠদানের উপযোগী কোনো পরিবেশেরই সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে শায়েস্তা করতেই এমন অভিযোগ তুলেছেন সুপার।
পাঁচ বেঞ্চে ১০ শ্রেণির ২৭৪ জনের ক্লাস!
গত ১৮, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পরপর তিনদিন মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় ভেতরে একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ ছাড়া আর কিছুই নাই। মাদ্রাসা সুপার আমিনুল হক বলেন তার প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার দাবি, উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ।
তাহলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক কাউকেই মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে আসত, এখন দাখিল পরীক্ষা চলছে আর মাদ্রাসা নিয়েও একটু ঝামেলা চলছে জেনে শিক্ষার্থী আসেনি। কয়েকদিন পর থেকে আবারও আসবে।’
আপনার প্রতিষ্ঠানে তো পর্যাপ্ত পরিমাণ চেয়ার-টেবিলই নেই। তাহলে পৌনে তিন শ ছাত্রের পাঠদান কীভাবে সম্ভব?- এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে চাননি মাদ্রাসা সুপার।
সুপারের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন মো.হারুনূর রশিদ। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এই মাদ্রাসাটি একটি আজব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মন চাইলেই আসেন আবার কিছুক্ষণ চা পান করেই আবার চলে যান। যে প্রতিষ্ঠানের সুপারই অনিয়মিত সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা আর নাই বললাম। পরীক্ষা ছাড়া ২০ জনকে একসঙ্গে ক্লাস করতে দেখিনি।’
তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করতে করতে আমি মামলার আসামি হয়েছি। এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখতে গিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের নামেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সহকারী কৃষি শিক্ষক আসেন না ৪ বছর ধরে
এই শিক্ষকের নাম হাসান মোহাম্মদ ফরহাদ। বাড়ি ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তিনি মাদ্রাসায় যোগ দেন ২০০৫ সালে। সর্বশেষ কবে এসেছিলেন এ বিষয়ে সঠিক বলতে পারেন না স্থানীয়রা।
তবে তাকে চার বছর পূর্বে একবার দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল হক। তিনি বলেন, ‘অন্য শিক্ষকরা তো মন চাইলে মাঝে মাঝে আসেন। তবে ফরহাদ সাহেবকে দেখেছিলাম আরও চার বছর আগে। পরে আর কোনোদিন দেখিনি।’
তার অনুপস্থিতির বিষয়ে গত মার্চ মাসে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম।
তবে হাসান ফরহাদ সকল অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, সামাজিকভাবে হেয় করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিয়মিত পাঠদান না থাকায় মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যত্র
মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত তামান্না আক্তার। পরে ভর্তি হয় অন্য একটি মাদ্রাসায়।
কারণ কী- প্রশ্ন করতেই জবাব মিলল, ‘সারা বছরে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমন অনেক সময় মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি কেউই আসেনি। পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরেছি। যদি বাড়িতে প্রাইভেট না পড়তাম তাহলে কিছুই শিখতে পারতাম না। পরে কোনোমতে এই বছরটা শেষ করে শহরে গিয়ে আরেকটা মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি।
‘আমাদের এলাকায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে পারলে খরচটা কম হতো, কিন্তু এখন তো অনেক বেশি খরচ পরে।’
আরেক শিক্ষার্থী মাকসুদা আক্তার এই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর আর পড়েনি।
মাকসুদা বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত মন চাইলে মাদ্রাসায় যেতাম, আবার যখন ইচ্ছা চলে আসতাম। যাওয়া না যাওয়া একই কথা। কারণ, গেলেও কোনো ক্লাস হতো না। কয়েকজন স্যার এসে কিছুক্ষণ চা-পান খেয়ে চলে যেত। আমাদেরকে বলত বাড়িতে গিয়ে ভালো করে পড়তে। পরীক্ষার সময় ভালো করলেই হবে।’
সব শিক্ষককে চেনে না ছাত্ররা
মাদ্রাসা সুপারের দেওয়া তথ্যমতে, তার প্রতিষ্ঠানে ২৭৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন।
শিক্ষার্থী মাহফুজ মিয়া বলে, ‘আমরা খালি জানি আমাদের ১৭ জন স্যার। তবে সবাইকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ হয়নি।’
সুযোগ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলে, ‘একজন আসলে আরেকজন আসেন না। আবার আমরাও নিয়মিত যাই না। এজন্য সবাইকে চেনার সুযোগ হয়নি।’
বাড়িতে থেকে বেতন
শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী আব্বাস উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমে কিছুদিন ভালোই চলছিল। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ভেবেছিলাম এখানে পড়াশোনা করে আমাদের সন্তানেরা শিক্ষিত হবে। কিন্তু মাদ্রাসা সুপারের তেলেসমাতির কারণে সব ভেস্তে গেছে।
তিনি বলেন, পরিচালনা কমিটির কাছে তারা আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা দেয়নি। একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বলেন, শ্যামপুর গ্রামেই মাদ্রাসা রাখবেন না। যারা পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তারা মাদ্রাসা যেখানে থাকবে সেখানেই আসবে। আর না এলে নাই৷
আব্বাস বলেন, ‘এই মাদ্রাসায় ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা তিনভাগে ভাগ হয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। একদিন যে পাঁচজন আসেন পরদিন আসেন ভিন্ন পাঁচজন। এভাবেই মিলেমিশে বাড়িতে বসেও বেতন তুলছেন তারা। এ বিষয়ে বহুবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’
একই এলাকার বাসিন্দা ৬৬ বছর রইছ উদ্দীন বলেন, ‘মাদ্রাসাটি নিয়ে যে তেলেসমাতি আমরা দেখেছি তা বলার ভাষা নেই। মাদ্রাসা সুপার তার ইচ্ছেমতো মাদ্রাসাটি নিয়ে ফেরি করে বেড়ান।
‘মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে পরিচালনা করতে নারাজ। কারণ, এখানে থাকলে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। আর তার বাড়িতে থাকলে মন চাইলে আসলেন, না চাইলে ঘরে ঘুমালেন। এই হলো অবস্থা।’
সবাই আমার শত্রু: মাদ্রাসা সুপার
আমিনুল হক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্বে আছেন। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ধলাই গ্রামে।
তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জায়গা সংকটে ভুগেছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তৎকালীন সভাপতি আমাকে নানা অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে কথাবার্তা বলতেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা স্থানান্তর করেছি।’
নিয়মিত পাঠদান না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্যা আর করোনার কারণে উপস্থিতি কমে গেছে।’
আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এত অভিযোগ কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাই আমার শত্রু তাই মিথ্যা অভিযোগ করে।’
তাহলে আপনি শত্রুতার জেরেই তাদের নামে মামলা করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে রাগ দেখান সুপার।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহার মাকছুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মাদ্রাসার বিষয়ে আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য