কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে একটি মাদ্রাসার বারবার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পরে নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত স্থানান্তর হয়েছে পাঁচবার। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে নয়, মাদ্রাসা সুপারের ইচ্ছামতো স্থানান্তর হয় যখন তখন।
কখনও স্থানান্তর করে আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির সামনে, কখনও বা যাতায়াতের অনুপযোগী হাওরে, কখনও আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির কাছের বাজারে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়েও একবার হয়েছে লণ্ডভণ্ড। বর্তমানে সেই মাদ্রাসার অবস্থান উপজেলার ধলাই-বগাদিয়ার বাজারের একটি টিনশেড ঘরে।
তবে যে ঘরটিকে মাদ্রাসা হিসেবে দেখানো হয়েছে সেটি মূলত ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘর। রবি, সোম ও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা সেই ঘরের দরজা বন্ধ। ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় পুরো ঘরটাই ফাঁকা। এক কোণায় একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ।
মাদ্রাসা সুপারের দাবি, এখানেও অনেক কিছু ছিল স্থানীয়রা শত্রুতা করে নিয়ে গেছে।
অস্তিত্ববিহীন এই প্রতিষ্ঠানটির নাম শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজস্ব জায়গায় কেবল একটি সাইনবোর্ড আছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা আসেন ইচ্ছে মতো, চলেও যান যখনতখন। শিক্ষার্থীরা কেবল ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই খুশি কর্তৃপক্ষ। উপস্থিতির ব্যাপারে কারও কোনো দুশ্চিন্তা নেই তাদের।
মাসে পাঁচদিন এলেও প্রত্যেকের উপস্থিতি আছে কমপক্ষে পঞ্চাশ শতাংশ। শিক্ষকরা মাসের পরে মাস না এসেও হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের সাক্ষর আছে সবারই।
মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয় ১৯৯৯ সালে। পাঠদানের জন্য অ্যাকডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০০৫ সালে। আর এমপিওভুক্ত হয় ২০১০ সালে।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিজস্ব জায়গা জমি না থাকায় শ্যামপুর বড়হাটি মসজিদের পিছনে অস্থায়ীভাবে পাঠদান চলে। এর পরে মাদ্রাসা পরিচালনার কমিটির সভাপতি প্রয়াত জজ মিয়া এক একর জায়গা দান করেন। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে তৎকালীন সভাপতি জজ মিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে মাদ্রাসা সুপারের। আর এই দ্বন্দ্বের জেরেই মাদ্রাসার নামে জায়গা থাকা সত্ত্বেও সেখানে মাদ্রাসা স্থাপনে অসম্মতি জানান সুপার আমিনুল হক।
পরে হঠাৎ একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মাদ্রাসা সুপার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কার্যক্রম। পরে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি তার নিজের বাড়ির কাছে একটি ছোট বাজারে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু করেন।
শ্যামপুর থেকে মাদ্রাসার ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। সুপারের অভিযোগ, শ্যামপুরের লোকজনের ব্যবহার ভালো না। তিনি যেখানে ভালো মনে করেন সেখানেই মাদ্রাসা চলবে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধলাই বগাদিয়া বাজারে নামেমাত্র দুইটা টিনের তৈরি করে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুলে আসছেন ১৭ জন শিক্ষক। পরে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কালবৈশাখি ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়েছে দেখিয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে ছয় মাস।
এরপর একটা ঘর তুলে কার্যক্রম শুরু হয় বগাদিয়া গ্রামের হারিছ মিয়ার বাড়িতে। পরের তিনমাস পাঠদান দেখানো হয় বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ঘরে।
এরপর আবার স্থানান্তর করা হয় মাদ্রাসা, এবার সুপারের নিজস্ব জমিতে। মাদ্রাসার নামে দান করা ১০০ শতাংশ জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি আবারও ঘর নির্মাণ করতে থাকেন ফসলি জমিতে। যেখান যাতায়াত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে শিক্ষার্থীদের। এক পর্যায়ে শ্যামপুরবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে ঘর ভেঙে নিয়ে যায় স্থায়ী জায়গায়।
এ ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালের। পরদিন রাতে মাদ্রাসা সুপার শ্যামপুর গ্রামের ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মিঠামইন থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্যামপুর গ্রামের লোকজন তার মাদ্রাসার তিনটি টিনের ঘর, চেয়ার-টেবিল ও নথিপত্র লুটে নিয়ে গেছে। এতে তার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
যদিও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি সবেমাত্র ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেছিলেন। এখনও সেখানে পাঠদানের উপযোগী কোনো পরিবেশেরই সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে শায়েস্তা করতেই এমন অভিযোগ তুলেছেন সুপার।
পাঁচ বেঞ্চে ১০ শ্রেণির ২৭৪ জনের ক্লাস!
গত ১৮, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পরপর তিনদিন মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় ভেতরে একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ ছাড়া আর কিছুই নাই। মাদ্রাসা সুপার আমিনুল হক বলেন তার প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার দাবি, উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ।
তাহলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক কাউকেই মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে আসত, এখন দাখিল পরীক্ষা চলছে আর মাদ্রাসা নিয়েও একটু ঝামেলা চলছে জেনে শিক্ষার্থী আসেনি। কয়েকদিন পর থেকে আবারও আসবে।’
আপনার প্রতিষ্ঠানে তো পর্যাপ্ত পরিমাণ চেয়ার-টেবিলই নেই। তাহলে পৌনে তিন শ ছাত্রের পাঠদান কীভাবে সম্ভব?- এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে চাননি মাদ্রাসা সুপার।
সুপারের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন মো.হারুনূর রশিদ। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এই মাদ্রাসাটি একটি আজব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মন চাইলেই আসেন আবার কিছুক্ষণ চা পান করেই আবার চলে যান। যে প্রতিষ্ঠানের সুপারই অনিয়মিত সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা আর নাই বললাম। পরীক্ষা ছাড়া ২০ জনকে একসঙ্গে ক্লাস করতে দেখিনি।’
তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করতে করতে আমি মামলার আসামি হয়েছি। এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখতে গিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের নামেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সহকারী কৃষি শিক্ষক আসেন না ৪ বছর ধরে
এই শিক্ষকের নাম হাসান মোহাম্মদ ফরহাদ। বাড়ি ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তিনি মাদ্রাসায় যোগ দেন ২০০৫ সালে। সর্বশেষ কবে এসেছিলেন এ বিষয়ে সঠিক বলতে পারেন না স্থানীয়রা।
তবে তাকে চার বছর পূর্বে একবার দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল হক। তিনি বলেন, ‘অন্য শিক্ষকরা তো মন চাইলে মাঝে মাঝে আসেন। তবে ফরহাদ সাহেবকে দেখেছিলাম আরও চার বছর আগে। পরে আর কোনোদিন দেখিনি।’
তার অনুপস্থিতির বিষয়ে গত মার্চ মাসে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম।
তবে হাসান ফরহাদ সকল অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, সামাজিকভাবে হেয় করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিয়মিত পাঠদান না থাকায় মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যত্র
মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত তামান্না আক্তার। পরে ভর্তি হয় অন্য একটি মাদ্রাসায়।
কারণ কী- প্রশ্ন করতেই জবাব মিলল, ‘সারা বছরে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমন অনেক সময় মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি কেউই আসেনি। পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরেছি। যদি বাড়িতে প্রাইভেট না পড়তাম তাহলে কিছুই শিখতে পারতাম না। পরে কোনোমতে এই বছরটা শেষ করে শহরে গিয়ে আরেকটা মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি।
‘আমাদের এলাকায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে পারলে খরচটা কম হতো, কিন্তু এখন তো অনেক বেশি খরচ পরে।’
আরেক শিক্ষার্থী মাকসুদা আক্তার এই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর আর পড়েনি।
মাকসুদা বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত মন চাইলে মাদ্রাসায় যেতাম, আবার যখন ইচ্ছা চলে আসতাম। যাওয়া না যাওয়া একই কথা। কারণ, গেলেও কোনো ক্লাস হতো না। কয়েকজন স্যার এসে কিছুক্ষণ চা-পান খেয়ে চলে যেত। আমাদেরকে বলত বাড়িতে গিয়ে ভালো করে পড়তে। পরীক্ষার সময় ভালো করলেই হবে।’
সব শিক্ষককে চেনে না ছাত্ররা
মাদ্রাসা সুপারের দেওয়া তথ্যমতে, তার প্রতিষ্ঠানে ২৭৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন।
শিক্ষার্থী মাহফুজ মিয়া বলে, ‘আমরা খালি জানি আমাদের ১৭ জন স্যার। তবে সবাইকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ হয়নি।’
সুযোগ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলে, ‘একজন আসলে আরেকজন আসেন না। আবার আমরাও নিয়মিত যাই না। এজন্য সবাইকে চেনার সুযোগ হয়নি।’
বাড়িতে থেকে বেতন
শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী আব্বাস উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমে কিছুদিন ভালোই চলছিল। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ভেবেছিলাম এখানে পড়াশোনা করে আমাদের সন্তানেরা শিক্ষিত হবে। কিন্তু মাদ্রাসা সুপারের তেলেসমাতির কারণে সব ভেস্তে গেছে।
তিনি বলেন, পরিচালনা কমিটির কাছে তারা আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা দেয়নি। একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বলেন, শ্যামপুর গ্রামেই মাদ্রাসা রাখবেন না। যারা পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তারা মাদ্রাসা যেখানে থাকবে সেখানেই আসবে। আর না এলে নাই৷
আব্বাস বলেন, ‘এই মাদ্রাসায় ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা তিনভাগে ভাগ হয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। একদিন যে পাঁচজন আসেন পরদিন আসেন ভিন্ন পাঁচজন। এভাবেই মিলেমিশে বাড়িতে বসেও বেতন তুলছেন তারা। এ বিষয়ে বহুবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’
একই এলাকার বাসিন্দা ৬৬ বছর রইছ উদ্দীন বলেন, ‘মাদ্রাসাটি নিয়ে যে তেলেসমাতি আমরা দেখেছি তা বলার ভাষা নেই। মাদ্রাসা সুপার তার ইচ্ছেমতো মাদ্রাসাটি নিয়ে ফেরি করে বেড়ান।
‘মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে পরিচালনা করতে নারাজ। কারণ, এখানে থাকলে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। আর তার বাড়িতে থাকলে মন চাইলে আসলেন, না চাইলে ঘরে ঘুমালেন। এই হলো অবস্থা।’
সবাই আমার শত্রু: মাদ্রাসা সুপার
আমিনুল হক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্বে আছেন। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ধলাই গ্রামে।
তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জায়গা সংকটে ভুগেছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তৎকালীন সভাপতি আমাকে নানা অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে কথাবার্তা বলতেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা স্থানান্তর করেছি।’
নিয়মিত পাঠদান না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্যা আর করোনার কারণে উপস্থিতি কমে গেছে।’
আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এত অভিযোগ কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাই আমার শত্রু তাই মিথ্যা অভিযোগ করে।’
তাহলে আপনি শত্রুতার জেরেই তাদের নামে মামলা করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে রাগ দেখান সুপার।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহার মাকছুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মাদ্রাসার বিষয়ে আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।
কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’
মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।
৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।
সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।
তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।
সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।
তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।
সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
মন্তব্য