বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন শেষে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাঈম হোসেন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সাগর আহমেদ নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাঈমকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
নাঈমের বন্ধু শরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা এক বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করতে গত রাতে ৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে মোট ১০ জন মাওয়া ঘাটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মধ্যরাতে ঢাকায় আসার পথে পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালে আমাদের মোটরসাইকেলকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে নাঈমের মাথায় আঘাত লাগে। আমরা বন্ধুরা মিলে আহত দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। আমাদের আরেক বন্ধু সাগরকে চিকিৎসক পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনকে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে কমিশন সদস্যরা ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের যা যা প্রয়োজন, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’
কমিশনের সদস্যরা জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারকে তারা একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন এবং এরপর বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করবেন তারা।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার প্রয়োজনে কমিশনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়াবে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে, যার মধ্যে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার জন্য আইনি বিধানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তারা প্রায় এক হাজার ছয়শ’টি অভিযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে চারশ’ অভিযোগ যাচাই করেছেন এবং ১৪০ জন অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
বৈঠকে কমিশনের একজন সদস্য বলেন, ‘অসংখ্য অভিযোগ আসছে। তারপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে পারেন- এমন আশঙ্কা থেকে অনেকে কমিশনে আসছেন না। এ থেকে বোঝা যায়, গুমের প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
‘আমরা সন্দেহ করছি যে জোরপূর্বক গুমের সংখ্যা অন্তত সাড়ে তিন হাজার হতে পারে।
তিনি জানান, গুমের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে, তাদের শনাক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন।
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগী কারাগারে রয়েছেন। এমনকি কিছু ভুক্তভোগী মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি। গ্রেপ্তার দেখানোর পর এদের আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। বেশকিছু ভুক্তভোগী প্রতিবেশী দেশ ভারতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।’
কমিশনের সদস্যরা বলেন, সরকারকে এমন কিছু গোপন স্থানে প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য সহায়তা করতে হবে যেখানে ভুক্তভোগীদের আটকে রাখা হয়েছিল।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগী আমাদের বলেছেন যে তারা বছরের পর বছর সূর্যের আলো দেখেননি। প্রতিদিন নতুন দিন শুরু হয়েছে তা তারা কেবল সকালের নাস্তা পরিবেশনের সময় টের পেতেন।’
ওই সদস্য সরকারকে অভিযুক্তদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্ভব হলে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের তালিকা পাওয়ার পরই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম কমিশনের তদন্ত জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর তদারককারীদের প্রকাশ্যে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, নূরজাহান বেগম, আদিলুর রহমান খান, এম সাখাওয়াত হোসেন, নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের কোম্পানি আদানি পাওয়ার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া থাকায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দুটি প্লান্ট থেকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের উপাত্ত এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার আরও এক ধাপ কমিয়ে তা ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।’
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে একটি চুক্তি করে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর একেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট।
শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতেই ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি গ্রুপ। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি পাওয়ার।
কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে সরবরাহ ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির কেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশ বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি’র কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আদানি পাওয়ার ৭ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা প্রত্যাহার করার পরও তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেয়া হয়নি। তবে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, আদানি পাওয়ারকে আরও ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঋণপত্র খুলেছে পিডিবি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রামপুরা চৌধুরীপাড়ায় মাটির মসজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। তারা হলেন- ২৭ বছর বয়সী জুবায়ের হোসেন বিপুল ও তার স্ত্রী ১৮ বছর বয়সী মনীষা আক্তার।
থানা পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছেদ মিয়া বলেন, ‘আজ দুপুরের দিকে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল মালিবাগ মাটির মসজিদ সংলগ্ন একটি ভবনের তৃতীয় তলায় যাই। সেখানে স্বামী গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে এবং স্ত্রী বারান্দায় গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
বাছেদ মিয়া জানান, জুবায়ের একজন মোটর মেকানিক ছিলেন। ওই এলাকায় তার নিজের গ্যারেজ আছে। দুই-তিন মাস হলো তারা প্রেম করে বিয়ে করেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ পোস্টে লিখেছেন, ‘গণহত্যাকারী/নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
প্রসঙ্গত, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আগামীকাল রোববার বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন।
কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারেক রহমান বলেন, কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক এলাকা আছে যেখানে কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানি সরবরাহ সুবিধার কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতো মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব নয়। তাই মৌলিক খাদ্য দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো নিলে কৃষিজমি বাড়ানো যাবে। আর তা করা সম্ভব একমাত্র ক্ষমতায় গেলে।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে।
‘খালেদা জিয়ার সময়ে সরকার পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। এসবের মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন দিবসে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছে দলটি। আগামীকাল রোববার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই ডাক দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি পোস্টারের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।
তাতে লেখা হয়েছে, ‘১০ নভেম্বর আসুন জিরো পয়েন্টে, নূর হোসেন চত্বরে। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে।
‘অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আপনিও অংশ নিন।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের এই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকালে নূর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন যে কর্মসূচির অনুমতি দেয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছে। দলটি বাধা না মেনে কর্মসূচি পালন করতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন:মানবিক পুলিশ গড়তে কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ এবং বাহিনীটিকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করতে হবে। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেছেন।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, থানাপর্যায় থেকে পুলিশকে জনসম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ের পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক স্থাপন করে নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য