বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকে অবসরে পাঠাচ্ছে সরকার।
তাকে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ‘ল্যাম্প গ্রান্ট’সহ আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরের অবসর ও অবসরোত্তর ছুটি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ধনঞ্জয় কিমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী এই অবসর দেয়া হয়েছে।
সপ্তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কিশোরগঞ্জের এসপি, পুলিশ একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক, পুলিশ সদরদপ্তরে এআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি সারদা পুলিশ একাডেমির চিফ ইনস্ট্রাক্টর (সিআই) ছিলেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপ মহাপরিদর্শক ছিলেন। বসনিয়া ও কসোভোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত ছিলেন বেনজীর।
নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘চিফ মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস’ হিসেবে এক বছর কাজ করেন তিনি। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম মহাপরিদর্শক (আইজি) হিসেবে নিয়োগ পান। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি মহাপুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি র্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ছয় বছরের বেশি। তার আগে তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।
বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা চার্লস স্ট্রার্ট ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুরের বিশ্বব্যাংক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম শনিবার ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের নামে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল তাকে আদালতে হাজির করবে।
এর আগে ২ জানুয়ারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের সম্পদের বিবরণীও চেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে বলে দুদক জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২ জানুয়ারি তার নামে মামলা হয়।
মূলত অর্থ পাচার প্রতিরোধেই কাজ করে বিএফআইইউ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:গত বছরের ৪ আগস্টের পর সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ওই সময়ে মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে।
পুলিশের তদন্তের বরাতে এ তথ্য জানায় প্রেস উইং।
এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০টি ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
‘ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলা হয়েছে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, ৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি জিডির তদন্ত চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে মাজারের (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামি নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে যেকোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বলে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য এরই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন:তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রোববারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন।
আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে।
এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এ সংক্রান্ত গেজেট ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রকাশ করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
আরও পড়ুন:সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুবায়ের বখত জুবের বিজয়ী হয়েছেন।
তারা দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক শুক্রবার ভোর ছয়টায় এ ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম. আবদুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পান ৭৭০ ভোট। তিনি সিলেট মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা এটিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পান।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) সর্বোচ্চ ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩ এবং সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পান।
সহসভাপতি-২ পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগপন্থি ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা মামলার আসামি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সোহেব আহমদ (৩৮২), আবদুল হান্নান (৩৭৮) ও আফরোজ আহমদ (৬৪) ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জুবায়ের বখত জুবের। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, আওয়ামী লীগপন্থি মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পান।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও বিএনপিপন্থি তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পান।
যুগ্ম সম্পাদকের ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, বিএনপিপন্থি তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পান।
এ ছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ীরা হন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন (৯৮৫ ভোট), এ.এস.এম. আব্দুল গফুর (৯২৩ ভোট), এ.কে.এম. ফখরুল ইসলাম (৯১৬ ভোট), মো. জামিলুল হক জামিল (৯১৪ ভোট), আবদুল মালিক (৮৯১ ভোট), কল্যাণ চৌধুরী (৮১৬ ভোট), আশিক উদ্দিন (৭৭৯ ভোট), জুবের আহমদ খান (৭৩৯ ভোট), আবু মো. আসাদ (৬৬৩ ভোট), মো. আলীম উদ্দিন (৬৬০ ভোট) এবং মো. ছয়ফুল হোসেন (৬২৬ ভোট)।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা-বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার একটি ছড়া থেকে দীপেন মুন্ডার (৩৫) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দীপেন কুরমা চা বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার প্রসাদ মুন্ডার ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কুরঞ্জি পুঞ্জির কাছে পাহাড়ি ছড়ায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তার শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পরে স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি দীপেন মুন্ডার বলে শনাক্ত করে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা দীপেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে কুরঞ্জি এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় লাশ ফেলে দিতে পারে।
এদিকে কমলগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করলে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
দীপেনের বাবা প্রসাদ মুন্ডা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, জানা নেই। শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে মামলা করব।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দীপেনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান চলাকালীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে থাকা সব তথ্য (ডাটা) আলাদাভাবে অক্ষুণ্ন অবস্থায় সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করতে দেশের সব মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট প্রভাইডারদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় ৭৫ জনের সম্পদ বিবরণী ট্র্যাইব্যুনাল থেকে চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আজ একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে সংবাদটির প্রতিবেদক আলী ইব্রাহিমকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২০ জানুয়ারি হাজির হতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এসব আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ওই সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আদেশ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ও যেকোনো ডকুমেন্টস চাইতে পারার আইনি এখতিয়ার রাখেন। তবুও আজ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে আদেশ নিয়েছেন প্রসিকিউশন।
ব্রিফিংয়ে অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পরবর্তী সময়ে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বাবর বের হলে জেলগেটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
জেলার বশির উদ্দিন জানান, বেলা দুইটার দিকে বাবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারারাগার থেকে বের হন।
বাবর প্রথমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন এবং পরে পল্টনে বিএনপির কার্যালযয়ে যাবেন। এরপর তিনি নেত্রকোণায় নিজ বাড়িতে যাবেন।
এর আগে বুধবার হাইকোর্ট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র আইনের মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন খালাস পান।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের জেটিতে অভিযান চালিয়ে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র মামলায় ৫০ জন ও অন্যটিতে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র আইনে দুটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
অস্ত্র মামলার দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য