বরিশাল নগরীর সড়ক বাতি বন্ধ করে দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না পারায় এমন পরিণতি।
এ অবস্থায় নগরীর মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেও পরিশোধ করা হয়েছে বড় অঙ্কের টাকা। তবুও নোটিশ ছাড়া নগরীর সব সড়কবাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
বুধবার রাতে নগরীর কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি করপোরেশনের বিপুল বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার জন্য অন্য মেয়রদের দায়ী করেন মেয়র সাদিক।
এ সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ আহম্মেদ, প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু জানান, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মেয়াদে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা রয়েছে ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ টাকা। তবে এর মধ্যে বিগত পাওনা সহ বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করেছেন ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ২০৭ টাকা।
তবে সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদে ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকা এবং আহসান হাবিব কামালের মেয়াদে ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪ টাকা পাওনা ছিল। এর মধ্যে আহসান হাবিব কামাল বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছিলেন ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১২২ টাকা।
বর্তমানে সিটি করপোরেশনের হিসেব মতে, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৫৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬ হাজার ৯৪২ টাকা। শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদে কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়নি।
লিটু বলেন, ‘নিয়ম রয়েছে যেসব পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আছে এবং তা পরিশোধ না করলে সেসব পৌরসভার সড়ক বাতি ব্যতিত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে। নিয়ম ভঙ্গ করে সড়কবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন এবং আমাকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ২৫ কোটি টাকা দিতে বলেছেন। এখন আমি টাকা কোথায় পাবো? আমাদের লোকাল ফান্ড থেকে ৬৭ কোটি টাকায় সড়কসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আমি আমাদের অভিভাবককে (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ) বলেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য মেয়ররা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে গেছে। সেই বিল আমি কেন দেবো? সেই বিলের দায় দায়িত্ব তো আমি নেব না। আমার মেয়াদে যে বিল হয়েছে, সেটা তো আমি দিচ্ছি। বিল না দিলে আমার অফিসের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেন। কিন্তু জনগণের কেন ভোগান্তি করা হচ্ছে!’
মেয়র জানান, ১৫টি সড়কের বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলা হলেও নগরীর কোনো সড়কের বাতিই এখন জ্বলছে না। ১৬ হাজার সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ১৫টি পানির পাম্পের লাইনও বিচ্ছিন্ন।
মেয়র বলেন, ‘সামনে পূজা। এখন সব মন্দিরে রাতে কাজ চলছে। এমন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কিসের ইঙ্গিত?’
২৫ কোটি টাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের দেয়ার ক্ষমতা নেই জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি এখন বিদ্যুৎ বিভাগে টাকা দিতে গেলে সামনের মাসে স্টাফদের বেতন দিতে পারবো না।’
আরও পড়ুন:মহাসড়কে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা ৫৯ বছরের আবু তাহের, তার স্ত্রী ৪৮ বছলেরর সালমা আক্তার ও অজ্ঞাত আরেকজন।
নিহতের আবু তাহেরের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।
সাদেক হোসেন আরও বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি সিএনজিটিকে চাপা দিলে মারা যান তারা।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গেল সপ্তাহের তিন দিনের প্রবল বর্ষণে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পানির স্রোতে ইতোমধ্যে হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের নদীর বামতীর বাঁকে অন্তত ১৫০ মিটার বাঁধ ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর এমন আগ্রাসী রূপে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয়রা।
পাউবো গাইবান্ধার তথ্য অনুযায়ী, জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০১ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো ও স্থানীয়রা জানান, প্রবল বৃষ্টি আর নদীর স্রোতে বুধবার থেকে হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের করতোয়া নদীর বামতীর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ব্লক ধসে ভাঙন শুরু হয়। এতে অন্তত দেড় শ মিটার বাঁধ ধসে যায়।
বাঁধের চলমান ভাঙন রক্ষা করা না গেলে ২০টির বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান এলাকাবাসী। এ ছাড়া হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে জিও ব্যাগের মাটি-বালি সংকট দেখা দিয়েছে বলেও জানায় পাউবো কর্তৃপক্ষ।
হোসেনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর পানি বৃদ্ধি পেলেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এখন এখানে অর্ধেক বাঁধ ধসে গেছে। বাঁধ ছিঁড়ে গেলে এখানকার ২০টির বেশি গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাড়িঘর তলিয়ে যাবে; নষ্ট হবে ফসলি জমি, মাছের ঘের। মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।’
তিনি জানান, এখানে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলাচ্ছে। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ এলাকার লোকজন সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে। এখানকার ভাঙন রোধে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ জরুরি।
পাউবো গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘গেল ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেস্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোতের সঙ্গে পলাশবাড়ীর হোসেনপুরে বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘ভাঙন শুরুর পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ভাঙনের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে গেছে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভারি বৃষ্টিপাতে মাটির ঘর ধসে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুইজন হলো ওই গ্রামের কৃষক মন্নাফ মিয়ার সন্তান ১২ বছর বয়সী রাফিন ও ১০ বছর বয়সী মিশু।
এ ঘটনায় শিশু দুটির বাবা মন্নাফ, মা রোকসানা ও তাদের সহোদর ইশু আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মন্নাফ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে থাকতেন। শুক্রবার ভোররাতে সবাই একসঙ্গে ওই মাটির ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় ভারি বৃষ্টি শুরু হলে তাদের মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে তারা পাঁচজনই মাটির নিচে চাপা পড়েন।
‘পরে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মন্নাফের এক মেয়ে রাফিন ও ছেলে মিশুকে মৃত বলে জানান।’
এ ব্যাপারে পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাটির ঘর ভেঙে চাপা পড়া পরিবারটি সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতনের আত্মীয় হয়। অতি বৃষ্টিতে মাটিতে নরম হয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচজনই মাটি চাপা পড়ে।
‘ওই সময় বিকট শব্দ হলে প্রতিবেশীরা এসে মাটি চাপা থেকে তাদের বের করেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, মাটি চাপা পড়ে এক পরিবারের দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা প্রশাসক শাহগীর আলমের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন।
শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীর মোহনায় শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনায় পড়ে স্পিডবোটটি।
নিহত ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা খাতুন সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্য।
টেকনাফ উপজেলার ইউএনও আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আলমের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ২১ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে নদীর মাঝামাঝি মোহনায় হঠাৎ তলা ফেটে সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার খবরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। অবৈধভাবে এ রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবিতে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’
বাগেরহাটে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলার শরণখোলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফয়জুল ইসলাম ওরফে মিজানকে গ্রেপ্তার করে।
ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শরণখোলা উপজেলার একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাবা গত ২৩ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তার মা তাকে পাশের ফুফুর বাড়িতে রেখে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য খুলনায় যান।
এ সুযোগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী ফয়জুল ইসলাম মিজান ওই কিশোরিকে ধর্ষণ করে। খুলনা থেকে তার মা বাড়িতে আসলে ওই কিশোরী ধর্ষণের কথা খুলে বলে।
পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘ঘটনা শুনে কিশোরীর মা শরনখোলা থানায় মামলা করলে আমাদের অভিযানে গভীর রাতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
কুমিল্লা অঞ্চলের রেলওয়ে ক্রসিং সংলগ্ন অর্ধশতাধিক সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।
এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার কুমিল্লা-নোয়াখালী রেল রুটের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তপইয়ায় কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা রেললাইনে শুয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল রুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে খুঁটি গেড়ে সড়ক বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে স্থানীয়রা জানান, তিন দিন আগে অর্ধশতাধিক স্থানে সড়ক বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন কয়েক লাখ মানুষ। এতে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবহন ও রোগীর অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারছে না। বন্ধ রয়েছে মালামাল পরিবহন।
তাদের দাবি, রেল সড়ক থেকেও তপইয়া সড়কের বয়স বেশি।
লাকসাম মনপাল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল মোতালেব, মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন,আলী আকবর ও তপইয়া গ্রামের মাইন উদ্দিন জানান, তপইয়া রেলওয়ে ক্রসিং দিয়ে তপইয়া, কৃষ্ণপুর, মনপাল, রাজাপুর, রামপুর, ষোলদনাসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের লাখো মানুষ চলাচল করে। সড়কটি বন্ধ হওয়ায় রেললাইনের পশ্চিমের গ্রামগুলোর শিক্ষার্থী ও রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ ছাড়াও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার চালকরা।
সড়কটি দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা। নইলে আরও বড় কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তারা।
স্থানীয় উত্তরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন বলেন, ‘তপইয়ায় সড়ক বন্ধ হওয়ায় এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
রেলওয়ের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুরসালিন রহমান বলেন, ‘লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল রুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা বন্ধে এই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে কারও অভিযোগ থাকলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চলের বরাবরে লিখিত দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন:রাতের আঁধারে বরিশাল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়ায় কন্ট্রাক্টর বাড়ির একটি পুকুর ভরাট করার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। বেশ কয়েকটি ট্রাক ঘটনাস্থলে পুকুর ভরাটের জন্য বালু নিয়ে আসে। একটি একটি করে ট্রাক থেকে বালু ফেলা হচ্ছিল পুকুরে। ওই সময় একটি ট্রাকের পেছনের দুই চাকার পাশ থেকে বালু সরানোর কাজ করছিলেন ইউনুস ও হাবিব। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
ট্রাকটি পেছনের দিকে সরে যায় এবং তার চাকার নিচে চাপা পড়েন ৫৯ বছর বয়সী ইউনুস ও ৩৮ বছর বয়সী হাবিব। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।
পশ্চিম কাউনিয়ার হাজেরা খাতুন স্কুল সংলগ্ন সড়কে শুক্রবার রাত একটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইউনুস ও হাবিব ওই এলাকার কন্ট্রাক্টর বাড়িতে মামুন চৌধুরীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। দুইজনই পেশায় ছিলেন দিনমজুর।
ফায়ার সার্ভিস বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আলামিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাকার নিচে চাপা পড়া দুই শ্রমিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। ট্রাকটিকে তার চালক পেছনে নিয়েছিল নাকি নিজ থেকে পেছনে চলে যায়, সে বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেনি, তবে খুব ভয়ানকভাবে ট্রাকের পেছনের দুই চাকার নিচে দুই শ্রমিক চাপা পড়েন।’
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার এসআই শহীদুল ইসলাম জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে সবাই পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য