× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The process of painting the statue is going on
google_news print-icon

চলছে প্রতিমায় রং তুলির আচড়

চলছে-প্রতিমায়-রং-তুলির-আচড়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহীন বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় ১২০০ পুলিশ বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।’

আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এ সময়ে দম নেয়ার ফুরসত নেই কারিগরদের।

জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১ সালে ৫৫৯ টি পূজামণ্ডপ হয়েছে। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পূজামণ্ডপ হবে ৬০৪ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৪৫টি পূজামণ্ডপ বেশি। জেলার নয় উপজেলাতেই ৩ থেকে ১২টি করে মণ্ডপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে নাসিরনগরে ১৫১, নবীনগরে ১২৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ৭৮, বিজয়নগরে ৬৫, সরাইলে ৪৯, কসবায় ৪৯, বাঞ্ছারামপুর ৪৭, আখাউড়ায় ২২, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি মণ্ডপ হবে।

‘এ ছাড়া পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন। প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিস ক্যামেরা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলছেন প্রতিমা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যঘাত ঘটলেও কারিগররা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ে আগেই তারা প্রতিমা হস্তান্তর করতে পারবেন। করোনার কারণে দূর্গাপুজার এ উৎসব ভালোভাবে উৎযাপন করতে না পারায় এবার জাকজমকপূর্ণ সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে মণ্ডপ মালিকরা।

প্রবীণ কারিগর সুরঙ্গ পাল বলেন, ‘৫০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ৬ষ্ঠ পূজার আগেই প্রতিমা হস্তান্তর করা হবে।’

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা পূজা ‍উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় এ বছর জাকজমকভাবে পূজার আয়োজন ও প্রতিমা তৈরির কাজ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। গতকল সোমবার পূজা উদযাপনের সভায় জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা ভিত্তিতে যে নিয়মনীতি বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে সে বিষয়গুলো মেনেই পূজা উদযাপন করা হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহীন বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় ১২০০ পুলিশ বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।’

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজার ব্যস্ততা শুরু কুমারটুলিতে
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য আগুন উসকে দেয়ার মতো
‘দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি’
কালীমন্দিরের টিন কেটে প্রতিমা ভাঙচুর
চট্টগ্রামে মণ্ডপে হামলার অভিযোগে আটক ৬৫

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Injured girls son in law to arbitrate to settle father son money dispute

বাবা-ছেলের অর্থের দ্বন্দ্ব মেটাতে সালিস, কামড়ে আহত মেয়ের জামাই

বাবা-ছেলের অর্থের দ্বন্দ্ব মেটাতে সালিস, কামড়ে আহত মেয়ের জামাই আহত মিনহাজ উদ্দিন শাহিন। ছবি: নিউজবাংলা
আহত ব্যক্তিকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বাবা-ছেলের অর্থের দ্বন্দ্ব নিয়ে সালিসে কথা কাটাকাটির জেরে আসামিপক্ষের একজনের হাতে কামড় দিয়েছেন বাদীপক্ষের একজন।

সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের আদালতে আইনজীবী সমিতির ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কূর্শা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুপালি হাজী। টাকা-পয়সার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ তুলে দুই সন্তান নজরুল ও তাজরুলের নামে তিনি মামলা করেন আদালতে।

এ ছাড়া দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে বাবার কাছে আমানত রাখা টাকা-পয়সার হিসাব দেন না বলে অভিযোগ সন্তানদের। এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে সমাধানের জন্য আসে উভয়পক্ষ।

সন্তানদের সঙ্গী হন মেয়ের জামাই শাহিন। আর রুপালি হাজীর সঙ্গী হয়ে আদালতে আসেন অভিযুক্ত হুমায়ুন। সমাধানের আলোচনার এক পর্যায়ে শুরু হয় তর্ক। তর্কের জেরেই ঘটে এমন ঘটনা।

রুপালি হাজীর ছেলে তাজরুল ইসলাম জানান, টাকা পয়সার হিসেব নিয়ে তাদের বাবার সঙ্গে বেশ কিছুদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে তার বাবা তাদের দুই ভাইয়ের নামে মামলা করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তারা আদালতে এসেছিলেন।

তিনি জানান, আদালতে আসার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হলে তাদের বাবার সঙ্গে থাকা এক ভাড়াটে তার ছোট বোন জামাইকে ডান হাতে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে যায়। তার ছোট বোন জামাই শাহিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত মিনহাজ উদ্দিন শাহিন জানান, তার শ্বশুর রুপালি হাজীর সঙ্গে ছেলেদের ঝামেলা চলছিল। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য আইনজীবী সমিতিতে এসেছিলেন তিনি। এ সময় তার শ্বশুরের সঙ্গে থাকা একজনকে বাইরে যেতে বলেন তিনি। আর তাতেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে কামড় দেন তাকে।

অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীরের ভাষ্য, রুপালি হাজীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তার ভালো সম্পর্ক। এ জন্য তার সঙ্গে আদালতে এসেছিলেন তিনি। এসে দেখেন রুপালি হাজীর ছেলেরা তার সঙ্গে তর্ক করছে। তিনি তাদেরকে থামতে বললে রুপালি হাজীর মেয়ের জামাই শাহিন তাকে ধরে ফেলেন। এক পর্যায়ে শাহিনকে কামড় দিতে বাধ্য হন তিনি।

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. মাকসুদুর রহমান জানান, সকালে কামড়ে আহত হয়ে শাহিন নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আঘাতটা বেশ গুরুতর।

তিনি বলেন, কামড় দেয়া লোকটা যদি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে আহত ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আহত ব্যক্তিকে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি, বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

কিশোরগঞ্জের আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন জানান, রুপালী হাজী এবং তার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় বাবা বাদী হয়ে তার ছেলেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তারা উভয় পক্ষ কোর্টে এসেছিল। বিভিন্ন বিষয় আলোচনার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্ক বেধে যায়। তখন রুপালী হাজীর সাথে থাকা হুমায়ুন নামে এক লোক তার ছেলেদের সাথে থাকা মিনহাজ উদ্দীন শাহিনকে (রুপালী হাজীর মেয়ের জামাই) কামড় দেয়।

তিনি বলেন, যেহেতু বাবা-ছেলে বিষয় তাই আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। সমাধান না হলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The fallen coach of the Panchagarh Express has been picked up and the train is running at Tangail

পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের পড়ে যাওয়া বগি উঠেছে, টাঙ্গাইলে ট্রেন চালু

পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের পড়ে যাওয়া বগি উঠেছে, টাঙ্গাইলে ট্রেন চালু উদ্ধার হয়েছে পড়ে যাওয়া বগি। ছবি: নিউজবাংলা
পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম‌্যানেজার শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বলেন, রাত দুইটার দিকে ক্রেনের মাধ্যমে বগিটি উদ্ধার করা হয়। পঞ্চগড় ট্রেন লাইনচ‌্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস‌্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর সেতুর পূর্বপ্রান্তে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ‌্যুত হওয়া বগি উদ্ধারের পর ওই রুটে প্রায় সাড়ে পাচ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার রাত ২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম‌্যানেজার শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

ট্রেন উদ্ধারের পর রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস‌্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেনকে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটির একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। রাত ২টার দিকে ক্রেনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের বগি উদ্ধার করে বগিটি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

পরবর্তীতে রিলিফ ট্রেনের সহায়তায় বগিটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বগিটি লাইনচ‌্যুত হওয়ার ঘটনায় অন্যান্য স্টেশনে কয়েকটি বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আটকা পড়ে থাকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম‌্যানেজার শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বলেন, রাত দুইটার দিকে ক্রেনের মাধ্যমে বগিটি উদ্ধার করা হয়। পঞ্চগড় ট্রেন লাইনচ‌্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস‌্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন লাইনের জন‌্য এই ঘটনা কি না বা কী কারণে লাইনচ‌্যুত হয়েছে সেটা তদন্ত প্রতিবেদনের পরই বলা যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Even though the identities of the victims were found no one came to collect the bodies

পিটুনিতে নিহতদের পরিচয় মিললেও মরদেহের খোঁজে আসেননি কেউ

পিটুনিতে নিহতদের পরিচয় মিললেও মরদেহের খোঁজে আসেননি কেউ ছবি: নিউজবাংলা
সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত চারজন ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহতদের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহগুলো মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে নিহতের কোনো স্বজন এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজে আসেননি।

নিহতরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউকান্দী নিতাইটেক গ্রামের ৪৮ বছর বয়সী আব্দুল রহিম, একই উপজেলার জালাকান্দি গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী নবী হোসেন ও সোনারগাঁ উপজেলার মুছারচর গ্রামের ৪০ বছর বয়সী জাকির হোসেন।

আরও এক জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এছাড়া আহত অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্ত্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে আড়াইহাজার উপজেলা জাঙ্গালিয়া গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলীকে।

পিটুনিতে নিহতদের পরিচয় মিললেও মরদেহের খোঁজে আসেননি কেউ

পুলিশ জানায়, রোববার রাত একটার দিকে বাঘারী গ্রামের বিলের পাড়ে ৭/৮ জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় স্থানীয়দের কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেন। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে পিটুনি দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। অন্যরা বিলে ঝাঁপ দেন। পরে বিল থেকে উঠিয়ে আরও দুজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজন মারা যান।

সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত চারজন ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে, আরও একজনের পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করছে। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের সবার নামেই মামলা আছে।’

মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজন পাওয়া গেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আর জাকিরের মরদেহ ঢামেকের মর্গে আছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া নিহতের ঘটনায় থানায় মামলার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এদিকে, বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিহতদের কোনো স্বজন যোগাযোগ করেছে বলে জানা যায়নি। নিহত তিনজনের কোনো আত্মীয়-স্বজন তাদের খোঁজে বা মরদেহ বুঝে নিতে আসেননি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A proletarian leader who surrendered to the Home Minister was shot dead

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ‘সর্বহারা’ নেতাকে গুলি করে হত্যা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ‘সর্বহারা’ নেতাকে গুলি করে হত্যা

নিহতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।

পাবনায় চরমপন্থী দল সর্বহারা পার্টির সাবেক এক আঞ্চলিক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৩৮ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক শেখ গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে।

রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অন্যান্য চরমপন্থীদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ইফতার করে তারাবির নামাজের পর চা খাওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ওখানকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলে ৫-৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে পরপর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতে গ্রামবাসীর পিটুনিতে ৪ জন নিহত
নারায়ণগঞ্জে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ পিটুনিতে ২ জন নিহত
কুমিল্লায় গোলাগুলির মাঝে পড়ে নিহত হন ছাত্রদল নেতা অর্ণব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Clinic Silgala owner jailed after allegation of maternal death

প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগের পর ক্লিনিক সিলগালা, মালিক কারাগারে

প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগের পর ক্লিনিক সিলগালা, মালিক কারাগারে সোমবার ভ্রাম‍্যমান আদালতের মাধ‍্যমে দণ্ডিত ক্লিনিকের মালিক হাফিজুর রহমানকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
প্রসুতির মৃত্যুর পর ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানায় তার পরিবার।

নানা অব্যবস্থাপনা ও সনদের মেয়াদ নবায়ন না করায় মেহেরপুরের গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের আদালত এ দণ্ড প্রদান করে। পরে দণ্ডিতকে পুলিশি প্রহরায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় দেবীপুর গ্রামের সেলিম রেজার স্ত্রী পান্না খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।

স্বাভাবিক প্রক্রীয়ায় সন্তান প্রসব না হওয়ায় অপারেশনের সিন্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। সেখানে ডাক্তার আবু সালেহ মো. ইমরান তার অপারেশন করেন। তবে অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রসুতির মৃত্যু হয়।

প্রসুতির মৃত্যুর পর ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানায় তার পরিবার।

এরপর সোমবার দুপুরে গাংনী ইউএনও প্রীতম সাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, মেহেরপুর সিভিল সার্জন মহিউদ্দীন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ ওই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিদর্শনে যান।

সেখানে নানা অনিয়ম ও লাইসেন্স নবায়ন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৫২ ধারায় হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করা হয়।

পরবর্তীতের দণ্ডিত হাফিজুর রহমানকে পুলিশের সহায়তায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
50 crore worth of private land recovered in Karnaphuli in one year

কর্ণফুলীতে এক বছরে ৫০ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার

কর্ণফুলীতে এক বছরে ৫০ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধার করে সেখানে সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয় প্রশাসন। ছবি:: নিউজবাংলা
ভূমি অফিসের তথ্য বলছে, কর্ণফুলী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার মোট ১৮ একর ৩১ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ওইসব জমি উদ্ধার করে তাতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় গত এক বছরে অবৈধভাবে প্রভাবশালীদের দখল করে রাখা প্রায় ৫০ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভূমি অফিসের তথ্য বলছে, এতে কর্ণফুলী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার মোট ১৮ একর ৩১ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ওইসব জমি উদ্ধার করে তাতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানভীর-আল-নাসীফের তত্ত্বাবধানে এসব অভিযান পরিচালনা করেন কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী।

অভিযান ও উপজেলা ভূমি অফিসের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলায় বিগত ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত খাস জমিগুলো উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলীর জুলধা, ডাঙ্গারচর, চরলক্ষ্যা (বন্দর) মৌজার বি.এস ১ ও ২ নম্বর দাগে ২ দশমিক ১৬ একর বাঁধ ও নাল শ্রেণির জমি বি.এস. ১ নম্বর খাস খতিয়ানে সরকারের পক্ষে চূড়ান্ত জরিপ ছিল। সরকারি মালিকানাধীন ওই খাস জমি আগে পুকুর ছিল। কিন্তু পুকুরটি দখলে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এতদিন মাছ চাষ করে আসছিল। পরে অভিযান চালিয়ে তা উদ্ধার করা হয়।

একইসঙ্গে জুলধা ইউনিয়নের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ডাঙ্গারচর মৌজার বি.এস. ২৭৯০, ২৭৮৩, ২৭৮২, ২৭৭৩, ২৭৭৪, ২৭৭৭, ২৭৭৮ নম্বর নাল শ্রেণিভুক্ত দাগের মোট ১১ দশমিক ১৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়। এই জমিতেও প্রভাবশালীরা পুকুর খনন করে খামার বাড়ি তৈরি করেছিলেন।

আরেক অভিযানে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বন্দর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বি.এস ১২০৯৪, ১২০৯৫ ও ১২০৯৭ পুকুর ও নাল শ্রেণিভুক্ত দাগের মোট ১ দশমিক ৭৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে জমিটি অবৈধ দখলমুক্ত করে মাছের পোনা অবমুক্ত করে আখতারুজ্জামান চৌধুরী স্মৃতিপার্ক হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

একই প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে বড়উঠান ইউনিয়নের বড়উঠান মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত খিলা ও পতিত শ্রেণিভূক্ত বি.এস. ১৫৫৭ ও ১৫৯১ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। ওই জমিতে আগে অবৈধ স্থাপনাসহ মুরগির খামার ছিল। ওই জমি দখলমুক্ত করে সেখানে শিশুপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।

ধারাবাহিক অভিযানে চরলক্ষ্যায় ২৮ শতক, শিকলবাহা ইউনিয়নের শিকলবাহা মৌজার উপজেলা ভূমি অফিসের জন্য ৫৭ শতক ও সবশেষ ৮৫ শতক খাস জমি উদ্ধার করেন এসি ল্যান্ড পিযুষ কুমার চৌধুরী।

উদ্ধারকৃত মোট জমির পরিমাণ ১৮ একর ৩১ শতক বলে জানা যায়। এসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন ধরে উদ্ধারকৃত জমিগুলো অবৈধ ব্যক্তিদের দখলে ছিলো। কেউ খামার গড়ে তুলেছিলো। কেউ পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিল। পৃথক অভিযানে উল্লিখিত মৌজার এসব ভূমি উদ্ধার করা হয়। কিছু জমিতে শিশুপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। বাকি জমিতে তফসিল উল্লেখ করে সরকারের নামে সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।’

উদ্ধারকাজ পরিচালনাকালে এসি ল্যান্ডের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা সার্ভেয়ার, কানুনগো ছাড়াও বড়উঠান, শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা ও জুলধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ সিএমপি কর্ণফুলী থানার পুলিশ সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে কর্ণফুলী উপজেলা গঠিত। এর মোট আয়তন ৫৫ দশমিক ৩৬ বর্গকিলোমিটার বা ২১ দশমিক ৩৭ বর্গমাইল।

আরও পড়ুন:
ফুটপাত থেকে সরিয়ে হকারদের খোলা মাঠে পুনর্বাসন
বনের জমি উদ্ধারে গিয়ে হামলায় কর্মকর্তা হাসপাতালে
দখলদার উচ্ছেদ করে খালের দুপাড় সাজাতে চান ডিএনসিসি মেয়র

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Accused hacked 3 police officers and robbed them in Mymensingh

ময়মনসিংহে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই

ময়মনসিংহে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই আহত তিন পুলিশ সদস্যকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
মমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এএসআই রাকিবের পেটে, এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই গোলাম রসুলের কনুইয়ে কোপানোর আঘাত রয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা গুরুতর।’

ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- ত্রিশাল থানার ৩০ বছর বয়সী উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন, ৩৫ বছর বয়সী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রসুল ও ৩৯ বছর বয়সী এএসআই রাকিব।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বেদেনা নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যান পুলিশের ওই তিন কর্মকর্তা। আসামিকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন কর্মকর্তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।’

আসামি বেদেনাসহ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মো. কামাল হোসেন।

মমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এএসআই রাকিবের পেটে, এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই গোলাম রসুলের কনুইয়ে কোপানোর আঘাত রয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা গুরুতর।’

আরও পড়ুন:
সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম: চারজন গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারে আসামি ধরতে গিয়ে আহত ৪ পুলিশ

মন্তব্য

p
উপরে