দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েই চলেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিনে ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সব মিলিয়ে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের আড়াই মাসে (১ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ৫১৪ কোটি ২৮ লাখ (৫.১৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দর ১০৮ টাকা হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের এই আড়াই মাসে ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ (৪.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। এ হিসাবে আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ডলারের বিপরীতে টাকার বড় দরপতনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। আর এতে অর্থনীতিতে এক ধরনের স্বস্তির বাতাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন কোনো প্রবাসী ১ ডলার দেশে পাঠালে তার পরিবারের যে সদস্যের নামে পাঠাচ্ছেন তিনি ১০৮ টাকা পাচ্ছেন। তার সঙ্গে আবার আড়াই শতাংশ সরকারের প্রণোদনাও পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে তিনি যে টাকা তুলতে পারছেন, তা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালে যা পাওয়া যায়, তার সমান। সে কারণে প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। যার ফলে বাড়ছে এই সূচক; এটা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো।’
‘যেহেতু প্রবাসীরা এখন বেশি টাকা পাচ্ছেন, আমার বিবেচনায় এখন আর আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেয়া উচিত নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডলারের দর ১০৮ টাকার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে। আগামী দিনগুলোতে এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। গত দুই মাসের (জুলাই-আগস্ট) মতো সেপ্টেম্বর মাসেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে (১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ১০০ কোটি ৮৭ লাখ (১ বিলিয়নের বেশি) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ। পরের মাস আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৭৮ (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ৪১৩ কোটি ৪১ লাখ (৪.১৩ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
রোববার খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ১১৪ টাকায় প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে।
করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যাওয়া অর্থনীতিতে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশজুড়ে ক্ষোভ-হতাশা এবং আগামী দিনগুলোতে কী হবে? এই প্রশ্ন সবার মধ্যে, তখন চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকেই স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ। মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের কথা। ভরা করোনা মহামারির মধ্যেও ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের (সরকার) সাহস জোগাচ্ছে। করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কায় আমরা বেশ চাপের মধ্যে আছি। আগামী দিনগুলোতে কী হবে? এই দুশ্চিন্তা সবার মধ্যে, তখন স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ। মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের কথা। ভরা করোনা মহামারির মধ্যেও ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে ওই বছরে। আশা করছি, চলতি অর্থবছরে তার চেয়েও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন আমাদের প্রবাসীরা।’
মহামারির মধ্যে ওই সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন প্রবাসীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অর্থনীতিতে যে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে, সেই সংকট কাটাতেও সবার আগে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসীরা। আবার বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে রপ্তানিও বাড়ছে। আমদানি কমতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এক ধরনের স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ডলারের বাজারের অস্থিরতাও কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হবে দেশ। অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসবে।’
২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। আগের বছরের (২০২০-২১) চেয়ে কমেছিল ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। শুরু থেকেই ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রবণতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অর্থ মন্ত্রণালয়ও তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরজুড়ে (২০২১-২২) ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে থাকা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে নতুন অর্থবছরে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
এই অর্থবছরে রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শ্রমিক নতুন করে বিদেশে যাওয়ায় তাদের কাছ থেকে বাড়তি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে।’ দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর হালচাল নিয়ে তৈরি করা পাক্ষিক প্রতিবেদনেও রেমিট্যান্স নিয়ে সুসংবাদের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৫ আগস্ট প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ইতিমধ্যে রেমিট্যান্সে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সব প্রবাসী তাদের কর্মস্থলে ফিরেছেন। টাকার বিপরীতে ডলার বেশ খানিকটা শক্তিশালী হয়েছে। এই বিষয়টি আগামী মাসগুলোতে রেমিট্যান্স বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে আশা করা হয়েছে, রেমিট্যান্স ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি আসবে।
আরও পড়ুন:পর্তুগালের প্রবাসীরা বেশির ভাগই দেশটির প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়ার ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই পাসপোর্ট আবেদন করতেন, এরপর নিজের পাসপোর্ট পাওয়ার পর স্ত্রী বা স্বামী ও ছেলে-মেয়েদের জন্য আবেদন করতেন।
তবে গত সপ্তাহে জাতীয়তা আইনের দশম সংশোধনী গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায়তে প্রবাসীদের জন্য সুখবর এলো। এখন সেফ বা এআইএমএ এন্ট্রি বা পর্তুগালের বসবাসের আবেদন থেকেই শুরু হবে নাগরিকত্ব (পাসপোর্ট) আবেদনের ৫ বছর।
সেফ বা এআইএমএ এন্ট্রি আবেদন অ্যাপ্রুভ হয়েছে এবং রেসিডেন্ট পেয়েছেন এরকম হতে হবে। এই সংশোধিত আইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাসপোর্ট পাওয়ার অনেক বড় একটা সময় হিসাবের মধ্যে চলে এলো। প্রবাসীদের জন্য এটা বড় সংবাদ। আসন্ন এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিযেছেন আইনজীবীরা।
এই আবেদন অ্যাপ্রুভ হওয়ার পরই নাগরিক কার্ড/ সিটিজেন কার্ড ও পাসপোর্ট নেয়া যায়। জাতীয়তা বা ন্যাশনালিটি আবেদনে যেসব ডকুমেন্ট লাগবে।
দেশের ডকুমেন্টস
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, তিন মাস মেয়াদের প্রাপ্ত বয়স্কদের। জন্ম সনদ, ইংলিশ। দেশে নোটারি, ফরেন মিনিস্ট্রি, ল অ্যান্ড জাস্টিস মিনিস্ট্রি সত্যায়ন। এরপর এই দুটি ডকুমেন্ট নিকটস্থ পর্তুগাল কনসুলার ইন্ডিয়াতে পাঠাতে হয় এটাস্টেশনের জন্য। কারণ বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো অ্যাম্বাসি নেই।
ভারতে প্রথমে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সত্যায়ন এরপর পর্তুগাল অ্যাম্বাসির সত্যায়ন করে পর্তুগালে আনতে হয়। পর্তুগাল শুধু নোটারীরি ও ট্রান্সলেশন করার পর এই দুটি ডকুমেন্ট আবেদনের জন্য রেডি হয়।
পর্তুগালের ডকুমেন্ট
সরাসরি নিজে অফিসে গিয়ে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট কার্ড, প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড, বেসিক পর্তুগিজ সার্টিফিকেট (A1ও A2), পূরণ করা ন্যাশনালিটি আবেদন ফরম ও ২৫০ ইউরো।
ঠিকানা: দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত Conservatorio do Registo Civil - Almada/Amadora/Aveiro/Barreiro/Braga/Combra/Evora/Faro/Guimares/Lisboa/Mangualde/Ovar /Pombal /Portalegre/Porto/Santarem/Silves/Tondela/Torres Vedras/Vila nova de Gaia অফিস গুলোতে সকালে গিয়ে আবেদন নিজে নিজে করে নিতে পারেন। প্রয়োজনে অ্যাড্রেস ইন্টারনেট থেকে দেখে সাহায্য নিতে পারবেন।
লিসবনের মধ্যে একটি অফিসের ঠিকানা- Conservatorio do Registo Civil, RUA RODRIGO DA FONSECA ,198 1099-003 , LISBOA
পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আবেদন করলে- পাসপোর্ট কপি নোটারি, রেসিডেন্ট কার্ড কপি নোটারি, প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড নোটারি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তিন মাস মেয়াদের প্রাপ্ত বয়স্কদের, জন্ম সনদ, বেসিক পর্তুগিজ সার্টিফিকেট (A1ও A2), পূরণ করা ন্যাশনালিটি আবেদন ফরম, ২৫০ ইউরোর VALE DE POSTAL ।
নিচের অফিসগুলোর মধ্যে যেখানে আবেদন করবেন ইন্টারনেট থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে সেটি বরাবর Conservatorio do Registo Civil - Almada/Amadora/Aveiro/Barreiro/Braga/Combra/Evora/Faro/Guimares/Lisboa/Mangualde/Ovar /Pombal /Portalegre/Porto/Santarem/Silves/Tondela/Torres Vedras/Vila nova de Gaia
CTT EXPRESSO সার্ভিস।
আইনজীবীর মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করলে ওপরের সব ডকুমেন্ট লাগবে। কনফিডেন্স কম থাকলে কোনো উকিলের মাধ্যমেই ন্যাশনালিটির আবেদনটি সাবমিট করাই ভালো। আবেদন সাবমিট করার সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে একটি লেটার আসবে।
এখন https://nacionalidade.justica.gov.pt/ গিয়ে, লেটারে A senha para consulta do processo e xxxx-xxxx-xxxx ১২ ডিজিটের সংখ্যাটি দিয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে pesquisar দিলেই দেখা যায় ৭টি ধাপের অগ্রগতি। সবগুলো ধাপ সবুজ হলেই এই আবেদন এর কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
এই ধাপ গুলোতেই থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপরিপূর্ণ ডকুমেন্ট আবার চাইতে পারে। এরপরই সিটিজেন কার্ড ও পর্তুগালের পাসপোর্ট জন্য আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল পেনিনসুলা থেকে পোল্যান্ডের এক নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জজলো মাইকেল সিজারবেয়া। তিনি হত্যাকাণ্ডে শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের পেনিনসুলা হোটেলের ৯১৫ নম্বর কক্ষের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল থেকে থানায় খবর দেয়া হয় যে, ৯০৫ নম্বর কক্ষে একজন ব্যক্তির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। ঘরের ভেতরে তাকে বিছানার একপাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।’
পুলিশ জানায়, মৃত জজলো মাইকেল সিজারবেয়া ঢাকার বিগেস্টার বায়িং হাউজের কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তিনি চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ক্যানপার্কের কোয়ালিটি চেক করতে এসেছিলেন।
কীভাবে তার মৃত্যু হলো, তা তদন্ত করছে পুলিশ।
সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান, নিহত ব্যক্তির মাথার পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাটে ও ফ্লোরে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার রুমটি ছিল এলোমেলো।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি।’
বিউটি পার্লারে বিয়ের কনের সাজ সাজতে গিয়ে আইফোন খুইয়েছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ইন্দোনেশীয় তরুণী। মাদারীপুরের শিবচরের যুবক শামীম মাদবরকে বিয়ে করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ভিনদেশী তরুণী ইফহা।
শুক্রবার সকালে বিয়ের জন্য সাজতে শিবচর পৌর এলাকার ‘পাকিস্তানি বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজগোজের সময় তার আইফোনটি চুরি হয়ে যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই পার্লারে থাকা অবস্থাতেই নিজের আইফোন ১৫+ মডেলের ফোনটি একটি টেবিলের উপর রাখেন। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি তিনি।
এ ঘটনায় শিবচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তরুণীর স্বামী শামীম মাদবর বলেন, ‘সকালে শিবচরের স্বর্ণকার পট্টির পাকিস্তানি বিউটি পার্লারে সাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইফহাকে। পার্লারের ভেতরে সাজের সময় ফোনটি চুরি হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত এক নারী পার্লারের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ফোনটি নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক। পার্লারে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পরে আমরা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’
পাকিস্তানি বিউটি পার্লারের স্বত্তাধিকারী রেশমা আক্তার বলেন, ‘আমার পার্লারে সারাক্ষণই কাস্টমার থাকে। ওই বিদেশী মেয়ে আর তার সঙ্গে আরও একজনসহ দুইজন সাজের জন্য আসেন। ফোনটি সারাক্ষণই তার হাতে ছিল। সাজ শেষে তিনি ফোনটি নিয়ে দরজার কাছের টেবিলের ওপর রেখে নাকফুল পরতে গেলে ওই সময়ই বোরকা পরা এক মহিলা এসে ফোনটি নিয়ে বেরিয়ে যান। তখন আমি আরেকটি কাজ করছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় কাস্টমারের মালামাল নিজেদের সঙ্গে রাখতে বলি। নিজ দায়িত্বে রাখার জন্য বলা হয়।’
শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা তদন্ত করছি।’
আরও পড়ুন:‘আমি এখন বাংলাদেশে। আমার বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে এসেছি। এখানকার কৃষিজমিতে ফসল সুন্দর। মানুষজন আমাকে আপন করে নিয়েছে।
‘আমি খুব আনন্দে আছি। বিয়েতে দারুণ সব খাবারের আয়োজন করেছে। আমি মুগ্ধ। বন্ধুরা, ভিডিওতে তোমরা দেখো।’
আরবি ভাষায় এভাবে নিজের সুখানুভূতি প্রকাশ করছিলেন কুয়েতি নাগরিক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর।
কয়েক দিন আগে বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে আসেন এ কুয়েতি। বন্ধুর মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। গ্রামের প্রাণ-প্রকৃতিও তাকে বেশ টেনেছে।
নিজের গ্রামে কুয়েতি বন্ধুকে পেয়ে আনন্দিত তার বন্ধু ইকবাল হোসেনসহ স্থানীয়রা। শনিবার সকালে দেখা যায়, স্থানীয়দের নিয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন। মোবাইল ফোনে লাইভে যাচ্ছেন। শিশুদের মতো উল্লাস প্রকাশ করছেন।
বন্ধুত্ব যেভাবে
কুয়েতির সঙ্গে কীভাবে বন্ধুত্ব হলো সে বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি কুয়েতে যাই। সেখানে কাজের সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন অবসরে আছেন।
‘কাজের সুবাদে আমাদের সম্পর্ক গাঢ় হয়। আমরা একে অপরের বন্ধু হই। বয়সের একটু ব্যবধান থাকলেও মনের কোনো ব্যবধান নেই আমাদের।’
তিনি বলেন, “গত বছরের শেষের দিকে আমি আমার বন্ধু আবদুল্লাকে বলি আমার মেয়ের বিয়ের বিষয়ে। সে আমাকে বলে, ‘তোমার মেয়ের বিয়ে দেখতে তোমার দেশে যাব।’ যেই কথা সেই কাজ।
“গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সে কুয়েত থেকে আমার বাড়িতে আসে। আমি খুব অবাক হয়েছি। সে এখানে খুব আনন্দ করছে। আমার মেয়ের বিয়েতে এসে ছবি ভিডিও তুলে রাখছে। কুয়েতে গিয়ে সবাইকে দেখাবে।”
ইকবালের ভাই এসএন ইউসুফ বলেন, ‘আমার ভাতিজির বিয়েতে একজন কুয়েতি নাগরিক এসেছেন। তিনি আমার ভাইয়ের বন্ধু। অন্য একটি দেশ থেকে এসে তিনি যে আনন্দ পাচ্ছেন, আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।
‘কুয়েতি নাগরিক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল বন্দর আমাদের গ্রামে এ বিয়েতে অংশগ্রহণ করাতে বিয়ের উৎসব আরও দ্বিগুণ হয়েছে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ‘শুনেছি একজন কুয়েতি নাগরিক চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নে তার বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছেন। তিনি বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
‘কুয়েতি নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তার আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে যাতে রাজাকারদের দেশে পরিণত করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জার্মানির মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দেশকে কেউ যেন পেছনের দিকে ঠেলে দিতে ও রাজাকারের দেশে পরিণত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।’
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।’
সরকারপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফল সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি যে আমি দেশ এবং এর জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি।’
ওই সময় শেখ হাসিনা বলেন, তার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।
আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে দলটির সভাপতি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতা সহ সব কিছু পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সকল দেশ বাংলদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কালচার মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ এক নাগরিক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। ওই সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান। এ ছাড়া ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাশেম, ড. ফারুক মির্জা, মোতাহার চৌধুরী, মনির হোসেন পলিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ‘পলিটিক্স অফ ডিনায়াল’ এবং ‘পলিটিক্স অফ কনফ্রন্টেশন’ অর্থাৎ সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকত, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকতো, তাহলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।
এ সময় রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদেরকে সব সময় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রবাসী বক্তারা বেলজিয়ামে দীর্ঘকাল অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দিয়ে ভূষিত করেন।
এর আগে শুক্রবার ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছান। ফোরামে বক্তৃতার পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস, কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন:বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরহাদ মিয়া নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির বাবাল বাহরাইন মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ বছর বয়সী ফরহাদ মিয়া জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুল আজিজ মন্ডলের ছেলে।
কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরহাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের সাবেক সহকর্মী ফজলুল হক আরমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি বাহারাইনে থাকা সহকর্মীদের মাধ্যমে জেনেছি।
তিনি বলেন, ‘৬ বছর আগে বাহরাইনে যান ফরহাদ। সেখানে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন এবং বাহরাইনের মানাম সিটিতে থাকতেন। বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে দেশটির মানামা সালমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতের মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলেও জানান আরমান।
এদিকে ফরহাদের মৃত্যুর খবর শোনার পর পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্ত্রী ও আট বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রেখে গেছেন ফরহাদ মিয়া।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য