গত জুনে একবার মামলা করে তুমুল সমালোচনার শিকার হওয়া রাঙ্গামাটির সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর মেয়ে নাজনীন আনোয়ার আবার সেই একই ইস্যুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আবার মামলা করেছেন। এবার তিনি আসামি করেছেন ছয়জন সাংবাদিককে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রাজধানীকেন্দ্রিক দুটি টেলিভিশনের দুজন রিপোর্টার ও রাঙ্গামাটির চারজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে।
বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী ১৩ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে আছেন দীপ্ত টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ এবং সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনির্বাণ শাহরিয়ার।
রাঙ্গামাটির দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক ফজলে এলাহী, রাজধানীকেন্দ্রিক অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি সাইফুল হাসান, ইংরেজি জাতীয় দৈনিক টিবিএসের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দিদারুল আলম ও বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক বণিক বার্তার রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি প্রান্ত রনির নাম রয়েছে এজাহারে। আরও রাখা হয়েছে অজ্ঞাত আসামি।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে বাদিনী এবং তার মা (সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু) সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ হয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চিনুর মেয়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ৭ জুন গ্রেপ্তার হন রাঙ্গামাটির দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক ফজলে এলাহী। তুমুল সমালোচনার মুখে পরদিন রাঙ্গামাটির আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান ফজলে এলাহী। এরপর ১৪ জুন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান তিনি।
সাংবাদিক ফজলে এলাহী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বর্তমানে অনেক অসহায়বোধ করছি। বুঝতেছি না কেন এসব হচ্ছে। আগের মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে গেছি। তখনও জানতাম না নতুন করে মামলা হয়েছে। আজ জানতে পারছি আমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে নাজনীন আনোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যা কিছু জানার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো কিছু কোড করার মতো বলতে চাচ্ছি না। নিউজ করতে চাইলে পিটিশন দেখে সাজিয়ে নিয়েন।’
দৈনিক পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ডিসি বাংলো পার্কে অবস্থিত ‘পাইরেটস্’ রেস্টুরেন্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০২০ সালে মামলাটি করা হয়।
যে ইস্যুতে চার মাস আগে একটি মামলা হয়েছে, সেই একই ইস্যুতে আবার অন্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা কেন, জানতে চাইলে চিনুকন্যার মোবাইল নাম্বারে কল করলে জানান, তিনি ব্যস্ত, বাজার করছেন।
যে ঘটনায় মামলা
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনটিতে ছিল রাঙ্গামাটির ডিসি বাংলো পার্ক অবৈধভাবে দখল করে রাখার বিষয়ে।
দুই বছরের জন্য অন্য একজনের নামে পার্কটি ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের পরও তা দখলে রেখেছিলেন নাজনীন আনোয়ার নিপুণ। তিনি রাঙ্গামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর মেয়ে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মোহাম্মদ হোসেন নামে একজনকে বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে পার্কটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। ১৩টি শর্তে দুই বছরের জন্য এই অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
আরেকজনের নামে বরাদ্দ নিয়ে প্রকারান্তরে পার্কটির দখলদার হয়ে বসেন নাজনীন আনোয়ার নিপুণ। নাজনীন ও তার সঙ্গীরা পার্কটি ব্যবহারে প্রায় সব শর্ত ভঙ্গ করেন। পুলিশের বিশেষ শাখা ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আলাদা দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে এর প্রমাণ মেলে।
প্রতিবেদন দুটির কপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৯ আগস্ট রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন একই জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বোরহান উদ্দিন মিঠু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সরকারি সম্পত্তি রক্ষা, মাদকমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা এবং পার্কটি সাধারণ জনগণের ব্যবহার উপযোগী করে উন্মুক্ত রাখার নিমিত্ত অবৈধ পাইরেটস দোকানটি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।’
এর প্রায় এক মাস পর ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ডিআইজি (রাজনৈতিক) বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেন রাঙ্গামাটি জেলার বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর।
তাতে বলা হয়, ‘সার্বিক বিবেচনায় বলা চলে যে, পার্কটি আবাসিক এলাকায় ও জেলা প্রশাসকের বাংলোর সৌন্দর্যের অংশ হওয়ায় রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার কোনোভাবে সমীচীন হবে না।’
জেলা প্রশাসন ও এসবির পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার প্রায় তিন মাস পর ৩ ডিসেম্বর ডিসি বাংলো পার্কে অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে।
ফজলে এলাহী সম্পাদিত পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকম নামের ওই পোর্টালে ‘রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পাইরেটস বিড়ম্বনা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে এই ডিসি বাংলো পার্কের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর কন্যা নাজনীন আনোয়ার নিপুণ নিয়ম লঙ্ঘন করে ডিসি বাংলোর পার্ক এলাকায় ‘পাইরেটস’ নামে একটি রেস্তোরাঁ গড়ে তোলেন। জেলা প্রশাসন পরে উচ্ছেদের নোটিশ দিলে খোদ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধেই মামলা করেন নিপুণ।
নিপুণের অনিয়মের পেছনে তার মা ফিরোজা বেগম চিনুর প্রভাব রয়েছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানায় ১২ ডিসেম্বর সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন চিনুর কন্যা নিপুণ। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর চিনু আরেকটি অভিযোগ করেন।
সেই মামলায় বাদী হিসেবে চিনুর কন্যার নাম থাকলেও নিউজবাংলাকে চিনু জানান, অভিযোগকারী তিনি নিজেই। মেয়ের নাম কীভাবে এলো সেটি তিনি জানেন না।
যা আছে এসবির প্রতিবেদনে
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি এসবির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর ডিসি বাংলো পার্ক নিয়ে এসবির ডিআইজি (রাজনৈতিক) বরাবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এসবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়:
‘অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮/১২/২০১৭ তারিখে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সাহিদা আক্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ১৩টি শর্তে রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার দেবাশীষ নগরের মো. হোসেনকে বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা ভাড়ায় দুই বছরের জন্য পার্কটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।
পার্কটি মো. হোসেনের নামে অনুমোদন নিয়ে পক্ষান্তরে নাজনীন আনোয়ার বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন। করোনা মহামারির কারণে ডিসি বাংলো পার্কটি বর্তমানে বন্ধ আছে।
পার্কটি বন্ধ হওয়ার আগে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কয়েকটি ঘটনা ঘটে। যেমন-
১. গভীর রাত পর্যন্ত পার্কটি খোলা রাখা হতো। সে কারণে সেখানে মাদক বিক্রি ও সেবনের মতো ঘটনা ঘটে এবং উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা সেখানে রাত অবধি ভিড় করত। ১৪/০৮/২০১৯ তারিখ রাতে ১০-১২ জন উচ্ছৃঙ্খল বখাটে যুবক সেখানে আইনশৃঙ্খলাবহির্ভূত ঘটনা ঘটায়।
২. গভীর রাত পর্যন্ত যুবক ছেলেরা মোটরসাইকেলসহ এখানে অবস্থান করত এবং লেকসংলগ্ন কুঁড়েঘরে মাদক সেবন করে মাতলামি ও হুল্লোড় করত।
৩. গোপন সূত্রে জানা যায় যে, পার্কের পাইরেটস রেস্টুরেন্টের ভেতরে নারীসহ অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হতো।
৪. অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বরাদ্দের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও জেলা প্রশাসক পার্কটি ব্যবহারের অনুমতি বিভিন্ন কারণে বাতিল করতে পারছেন না। যেমন- রাজনৈতিক প্রভাব, জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা।
৫. পার্কটি জেলা প্রশাসক ও পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু সেটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্টসহ জেলা প্রশাসকের বাংলোর ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
৬. উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা গভীর রাত পর্যন্ত পার্কে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করায় আশপাশের বাসিন্দাদের শান্তির ব্যাঘাত ঘটত।
৭. পার্ক ব্যবহারের মেয়াদ পার হওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে পার্কটি দখলে রাখায় উল্লিখিত কার্যকলাপের কারণে প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জেলা পুলিশও বিভিন্ন প্রশ্ন ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে।
৮. সার্বিক বিবেচনায় বলা চলে যে, পার্কটি আবাসিক এলাকায় ও জেলা প্রশাসকের বাংলোর সৌন্দর্যের অংশ হওয়ায় রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার কোনোভাবে সমীচীন হবে না।
পার্ক এখন কার দখলে?
ডিসি বাংলো পার্কটি বর্তমানে জেলা প্রশাসনের দখলে রয়েছে বলে গত জুনে নিউজবাংলাকে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সে সময় তিনি বলেন, ‘পার্কটি নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান। তবে পার্কটি এখন জেলা প্রশাসনের দখলে রয়েছে এবং পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।
আরও পড়ুন:দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
গতকাল রোববার সিলেটের দ্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলো ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কারও একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে।
প্রধান বিচারপতি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।
প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার।
বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।
এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।
সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।
গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় আজ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দেশের সকল আদালত।
আজ সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতি আপিল বিভাগ তাদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এদিকে আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত অধস্তন আদালতে নীরবতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ২২ জুলাই সারা দেশে শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। বিচার বিভাগীয় পর্যায়েও বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২২ জুলাই দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সেই সাথে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এছাড়া ২২ জুলাই হতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সকল জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সারাদেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের উপপরিজালক আকতারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক জানায়, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় কতগুলো এবং কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’
‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’
র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য